Fundamental Analysis কি? Fundamental Analysis হল - TopicsExpress



          

Fundamental Analysis কি? Fundamental Analysis হল কিভাবে সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক ও অন্যান্য ঘটনা ও সংবাদ বাজারকে প্রভাবিত করে। মৌলিক বিশ্লেষণ এর ক্ষেত্রে সব রকম ঘটনা, খবর, সামাজিক আন্দোলন, অর্থনৈতিক ঘোষণা, সরকারী নীতির পরিবর্তন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লাভক্ষতিও হিসেবের মধ্যে পড়ে। এর মধ্যে দেশের ব্যাংকগুলোতে সুদের হার এবং তা সম্পর্কিত নীতি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রাথমিক ধারনা এই যে, যদি কোন দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক অবস্থা শক্তিশালী হয় তবে তাদের মুদ্রার মূল্যও তেজী হবে। একটি শক্তিশালী অর্থনীতি সে দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ ও ব্যবসার ব্যাপক প্রসার ঘটায়। এর জন্য বৈদেশিক ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের সে দেশের মুদ্রা কিনতেই হয় বিনিয়োগ ও ব্যবসার জন্য। ফলে এখন মুদ্রার চাহিদা-যোগানের কথা চলে আসলো। যে দেশের অর্থনীতি মজবুত ও বর্ধনশীল, সে দেশের মুদ্রার প্রচুর চাহিদা তৈরি হয় যা তার যোগানের উপর চাপ ফেলে এবং তার দাম বাড়িয়ে দেয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হতে শুরু করে তবে অন্যান্য দেশের মুদ্রার তুলনায় তাদের মুদ্রার দর বৃদ্ধি পাবে। অর্থনৈতিক অবস্থার সাথে সাথে মুদ্রার মূল্য বৃদ্ধির একটা বড় কারণ হল যে দেশের সরকার অর্থনৈতিক অবস্থা ও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সুদের হার বৃদ্ধি করে। অধিক সুদের হার বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের জন্য আকর্ষণীয় এবং তারা এর ফলে বেশী বেশী অস্ট্রেলিয়ান ডলার কিনবে বিনিয়োগের জন্য। এতে এই মুদ্রার চাহিদা ও মূল্য বারতে থাকেবে এবং যোগান হ্রাস পাবে। ফরেক্সের জন্য প্রধান অর্থনৈতিক ঘটনা: এখন দেখা যাক কিছু প্রধান অর্থনৈতিক ঘটনা যা মুদ্রার মূল্য পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে। এগুলো কিছু অর্থনৈতিক পরিভাষা মাত্র যা ফরেক্স এ কম বেশী জড়িত। এগুলো নিয়ে খুব বেশী মাথা ঘামানর দরকার নেই। আপনার শুধু আমাদের প্রদত্ত ফরেক্স ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংবাদগুলোতে চোখ রাখলেই হবে। মোট দেশজ উৎপাদন(Gross Domestic Product-GDP): GDP হল অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সূচক। এর মান অর্থবছরের প্রতি তিন মাস পর প্রকাশ করা হয় যা প্রকাশের আগের তিন মাসের কাজের ফলাফল তুলে ধরে। GDP হল গত তিন মাসে ঐ দেশের অর্থনীতিতে উৎপাদিত সকল পণ্য ও সেবার মোট মূল্যমান। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক হিসাব নিকাশ অন্তর্ভুক্ত নয়। Trade Balance: Trade Balance বলতে কোন দেশের সকল পণ্য ও সেবার আমদানি ও রপ্তানির পার্থক্য কে বোঝায়। কোন দেশের বিনিময়ের ভারসাম্য এবং আমদানি-রপ্তানির পরিবর্তন তাদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির একটি বহুল ব্যবহৃত সূচক। রপ্তানির পরিমাণ আমদানি অপেক্ষা বেশী হওয়া উচিৎ। এতে অর্থনৈতিক উন্নতি এবং উৎপাদন ক্ষমতার বিকাশ ঘটে। Consumer price index(CPI): মুদ্রাস্ফীতি নির্ণয়ের সবচেয়ে ভাল নির্দেশক। এটি প্রতি মাসের ১৫ তারিখে প্রকাশিত হয় যা আগের মাসের চিত্র তুলে ধরে। এটি প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ ভোগ্য পণ্যের ও সেবার মূল্যের মাসিক পরিবর্তন নির্দেশ করে। Producer’s price index-(PPI): মুদ্রাস্ফীতি নির্ণয়ের আরেকটি সবচেয়ে ভাল নির্দেশক। এটি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রকাশিত হয় যা আগের মাসের চিত্র তুলে ধরে। PPI প্রতি মাসে পাইকারি ভাবে মোট উৎপন্ন পণ্যের মূল্য নির্দেশ করে। ফলে CPI দিয়ে আমরা বুঝি যে ভোক্তারা পণ্যের জন্য কি পরিমাণ খরচ করছে এবং PPI দ্বারা বুঝি যে ঐ পণ্যের জন্য উৎপাদনকারীরা কি মূল্য পাচ্ছে। কর্মক্ষমতার নির্দেশক(Employment Indicator): প্রতি মাসে দেশের কর্মক্ষমতার প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে বেকারত্বের হার(যে পরিমাণ জনশক্তি কাজে নিয়োজিত হতে পারছেনা ), নতুন সৃষ্টি হওয়া চাকুরীর সংখ্যা, সাপ্তাহিক গড় কত ঘণ্টা কাজ হয়েছে, সাপ্তাহিক ঘণ্টা প্রতি গড় আয়ের বিবরণী দেয়া হয়। এই ঘোষণা বাজার পরিবর্তনে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। NFP(Non- farm employment report) এর কথা প্রায়ই ট্রেডারদের মুখে শোনা যায় যা বাজারে গতি সৃষ্টিতে বিশাল ভূমিকা রাখে। দীর্ঘ-মেয়াদী পণ্যের বিক্রি(Durable goods orders):এই বিবরণীতে হিসাব দেয়া হয় যে দেশের মানুষ দীর্ঘ-মেয়াদী পণ্য ক্রয়ের জন্য কি পরিমাণ খরচ করছে। দীর্ঘ-মেয়াদী পণ্য বলতে যেগুলো ৩ বছর বা তার বেশি দিন তিকে তাদের বোঝায়। এটি প্রতি মাসের শেষ সপ্তাহে প্রকাশিত হয় যা উৎপাদন-শিল্পের অবস্থা সম্পর্কে খুব উৎকৃষ্ট নির্দেশক হিসেবে কাজ করে। খুচরা বিক্রয়ের সূচক(Retail sales Index): এটি খুচরা বিক্রয়ের মাধ্যমে বিক্রিত মোট পণ্যের হিসাব নির্ণয় করে। এটি বিশাল পণ্য বিক্রয়ের ক্রমিক শৃঙ্খল থেকে শুরু করে মুদি দোকানের বিক্রি পর্যন্ত হিসাব করে। এতে দেশের মধ্যে খুচরা দোকানগুলোর থেকে নেয়া নমুনার মাধ্যমে হিসাব করা হয়। এটি প্রতি মাসে আগের মাসের তথ্য দ্বারা প্রকাশিত হয়। গৃহ-সংস্থান তথ্য(Housing Data): গৃহ-সংস্থান তথ্য দ্বারা প্রতি মাসে তৈরিকৃত মোট গৃহের সংখ্যা ও আগের তৈরিকৃত গৃহের কেনাবেচার হিসাব প্রকাশ করা হয়। গৃহ নির্মাণ কার্যকলাপ দেশের অর্থনৈতিক বিকাশের অন্যতম উৎস। ফরেক্স এ এই তথ্য অত্যন্ত গুরুত্ব-পূর্ণভাবে দেখা হয়। গৃহ কেনাবেচার সংখ্যা অর্থনৈতিক অবস্থা পরিমাপের একটি দারুণ নির্দেশক। গৃহ নির্মাণ ও কেনাবেচা কম হলে তা দেশের দুর্বল অর্থনীতির সঙ্কেত প্রকাশ করে। সুদের হার(Interest Rates): সুদের হার ফরেক্স এর প্রধান চালিকাশক্তি। উপরে বর্ণিত অর্থনৈতিক সূচকগুলো কেন্দ্রীয় মুক্ত বাজার কমিটি দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হয় দেশের অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিতি বোঝার জন্য। এরপর তারা সেই অনুযায়ী সুদের হার হ্রাস-বৃদ্ধি ও নিয়ন্ত্রণ করেন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অনুযায়ী। যদিও সুদের হার ফরেক্স এর মূল্য পরিবর্তন এর মূল চালিকাশক্তি, তবুও বাকি নির্দেশক গুলোও যথেষ্ট প্রয়োজনীয়। Technical বিশ্লেষণ বনাম Fundamental বিশ্লেষণ: অর্থনৈতিক বাজারে বিনিয়োগ ও ব্যবসা করার জন্য যে দুটি প্রধান চিন্তাধারা প্রচলিত আছে তা হল প্রযুক্তিগত(Technical) বিশ্লেষণ ও মৌলিক(Fundamental) বিশ্লেষণ। Technical বিশ্লেষণে বাজারমূল্যের গতিপথ ও অবস্থান পর্যবেক্ষণ করে সে অনুযায়ী ভবিষ্যৎ মূল্য পরিবর্তন অনুমান করে। Fundamental এর ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক খবরাখবর বিশ্লেষণ করা হয়। যেহেতু সকল বৈশ্বিক খবরাখবর সকল অর্থনৈতিক বাজারকে প্রভাবিত করে, সেহেতু অনেক Technical খবরও অর্থনৈতিক ঘটনার অন্তর্ভুক্ত। এটা একটা খুব দরকারি কথা যা অনেক মৌলিক বিশ্লেষক মানতে চান না। Technical Analysis কে প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করার অন্যতম প্রধান যুক্তি হল পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ ঘটনা ও খবর প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে যা প্রতি মুহূর্তে একসাথে বাজারগুলোকে প্রভাবিত করে। মুদ্রা বাজার সবচেয়ে বেশী প্রভাবিত হয় দেশের সুদের হার ও GDP সঙ্ক্রান্ত ঘটনা ও খবর দ্বারা। কিন্তু যুদ্ধ-বিগ্রহ, চুক্তি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগর প্রভাবও বাজারে ভাল প্রভাব ফেলে থাকে। যেহেতু এতগুলো এতরকম ঘটনা যেগুলো আলাদাভাবে মুদ্রার মূল্য পরিবর্তনের প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। ফলে তাদের সবাইকে অনুসরণ করে কোন যথেষ্ট কার্যকরী ফলাফল পাওয়া যায়না। Technical Analysis এর বিরুদ্ধে একটি বড় যুক্তি হল যে অতীতের তথ্য বিশ্লেষণ করে কখনও ভবিষ্যতের মূল্য পরিবর্তনের গতিপথ নির্ণয় করা যায়না। এর চেয়ে বাস্তব ঘটনা ও খবরের উপর ভিত্তি করে অনেক নির্ভরশীল অনুমান করা যাবে। এই যুক্তির বিরুদ্ধে দুটি কথা বলা যেতে পারে। ১। যদি এটা বলা হয় যে অতীতের তথ্য কোন গুরুত্ব বহন করেনা তবে এটা প্রমাণ করতে হবে যে, কেন রেখাচিত্রের অনুভূমিক স্তর(Horizontal level) ও আবদ্ধ অংশগুলো(Resistance) কেন এত ইঙ্গিতবহ ও অর্থপূর্ণ হয়। এটাও প্রমাণ করতে হবে যে, কেন শুধুমাত্র কয়েকটি শক্তিশালী বাজার বিশ্লেষণ ও ভবিষৎবাণীর হাতিয়ার বা পদ্ধতি ব্যবহার করে কৌশলী ও প্রযুক্তি-শীল ট্রেডাররা এত সফলতা ও মুনাফা অর্জন করে। যে কেউ যদি কিছু সময় নিয়ে বাজারের রেখাচিত্রের পর্যবেক্ষণ করে তবে অবশ্যই তাকে মানতে হবে যে এগুলো কত কার্যকরী এবং বিশ্লেষণ ও ভবিষৎবাণীর সফল হাতিয়ার। ২। আরেকটি কথা বলা হয় যে, ভবিষ্যৎ ঘটনা ও তার খবর দ্বারা ফরেক্সের গতিপথ বেশী নিখুঁতভাবে অনুমান করা যায়। কিন্তু কোন অভিজ্ঞ কারো সাথে কথা বললে জানতে পারবেন যে অনেকসময়, বাজার কোন নির্দিষ্ট খবর বা ঘটনার বিপরীত দিকে ছুটছে বলে দেখা যায়। খবর অনুযায়ী বাজার পরিবর্তন হয় তবে তা খুব বেশী নিশ্চিত কোন কিছু নয়। এর উপর ভরসা করে পরিকল্পনা সাজানো বকামিই মনে হতে পারে। বাজার আসলে চলে ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ও প্রত্যাশার উপর। এটাই বিনিয়োগ ও ব্যবসার বাস্তবতা। এখন কেউ যদি Technical Analysis ছাড়াই বাজার মূল্যের বিশ্লেষণ ও কেনাবেচা করে তবে তা আসলেই বোধগম্য কাজ নয়। উদাহরণ দ্বারা বোঝার চেষ্টা করি। যদি NFP এর প্রতিবেদনে বলা হয় যে আগামী মাসে আমেরিকাতে এক লাখ নতুন চাকুরীর সৃষ্টি হবে তাইলে ডলার এর মূল্য কিছুটা উঠবে এই আশায় যে আরও উৎপাদন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে। ফলে মৌলিক বিশ্লেষণ দ্বারা বলা যাবে যে ডলার এর মূল্য বাড়বে। কিন্তু কোন কারণে এটা স্বাভাবিক যে হয়ত সে পরিমাণ লোক নিয়োগ দেয়া হলনা। ফলে, ডলার এর মূল্য অনেক বেশী পড়ে যাবে কারণ আশানুরূপ ফলাফল খবর অনুযায়ী পাওয়া যায়নি। আপনি এখন সহজেই বুঝতে পারছেন যে এই খবর, ঘটনা ও বিশ্লেষণ কতটা অ-নির্ভরযোগ্য, জটিল এবং প্রায়ই অগুরুত্বপূর্ণ। সবশেষে চূড়ান্তভাবে যা বলা যায়: যেহেতু বিভিন্ন খবরের ফলে অনুমিত সকল সম্ভাবনার পরিণতি রেখাচিত্রে বা Price Chart এ দেখাই যায়, সেহেতু এই রেখাচিত্র বিশ্লেষণ(Price chart analysis) করে ট্রেড করা শিখলেই তো হয়। বিভিন্ন খবর এর ফলে আমরা মূল্য পরিবর্তনের যে ভবিষৎবাণী করতে পারি, তা সেটা ছাড়াই Technical Analysis এর মাধ্যমে করা যায়। ফলে এটি সবচেয়ে নিখুঁত, সফল, নির্ভরযোগ্য ও বাস্তবিক মাধ্যম বাজার বিশ্লেষণ, এর ভবিষৎবাণী ও এতে কেনাবেচা করার। এর মানে এটা বলা হচ্ছে না যে Fundamental Analysis এর কোন দরকারই নেই। মৌলিক বিশ্লেষণও কাজে লাগাতে হবে তবে তা আমাদের কৌশলের অংশ হিসেবে। এটা আমাদের সিদ্ধান্ত, কৌশল ও অনুমানের সম্ভাবনার শক্তি বৃদ্ধি করে এবং যখন আমরা সিদ্ধান্তহীনতায় পড়ি তখন তা থেকে বের হতে নির্দেশনা দেয়। তবে এটি কখনই আমাদের এককভাবে ফরেক্স ট্রেড এর হাতিয়ার হিসেবে কাজ করতে পারেনা। Share it pls.
Posted on: Thu, 12 Sep 2013 08:57:29 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015