BONGOKONNA IS LEADING BD-GOVT. TOWARDS SONARBANGLA AS WE ALL ARE - TopicsExpress



          

BONGOKONNA IS LEADING BD-GOVT. TOWARDS SONARBANGLA AS WE ALL ARE HAPPY TO SEE UNITED 1971-BANGALI-JANATA SHALL REACH TO OUR HISTORICAL SUCCESS, AMIN!!! WESTERN CULTURE HAS NO ABRUH but mostly NASTIQ THAT IS SHAME TO OUR NATURAL-MANKIND AS MY-ALLAH-their-GOD HAS MADE THIS UNIVERSE to GIVE-KNOWLEDGE/ELEM of MY AL-QURAN to LAND-on-MOON but if DARE-LAND-on-SUM which IS IMPOSSIBLE social-scientist findings-WorldForum2010 washington d.c./BLOOD-DEMOCRACY! amin ALLAH amin alhajMomin! OPEC PETRO-DOLLAR OF SAUDI ARAB IS GOING TO DECLINE HITTING THE THE VALUE OF USA-$-CURRENCY! PAST COLD-WAR HAS BROKEN USSR-SOVIET UNION into PIECES OF LAND FACING THE CAPITALISM vs COMMUNISM IN DOMINATING THE WORLD POWER by A SINGLE WORLD-SUPPER-POWER WHICH HAS WEAKENED THE FUTURE OF UNITED-NATION! THUS THE BALANCE OF SUPPER IS LOST CREATING THE PRIVATE & STATE TERRORISM in SELF-STYLE THREAT TO ALARMING-MANKIND. BLOCKING THE VISA OF PUTIN & OCCUPYING THE NATION OF PALESTINE and DEVALUING THE OPEC-PETRO-DOLLAR SHALL NOT SOLVE THE ISSUE OF WORLD PEACE & RISING GLOBAL ECONOMIC DEVELOPMENT WHICH MIGHT ESCALATE, THE ESSENCE OF GLOBAL PEACE DEPENDS ON THE ISSUE OF LONG-DUE PALESTINE-ISRAELI CONFLICT! FROM THE POLITICAL PETRO-DOLLAR/OIL & UN-VETO POWER IS MISSING IN SECULAR-ACTION FOR FAIR-TRADE, FAIR-FREEDOM & FAIR-DEMOCRACY; HERE TO MENTION THAT THE WORLD-BIGGEST-BLOOD-BATH of DEMOCRATIC-BANGLADESH IS IN THE RIGHT-WAY IN THE RIGHT-TIME AS RISING TO GLOBAL-MODEL UNDER THE LEADERSHIP OF BONGOKONNA DAUGHTER-of-BONGOBONDHU FACED INJUSTICE ...! SO I CRY & PRAY MANKIND-JUSTICE: alhajMomin EU/UN-Journalist & Peace-Observer! JATIO-SHOKDIBOSH-29AUGUST2014 aminALLAHamin! NB: Beginning today with an 80000 ton oil shipment from their Arctic fields, Gazprom Neft agreed to new terms on the sale and transfer of oil through the Eastern Siberian-Pacific Ocean pipeline (ESPO) to China, and facilitating the future sale of oil and gas to both Europe and China through a currency other than the dollar. And although this is not the first real transaction for oil done outside the petro-dollar, as this occurred covertly by Iran for gold during the days of economic sanctions, it is the first official global offering by a major oil producer and will likely bring an end to the solitary system of nations being forced to buy dollars first before buying oil from producers such as OPEC and Russia.: examiner/article/petro-dollar-era-is-officially-over-as-gazprom-begins-sales-yuan-and-rouble By Shah Alam Sapan: খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে ইনু: মামলা থেকে বাঁচতে ব্যারিস্টার উকিল ধরুন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, নিজের পিঠ বাঁচানোর চেষ্টা করুন। আন্দোলন তো দূরের কথা নিজে ও ছেলের দুর্নীতি ও খুনের মামলা থেকে নিজেদের কিভাবে বাঁচাবেন তার জন্য ব্যারিস্টার উকিল ধরুন। বৃহস্পতিবার সকালে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসাপতালে ডায়রিয়া পরিস্থিতির খোঁজ খবর নেয়ার সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ঘটনার সঙ্গে জাসদের কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্টের খুনের সঙ্গে খন্দকার মুশতাক ও জিয়াউর রহমান জড়িত। সেখানে আওয়ামী লীগ বা জাসদের কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া উপায়ান্তর না দেখে মিথ্যাচার করে জনগণকে সঠিক ইতিহাস থেকে সরিয়ে আনার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, মহাজোট সরকার থাকবে, না কি থাকবে না, সেটি খালেদা জিয়ার ইচ্ছায় নয়, ১৬ কোটি মানুষের ইচ্ছায় হবে। আমরা জনগণের সেবা করছি। BY KILLING NAMAZI-GLOBAL-LEADER-BONGOBONDHU: HARAM & MIRZAFAR ZIA-FAMILY IS DIGGING THEIR OWN GRAVE 1-by-1 DIED LIKE A DOG in TERRORIST-ENCOUNTER not SHAHEED but TOP-HARAM-KILLERS:Maj.ZIA, 3:ZIA on THE WAY by KUDRAT-e-ELAHI, amin! সত্যের সন্ধানে আগামী দিন: সুই তর পেঠে ছিদ্র কেন বেজন্মা তারেক জিয়াকে উদ্দেশ্য করে এরশাদ. আল্লাহ সীমালঙ্গন্কারীকে পছন্দ করেননা.তারেক সীমালঙ্গন করেছে. 2007 সালের নির্বাচনের আগে তারেক আমাকে বলেছিল এরশাদকে জেলে দিব কম্বল দিয়ে সাধারণ কয়েদির সাথে তাকতে দিব এখন কে জিন্দা লাশ দেখতে পারছি I DUA-e-ALLAHU JUSTICE: ZIA-PARIBARER-KOPALE: AIKKA-WALA-BORAK-BASH inshallah AMAR/AMADER JATIR-JANAK-BONGOBONDHUR HOTTAKARI ar KURAN-SHARIF-PURAI !!! FORMALIN-BNP/ZIA-PARIBAR is THE WORLD-TERRORIST-POISON to GET-RID OF-IT : By Dhakar News: এবার ফাটাকেষ্টর মতো চ্যালেঞ্জ দিলেন এরশাদ : ৭ দিনের মধ্যে বন্ধ করবেন ফরমালিন I আমাকে দায়িত্ব দিন, সাতদিনের মধ্যে আমি ফরমালিন বন্ধ করে দেবো। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আইইবি মিলনায়তনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছেন, আমাকে ক্ষমতা দিন, আমি আপনাদের শান্তি দেবো। আমরা এখন বিষ খাচ্ছি। সবকিছুতে ফরমালিন। সরকার ঢাকা অবরোধ করলো ফরমালিন ঠেকাতে, তারা প্রমাণ করেছে, সারাদেশের মানুষ নিয়ে তারা চিন্তা করে না। আমাকে দায়িত্ব দিন, সাতদিনের মধ্যে আমি ফরমালিন বন্ধ করে দেবো। JARA-ALLAH-r-NAAME SHIRIK-o-KHOON KORE TARA NASTIQ & MUNFIQ: ALLAH-r-GHRINNO-BOSTU astagferullah! ALLAH-SHAITAN-ke-PROSROY-DEN-NA,NA,NA SHAITAN-RA-VOOG-KORE TAI RIGHT ZIA-ZAROG-FORMALIN! By Shah Alam Sapan: খালেদা-তারেক সীমা লঙ্ঘনকারী: এরশাদ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানকে সীমা লঙ্ঘনকারী বলে আখ্যায়িত করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। তাদের উদ্দেশ্য করে এরশাদ বলেন, আপনারা সীমা লঙ্ঘন করেছেন, তার ফল পাচ্ছেন।খালেদা-তারেক সীমা লঙ্ঘনকারী।: আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় যুব সংহতি আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। খালেদা জিয়ার নাম উল্লেখ না করে এরশাদ বলেন, ২০০৭ সালে নির্বাচনের আগে একজন নেত্রী প্রকাশ্য জনসভায় বলেছিলেন- এরশাদের ঠিকানা, জেলখানা জেলখানা। তিনি আরো বলেছিলেন, জেলখানায় যাবে জ্যান্ত, ফিরবে মৃত। কিন্তু এখন দেশবাসীকে জিজ্ঞেস করুন, কে জ্যান্ত আর কে মৃত? বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ইঙ্গিত করে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, একজন যুবরাজ আছেন, তিনি লন্ডনে থাকেন। ২০০৭ সালের আগে তিনি বলেছিলেন, এরশাদকে জেলে নিয়ে কম্বল পেচিয়ে লাঠিপেটা করা হবে। ২০০৭ সালে তার কি হয়েছিল, দেশবাসী তা জানে। খালেদা-তারেককে উদ্দেশ্য করে এরশাদ আরো বলেন, সীমা লঙ্ঘন করবেন না। সীমা লঙ্ঘনকারীকে আল্লাহ পছন্দ করেন না। আপনারা সীমা লঙ্ঘন করেছেন, তার ফল পাচ্ছেন। বিএনপি আন্দোলনের মাঠে দাড়াতে পারবে না দেশের মানুষ সুখে আছে তাই তারা বিএনপির আন্দোলনে সাড়া দিচ্ছে না। বিএনপি এই ঈদ, সেই ঈদ করে সময় কাটিয়ে দিচ্ছে অথচ আন্দোলনের কোন খবরই নেই। ওরা আন্দোলনের মাঠেই দাড়াতে পারবে না। সেই ইস্যু তাদের হাতে নেই। বৃহস্পতিবার বিকাল...... somoyerkonthosor/news/114689 15&21 AUGUST-KILLERS:ZIA-family! By Bangladesh Awami League: ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ও বিএনপির দায় বিভুরঞ্জন সরকার -দৈনিক সংবাদ ২০০৪ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে নৃশংস গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। মূলত আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্যই ওই গ্রেনেড হামলা চালানো হলেও তিনি সৌভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে যান। তবে আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ কমপক্ষে ২৩ নেতাকর্মী নিহত হন। শেখ হাসিনাসহ অসংখ্য নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন। এদের অনেকেই সারাজীবনের জন্য পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। কেউ কেউ এখনও শরীরে অসংখ্য স্পিস্নন্টার নিয়ে দুঃসহ জীবনযাপন করছেন। ২১ আগস্টের বীভৎস হত্যাকা- বাংলাদেশের রাজনীতিক ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় অধ্যায় হিসেবেই চিহ্নিত থাকবে। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার সময় ক্ষমতায় ছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। দেশে কোন অপরাধ সংঘটিত হলে প্রাথমিকভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা সরকারের দায়িত্ব। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মতো এত বড় অপরাধ যারা করেছিল তাদের চিহ্নিত করা, গ্রেফতার করা এবং আইনের হাতে সোপর্দ করার জরুরি কর্তব্যটি তৎকালীন সরকার সম্পাদনে কেবল চরমভাবে ব্যর্থতারই পরিচয় দেয়নি, বরং ঘটনাপ্রবাহ অন্য খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টাই করেছে। অপরাধীরা যাতে নিরাপদে থাকতে পারে কৌশলে সেই চেষ্টাই করা হয়েছে। নিরপরাধ নিরীহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে নিষ্ঠুর নির্যাতন চালানো হয়েছিল। সাধারণ মানুষের চোখে ধুলা দেয়ার জন্যই এ অপপ্রয়াস বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার নিয়েছিল। এখন এটা অনেকের কাছে পরিষ্কার হয়েছে যে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনার সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সংশ্লিষ্টতা ছিল। গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের দেয়া তথ্য থেকেই জানা যায় যে, হামলাকারীদের সঙ্গে তৎকালীন সরকারের একাধিক মন্ত্রী এবং গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের যোগাযোগ ছিল। সে সময়ে ক্ষমতার বিকল্প কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত হাওয়া ভবনে তারেক রহমান ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের উপস্থিতিতে হামলায় প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল বলেও তথ্য পাওয়া গেছে। কিন্তু এটাও আমাদের জানা আছে যে, তখন সরকার জজ মিয়া নামের একজন ছিঁচকে অপরাধীকে গ্রেফতার করে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল। সরকার তখন শৈবাল সাহা পার্থ নামের একজনকে গ্রেফতার করেও নাটকীয়তার জন্ম দিয়েছিল। ২১ আগস্টের হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে এবং শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়ে সংবাদপত্রে একটি ই-মেইল বার্তা পাঠানোর সূত্র ধরে পার্থকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পার্থই ওই ই-মেইল বার্তাটি পাঠিয়েছিল তার কোন তথ্য-প্রমাণ পাওয়া না গেলেও সম্পূর্ণ অনুমানের ওপর নির্ভর করে পার্থ সাহাকে পুলিশ ধরে নিয়ে প্রথম চার দিন অজ্ঞাতবাসে রাখে এবং পরে তিন দফা রিমান্ডে নিয়ে তার ওপর প্রচ- শারীরিক-মানসিক নির্যাতন চালায়। দরিদ্র বাবা-মায়ের সন্তান পার্থ সাহা একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন। অত্যন্ত কষ্ট করে উচ্চ শিক্ষা শেষে যখন চাকরি খুঁজছিলেন, তখনই তার ওপর নেমে আসে জোট সরকারের ভয়াবহ থাবা। পার্থ সাহার প্রথম অপরাধ তিনি হিন্দু এবং দ্বিতীয় অপরাধ তিনি ভারতের মাদ্রাজে গিয়ে বিবিএ ও এমবিএ পাস করেছেন। এমন একজন মানুষ র-এর এজেন্ট না হয়ে পারেন! তার কাছ থেকে যেমন সন্দেহজনক কোন গোপন তথ্য পাওয়া যায়নি, তেমনি মারপিট করে প্রায় পঙ্গু বানিয়েও কোন স্বীকারোক্তি আদায় করা সম্ভব হয়নি। তা সত্ত্বেও সরকারিভাবে তাকে র-এর এজেন্ট বানিয়ে প্রচারের কোন কমতি দেখা যায়নি। ই-মেইলে হুমকি দেয়ার জন্য অন্য কাউকে সন্দেহের তালিকায় না এনে পার্থর ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো থেকেই বোঝা গিয়েছিল জোট সরকার ২১ আগস্টের ঘটনা তদন্তে কোন নাটকের মহড়া দিতে চেয়েছে। কোন ঘটনা ঘটলেই তার দায় বিরোধীদলের ওপর চাপানো ছিল জোট সরকারের একটি বদঅভ্যাস। ২১ আগস্টের ঘটনার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। ২২ আগস্ট, ২০০৪ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের এক সমাবেশে সংগঠনের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছিলেন, শেখ হাসিনা এবং সাবের হোসেন চৌধুরীকে রিমান্ডে নিলেই প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটিত হবে! এ ধরনের বালখিল্য মন্তব্যের জন্য বিএনপি নেতারা ছাত্রদল নেতাকে তিরষ্কৃত তো করেনইনি উল্টো নিজেরাও ওই ধারায় বোলচাল করেছেন। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর বলেছিলেন, উই আর লুকিং ফর শত্রুজ। তারপর ৩০ আগস্ট, ২০০৪ বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে দলের তৎকালীন মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়াসহ কয়েকজন মন্ত্রী ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার জন্য আওয়ামী লীগকেই দায়ী করেন। তৎকালীন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী আমান উল্লাহ আমান ওই সমাবেশে বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক তদন্ত চাচ্ছেন। আমরা সব ধরনের তদন্ত করব। খুব তাড়াতাড়িই তদন্ত রিপোর্ট দেব। ওই রিপোর্টে গ্রেনেড হামলার জন্য আবদুস সামাদ আজাদ, মোহাম্মদ নাসিম, সাবের হোসেন চৌধুরী, তোফায়েল আহমেদ এবং মতিয়া চৌধুরীকে দায়ী করা হবে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা নিয়ে বিএনপি যে কত ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা ফেঁদেছিল সেটা আমান উল্লাহ আমানের বক্তব্য থেকেই বোঝা যায়। তদন্ত না হতেই তদন্ত রিপোর্টে কি থাকবে সেটা একজন প্রতিমন্ত্রী বলার পর ওই তদন্ত রিপোর্ট সম্পর্কে মানুষের মনে কি ধারণা হয় সেটা বোঝার ক্ষমতাও জোট সরকারের মন্ত্রীদের ছিল না। বেগম জিয়া নিজেও গ্রেনেড হামলার কথা বলতে গিয়ে খুব দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পেরেছিলেন সেটাও বলা যায় না। ২ সেপ্টেম্বর, ২০০৪ বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গ্রেনেড হামলার ঘটনাকে ষড়যন্ত্র হিসেবে অভিহিত করে বলেছিলেন, সরকারের সাফল্যকে আড়াল করতে বোমা হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। বেগম জিয়ার এই বক্তব্য দেশের মানুষকে হতবাক করেছে। শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা এবং আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়েছিল সরকারের সাফল্যকে আড়াল করতে এমন বক্তব্য সরকার প্রধানের মুখ থেকে বের হওয়ার পর ২১ আগস্টের ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত যে হবে না সেটা সবার কাছেই স্পষ্ট হয়েছিল। জোট সরকার ক্ষমতায় থাকতে তদন্তকাজ অগ্রসর হয়নি, বরং প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করার জন্য, সবকিছু ধামাচাপা দেয়ার কসরতই চালানো হয়েছিল। শুধু ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা নয়। ২০০১ সালে নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম তিন মাসে এমন একটি দিন পাওয়া যাবে না যেদিন দেশের কোথাও না কোথাও সাম্প্রদায়িক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি। শারীরিক নির্যাতন, লুণ্ঠন, ঘরবাড়িতে আগুন লাগানো, জোরপূর্বক চাঁদা আদায় এবং ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বেশি। ভোলাসহ বিভিন্ন স্থানে নারী নির্যাতনের অসংখ্য ঘটনা ঘটেছিল। সিরাজগঞ্জে কিশোরী পূর্ণিমাকে গণধর্ষণের শিকার হতে হয়েছিল। অথচ তার বাবা-মা নির্বাচনে ধানের শীষেই ভোট দিয়েছিলেন। হত্যাকা-ের শিকার হয়েছিলেন অনেকেই। চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে সংখ্যালঘু পরিবারের ১১ জন সদস্যকে পিটিয়ে মারা হয়েছিল। বর্ষীয়ান কলেজ অধ্যক্ষ গোপালকৃষ্ণ মহুরী, বৌদ্ধ ভিক্ষু জ্ঞানজ্যোতি মহাথেরো, হিন্দু পুরোহিত মদনমোহন গোস্বামীকে হত্যা করা হয়েছিল, যদিও তাদের কারোই রাজনীতির সরাসরি সংশ্লিষ্টতা ছিল না। দেশজুড়ে শত শত সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল চট্টগ্রামে দশ ট্রাক অস্ত্র আটক এবং দেশের বিভিন্ন জেলায় একযোগে জঙ্গিদের বোমা হামলার ঘটনা। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকারের সমালোচনায় অত্যন্ত মুখর। তিনি এই সরকারের কোন কিছুই ভালো দেখেন না। বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে সরকারের ভুলক্রুটির সমালোচনা করার অধিকার তার আছে। কিন্তু তিনি যখন ঢালাওভাবে সরকারের সমালোচনা করেন তখন তার কাছে বিনীতভাবে জানতে ইচ্ছে হয়, তার শাসনামলে দেশ কেমন চলছিল সেসব কি তার মনে আছে? তিনি কি একবার ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের সংবাদপত্রগুলোর পাতায় চোখ বুলিয়ে দেখবেন? ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাসহ অসংখ্য বোমা হামলার ঘটনা এবং দেশজুড়ে জঙ্গিগোষ্ঠীর উত্থানের ঘটনাগুলোর কথা মনে পড়লে তার তো বর্তমান সরকারের লাগামহীন সমালোচনা করার কথা নয়। রাজনীতিতে মতভিন্নতা থাকাটাই স্বাভাবিক। সব শিয়ালের একরার মতো সব রাজনৈতিক দলের একরা হওয়ার কোন সুযোগ নেই। নানা মতের, নানা পথের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করবে_ এটাই গণতন্ত্রের রীতি। কিন্তু মত ও পথের ভিন্নতার জন্য সম্প্রীতি ও সৌহার্দের পরিবেশ নষ্ট হওয়াটা কোনভাবেই কাম্য নয়। অথচ আমাদের দেশের রাজনীতিতে পরমতসহিষ্ণুতার অভাব অত্যন্ত প্রকটভাবেই লক্ষ্য করা যায়। রাজনীতিবিদদের অসহিষ্ণু মনোভাবের কারণে দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ক্রমাগত বাড়ছে। বেগম জিয়া নিজের শাসনামলের ত্রুটি-বিচ্যুতির জন্য একবারও দেশবাসীর কাছে দুঃখ প্রকাশ না করে বর্তমান সরকার আমলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা কিংবা আইনের শাসনের অভাব নিয়ে কথা বলেন তখন দেশের মানুষ সে বক্তব্য খুব ভালোভাবে গ্রহণ করে বলে মনে হয় না। সমালোচনা যদি বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যনির্ভর না হয় তাহলে সেটা মানুষের কাছেও বিশ্বাসযোগ্য হয় না। ৫ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়লাভের পর বিএনপির মধ্যে এমন ধারণা তৈরি হয়েছে যে আগামী নির্বাচনে জিতে তারাই সরকার গঠন করবে। নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী না করে বিএনপির চেয়ারপারসনের কাছে দেশের মানুষ জানতে চাইতে পারে, আগামীতে তিনি তার সঙ্গী-সাথীদের নিয়ে ক্ষমতায় গেলে দেশে প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতির চর্চা বন্ধ করবেন কি? এখনই তিনি যেভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন তা থেকে তো মনে হয় ক্ষমতায় গেলে দেশে আবার বিরোধী রাজনীতি দমনের নামে নিষ্ঠুর ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হবে। সেরকম কিছু যে হবে না তেমন অঙ্গীকার তিনি না করায় মানুষ অস্বস্তির মধ্যেই আছে। তার কাছে আরও জানার বিষয় যে, তিনি ক্ষমতায় গেলে বর্তমান সরকার যেসব বিচার কাজ শুরু করেছে সেসব অব্যাহত থাকবে কি না? যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ কি চলবে? যাদের ইতোমধ্যে দ- দেয়া হয়েছে তা কি কার্যকর করা হবে? ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা কিংবা দশ ট্রাক অস্ত্র আটকের মামলারই বা পরিণতি কি হবে? দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটেছিল তার শাসনামলে। অথচ তিনি আগেও বলেছেন, এখনও বলছেন যে দেশে কোন জঙ্গি নেই। জঙ্গিদের তিনি আড়াল করতে চান কেন সেটা একটি রহস্য বৈকি! আবার ক্ষমতায় এসে জঙ্গিদের প্রশ্রয় দেবেন কিনা সেটা তার স্পষ্ট করে বলা দরকার। হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা নিয়েই বা তার অবস্থান কি? তিনি যেভাবে হেফাজতকে সমর্থন ও সহযোগিতা করছেন তা থেকে যে কারো এটা মনে হওয়াই স্বাভাবিক যে ক্ষমতায় গেলে ১৩ দফা বাস্তবায়ন করবেন। বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় থাকতে দেশে বোমাবাজি-সন্ত্রাস-সহিংসতাসহ যতগুলো অপরাধমূলক কর্মকা- ঘটেছে তার কোনটার দায়ই বিএনপি এড়াতে পারবে না। এই দায়ের বিষয়টির নিষ্পত্তি না হলে আগামীতে ক্ষমতায় যাওয়াটা নিশ্চিত হবে কি? [লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট।]
Posted on: Fri, 29 Aug 2014 15:39:23 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015