▓▒░░আল কুরআনের আলো░░▒▓ আর যদি তারা সন্ধির দিকে ঝুঁকে পড়ে তাহলে তুমিও সন্ধির দিকে বুঁকবে এবং আল্লাহর ওপর নির্ভর করবে। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। তারা যদি তোমাকে প্রতারিত করতে চায় তাহলে তোমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। তিনি তোমাকে স্বীয় সাহায্য ও বিশ্বাসীগণ দ্বারা শক্তিশালী করেছেন। -আল আনফাল (আয়াত-৬১-৬২)। আগের আয়াতে মুসলমানদেরকে শত্রুর ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। এই আয়াতে বলা হচ্ছে-কেউ যেন মনে না করে যে, ইসলাম যুদ্ধ বা সহিংসতার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করে। আগে যা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ আত্মরক্ষার জন্য বলা হয়েছে, মুসলমানদেরকে প্রথম হামলাকারী হতে নিষেধ করা হয়েছে। কাজেই ইসলামের শত্রুরা যদি মুসলমানদের ওপর হামলার চিন্তা বাদ দেয় এবং শান্তি স্থাপনের ব্যাপারে আগ্রহ ব্যক্ত করে তাহলে মুসলমানদেরকে তা মেনে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে, আল্লাহর ওপর পূর্ণ নির্ভর করতে। তবে ইসলামের শত্রুরা যদি এতে প্রতারণার আশ্রয় নেয় তাহলেও ভয়ের কোনো কারণ নেই। কারণ মহান আল্লাহ মুসলমানদের সাথে রয়েছেন। তিনিই মুসলমানদেরকে প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা করবেন। এই আয়াত থেকে এটাই বোঝা যায়, ইসলাম যুদ্ধের পক্ষে নয় বরং শক্তি প্রদর্শনের পরিবর্তে শান্তির পক্ষে উদ্বুদ্ধ কর। পবিত্র কুরআনের এই আয়াতগুলো থেকে এটা সুস্পষ্ট যে, ইসলাম যুদ্ধ, সহিংসতাকে সমর্থন করে না। ইসলাম সব সময় শান্তিপূর্ণ উপায়কে প্রাধান্য দেয় তবে আক্রান্ত হলে কিংবা কোথাও অত্যাচার অবিচার ও বৈষম্য দূর করার জন্য সত্য, ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনে যুদ্ধ করাকে ইসলাম স্বাগত জানায়। পশাপাশি ইসলাম মুসলমানদের প্রতিরক্ষা শক্তি জোরদার করার উপদেশ দেয় যাতে শত্রুপক্ষ যুদ্ধ বা সহিংসতার পথ পরিহার করে শান্তি স্থাপনের ব্যাপারে আগ্রহী হয়।
Posted on: Tue, 23 Sep 2014 23:30:00 +0000