“দৈনিক সমকাল” পত্রিকার - TopicsExpress



          

“দৈনিক সমকাল” পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার “সৌমিত জয়দ্বীপ” এর পোস্ট নিয়া কিছু কথা বলতে চাই। এদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার ভুল ধরতে গিয়ে নিজে কি কি ভুল করলেন, সেটা সবার জানা দরকার। তিনি শুরু করেছেন তার এক বন্ধুর গল্প দিয়ে। তার মায়ের স্টেজ ফোর ক্যান্সার নাকি মুম্বাইয়ের ডাক্তার বলেছে সামান্য প্রদাহ। আগে আপনাকে বলি- স্টেজ ফোর বলতে বুঝায় যে ক্যান্সার এক অঙ্গ থেকে অন্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। আর প্রদাহ আর ক্যান্সার নির্ণয় করা হয় হিস্টোপ্যাথলজি ডিপার্টমেন্টে, যা সূক্ষ্ম মাইক্রোস্কোপের নিচে দেখা হয়। আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে- ডাক্তার চোখ দিয়া দেখেই ঘোষনা করে দিলেন , কোনো ক্যান্সার নাই। তার উপর হাস্যকর কথা হচ্ছে- মুম্বাইয়ের ডাক্তার নাকি তার বন্ধুকে সিনেমা দেখার টিকেট কেটে দিয়েছেন। লুল তারপরে প্যারার সম্পর্কে আমি কিছু বলতে চাই না। আমি শুধু কপি পেস্ট দিলাম । আপনারা দেখুন । “সিজার ব্যাপারটা আমার চোখে চিকিৎসা-ব্যবসা ছাড়া কিছু নয়! এই সিজার করার কারণেই জন্মের পর মায়ের দুধ খাওয়া হয়নি ওর। ডাক্তার ভুল সেলাই দিয়ে ওর মাকে জীবন-মৃত্যূর সন্ধিক্ষণে নিয়ে গিয়েছিলেন! আরেকটু ভালো হাসপাতালে যাওয়ায় আমাদের স্বস্ত্বি এসেছিল”। আমার প্রশ্ন হলো- সিজার করলে দুধ খাইতে কে মানা করছে ভাই। লুল এগেইন। সৌমিতের সেজো কাকুর মাঝে মাঝেই রক্ত বমি হতো। যাকে আমরা হেমাটেমেসিস বলি। সেটার ১ নম্বর কারন পেপ্টিক আলসার। তার জন্য এন্টাসিড সিরাপ খাওয়া দোষের কিছু না। সাথে যে তার কাকু্র ফুসফুস ক্যান্সার ছিলো , সেটার জন্য তার তার কাকুর ফুসফুস কাটতে হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য- সৌমিত বুঝতেই পারেন নাই, হেমাটেমেসিস হয় স্টোমাক থেকে, আর কাশির সাথে রক্ত (হিমোপ্টাইসিস) যায় ফুসফুস থেকে। এখানেই জ্ঞান দৌড়ের সীমাবদ্ধতা। তাহার পরেই তিনি বর্ননা করেছেন-তার নিজের ট্রাজেডির কথা। তার জন্মের তিন দিনের মধ্যে তার বাবার পা কাটতে হয়েছে “বার্জার’স ডিজেজের” জন্য। তিনি লিখেছেন রংপুর মেডিকেলে ভুল চিকিৎসার জন্যই তার বাবার পা হারাতে হয়েছে। তার অবগতির জন্য জানাতে চাই- বার্জার’স ডিজেজ হয় তাদের যারা স্মোকিং করেন গাঁজার মত, আর এই রোগের রোগের উত্তম চিকিৎসা হলো এম্পুটেশন (পা কাটা) যেটা বই পুস্তক ,উইকিপিডিয়া সব কিছু দ্বারাই প্রমাণিত। আপনার বাবা পা কাটার পরেও ১৫ বছর বেঁচেছিল। “রানী এলিজাবেথের স্বামী রাজা ষষ্ঠ জর্জ যিনি কমনওয়েলথ এর প্রথম হেড ছিলেন এবং আপনার প্রাণপ্রিয় ইন্ডিয়ার শেষ ব্রিটিশ শাসক ছিলেন। তারও কিন্তু এই বার্জারস ডীজেজ ছিল ( সেইরাম স্মোকার ছিলেন)। সেও আপনার মতই ঠ্যাং কাটার বিপক্ষে ছিল। অল্টারনেটিভ হিসেবে তার ‘লাম্বার সিম্প্যাথেটেকটমি’ করা হয়েছিল। তাও বাকিংহাম প্যালেসে। পুরা রয়াল কলেজ চলে আসছিল সেই অপারেশনে। সাকসেসফুল অপারেশনের পরেও রাজাকে ২ বছরের বেশী বাচানো যায় নাই”। আর রংপুর মেডিকেলে অপারেশনের পরে আপনার বাবা ১৫ বছর বেছে ছিলেন। আপনার তো ঐ মেডিকেলের ডাক্তারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিৎ ছিল। যাই হোক- জাতি পিরিতি যুগে যুগে চলে আসছে। তাই বলে স্বজাতির বদনাম করে নয়। ভাল না লাগলে , চিরতরে ঐ দেশে চলে যান। তাই বলে এই দেশের চিকিৎসা পদ্ধতি কে ব্লেম করিয়েন না। এমন ব্লেম করে ভুগেছেন হুমায়ূন আহমেদ স্যার। যেই কোলন ক্যান্সারের রোগীরা এই দেশে বাঁচে গড়ে ৫-১৫ বছর। সেখানে স্যার কিন্তু বেচেছিলেন মাত্র ১ বছর। সাংবাদিক নিয়ে দ্যা ওয়ার এর প্রখ্যাত সাংবাদিক নরম্যান মেইলার এর স্বীকারোক্তিমূলকভাবে সাংবাদিক সজ্ঞায়িত করেছেন এভাবেঃ JOURNALIST as someone who is -not talented enough to be a novelist, not smart enough to be a lawyer, and his hands are too shaky to perform operations.” - ডাঃ সাঈদ সুজন
Posted on: Mon, 21 Jul 2014 13:54:41 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015