আমি সেন্ট জোসেপসের প্রাক্তন ছাত্র। উপরের লাইনটা উচ্চারণ করার সময়ে আমার গর্ববোধ হয়। এই সময়ে এসে মনে হয় আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধুরাই স্কুল লাইফের। কত বছর হয়ে গেছে, এখনও যদি স্কুল লাইফে অল্প-স্বল্প পরিচয় ছিলো এমন কারো সাথে হুটহাট দেখা হয়ে যায় পথে-ঘাটে, সাথে সাথেই, সে রাস্তাঘাট বা মার্কেট যেখানেই হোক, জড়িয়ে ধরে বলে বসে, আরে দোস্ত, কত্তদিন পর দেখা। একদম বদলে গেছিস রে। কোই আছিস? কী করছিস? আমি খেয়াল করে দেখেছি কিছু ক্লোজ বন্ধু ছাড়া কলেজ লাইফের বন্ধুদের সাথে এমনটা সাধারণত হয়না। হয়না বলাতে কন্ট্রোভার্সি অ্যারাইজ করবে। আসলে আমার সাথে হয়নি। মেডিকেল লাইফের বন্ধুদের সাথে হবে কী-না সেটা এই মুহুর্তে প্রেডিক্ট করা ঠিক হবে না। ৫/৭ বছর পর বোঝা যাবে। তবে আমার মনে হয়েছে, আমরা যত বড় হই তত দূরত্ব তৈরি করি। একটা অলিখিত দেয়াল এনে ফেলি মাঝে। একটা ফর্মালিটির ব্যারিকেড বসাই। যেমন আমার মনে হয় আজ থেকে ১০ বছর পরে হলেও স্কুল লাইফের কেউকে চিনতে পারলে আরে দোস্ত, কী খবর বলে জড়িয়ে ধরতে পারবো, কিন্তু কলেজ বা মেডিকেলের কেউকে এভাবে টেনে নিতে পারবো বলে মনে হয় না। হতেও পারে। সেটা সময় বলবে। খুব স্বল্প হলেও অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, বয়স্ক পেশেন্টকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় কী সমস্যা নিয়ে এসেছেন তখন অ্যাকচুয়াল সমস্যা আগে না বলে কয়েকবছর আগে থেকে ঘটনা বলা শুরু করে। যেমন পেট ব্যথা নিয়ে এসেছে। জিজ্ঞাসা করা হলো, চাচা কী সমস্যা? উত্তর শুরু হয় এভাবে, বছরখানেক আগে একবার দেশের বাড়িতে গেছিলাম....। এই স্ট্যাটাসটাও ঠিক সেইরকম হয়ে গেছে। ধান ভাঙতে শিবের গীত ধরেছি। আসলে উদ্দেশ্যটা ছিলো বড়দিন। সেন্ট জোসেপসের দুই খ্রিস্টান বন্ধু আছে। Joash Nitol Baroi আর Rocky D. Baroi। স্কুল ছাড়ার পর ওদের কারো সাথে একবারও দেখা হয়নি আমার। ফেসবুকে মিলে গেছে। যোয়াশ শুধু বিয়েই করেনি, ওর ছেলে ইথানের বয়সও তো কম হলো না। রকিরও বিয়ে হয়ে গেছে। কাপল সেলফি-টেলফি দিয়েই মাঝেমধ্যে আক্ষেপ বাড়ায়। ওদের দুজনের পরিবারের জন্যে আজকের দিনটা বিশেষ আনন্দময়। দোস্তদ্বয়, অনেক শুভেচ্ছা রে। শুভ বড়দিন।
Posted on: Thu, 25 Dec 2014 04:29:51 +0000
Trending Topics
Recently Viewed Topics
© 2015