From Journalist Golam Mortozas status. বিএনপির সেইদিন-এইদিন এবং ‘অবমাননা’ ১. সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ সঠিকভাবে পালিত হলো না। নির্দেশ ছিল ৫৪ ধারায় হলেও গ্রেপ্তার করতে হবে। ‘তিনদিন পর আত্মসমর্পণ করতে পারেন’- এমন কিছু তো নির্দেশনায় ছিল না। তাহলে অবস্থাটা কি দাঁড়াল? মান-মর্যাদা, অসম্মান-অবমাননার প্রসঙ্গ কি এক্ষেত্রে আসবে? ২. আমাদের অনেককে তো দেখেছি ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখতে। যাদের জন্যে এখন নির্দেশ পালিত হলো না, তাদের ক্ষেত্রেও কি এমনটা দেখা যাবে? আইন না সবার জন্যে সমান! ৩. বিরোধী দল দমন-পীড়নের হাতিয়ার যে বাহিনী, যে বাহিনী ভোটারবিহীন নির্বাচন সফল করার প্রধান হাতিয়ার- সেই বাহিনীর বিরুদ্ধে কি করে ব্যবস্থা নেবে দুর্বল রাজনৈতিক সরকার! আত্মসমর্পণ তো অনিবার্য। ৪. আজ খালেদা জিয়া র্যাবের বিলুপ্তি চাইছেন। ভুলে গেছেন যে সেই সময়ের বিডিআরকে দিয়ে ‘অপারেশন ক্লিনহার্টে’র নামে মানুষ হত্যা করিয়েছেন আপনারা। র্যাবকে দিয়ে বাম-আওয়ামী মনোভাবাপন্ন রাজনীতিকদের ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করিয়েছেন আপনারা। ৫. বিএনপি সংখ্যা নিয়ে কথা বলতে পারে, এত ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেনি তুলতে পারে সেই প্রসঙ্গও। কিন্তু মানুষ তো হত্যা করা হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায়ই তো সংখ্যা বাড়ছে, দানবীয়তা বাড়ছে। ৬. বিএনপি করেছে বলে আওয়ামী লীগও করবে? নিশ্চয়ই না। আওয়ামী লীগ তো বলেছিল তারা ক্রসফায়ার বন্ধ করবে। তবে এখন খালেদা জিয়ার মুখে এভাবে র্যাবের বিরুদ্ধে কথা বেমানান মনে হচ্ছে। যদি বলতেন আমরা এভাবে র্যাব গঠন করে ভুল করেছিলাম, যদি বলতেন বাম নেতা মোফাখখরদের হত্যা করিয়ে ভুল করেছি, ক্রসফায়ারের নামে মানুষ হত্যা করে ভুল করেছি- তাহলে ভালো শোনাত খালেদা জিয়ার বক্তব্য। ৭. বিএনপি বলবে, আগে সন্ত্রাসী মারা হয়েছে। হ্যাঁ, সন্ত্রাসী মারা হয়েছে। কম হলেও, নিরীহ মানুষকেও হত্যা করা হয়েছে। তবে নিশ্চয়ই এতটা নয়। অপহরণ গুম করানো হয়নি র্যাবকে দিয়ে। ক্রসফায়ারের ধারাবাহিকতায় পরিস্থিতি যে দিন দিন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে, ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে- সেটা তো আগে বারবার বলা হয়েছে। সেদিন সেদিকে কান দেয়নি বিএনপি। ৮. সেদিন কান দেয়নি বলে আজ বলতে পারবে না, বিষয়টি তেমনও নয়। কথা নিশ্চয়ই বলা যাবে। অবস্থান পরিবর্তনও করা যাবে। তার আগে ভুল স্বীকার করার মানসিকতা তৈরি হওয়া অতি জরুরি।
Posted on: Wed, 14 May 2014 07:13:05 +0000