‘হানিমুনের টাকা দিয়ে - TopicsExpress



          

‘হানিমুনের টাকা দিয়ে স্ত্রীর চিকিৎসা করেছি’ ভেবেছিলাম একটু থিতু হয়ে জীবনটাকে উপভোগ করব। বিয়ের বয়স এক বছর পাঁচ মাস। হানিমুনে যাওয়া হয়নি। টাকা জমিয়ে রেখেছিলাম। কোথায় যাব, তা নিয়ে চলছিল আলাপ-আলোচনা। তবে দেশের বাইরে যাব বলে ঠিক করেছিলাম। হানিমুনের সেই টাকা দিয়ে স্ত্রীর চিকিৎসা করেছি।’ এ কথা বলার সময় গভীর হতাশা ফুটে ওঠে চিকিৎসক মুনতাহিদ আহসানের মধ্যে। কি মনে হয় পুলিশ দায়ী ,বিচার ব্যবস্থা, নাকি সরকার দায়ী। উহু দায়ী আপনি আমি আমাদের সমাজ। কেননা আমরা আমাদের জন্য লড়িনা, আমরা আমাদের অধিকারের জন্য কথা বলিনা আমরা আমাদের অধিকার জন্য মাথা উচু করে বাচিনা। আমরা জার জার আখের গোছাতে ব্যাস্ত,শুধু মনে রাখবেন আজকে আপনি প্রতিবাদ করছেন না কাল আপনিও ছিটকে পড়তে পারেন ১৫ ফিট দূরে একজন ছিনতাইকারীর টানে. ৫মিনিট সময় নিয়ে পড়লে হয়ত আপনার কোন লাভ হবে নাহ। তবে আজ যদি এই লেখা না পড়েন, সবাই মিলে ছোট ছোট সাহায্য না করেন তাহলে হয়ত ডাঃ সানজানা জেরিন এর চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যাবে। ডাঃ সানজানা জেরিন। ছোট ভাই ও বাবা সহ ৩ জনের ছোট সংসার। দুরারোগ্য রোগে মা মারা যান সেই ১০বছর বয়সে। বাবার স্বপ্ন পূরনে চলেছিলেন ডাক্তার হতে। চট্টগ্রামের বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হতে ২০০২ সালে এস,এস,সি পাশ করে ভর্তি হন চট্টগ্রাম কলেজে। ২০০৪ সালে গোল্ডেন জি,পি,এ ৫ পেয়ে সুযোগ পায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ-এ এবং পিতার স্বপ্ন পূরন করেন। শিক্ষা জীবনের এতোগুলা বছরে মা হারা ছোট ভাই ও পিতার জন্যে এতটুকু যত্নও কম করেননি। এর পরে ২০১৩ সালের ১৪ই মার্চ পারিবারিক আয়োজনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ডাঃ মুনতাহিদ আহসান ভূইয়া এর সাথে । ছোট ভাই আর বাবাকে ছেড়ে চলে যেতে হয় অন্যের ঘরে। বি,সি,এস পাশ করে চলতি বছরের ২৪শে আগস্ট কর্মস্থল ফেনীতে যোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ডাঃ সানজানা জেরিন। সাথে ছিলেন স্বামী ডাঃ মুনতাহিদ আহ্সান ভূইয়া। পথে ছিনতাই কারিদের নির্মম হামলার শিকার হন জেরিন । দীর্ঘ ২ মাস ঢাকার বঙ্গবন্ধু হাসপাতালের আই,সি,ইউ তে (Bed-7) আছেন তিনি। ছিনতাইকারী ব্যাগ টান দিলে রিকশা থেকে পড়ে যান। মাথায় আঘাত লেগে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। CT scan এ ধরা পড়ে তার মস্তিষ্কের সামনের অংশের বাম দিক থেতলে গেছে।এরপর প্রায় ৫ ঘন্টা অপারেশন চলে। অপারেশন করে বামদিকের ফ্রন্টাল লোবের কিছু অংশ কেটে ফেলে দিতে হয়। তারপর থেকে তার আর জ্ঞান ফিরে নি। এখন তিনি কোমায় আছেন।শুধু চোখ খুলতে পারেন। কিন্তু কাউকে চিনতে পারেনা এখন আর জেরিন। শিশুর মত তাকিয়ে থাকে আর মাঝে মাঝে পলক ফেলে। মেডিকেলের ভাষায় একে vegetative state বলে। এই state এ রোগীর কিছু চেনার অথবা বুঝার অবস্থা থাকেনা। সামান্য ব্যথা অনুভব করতে পারেন শুধু তিনি। এই state থেকে recover করতে অনেক সময় লাগে।হয়তো বছর ও পেরিয়ে যেতে পারে। তার উপর গত ২মাস ধরে জেরিন এর জ্বর ১০৩-১০৭... যেখানে একজন মানুষের জ্বর ১০৩-১০৪ হলেই কত কষ্ট হয় সেখানে জেরিন ১০৭ জ্বর নিয়ে গত ২মাস ধরে কি কষ্টই না সহ্য করছেন তিনি। কিন্তু কাউকে বলার মত সামর্থ্য ও এখন তার নেই। এই অস্বাভাবিক জ্বরের কারণে এখন তার শরীরে আরো নতুন নতুন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ডাক্তাররা তাদের সর্বোচ্চ চেস্টা করছেন।এই চিকিতসা অনেক ব্যয় বহুল। কেইবা জানত বিয়ের মাত্র ১বছরের মাথায় ছোট্ট একটা এক্সিডেন্ট তার সাজানো জীবনকে এভাবে থামিয়ে দিবে? যে সময় পেশাগত জীবন সবে শুরু হচ্ছিল, যে কিনা চেয়েছিল দেশের অসহায় মানুষ গুলোর সেবা করবে,সে কিনা আজ নিথর হয়ে পরে আছেন হাসপাতালের বেড এ! ঊনি জেগে না উঠলে ওই সকল অসহায় মানুষদের কি হবে যাদের সেবার দায়িত্ব কাধে নিয়ে ফেনি যাচ্ছিলেন তিনি? যে কিনা মানুষের সুস্থতার নিশ্চয়তা দেয়ার কথা তারই আজ চিকিত্সা অনিশ্চিত সামান্য কিছু টাকার জন্য!!! আসুন আমরা যে যেভাবে পারি, যতটুকু নিজের স্বার্থ দিয়ে পারি, নিজের সংকোচ কে দুরে ফেলে দিয়ে ডাঃ সানজানা জেরিন এর জীবন রক্ষায় এগিয়ে আসি। জেরিনের মত একজন মেধাবী চিকিৎসকের পাশে আমরা যদি না দাড়াই তাহলে কে দাড়াবে বলুন? আজকে জেরিন এর আমাদের দোয়ার যতখানি দরকার ঠিক ততোখানি দরকার টাকারও। জানি আমার ১০০ কিংবা ৫০০ টাকায় হয়্ত কিছুই করতে পারব না। কিন্তু ১০০০০ মানুষ যদি ১০০ টাকা করেও দেয় তাতেও কিন্তু ১০ লাখ টাকা আমরা উনার পরিবার এর হাতে তুলে দিতে পারব। যা দিয়ে পুরোপুরি হয়ত সাহায্য করতে পারবোনা কিন্তু সামান্য সাহায্য কম কি?আল্লাহ চাইলে ঘটনাটা আমার আপনার সাথেও ঘটতে পারত। খুব কি কঠিন অনুরোধ হবে যদি বলি একদিনের জন্য হলেও খরচের টাকা বাচিয়ে কিছু দেই জেরিন কে। কি হবে একদিন ব্ল্যাক কফি না খেলে? ব্ন্ধুদের সাথে আড্ডাতে তো কত ১০০ টাকা ই খরচ হয়ে যায়। একদিন আড্ড না দিলে কি খুব বেশি ক্ষতি হয়ে যাবে? আমার বিশ্বাস আমার বোন আবার সুস্থ হয়ে সেবা করবে হাজারো নিপিড়িত মানুষের। আর আপনারা সবাই আমার এই চিকিৎসক বোনকে বাঁচাতে এগিয়ে আসবেন। চলুননা একটু চেষ্টা করে দেখি। কেউ কখনও না বললেও আমরা জানবো আমরা চেষ্টা করে ছিলাম। আমি জানি আমাদের মধ্য থেকে এখ্নও মনুষত্ত্ব হারিয়ে যায়নি। আপনারা নিচের ঠিকানায় সাহায্য পাঠাতে পারেনঃ ব্যাংক একাউন্ট নং: BRAC BANK ACCOUNT (Motijheel branch) of Dr. Md Muntahid Ahsan Rony (HUSBAND of Dr. Sanjana Jerin): 1513202506681001 DBBL Account no of Dr. khalequzzaman linckon: 211.151.934 ( Mirpur, Pallabi Branch) বিকাশেও সাহায্য করতে পারেন: BKASH NUMBER: Tasik Adnan: 01676248283 Dr. Khalequzzaman Linckon: 01711232450
Posted on: Thu, 13 Nov 2014 02:13:56 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015