❀ কম্পিউটার ও ল্যাপটপ - TopicsExpress



          

❀ কম্পিউটার ও ল্যাপটপ এবং মোবাইল চালানোর সঠিক পদ্ধতি ❀ প্রথমেই বলে নেই, এ তিনটি যন্ত্র ডিজিটাল প্রাণী ( যার জীবন আছে সেই প্রাণী :P তবে, এদের ডিজিটাল প্রাণী বলাই যুক্তিযুক্ত, কেননা, এদের অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে :P ) ৷ আমি এদের ‘ডিজিটাল প্রাণী’ বলে থাকি ৷ আমার ‘ডিজিটাল প্রাণী’ :P ৷ এবার আসি, কম্পিউটার ও ল্যাপটপ এবং মোবাইল চালাতে গেলে কি কি সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে ব্যবহারকারীরা ৷ ১. চোখের সমস্যা : চোখ ব্যথা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া ৷ ২. মাথা ব্যথা ৷ ৩. আঙ্গুলে ব্যথা, আঙ্গুল লাল হয়ে যাওয়া ৷ ৪. কনুই (elbow) ব্যথা, লাল হয়ে যাওয়া ৷ ৫. ঘাড় ব্যথা হয়ে যাওয়া ৷ ৬. কোমড় ব্যথা হয়ে যাওয়া ৷ ৭. মেরুদন্ড ( Backbone / Spine ) –এ ব্যথা অনুভব করা ৷ ৮. পাঁজর (rib) -এ ব্যথা অনুভব করা ৷ ৯. উরু (thigh)-তে চাপ অনুভব করা ৷ ১০. পায়ের গোড়ালিতে ও পায়ের আঙ্গুলে ব্যথা অনুভব করা ৷ ১১. মানসিক দিক দিয়ে কঠিন চাপ বা পীড়ন ( stress ) অনুভব করা ৷ এবং _ ১২. ক্লান্তি / পরিশ্রম / শ্রান্তি / অবসাদ ( fatigue (ফ্যাটীগ) ) অনুভব করা ৷৷ . যে কোনও সমস্যা সমাধানের আগে তার কারণগুলো জানা প্রয়োজন ৷ আমরা জানি, প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম ৷ আমরা জেনেও মানি না অথবা উপেক্ষা করি ৷ পরিণাম সুদূরপ্রসারী প্রসারতা বাড়ে এই সমস্যাগুলোর ৷ এই ডিজিটাল প্রাণী তিনটিকে লালন পালন করতে যেয়ে আমরা আমাদের মানসিক ও শারীরিক ক্ষতি করি, একটু ভুল বা অসাবধানতার কারণে অথবা না জানার কারণে ৷ . উপরোক্ত সমস্যাগুলো থেকে উত্তরণ পাওয়ার উপযোগী নিয়ম-কানুন মেনে চললে একনাগাড়ে কম্পিউটার ও ল্যাপটপ এবং মোবাইল চালালেও কোনও রুপ ঝামেলা ছাড়াই হেসে-খেলে ডিজিটাল জীবন কাটানো যায় ৷ তখন গান গাইতে যদি ইচ্ছে করে তবে গেয়ে ফেলুন – ‘… হেসে খেলে জীবনটা যদি চলে যায়, যদি যায়, যদি যায় …’ অতঃপর তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে বলে ফেলুন – ‘… আমার ডিজিটাল প্রাণী :P …’ . উপমার বারিধারা বন্ধ করে চটজলদি বলে ফেলি নিয়ম-কানুনগুলো : -------------------------------------------------------------------------- প্রকৃত কি ঘটে কম্পিউটার চালাতে গেলে? এবং কেনও ঘটে? -------------------------------------------------------------------------- কম্পিউটার চালাতে গেলে মনিটরের প্রয়োজন ৷ আর এই মনিটর ব্যবহারের ফলে চোখে অত্যধিক পরিমানে প্রসারিত হয় মনিটরের আলোকরশ্মি ৷ অত্যধিক ব্যবহারের ফলে চোখ ক্ষতিগ্রস্থ হতে থাকে ধীরে ধীরে ৷ চোখের দৃষ্টিশক্তি কমতে থাকে ৷ কম্পিউটার ব্যবহার জনিত চোখের এই সমস্যাকে বলে Computer Vision Syndrome (CVS) বা কম্পিউটার ব্যবহারে দৃষ্টিশক্তির অস্বাভাবিক অবস্থা ৷ গবেষণায় দেখা গেছে চোখের এ সমস্যা সাধারণ ৷ কোথাও কোথাও ৫০% থেকে ৯০% ব্যবহারকারী কম্পিউটার স্ক্রীনে কাজ করতে যেয়ে CVS এর লক্ষণসমূহ দেখা দিয়ে সমস্যায় ভোগে ৷ > কি কি লক্ষণসমূহ Computer Vision Syndrome (CVS) –এ দেখা যায়? যদি Computer Vision Syndrome (CVS) দেখা দেয় তবে, নিচের কিছু লক্ষণ অথবা সব লক্ষণই দেখা দিতে পারে : Blurred vision ( ঝাপসা দৃষ্টি ) Double vision ( দ্বৈত দৃষ্টি ) Dry, red eyes ( শুষ্ক, লাল চোখ ) Eye irritation ( চোখে জ্বালাপোড়া করা ) Headaches ( মাথাব্যথা ) Neck or back pain ( ঘাড় অথবা মেরুদন্ডে ব্যথা ) একটি মানুষের স্বাভাবিক চোখের দৃষ্টি ২০/২০ বা ৬/৬ ৷ উদাহরণ দিলে বিষয়টি আরো সহজ মনে হবে ৷ উদাহরণ : যদি একজন ২০ ফুট দূরের একটি বস্তুকে দেখে, তবে স্বাভাবিকভাবে দেখতে পাবে বস্তুটি ২০ ফুট দূরত্বেই আছে ৷ এ দৃষ্টিশক্তিকে ২০/২০ দৃষ্টিশক্তি বা vision বলে অথবা ৬/৬ ( সিক্স বাই সিক্স ) দৃষ্টিশক্তি বা vision বলে ৷ যদি একটি বস্তুর অবস্থান ২০ ফুট দূরত্বের হয়, এবং একজন সাধারণ ব্যক্তি স্বাভাবিকভাবে দেখতে পায় বস্তুটি ৪০ ফুট দূরত্বে আছে ৷ এ দৃষ্টিশক্তিকে ২০/৪০ দৃষ্টিশক্তি বা vision বলে ৷ ৬/৬ দৃষ্টিশক্তি, এই পরিভাষা বা terminology টির মানে হল, ৬/৬ মিটার দূরত্বের দৃষ্টিশক্তি, যা ফুটে পরিবর্তন করলে ২০/২০ ফুট হবে ৷ যে চার্টের মাধ্যমে এ দৃষ্টিশক্তি পরিমাপ করা হয় সাধারণতঃ তাকে Snellen chart বলে ৷ Chart টির ছবি দেয়া আছে ৷ এবং পিডিএফ ( PDF ) ফাইল এর লিংক দেয়া হলো এই Article এর সাথে ৷ PDF ফাইলটি Download করুন এবং A4 Paper-এ Print করুন ৷ provisu.ch/Age/Snellenchart_en.pdf প্রাথমিকভাবে আপনি আপনার চোখের দৃষ্টিশক্তির পরিমাপ করতে পারেন PDF ফাইলটি প্রিন্ট করে ৷ এবং আপনার চোখের দৃষ্টিশক্তির history তৈরি করতে পারেন এর নির্দেশনা অনুসরণ করে ৷ এর সাথে যদি দেখেন যে, “ঝাপসা দৃষ্টি”, “দ্বৈত দৃষ্টি”, “শুষ্ক, লাল চোখ”, “চোখে জ্বালাপোড়া করা”, “মাথাব্যথা” – এগুলোর কিছু লক্ষণ বা সবগুলো লক্ষণ পরিলক্ষিত হয় তবে অবশ্যই অবশ্যই চোখের ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন ৷ এবং ডাক্তারের পরামর্শ পালন করতে হবে ৷ ‘... চোখে না দেখিলে মনা, মন মজিবে না ৷ …’ সুতরাং নিজের চোখের যত্ন নিজেই নিন ৷ হা-হুতাশ বন্ধ করুন ৷ নিজেই নিজের চোখের history chart তৈরি করুন, একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর ৷ লক্ষণগুলো দেখা/অনুভব করা মাত্র চোখের ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন ৷ নিজেই নিজের চোখের চুড়ান্ত ডাক্তারগিরি করে নিজের চোখের তেরটা বাজাবেন না ৷ হেলাফেলা করবেন না ৷ চোখকে বলা হয়, “মনের আয়না” ৷ ------------------ . এবার তবে কম্পিউটার ব্যবহারে উথলিত সমস্যার সমাধানের ডালি নিয়ে সম্মুখপানে পদার্পণ করি ৷ --------------------------------------------------------- ডেস্কটপ কম্পিউটার ব্যবহারের এর ক্ষেত্রে --------------------------------------------------------- (?) মনিটর এবং চেয়ার সমন্বয় করা (?) মনিটর সেট-আপ এর উপর নির্ভর করে আপনার চোখে কোনও সমস্যা হবে কিনা ৷ > মনিটরকে সেট-আপ করুন টেবিলের শেষ প্রান্তে ৷ > যদি পিছনে দেয়াল থাকে তবে ৬ ইঞ্চি ফাঁকা রেখে নিন ৷ > মনিটরকে সোজা ৯০ ডিগ্রী সমকোন/এ্যাঙ্গেল-এ রাখবেন না ৷ মনিটর এর পিছনে লিভার আছে, ১০ ডিগ্রী – ৩০ ডিগ্রী পর্যন্ত বাকিয়ে adjust করুন চোখের সাথে ৷ > চেয়ারটাতে বসুন, এবং মনিটর এর উপরের মাথার সাথে আপনার চোখ সমান্তরালে থাকবে ৷ যদি চেয়ারে বসাতে মনিটর এর উপরের মাথার চোখের সমান্তরালে না আসে তবে চেয়ারটাকে লম্বা/খাটো করে adjust করে নিন ৷ > মনিটর থেকে আপনার চেয়ারে বসার দূরত্ব হবে ২০ ইঞ্চি থেকে ২৮ ইঞ্চি (৫০ সেমি. – ৭০ সেমি.) ৷ (আমি পরামর্শ দিবো ২৮ ইঞ্চি থেকে ৩০ ইঞ্চি ) ৷৷ > চেয়ারটি রিভলভিং চেয়ার হলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন আপনি ৷ কেননা, আপনি মাঝেমাঝে আড়মোড়া ভেঙ্গে নড়াচড়া করতে পারবেন বিভিন্ন দিকে ঘুরে ৷ যা অবশ্যই দরকার আছে দেহের প্রতিটি অঙ্গকে শিথিল রাখতে ৷ > মনিটরের সংবেদনশীল আলোর পাশাপাশি রুমের ভিতর পর্যাপ্ত আলোর ব্যবহার করতে হবে ৷ নইলে চোখের উপর stress বা চাপ এর সৃষ্টি হবে ৷৷ (?) চেয়ার ও বসার সমন্বয় (?) > আপনি যখন চেয়ারে বসবেন তখন আপনার হাটু আর পায়ের অবস্থান হবে ৯০ ডিগ্রী – ১১০ ডিগ্রী কোণে ৷ > আপনার পায়ের পাতা কিছুতেই ঝুলিয়ে রাখবেন না ৷ সমান্তরালই মাটির সাথে মিলিত থাকবে ৷ যদি ঝুলে থাকে তবে অবশ্যই সাপোর্টিভ এমন কিছু ব্যবহার করবেন যাতে আপনার পায়ের পাতা সমান্তরাল হয় ৷ নইলে পায়ের আঙ্গুল ও পায়ের গোড়ালিতে চাপ অনুভূত হবে যা সরাসরি মস্তিষ্কে প্রেরণ হয়ে ধীরে ধীরে পায়ের গোড়ালি, আঙ্গুল–এ ব্যথা অনুভূত হবে এবং মাথাব্যথাও শুরু হতে পারে ৷ > হাতটিকে টেবিল-এ রাখার সময় খেয়াল রাখবেন, শরীর ও হাত এর অবস্থান হবে ৯০ ডিগ্রী সমকোণ ৷ নইলে কনুই বা elbow ধীরে ধীরে লাল হয়ে ব্যথা অনুভূত হবে ৷ > হাতের কবজি বা wrist টেবিলের উপর রাখার সময় খেয়াল রাখবেন, যেন কবজি ও keyboard এর মাঝে যথেষ্ট জায়গা থাকে কবজিটিকে টেবিলে রাখতে ৷ কিছুতেই যেন টেবিলের কিনারায় বা বাহিরে কবজি না আসে ৷ কবজি আসলে লাল হয়ে ব্যথা হতে শুরু করবে ৷ > অনেকে কবজির নিচে এক ধরনের তরলভর্তি স্পঞ্জ ব্যবহার করে ৷ এটা ব্যবহার করা যেতে পারে ৷ > মাউস ব্যবহারের সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন সঠিকভাবে চিত্রের মত মাউসটি ধরা হয় ৷ আঁকাবাঁকাভাবে যেন মাউস ধরা না হয় ৷ wrist থাকবে সোজাসুজি বা straight এবং ডানহাতি ব্যবহারকারীদের তর্জনী থাকবে লেফট মাউস বাটনে এবং মধ্যমা থাকবে রাইট মাউস বাটনে ৷ বামহাতি ব্যবহারকারীদের এর বিপরীত হবে ৷ (?) দেহের ভারসাম্য রাখা ও বিশ্রাম নেয়া (?) > একনাগাড়ে কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই অবশ্যই মনে রাখতে হবে বা খেয়াল রাখতে হবে _ ক. ঘাড় এর বিষয়টি ৷ ঘাড় যেন বেশি সময় ধরে স্থির না থাকে ৷ থাকলে ব্যথা অনুভূত হবে ৷ খ. মেরুদন্ড যেন সামনের দিকে কা’ত/ঝুঁকে না থাকে ৷ হলে, মেরুদন্ড ধীরে ধীরে ব্যথা জাগবে ৷ অসহনীয় ব্যথাও হতে পারে ৷ > চোখের ব্যায়াম প্রয়োজন নির্দিষ্ট সময় পরপর ৷ কিছুক্ষণ পরপর চোখের রিফ্রেশ রেট ঠিক রাখার জন্য blink / চোখের উঠানামা করতে হবে ৷ > প্রতি ২০ মিনিট পরপর ১-২ মিনিটের বিশ্রাম নেয়া প্রয়োজন ৷ আর যারা glass বা চশমা ব্যবহার করেন তাদের জন্য ১৫ মিনিট পরপর ১-২ মিনিটের বিশ্রাম প্রয়োজন ৷ চোখকে সরিয়ে নিন মনিটর থেকে ৷৷ > একটানা কিছুতেই ৩০ মিনিট এর বেশি কম্পিউটার ব্যবহার করা উচিত নয় ৷ কমপক্ষে ৫ মিনিটের বিরতি দেয়া প্রয়োজন ৷ > ১৫-৩০ মিনিট ব্যবহারের পর মেরুদন্ড ও পায়ের সচলতা ধরে রাখার জন্যে হাটাহাটি করা উচিত ৷ > একটানা কম্পিউটার ব্যবহারের ফলে, মস্তিষ্কে চাপ বা stress অনুভূত হয় এবং অবসাদগ্রস্থ হবার সম্ভাবনাই বেশি ৷ সুতরাং একটানা কম্পিউটার ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন ৷৷ . এছাড়াও > Minimize glare. চোখ-ধাঁধানো তীব্র আলো যা সরাসরি কম্পিউটারের উপর পড়েছে জানালা দিয়ে, এমন হলে, পর্দা দিয়ে ঢেকে তীব্র আলোর পরিমান কমাতে হবে ৷ > Adjust your computer display settings. Brightness : মনিটরের উজ্জলতা adjust করতে হবে, যা চোখ মানিয়ে নিতে পারে ৷ Text size and contrast : কম্পিউটারের Text size একটু বাড়িয়ে এবং বৈসাদৃশ্য adjust করে চোখের সাথে মানিয়ে নিতে হবে ৷ > Computer glasses ব্যবহার করা যেতে পারে ৷ > নিয়মিতভাবে eye পরীক্ষা করিয়ে চোখের ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে ৷ দৃষ্টিশক্তির history তৈরি করে এবং যখনই “ঝাপসা দৃষ্টি”, “দ্বৈত দৃষ্টি”, “শুষ্ক, লাল চোখ”, “চোখে জ্বালাপোড়া করা”, “মাথাব্যথা” – এগুলো দেখা দিবে, হয় সবগুলো অথবা কিছু, তখনই eye পরীক্ষা করাতে হবে ৷ দৃষ্টিশক্তির history ডাক্তারকে দেখানো যেতে পারে ৷ তাহলে দ্রুত বুঝতে পারবেন ডাক্তার কতটা অবনমন হলো চোখের দৃষ্টিশক্তির ৷ এরপর তিনি আবার eye পরীক্ষা করবেন exact অবস্থা জানার জন্য এবং পরামর্শ দিবেন ৷৷ তার পরামর্শ মেনে চলাই যুক্তিযুক্ত ৷৷৷ . -------------------------------------- ল্যাপটপ ব্যবহারের এর ক্ষেত্রে -------------------------------------- ভিডিওটি দেখুন ৷৷ ও ডেস্কটপ ব্যবহারের এর ক্ষেত্রে-র নিয়মগুলো মেনে চলুন ৷ এবং ল্যাপটপ বিছানায় বা হাটুর উপরে রেখে চালাবেন ৷ > বিছানায় রেখে চালালে অবশ্যই cooling fan কিনে নিবেন ৷ > এক নাগাড়ে অনেকক্ষণ যাবত laptop চালাবেন না ৷ ডেস্কটপ ব্যবহারের এর ক্ষেত্রে যে সব সমস্যার আবির্ভাব হয় সেগুলো এখানেও হবে ৷ > হাটুর উপরে রেখে laptop চালাবেন না ৷ heat burn হবে ধীরে ধীরে হাটুতে ৷ বি.দ্র. : laptop চালাতেও ডেস্কটপ ব্যবহারের এর নিয়মগুলো মেনে চলুন ৷ . -------------------------------------- মোবাইল ব্যবহারের এর ক্ষেত্রে -------------------------------------- একাধারে মোবাইল ব্যবহারের এর ক্ষেত্রে যে সমস্যাগুলো দেখা যায় : > চোখের সমস্যা ৷ > আঙ্গুল ব্যথা হয়ে যাওয়া ৷ > মেরুদন্ডে ব্যথা অনুভূত হওয়া ৷ ----- সমাধান ----- এক নাগাড়ে অনেকক্ষণ যাবত মোবাইল না চালানোই উচিত ৷৷ . --------------------------------------------------------------------------------------------- OFF But Important Topic : Snellen Test বা চোখের পরীক্ষা নিজে নিজে কিভাবে করবেন ৷ --------------------------------------------------------------------------------------------- Snellen Test করতে নিচের নিয়ম অনুসরণ করতে হবে : ১. A4 Size Paper-এ Test Pageটি Print করে নিন ৷ ২. দেয়ালে Test Page-টি লাগিয়ে নিন tape দিয়ে ৷ ৩. দেয়াল লাগানো চার্ট থেকে ২.৮ মিটার বা ৯ ফুট দূরত্বে আপনি অবস্থান নিন ৷ ৪. আপনার দৃষ্টিশক্তির তীক্ষ্মতা পরীক্ষা করুন সাথে সংশোধন করুন ( Contact Lenses অথবা glasses ) ৷ ৫. > একই সময়ে একটা চোখ পরীক্ষা করুন ৷ > প্রথমে ডান চোখ এর, বাম চোখকে হাত দিয়ে ঢাকুন কোনরুপ চাপ না দিয়ে ৷ ঠিক আলতো করে ঢাকুন ৷ > এবার অক্ষরগুলো পড়ুন ৷ বড় অক্ষর থেকে আস্তে আস্তে ছোট অক্ষরে নামতে থাকুন ৷ > এই পরীক্ষাটি খুবই সহজ ও দ্রুত করতে আরেকজন এর সহায়তা নিন ৷ তিনি চার্টে অক্ষর দেখিয়ে দিবেন, আপনি তা পড়বেন ৷ পড়তে পড়তে নিচে নামুন ৷ যে অক্ষর বা লাইনে এসে আপনি আর দেখতে/পড়তে পারছেন না, সে লাইন ও অক্ষর নোট রাখুন কাগজে ৷ এ ব্যাপারে সাহায্যকারী সহায়তা করবেন ৷ আপনি শুধু পড়ার দিকে মনোযোগ দিবেন ৷ কাগজে নোট রাখুন এভাবে _ [ তারিখ ], [ চোখ ], [ লাইন নম্বর ], [অক্ষর] যেমন, ২৪০৮২০১৪, ডান, ৮, C ২৪০৮২০১৪, বাম, ৮, C > এভাবে ডান চোখের পরীক্ষার পর এবার বাম চোখের পরীক্ষা করতে হবে ৷ > ডান চোখকে হাত দিয়ে ঢাকুন কোনরুপ চাপ না দিয়ে ৷ ঠিক আলতো করে ঢাকুন ৷ > এবার অক্ষরগুলো পড়ুন ৷ বড় অক্ষর থেকে আস্তে আস্তে ছোট অক্ষরে নামতে থাকুন ৷ > এই পরীক্ষাটি খুবই সহজ ও দ্রুত করতে আরেকজন এর সহায়তা নিন ৷ তিনি চার্টে অক্ষর দেখিয়ে দিবেন, আপনি তা পড়বেন ৷ পড়তে পড়তে নিচে নামুন ৷ যে অক্ষর বা লাইনে এসে আপনি আর দেখতে/পড়তে পারছেন না, সে লাইন ও অক্ষর নোট রাখুন কাগজে ৷ এ ব্যাপারে সাহায্যকারী সহায়তা করবেন ৷ আপনি শুধু পড়ার দিকে মনোনিবেশ দিবেন ৷ যদি আপনি গ্লাস বা চশমার তীক্ষ্মতা ( correction ) পরীক্ষা করেন, তবে আপনি এক চোখকে একটা কাগজ দিয়ে ঢেকে তারপর অক্ষর পড়ুন ৷ ৬. যদি আপনি ৮ম লাইন পর্যন্ত পড়তে পারেন তবে আপনার দৃষ্টির দৃষ্টিশক্তির তীক্ষ্মতা ( visual acuity ) ২০/২০ ৷ ৭. যদি আপনার দৃষ্টির দৃশ্টিশক্তির তীক্ষ্মতা ( visual acuity ) ২০/২০ এর কম হয়, তবে আপনি একজন ophthalmologist ( চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ) এর সাথে যোগাযোগ করুন ৷ . ---------- নোট-১ ---------- চোখ পরীক্ষা করার সময় বা পরে যদি “ঝাপসা দৃষ্টি”, “দ্বৈত দৃষ্টি”, “শুষ্ক, লাল চোখ”, “চোখে জ্বালাপোড়া করা”, “মাথাব্যথা” শুরু হয় তবে সাধারণভাবে ধরে নিবেন আপনার দৃষ্টি সামান্য অবনমন ঘটেছে ৷ বিশ্রাম নিন ৷ একই পরীক্ষা আবার করুন বেশ কয়েকদিন পর ৷ একই অবস্থা বিরাজ করলে তবে ডাক্তারের শরনাপন্ন হন ৷ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলুন ৷৷ . ---------- নোট-২ ---------- এই যে snellen chart থেকে আপনি ফলাফল পেলেন তা সুপারিশ বা recommendation হিসেবে নেয়া যেতে পারে ৷ তার মানে এটা নয় যে, এ ফলাফল যা কিছু সব উপসর্গ দেখে রোগ নির্ণয় নির্দেশ করে ৷ এ পরীক্ষার এটা মানে দাড়ায় না যে আপনি চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞের দারস্থ হন না নিয়মিত, কেননা আপনি খুব সহজে ভুল করতে পারেন এ পরীক্ষা চলাকালে যা কেবল চোখের যত্নের ব্যাপারে প্রশিক্ষিত পেশাদার চিকিৎসক ভুল হলো কিনা তা খুঁজে পাবেন ৷ . নিজেই নিজের চোখের চুড়ান্ত ডাক্তারগিরি করে অথবা অবহেলা করে নিজের চোখের তেরটা বাজাবেন না ৷ . ------------------------------------------------------------------------------------- সহায়ক (helpful) ডকুমেন্ট : ছবি, ভিডিও, পিডিএফ ডকুমেন্ট ------------------------------------------------------------------------------------- . >>> আপনাদের সুবিধার্থে ৯টি ছবি, ২টি ভিডিও, ও ১টি PDF লিংক দেয়া হলো ৷ অবশ্যই ভিডিও দুটো দেখবেন ৷ তবে উপরের কথামালাগুলো অনেক সহজ হয়ে যাবে ৷ . ছবিগুলো পোস্টের সাথে upload করা আছে ৷ . ভিডিও লিংক ১ Post_video : ( Computing Health and Safety ) Link : https://facebook/photo.php?v=10204891215429390 অথবা, Youtube_video : ( Computing Health and Safety ) Link : https://youtube/watch?v=T8qGO7XQ0Uw . ভিডিও লিংক ২ Post_video : ( Correct the way we use laptop and computer.mp4 ) Link : https://facebook/photo.php?v=10204891384673621 অথবা, Youtube_video : ( Correct the way we use laptop and computer.mp4 ) Link : https://youtube/watch?v=FC544jkLsoM . PDF Link ( Snellen Chart : চোখের টেস্ট করতে এর প্রয়োজন হয় সাধারনত ) Link : provisu.ch/Age/Snellenchart_en.pdf --------------------------------------------------- বিশেষ দ্রষ্টব্য --------------------------------------------------- যদি আপনাদের কোনও প্রশ্ন থাকে তবে, মার্জিতভাবে এ পোস্টের মন্তব্যে অথবা আমার মেসেজ-এ প্রশ্ন করতে পারেন ৷ প্রশ্নের গুরুত্ব অনুযায়ী সংক্ষিপ্ত সময়ের মাঝে উত্তর দেবার চেষ্টা থাকবে ৷৷ তৎক্ষনাৎ না দিতে পারলে, মেসেজ দিবো যে, কিছুক্ষণ পরে বা পরে উত্তর দিবো ৷ ততক্ষণ পর্যন্ত ধৈর্য ধরতে আজ্ঞা হয় ৷৷ . পরিশেষে, বলতে চায় এ মন ... ©তারিক ... প্রকৃতিকে ভালবেসো, মধুর করে হেসো, প্রকৃতিরে কাছে টানো, মনেতে আনন্দ আনো ৷ ... . সবাইকে ধন্যবাদ ৷৷ . --------------------------------------------------------------- উৎস : ইন্টারনেট, ইউটিউব, এবং তারিক স্বয়ং ৷৷ --------------------------------------------------------------- . --------------------------------------------------------------- Article Creator : Tariqul Islam ( তারিকুল ইসলাম ) Designation : Heart(Soft)ware Engineer. ইহা একটি ©Exception প্রযোজনা ৷৷ --------------------------------------------------------------- . --------------------------------------------------------------- বি.দ্র.: যাদের TAG করা হল অনুমতি ছাড়াই তারা ইচ্ছে করলে Tag Remove করে দিতে পারেন ৷৷ --------------------------------------------------------------- . ২৪-০৮-২০১৪ . --- AT ©তারিক at Infinity Moment -
Posted on: Sun, 24 Aug 2014 15:25:46 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015