IS এর বিরুদ্ধে - TopicsExpress



          

IS এর বিরুদ্ধে জাবহাতুন-নুসরাহকে তাকফীর করা সংক্রান্ত প্রোপাগান্ডার বাস্তবতা ! (পুরো পোস্টটি পড়ুন,আশা করি অনেক সংশয়ের বেড়াজাল থেকে আল্লাহর ইচ্ছায় মুক্ত হওয়া সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ্‌) (রিপোস্ট) গত ১৪ নভেঃ ফেইসবুকে দেখলাম এক ব্যক্তি সিরিয়ায় জিহাদরত চেচেন মুজাহিদ কমান্ডার শাইখ সালাহউদ্দিন আশ শিশানীর দেয়া রাশিয়ান ভাষায় একটি ভিডিওর বক্তব্য প্রচার করে তার শুরুতে লিখেছে...... “ISIS এবার অফিসিয়ালি জানালো যে , তারা জাবহাত আন নুসরাহ ও ইসলামিক ফ্রন্টকে কাফের মনে করে।” সেই পোস্টে লিখেছে “ISIS এর সাথে দ্বন্দ্ব নিরসন ও পরস্পর রক্তারক্তি বন্ধে আলোচনার জন্য, চেচনিয়া থেকে সিরিয়া হিজরত করা চেচেন মুজাহিদীনদের সংগঠন জাইশুল মুহাজিরীন ওয়াল আনসার এর শীর্ষপর্যায়ের কমান্ডার ও শারঈ শাইখ সালাহউদ্দিন আশ শিশানীকে পাঠানো হয়েছিল ISIS এর কাছে। তিনি ISIS নিয়ন্ত্রিত রাক্কাহ প্রদেশে তাদের সাথে আলোচনা করতে যান। ফিরে এসে জাবহাত আন নুসরাহ ও আল জাবহাত আল ইসলামিয়্যাহ সম্পর্কে ISIS এর বক্তব্য তুলে ধরেছেন” সেই পোস্টটি ..... on.fb.me/1x5XMAe *** শাইখ সালাহউদ্দিন আশ শিশানী সিরিয়ায় চেচেন মুজাহিদদের নেতৃত্ব দেয়া জাইশুল মুহাজিরীন ওয়াল আনসার নামক একটি ব্রিগেডের প্রধান। এর সাবেক প্রধান ছিলেন শাইখ আবু উমর আশ-শিশানী। সিরিয়ায় মুজাহিদদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ সমস্যা দেখা দিলে জাইশুল মুহাজিরীন ওয়াল আনসার এর একটি অংশ নিয়ে শাইখ আবু উমর আশ-শিশানী IS(ইসলামিক স্টেইট) এ যোগ দেন। বর্তমানে এই ব্রিগেডটি চেচনিয়ার আমীরের প্রতি বাই’আহ রেখেই ‘জাবহাতুন নুসরাহ’র সাথে যুক্ত হয়। এর প্রমাণ সরাসরি চেচেন মুজাহিদদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকেই জেনে নিন.... kavkazcenter/…/content/2014/06/24/19284.shtml উইকিপিডিয়া থেকেও জানতে পারবেন.... en.wikipedia.org/wiki/Jaish_al-Muhajireen_wal-Ansar তাহলে............. প্রথমত..... জাবহাতুন-নুসরার সাথে যুক্ত একটি ব্রিগেডের প্রধানের বক্তব্য কী করে IS এর অফিসিয়াল বক্তব্য হয় ?? দ্বিতীয়ত..... IS এর অফিসিয়াল কোনো লিংক না দিয়ে তারপরও পোস্টের শুরুতে কেনো লেখা হলো যে, (ISIS এবার অফিসিয়ালি জানালো যে , তারা জাবহাত আন নুসরাহ ও ইসলামিক ফ্রন্টকে কাফের মনে করে।) ??!! IS এর পক্ষ থেকে অফিসিয়াল কোনো বক্তব্য না থাকার পরেও কেনো এই জালিয়াতি !!! এটা বুঝতে উক্ত ব্যক্তির এই পোস্টটি দেখুন...... on.fb.me/1H1LxJx “পোস্টের লিঙ্কটি সৌদি যুবরাজের চ্যানেল আল-আরাবিয়ার । ২৫ আগস্ট অর্থাৎ প্রায় ২ মাস ২০ দিন আগে IS এর নামে একটি ভুয়া ছবি দিয়ে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালিয়েছিলো। আর এই ব্যক্তি গত ১৩ নভেঃ তা পোস্ট হিসেবে দিলো ! বুঝতে পারলেন কিছু ! মুরতাদ সৌদি শাসকদের মিডিয়ার প্রোপাগান্ডাকে সে IS এর বিরুদ্ধে প্রচার করে, আবার সে নিজেকে আল-কায়েদার বিরাট একটা কিছু মনে করে ও প্রচার করে !! ইতোপূর্বেও এ ধরণের যত অভিযোগ প্রচার করা হয়েছে,দেখা গেছে কোনো ক্ষেত্রেই IS এর পক্ষ থেকে অফিসিয়াল কোনো বার্তা নেই বরং অন্যদের কথার রেফারেন্স দিয়ে IS এর উপর এ ধরণের অভিযোগ চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। আমি শুরু থেকেই বলে আসছি, মুজাহিদদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির বিষয়ে কোনো পক্ষের সব কথা গ্রহণ করলে আরেক পক্ষকে বাতিলই মনে হবে !! আর এরকম ক্ষেত্রে একপক্ষের বক্তব্যের ভিত্তিতে অন্যপক্ষের বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া ইসলামের মূলনীতির পরিপন্থী। তাই এসব বিষয়ে একপক্ষের বক্তব্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে মুজাহিদদের অন্য পক্ষের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা কিছুতেই ঠিক হবে না। কিন্তু কিছু ব্যক্তি কখনোই তা বুঝা ও মানার চেষ্টা করেনি। IS যে জাবহাতুন-নুসরাহকে কখনোই তাকফীর করেনি এ ব্যাপারে IS(ইসলামিক স্টেইট) এর মসুলের শার’য়ীর এই বার্তায় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। লিংক..... dawaalhaq/?p=10325 (বার্তাটি আরবীতে)। বার্তাটি ফেব্রুয়ারি মাসে দেয়া হয় আর সিরিয়ার মুজাহিদদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ লড়াই শুরু হয় জানুয়ারি মাসে। ****** IS এর অফিসিয়াল কোনো বার্তা না থাকা সত্বেও অন্য কোনো ব্যক্তির বক্তব্যের ভিত্তিতে ফায়সালা দেয়া যদি সঠিক হয়, তাহলে তারা যেনো সিফফিনের যুদ্ধকে কেন্দ্র করে আলী রাঃ এবং আমর ইবনে আস রাঃ এর ব্যাপারেও ফায়সালা দেয় কে হক্ব আর কে বাতিল ছিলো....... “মুয়াবিয়া রাঃ এর কাছে ‘আলী রাঃ নিজেই বাহিনী নিয়ে বেড়িয়ে পড়ার সংবাদ পৌছলো। তিনি আমর ইবনুল আস রাঃ এর কাছে এ বিষয়ে পরামর্শ জিজ্ঞেস করলেন। আমর রাঃ বললেন, আপনিও নিজেই বেড়িয়ে পড়ুন। তখন আমর রাঃ জনতার সামনে ভাষণ দিলেন। ভাষণে তিনি বললেন, ‘জামাল যুদ্ধে কূফা ও বসরার নেতৃস্থানীয় লোকগুলো নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে। আলীর সঙ্গে মাত্র গুটিকতক লোকই রয়েছে-যারা ..... ইতোপূর্বে খলীফা ও আমীরুল মু’মিনীন ‘উসমান ইবনে আফফান রাঃ-কে শহীদ করেছেন। কাজেই সাবধান ! তোমাদের সত্য ও হক নষ্ট করার ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর.....।” আরবী ইবারত..... “وبلغ معاوية أن عليا قد خرج إليه بنفسه فاستشار عمرو بن العاص ، فقال له : اخرج إليه أيضا أنت بنفسك . وقام عمرو بن العاص في الناس خطيبا فقال : إن صناديد أهل الكوفة والبصرة قد تفانوا يوم الجمل ، ولم يبق مع علي إلا شرذمة قليلة ممن قتل الخليفة أمير المؤمنين عثمان ، فالله الله في حقكم أن تضيعوه”(ইমাম ইবনে কাসীর রহঃ প্রণীত আল-বিদায়াহ ওয়ান-নিহায়াহ, ৭ম খণ্ড(বাংলা), পৃষ্ঠা-৪৫৮।মূল আরবী কিতাব, ১০ম খণ্ড, পৃষ্ঠা-৪৯৩। মূল আরবী ইবারত এই লিংকে পাবেন.... bit.ly/1wF0DfA ) সেইসব ব্যক্তিদের কাছে আমার প্রশ্ন আমি যদি এখানে আমর ইবনে আস রাঃ এর কথার উপর সিদ্ধান্ত নেই, তাহলে কী দাঁড়ায় ??!! আলী রাঃ এর সাথে শুধুমাত্র উসমান রাঃ এর খুনীরা ছিলো ??!! আমর ইবনে আস রাঃ তো একজন সাহাবী ছিলেন। তাহলে উনার কথার উপর সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা কোথায় !!?? (না’উযুবিল্লাহি মিন যালিক। আল্লাহর কাছে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি সাহাবীদের এই প্রসঙ্গটিকে এখানে নিয়ে আসার জন্য। বাড়াবাড়িকারী এসব বিভ্রান্ত ব্যক্তিদের মূর্খতাপূর্ণ প্রশ্নের জবাব দিতেই এই প্রসংগটি নিয়ে আসা।অন্যথায় কিছুতেই আনার ইচ্ছা ছিলো না।সকল সাহাবীই ছিলেন আদিল তথা ন্যায়পরায়ণ। ইজতিহাদী মতপার্থক্য এবং ইসলামের দুশমনদের চক্রান্তের কারণেই উনাদের মধ্যে সিফফিনের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিলো। আজকের দিনেতো কুফফারদের চক্রান্ত আরো মারাত্মক । তাই নয় কী ! ) এদের না আছে দ্বীনের সঠিক জ্ঞান আর না আছে ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি ! যারা মুজাহিদদের মধ্যে বিবদমান একপক্ষকে বাতিল বানানোর চেষ্টায় লিপ্ত তারা যেনো উপরে দেয়া বক্তব্যের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিয়ে তারপর সামনে অগ্রসর হয়। আমার পরিষ্কার বক্তব্য হচ্ছে, জাবহাতুন-নুসরাহ এবং IS উভয়ই মুজাহিদ সংগঠন এবং উভয়ই হক্বের উপর আছেন।উনাদের মাঝে ভুল বুঝাবুঝির সমাধানের জন্য আমরা আল্লাহ রব্বুল ইযযতের কাছে চোখের পানি ফেলে দু’আ করবো। কোনো অবস্থাতেই কারো ব্যাপারেই কোনো ধরণের অপপ্রচার চালানোর সুযোগ নেই। বিঃ দ্রঃ ঐসব ব্যক্তিদের কাছে কিছু অতিরিক্ত প্রশ্ন করে রাখলাম...... ১. শিয়ারা কাফির কি না ? ২. আর যদি কোন গ্রুপ অন্য কোনো গ্রুপকে আসাদ ও শিয়া ইরানের এজেন্ট বলে অভিযোগ করে, তাহলে অভিযোগকারীদের বক্তব্য অনুযায়ী অভিযুক্ত গ্রুপও শিয়াদের হুকুমের মধ্যে পড়ে কিনা ? অতি সংক্ষিপ্ত উত্তর দিবেন আশা করি। কারণ ইনশাআল্লাহ্‌ অচিরেই সত্য-প্রকাশিত হবে কারা আগে শামের মুজাহিদদের রক্তকে হালাল করেছে । সবার কাছে দু’আ চাই আল্লাহ তায়ালা যেনো এই অধমকে সেই সত্য কথাগুলো লেখার তাউফিক্ব দান করেন। শামের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে আমার পূর্বের একটি নোট..... on.fb.me/1ch6WzZ আর অপপ্রচারকারীদের ব্যাপারে লেখা আমার একটি পোস্ট..... on.fb.me/1upBjxv আরেকটি নোট... শিয়া ইরানকে যারা মার্কিনীদের শত্রু মনে করেন, সৌদি শাসকদেরকে যারা শিয়া বিরোধী মনে করেন তাদের জন্য তথ্যভিত্তিক চিন্তার খোরাক !! (১ম পর্ব-ইয়েমেন) লিংক..... on.fb.me/1xrH9AD
Posted on: Mon, 17 Nov 2014 18:19:24 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015