BFC (Best Fried Chicken)র বসুন্ধরা - TopicsExpress



          

BFC (Best Fried Chicken)র বসুন্ধরা সিটির আউটলেটে কাস্টমার সার্ভিসে অদক্ষ একজন কাউন্টারকর্মীকে পেমেন্ট করতে প্রথমে একটি কার্ড দিলাম , ঘষা মেরে খুব রুঢ়ভাবে তিনি বললেন এটা তে নাই, অন্য কার্ড আছে ? । সাধারণত এই ধরনের কথা একটু ভেবেচিন্তে বলা উচিৎ । এমনভাবে সে আমাকে অপরাধবোধে ফেলে দিল যেন আমি কোথাকার এক ফইন্নির পুত , একাউন্ট খালি রাইখা কার্ড দিয়া ভাব লইলাম , অপরাধী যেন আমিই । মিনমিনিয়ে আমি আরেকটা কার্ড দিলাম। ঘষা মেরে জানালেন হচ্ছেনা । এবার তো আমি পারলে লজ্জায় মাটির সাথে মিশে যাই এমন অবস্থা । অবশেষে আরেক কার্ড দিয়ে উদ্ধার পাওয়া গেল । একবার ভুলে মুখ ফসকে বলেই ফেলেছিলাম, আপনাদের POSএ সমস্যা নেই তো কোন ? । এ যে আমার অপরাধের চুড়ান্ত সীমা অতিক্রম করার মত ব্যপার । কাউন্টারের অপর পাশ থেকে একজন টীপ্পনী কেটে বলল, এই মেশিন দিয়াই তো ছয়/সাত হাজার টাকার বিল নিয়া ফালাইলাম । হেহে... । যেহেতু আমি ক্ষুদ্র এক কাস্টমার, একাউন্টে টাকা না রাইখাই তাদেরকে দুইটা কার্ড দিয়া বেয়াদপী করছি, তাদের সময় নষ্ট করাইছি - তাই আমি মাথা নিচু করে চলে আসলাম । অর্ডার ডেলিভারী নিতে যাওয়ার সময় উনাকে জিজ্ঞেস করলাম, ভাই, এই ব্রাঞ্চের ম্যানেজার কে ? একটু কথা বলা যাবে ?। ভেবেছিলাম নিজের অন্যায়ের জন্য একটু ক্ষমা চাবো, একই সাথে একটু বলবো যে এরকম অন্যায় করলে যেন একটু পোলাইটলি কথা বলেন। মানে কাস্টমারের সাথে যেভাবে কথা বলতে হয় সেভাবে আর কী। ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার বলতে উনি যার দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করলেন, তাকিয়ে দেখি উনি একটু আগের সেই ভদ্রলোক যিনি আমাকে টিপ্পনী কেটে হেহেহে করে হাসছিলেন । আমি তো নগদে পটাশ করে ফেটে গেলাম । একটু পরে মোবাইলে ম্যাসেজ । আমার একাউন্ট থেকে বিলের সমপরিমাণ টাকা কেটে নেয়া হয়েছে । কাউন্টারে গিয়ে বললাম, ভদ্রত্রয়ী জানালেন , উনারা এই ব্যপারে অপারগ । এমন আসলে কিছু হয়নাই, POSএ টাকা কাইটা তাদের কি লাভ ? আমি আরেক দফা অপরাধবোধে ভুগলাম । ইশ ! তাই তো এতে তাদের কি লাভ ? আমিই বরং মাগনা ধান্দাবাজির আশায় আবার তাদের কাছে এসে অভিযোগ করতেছি ! ছি ছি... আমি আরেকবার মাথা নিচু করে চলে এলাম । ভাবলাম অনলাইনে স্টেটমেন্ট চেক করে তারপরে ধরবোনে । একটু আগে আই-ব্যাংকিং একাউন্টে ঢুকে তেমন কিছু বুঝতে পারছিনা । ভাবলাম তাতে কি ? চব্বিশ ঘণ্টার হটলাইন নাম্বার তো এমন সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্যই । সাথে সাথে আমি ডায়াল করলাম । ৩/৪ মিনিটের ইন্ট্রো শেষে একজন এক্সিকিউটীভ ফোন ধরলেন । তাকে জানালাম যে এরকম একটি POS ট্রানজাকশন ভেরিফাই করতে চাই । সে-ও দেখি অপারগতা জানালো ! সার্ভারের কোন এক কাজের জন্য নাকি আগামী ৩/৪ ঘন্টা কোন একাউন্টে ঢুকে ট্রাঞ্জাকশন ডিটেইলশ বের করা আপাতত সম্ভব নয় । আমি আরেক দফা অপরাধবোধে ভুগলাম , ইশ! তাদের কাজের সময় আমি কেন তাদেরকে ডিস্টার্ব করলাম ? তারা কি মানুষ নয় ? তাদের কি বিরক্তি বলতে কিছু নেই ? এত কিছুর পরেও, আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি । আর সেই বিলের টাকা যত সামান্যই হোক না কেন , আমি ছাড়ছিনা । লেগে আছি বস ... :-D
Posted on: Mon, 11 Aug 2014 18:03:49 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015