Grade system - মূলত আন্তর্জাতিক - TopicsExpress



          

Grade system - মূলত আন্তর্জাতিক মানদণ্ড । বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন পদ্ধতির শিক্ষাকার্যক্রম ভিন্ন ভিন্ন নামে প্রচলিত রয়েছে বিধায় সবগুলো শিক্ষাপদ্ধতির অবস্থান বোঝানোর জন্য এই গ্রেড পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে । আর তাই, বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন লেভেলে শিক্ষাগ্রহণের ক্ষেত্রে GRADE পদ্ধতিতে শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয়ে থাকে । @ এইচএসসি(বিজ্ঞান) বিভাগে একজন শিক্ষার্থী পাশ করলে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা হয় 12th Grade. এবং এইচএসসির পর বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং(B.Sc. Engg) পাশ করলে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা হয়ে থাকে 16th Grade. এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং(M.Sc. Engg) পাশ করলে শিক্ষাগত যোগ্যতা হয়ে থাকে 17th Grade এবং ইঞ্জিনিয়ারিং এ ডক্টরেট (D.Engg) বা পিএইচডি (Ph.D) করলে শিক্ষাগত যোগ্যতা হয়ে থাকে 20th Grade. যা শিক্ষাগত যোগ্যতার সর্বচ্চ Grade ! @ ইঞ্জিনিয়ারিং এ ৪-বছরের ডিপ্লোমা কমপ্লিট করলে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা 14th Grade এর সমান । এবং এএমআইই পাশ করলে আপনার শিক্ষগত যোগ্যতা হবে 16th Grade এর সমান যা একজন বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার সমান যোগ্যতা হিসেবে স্বীকৃত । আপনি এএমআইই পাশের পর এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং বা এমএসসি বা মাস্টার্স পাশ করলে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা হবে 17th Grade এর সমান এবং ইঞ্জিনিয়ারিং এ ডক্টরেট (D.Engg) বা পিএইচডি (Ph.D) করলে শিক্ষাগত যোগ্যতা হয়ে থাকে 20th Grade. যা শিক্ষাগত যোগ্যতার সর্বচ্চ Grade ! @ অনেকেই ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাশের পর, বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ৪-বছর (মূলত ৩ বছর বা সাড়ে ৩ বছর) পড়তে হয় বলে, জীবন থেকে ২ বছর সময় নষ্ট হয় বলে মনে করে থাকেন ! ! ! ==== > ইঞ্জিনিয়ারিং এ ৪-বছরের ডিপ্লোমাধারীদের জন্য যদি ডুয়েটে ২ বছরের বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং চালু থাকতো, তাহলে সেটার আন্তর্জাতিক গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতো, পিএইচডি-করার ক্ষেত্রে বা অন্যদেশে স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে যাওয়ার ক্ষেত্রে বা জবের ক্ষেত্রে অনেক সমসার সৃষ্টি হতো । এছাড়া আরও অনেক ফ্যাক্টর বিবেচনা করেই শিক্ষাক্রম ৪-বছর রাখা হয়েছে ডুয়েটসহ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গু লোতে (যদিও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ৩ বছর রাখা হয়েছে) । আর ডিপ্লোমাধারীদের সকলেই তো বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ পায় না, সেক্ষেত্রে সেসকল ডিপ্লোমাধারীদের ক্ষেত্রে 14th Grade যোগ্যতা তারা অর্জন করছেই, ২য় শ্রেণীর চাকুরীতে যোগ দিতে পারছে, যা এইচএসসি(বিজ্ঞান) পাশ শিক্ষার্থীদের চেয়ে বেশি । ডিপ্লোমার মান এইচএসসি-র সমান নয়, সমান হলে, এইচএসসি পাশ শিক্ষার্থীও ২য় শ্রেণীর সরকারী চাকুরীতে যোগ দেওয়ার সুযোগ পেত । এবার আসি, বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এর ভর্তির ক্ষেত্রে এইচএসসি / ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং চাওয়া হয়ে থাকে, যার কারনে সমমান বলে ভেবে নেয় অনেকে ! এখানে একটি ব্যাপার হচ্ছে, প্রথমত ডিপ্লোমাধারীরা যেহেতু ইঞ্জিনিয়ারিং অনেক বিষয়বস্তু পড়ে আসে, তাই তাদের জন্য বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম সাধারণত ৩ বছর, ডুয়েটে সাড়ে ৩ বছর (৪ বছর, কিন্তু এক সেমিস্টার Exemption দেওয়া হয়ে থাকে ) । এখন যেহেতু বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ার নুন্যতম যোগ্যতা 12th Grade পাশ, এখণ কারো যদি 14th Grade এর যোগ্যতা থাকে, তবে সে 12th Grade যেখানে চাওয়া হয়েছে, সেখানে আবেদনের সুযোগ পীয় থাকেন, কিন্তু 14th Grade এর যোগ্যতায় নিশ্চয় 12th Grade আবেদন করতে পারেন না ! আর এজন্যই ৩ বছরের বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাক্রমে এইচএসসি-দের কোন সুযোগ নেই ! ইঞ্জিনিয়ারিং এ যারা ৪-বছরের ডিপ্লোমা পড়ছেন, তাদের মনে তাই, এসকল বিষয়গুলো মনে রাখা উচিৎ, যে, তাদেরকে সরকার কোনভাবেই প্রাপ্যের চেয়ে কম দিচ্ছে না । বাংলাদেশের এডুকেশনাল স্ট্রাকচার অনেক পণ্ডিত, জ্ঞানী, এবং বুদ্ধিমান মানুষের হাতে গড়া, আমরা কিছু না জেনে না বুঝে তাদের প্রতি আঙুল তুলে নিজেদের নির্বুদ্ধিতার প্রকাশ না ঘটানোই ভাল । @ বেশ কিছু দিন আগে পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের এক বিশাল অংশ আন্দোলন করেছিল, রক্তপাত ঘটেছিল, পলিটেকনিক বন্ধ হয়েছিল, অনেক শিক্ষার্থীর হাতে কলমের পরিবর্তে হাতকড়া পড়েছিল, সেশন জটে পড়তে হয়েছিল শিক্ষার্থীদের, আর নেতা-দের পকেট ভারী হয়েছিল ! ! ! সাপ হয়ে কামড় দেওয়া আর ওঝা হয়ে বিষ নামানোর খেলা চলতেই থাকবে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদেরকে পুঁজি করে ! কোন আন্দোলনে নামার আগে তাই, আন্দোলনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং যৌক্তিকতা যাচাই করেই আন্দোলনে নামা উচিৎ, কারণ পলিটেকনিকে যারা পড়ে তারা পূর্ণবয়স্ক, বোধশক্তিসম্পন্ন মেধাবী প্রজন্ম । সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে এবং পেজে নতুনভাবে আন্দোলন শুরু করার বা আন্দোলন শুরু হয়েছে বলে বিভিন্ন পোস্ট দেওয়া হচ্ছে । আমি জানি না, সেগুলো কতটুকু সত্য, তবে, যদি সত্যিই আন্দোলন শুরু হয়ে থাকে, তবে অযৌক্তিক আন্দোলনে সেশন জটে পড়া আর জেলের কালী লাগানো ছাড়া লাভের লাভ শিক্ষার্থীদের কিছুই হবে না, যা হওয়ার নেতাদের পকেটের হবে । এখন আসা যাক, কি কি বিষয়ে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করতে পারেঃ ১। বাংলাদেশের প্রতিটি Science & Technology (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি) বিশ্ববিদ্যালয়সম ূহে ইঞ্জিনিয়ারিং এ ৪-বছরের ডিপ্লোমাধারীদের (Diploma in Engineering) জন্য বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ দেওয়া । উল্লেখ্যঃ বর্তমানে শুধুমাত্র Shahjalal University of Science & Technology (SUST) এবং Jessor Science & Technology University (JSTU)-তে সুযোগ রয়েছে । রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধুমাত্র কম্পিউটার টেকনোলজি তে Dip. in Engg. পাশ শিক্ষার্থীরা সুযোগ পেয়ে থাকে । ২। সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি(অনার্স) প্রোগ্রামে (বিশেষত Physics, Chemistry, Food Technology, Environmental Science, Geology & Mining, Material Science, Mathematics, Applied Chemistry & Chemical Technology, Applied Phsics ইত্যাদি) ইঞ্জিনিয়ারিং এ ৪-বছরের ডিপ্লোমাধারীদের (Diploma in Engineering) ভর্তির সুযোগ দেওয়া । ৩। যদি এইচএসসি (বিজ্ঞান) পাশ এবং ডিপ্লোমা পাশ শিক্ষার্থীর একই বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ দিতে টেকনিক্যাল কোন সমস্যা থাকে, তাহলে বাংলাদেশ কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা যেতে পারে এবং বিভাগীয় সরকারী পলিটেকনিকসমূহে বিএসসি কোর্স চালু করা যেতে পারে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন । তাতে রাষ্ট্রীয় সম্পদের সর্বচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত হবে, আরও অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার সুযোগ পাবে, একটি বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে ৬ টি বিভাগে অন্তত ৬ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব হবে ।
Posted on: Sun, 19 Oct 2014 03:08:42 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015