সিটি এনজিওগ্রাম এনজিওগ্রাম করে আমরা সহজেই শরীরের রক্তনালীর অবস্থা বুঝতে পারি। এর একটা অসুবিধা হলো এজন্য রোগীর বড় একটি ধমনীতে ফুটো করে তাতে একটা ক্যাথেটার হার্ট পর্যন্ত ঢুকিয়ে দেয়া হয়। এতে কিছু ঝুকিতো থাকেই এছাড়া এ পরীক্ষাটি অনেক রোগীর মনে ভীতিরও সঞ্চার করে থাকে। এই ঝুকি ও ভীতি থেকে মুক্তির জন্য সিটি স্ক্যান করেও রক্তনালীর অবস্থা জানার একটি পরীক্ষা আবিস্কৃত হয়েছে, এর নাম করোনারি সিটি এনজিওগ্রাম। ইশকেমিক হার্ট রোগ নির্ণয়ে এটি একটি সর্বাধুনিক নন ইনভেসিভ (Non invasive) পরীক্ষা। এটি করার জন্য হাতের শিরা (ধমনী নয়) দিয়ে আয়োডিন যুক্ত কন্ট্রাস্ট ডাই (Contrast dye) প্রবেশ করিয়ে দেয়া হয়। এরপর সিটি স্ক্যান মেশিন এর মাধ্যমে হৃদপিন্ডের রক্তনালী বা অন্যকোনো অঙ্গের রক্তনালী পর্যবেক্ষন করা হয়। ধমনীর গায়ে চর্বি বা ক্যালসিয়াম জমে সরু হয়ে গেলে তা সহজেই বোঝা যায়। ধমনীর যে কোনো প্রকার ব্লক এই পরীক্ষার মাধ্যমে ধরা পরে। অপেক্ষাকৃত সহজ, ঝুকিহীন ও সংক্ষিপ্ত এই পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হবার প্রয়োজন হয়না তাই যে সকল রোগী এনজিওগ্রাম করার ঝুকির ভীতিতে চিকিৎসা নেয়া থেকে বিরত থাকেন তাদের জন্য সিটি এনজিওগ্রাম এক নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মোচন করেছে। এই পরীক্ষাটির একটি সীমাবদ্ধতা হলো এতে শুধু রোগ নির্নয় করা যায়, সাথে সাথে স্টেন্ট বা রিং পরিয়ে দেয়া যায়না। তাই এই পরীক্ষার মাধ্যমে কারো হার্ট এর ধমনীতে ব্লক ধরা পরলে তাতে স্টেন্ট পরাতে অবশ্যই ইনভেসিভ এনজিওগ্রাম করতে হবে (মো:পনির হোসেন বাবু) নিটোর,ঢাকা
Posted on: Sat, 29 Jun 2013 23:15:03 +0000
Trending Topics
Recently Viewed Topics
© 2015