Old Stone Age ঃ বর্তমান সময়ে - TopicsExpress



          

Old Stone Age ঃ বর্তমান সময়ে মানুষ অনেক বেশি বিজ্ঞান বিত্তিক ও সামাজিক এবং তারা নিজেদের সভ্য বলে দাবি করে ।আমাদের জীবনযাত্রার গতি অনেক দ্রুত । আমরা আমাদের প্রয়জনে এমন সব সয়ংক্রিও বিষয় ,বস্তু তৈরি করেছি যা আমাদের জীবনকে সহজ করে দিয়েছে । পৃথিবীর উত্তর মেরু থেকে দক্ষিন মেরু যেতে পারি অনায়েসেই। বিজ্ঞানের অবদানে পৃথিবীর বাহিরেও যাচ্ছি। পোশাক -পরিচ্ছেদ,গাড়ি-বাড়ি,আকাশে উরার যন্ত্র, সমুদ্রে যাওয়ার যন্ত্র, আরও কত আধুনিক জন্ত্র-পাতি। এ সবই মানুষের জন্য এবং মানবসভ্যতাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য। বিজ্ঞান,সমাজ, সংস্কৃতি ও ধর্ম এসব সামগ্রিক নিয়ে আমরা এখন সভ্য। আজকের এই পর্যায়ে আমরা আসতে অনেক গুলো সময় পার হতে হয়েছে । মানুষের সামনে এসেছে অনেক প্রতিকূলতা এবং মানুষ তা সমধানও করেছে , একের পর এক সভ্যতা তৈরি হয়েছে , ধ্বংসও হয়েছে। আমদের পূর্বপুরুষদের চেষ্টা আমাদের আজকের এই অবস্থানে এনেছে। প্রকৃতির সামগ্রিকতার সাথে আমাদের পরিচয় ঘটে ক্রমবর্ধমান হারে। সব কিছু এত সহজে হয়নি । আমাদের শুরুটা কেমন ছিল ? কিভাবে জীবন সংগ্রাম চালিয়েছে আমাদের পূর্ব-পুরুষ? তাই আলচনা করব পরবর্তীতে । পৃথিবীর বর্তমান বয়স ৩০০ কটি বছর ,পৃথিবি সৃষ্টির বহু বছর পর উন্নত জাতের প্রাণী তথা মানুষের আবির্ভাব হয়। ফরাসি প্রকৃতিতত্তবিদ “বাফুন” তার লেখা বই “époques de la nature” ,যা লেখা হয় ১৭৭৮ সালে । তার মতে পৃথিবী কয়েকটি ভাগে রূপান্তরিত হয়েছে, এই সময়কে তিনি ৭টি ভাগে ভাগ করেন । প্রথম জুগের প্রায় ৩০০০ বছর পৃথিবী উজ্জ্বল গ্যাস থেকে তরলে পরিনত হয় । তারপর ৩৫,০০০ বছর তরল পৃথিবীতে ভুত্বকের সৃষ্টি হয় তৃতীয় জুগে ১৫,০০০-২০,০০০ বছরে পৃথিবীপৃষ্ঠে সমুদ্র সৃষ্টি হয় । এইসময় প্রথম সমুদ্রে জীবের উৎপত্তি হয় ও সমুদ্র তলে পাললিক শিলার স্তর জমতে থাকে । পরবর্তী ৫০০০ বছরে পৃথিবির বিভিন্ন স্থানে আগ্নিওগিরি তৈরি হয়, ফলে সমুদ্রের মাজে স্থলভাগ সৃষ্টি হয় । শেষের তিনটি যুগে পৃথিবিতে উন্নত প্রানির আবির্ভাব হয় তথা মানুষেরও । এসব কিভাবে হল তার প্রমান পরবর্তীতে বিসদ ভাবে আলচনা করা হবে মানুষের ঐ সময়টা ছিল অনেক বেশী প্রতিকুল, প্রতি মহুর্ত ছিল সংগ্রামী । কোন ঘর ছিল না, রাস্তা ছিল না এবং ছিলনা চাষ-বাস । শিকার করেই খাধ্যের চাহিদা পুরন করত এবং গুহায় বাস করত অথবা গর্ত করে বাস করত । তাদের পশাক-পরিচ্চছেদ ছিল প্রকৃতিতে পাওয়া। মানুষের উৎপত্তিস্থল যেহেতু আফ্রিকাতে সেখানে বসবাসের কোন গুহা ছিলনা তাই প্রয়োজনেই মানুষ ভিবিন্ন ধরনের আবাস তৈরি করেছিল। প্রথমিকভাবে মানুষের প্রয়োজন ছিল আগুন, যদিও আগুন প্রাকিতিকভাবে সৃষ্টি হলেও তাকে ধরে রাখার কৌশল আয়ত্ত করতে হয়েছিল। তার আগেই খাধ্যের চাহিদা তাকে পুরন করার জন্য কষ্ট করতে হয়েছে। মানুষের প্রথম কাজই ছিল খাধ্য সংগ্রহ করা। মানুষ পশু-পাখি শিকার, ফল-মুল সংগ্রহ, মৎস্য শিকার এগুলই মানুষের খাধ্যের চাহিদা পুরন করত। প্রথম পর্যায়ে মানুষ যাযাবর ছিল, কোন নির্দিষ্ট স্থান ছিল না। পশুরা যেহেতু ধাবমান তাই তাদের শিকারের জন্য অনেক দূর মানুষকে পারী দিতে হত। তখন অনেক হ্রিংস্র প্রাণীও ছিল এছাড়া অনেক প্রাকৃতিক দুর্যোগ, এসব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আবাস স্থলের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করল মানুষ। তারপর থেকেই মানুষ পশুকে তাড়িয়ে গুহতে বাস করতে শুরু করেদিল । পৃথিবীর সব স্থলে তো আর গুহা ছিলনা, তাই সেখানে থাকার জন্য কিছু দরকার তাই ঘর তৈরির ধারনা এলো এবং মানুষ অর্ধেক গর্ত করে এক ধরনের ঘর তৈরি করে। মানুষ সমাজবদ্ধ হতে লাগল, জাতি-গত্র তৈরি হল। মানুষের খাধ্য মজুতের ধারনা সৃষ্টি হল। অনেক সময়ের বিবর্তনের পর homosapience এর আবির্ভাবের পর পলিওলিথিক বা পুরানো পস্তর যুগের গুহা চিত্র( Old Stone Age cave painting) : পস্তর যুগে মানুষ বাসস্থান হিসেবে বেছে নিয়েছিল গুহাকে। তখনও মানুষের ঘর তৈরির ধারনা সৃষ্টি হয়নি পশুদের তাড়িয়ে তারা তাদের গুহা দখল করে। আফ্রিকাতে এবং ফ্রাসের একটা অংশে পলিওলিথিক সময়ের বেশ কিছু গুহা আবিস্কৃত হয়। ফ্রান্সে যেসব মানুষ থাকত তাদের মাগদালিয়ান বলা হত । শিকারি মানুষরা পশু শিকার করত এবং পরে সেই শিকারের দৃশ্য গুহার দেয়ালে আঁকত। তখনকার মানুষের এই শিল্পচর্চা আসলেই বিস্ময়কর এবং চিন্তনীয়। গুহাচিত্র মুলত গুহার দেওয়ালে বা ছাদে করা হত যা ছিল prehistoric সময়ের। সপ্রতি জানা যায় যে ইউরপিয়ান গুহাগুল ৩২০০০ বছর আগের পুরান। নিম্মে সবচে পরিচিত এবং আকর্ষণীয় কয়েকটি গুহা সম্পর্কে আলোচনা করা হল। 1. Lascaux cave painting (prehistoric sisten chapel): বলা যায় “prehistoric Sistine chapel” Lascaux cave হল এমন গুহা যা ফ্রান্সের দক্ষিণ-পশ্চিমে Montignac, এর নিকটে অবস্থিত , যেখানে Paleolithic সময়ের সবচেয়ে আকর্ষণীয় গুহাচিত্র রয়েছে, যা ১৫০০০ বছর পূর্বের। এটি বিশালভাবে সুসজ্জিত কিন্তু যদিও ছবিগুল প্রবেশ পত থেকে অনেক ভিতরে। যেখানে সূর্যের আল পৌঁছায় না । Paleolithic সময়ে সবচেয়ে পরচিত হল লাস্ক গুহা। এই গুহাটি আবিষ্কৃত হয় ১২ সেপ্টেম্বর ১৯৪০ সালে চারজন কিশোরের মাধ্যমে । তারা হল মারকেল রেভিদেতস, জেকাস মার্শাল, জর্জেস এঞ্জেল এবং সায়মন ক্যানসাস। এছাড়া রেভিদেতসের কুকুর রোবট। ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর জনসাধারণের প্রবেশের জন্য খোলা হয়। ১৯৫৫ সালে দৃশ্যত প্রতিদিন ১২০০০ পরিদর্শকের উৎপাদিত carbon dioxide গুহার দেওয়ালের ছবিকে নষ্ট করে ফেলে। যার কারনে ১৯৬৩ সালে গুহা বন্ধ ঘোষণা করা হয় শিল্প রক্ষার আদেশ জারি করে। এই গুহার দেওয়ালে অনেক গুলো ছবি আছে । এই ছবিগুলো যে জায়গায় আঁকা হত তা ছিল এব্রথেব্র , উঁচুনিচু । বেশিরভাগ ছবি হল ষাঁড়, বৃষ এর । তার মধ্যে ১ টি ছবি হল ঃ - 1. Hall of the bulls: ac 15000-13000 bce , 11”.6’ long Lascaux এর সবচেয়ে বড় অংশের ছবিকে বলা হয় “Hall of the Bulls” এখানে সবগুল প্রানির মধ্যে কোন বৈচিত্র ছিলনা, বেশিরভাগ ষাঁড় বা বৃষ। ছায়ামূর্তিগুলোতে পুনরাবৃত্তির মত করে রং দেওয়া হয়েছিল । আলতামিরাতেও “Altamira” একই রকমভাবে করা হয় এবং ষাঁড়ের ছবিতে outline এর ব্যাবহার হয় । PECH-MERLE একইভাবে outline ব্যাবহার হয়। লাক্সকাক্স গুহার দেওয়ালের উপর ড্রইং এবং পেইন্টিং শিল্পের ইতিহাসে বার বার পুনরাবৃত্তি হয়েছিল। Hall of the Bulls” ছবিটি বিভিন্ন সময়ে আঁকা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে তৎকালীন বিভিন্ন শিল্পিরা এইসব ছবি এঁকেছিল। একটা ছবির উপর আবার অনেক বছর পর আরেকটা ছবি আঁকা হত। গুহার ছাদে আঁকা হয় বলে একে prehistoric Sistine chapel বলা হয়। ছবিটি দেখার জন্য দর্শককে মাথা উপর করে দেখতে হবে । এখানে ভিবিন্ন আকৃতির, ভিবিন্ন প্রকার প্রাণী এবং তাদের গতিপত ভিবিন্ন। দেখে মনে হয় এটা যেন প্রাণীদের সম্মেলন। প্রানিগুলো কয়েকটি দলে ভাগ করা। দুটি দল মুখামুখি ভাবে দাঁড়িয়ে। দুই শিং ওলা প্রানির সংখ্যা বেশী। এখানে twisted perspective ব্যাবহার করা হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিত পলিওলিথিক সময়ে আদর্শ ছিল কিন্তু সার্বজনীন ছিলনা , সম্প্রতি আবিষ্কৃত Chauvet গুহাতে অংকিত প্রানির চিত্র যা শিল্পিরা ভিবিন্ন প্রাকিতক উপায়ে করেছে। যার কারনে শিল্প ঐতিহাসিকরা পলিওলিথিক শিল্প সম্পর্কে অনকগুল পূর্ব ধারনাকে পুনরায় বিবেছনা করে। ২। Rhinoceros, wounded man, and disemboweled bison, এই ছবিটিও লাস্কউ গুহাতে আঁকা। এটি ১৫০০০-১৩০০০ bce পূর্বের ছবি। এটি ৩ ফিট ৮ ইঞ্চি। গুহার দেয়ালে চিত্রিত ছবির মধ্যে প্রথম মানুষের আগমন হয়। বামে ,বামদিকে চলমান গণ্ডার উপস্থাপন করা হয়েছে অনেক দক্ষ ভাবে। গণ্ডারের লেজের নিচে দুই সারিতে তিনটি করে বিন্দু আছে । এগুলর কোন অর্থ নাই। ডানদিকে বাইসন অনেকবেশি ছকবদ্দ রুপে আঁকা। এখানে বাইসনের ক্ষিপ্তভাব তুলে ধরা হয়েচে,তার ছট লোম খাঁড়া হয়ে আছে এবং তার অন্ত্র, কুণ্ডলী আকারে ঝুলে আছে । দুই পশুর মাঝখানে পাখির মুখোশ পরা মানুষ, প্রসারিত বাহু এবং চার আঙ্গুল ওলা হাত। এখানে মানুষের শরীরকে অন্য প্রানির মত করে বিস্তারিত করা হয় নি। কিন্তু শিল্পী শিকারিকে সহজলক্ষ লিঙ্গ দিয়ে মানুষটির লিঙ্গ নির্ধারণ করেছে। মানুষটির অবস্থান উদ্দেশহীন। মানুষটি আহত বা মৃত বা নিছক কাত হয় শুয়ে আছে। বর্শার মাথায় একটি পাখি । এখানে মানুষটি মাটিতে এবং গণ্ডারটি আঘাত করছে । এখানে সম্পূর্ণ ইমেজ দ্বারা মনে হয় শিল্পী একটি গল্প বর্ণনা করছে। যদি তাই হয় তা হলে শিল্পী complex narrative compositions ছবিতে ব্যাবহার করেছে। এখন এটা জানা প্রয়োজন শিল্পী এই ছবিধারা কোন গল্প প্রকাশ করতে চেয়েছে কিনা। আর তা হলে খুব কম সংখ্যক লক এটা বুঝবে। লাস্ক গুহতেই পলিওলিথিক শিল্পের বাতি জ্বলতে শুরু করে। ২। ALTAMIRA cave painting: পৌরাণিক গুহা আলতামিরা near Santilliana del Mar in Cantabria, Northern Spain এ অবস্থিত। Santanderএর পশ্চিমে অন্তত ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। Maria de Santuola , যে কিনা আলতামিরার সুন্দর সকল ছবি আবিস্কার করে ১৮৭৫ সালে। তবে ১৮৬৯ সালে এক শিকারি “Modesto Cubillas stumbled” এই গুহার সন্ধান পায় কিন্তু সে এটা সঠিকভাবে বুঝতে পারে নাই । ১৮৭৯ সালেই Don Marcelino Sanz de Sautuola একজন amateur archaeologist তিনি আলতামিরা গুহা আবিস্কার করে।কিন্তু প্রত্নতাত্ত্বিক বিশারদরা তার আবিষ্কারকে মূল্যায়ন করেনি। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে ফ্রান্সের একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলকে stone age এর বলে সংরক্ষন করা হয়। যাহোক আলতামিরা গুহাচিত্র অনেক বেশী ব্যাতিক্রম। ডন মারকেলিওন গুহা পর্যবেক্ষণ কালে তার ছোট কন্যাও ছিল, তার কন্যার মাথা থেকে গুহার ছাদ অনেক উপরে ছিল এবং অন্ধকারচ্ছন্ন ছিল। মারকেলিওনের মেয়েই প্রথম অল্প আলতে ছাদের চিত্র দেখতে পায়। গুহার বিশালতা গুহার প্রবেস পত থেকে ৮৫ ফুট লম্বা। ১। Bison, detail of a painted ceilingঃ এটি আলতামিরা গুহার একটি চিত্র যা ১৩০০০ থেকে ১৪০০০ বছরের পুরানো। প্রত্তেক বাইসন ৫ ফিট লম্বা। এই ছবিতে অনেকগুলো বাইসনের ছবি আছে । আধুনিক শিল্প সমালোচকের মতে “বাইসনের দল” কিন্তু কথাতির উপজুক্ত ব্যাবহার হয় না কারন এখানে বাইসন গুলো একই স্থানে অবস্থিত নয় তাছাড়া দেখে মনে হয় এগুলো আকশে উরছে । বাইসন গুলো ভিবিন্ন অবস্থানে আঁকা। মনে করা হয়, হয়ত এগুলো অলংকরনের জন্য করা হয়েছে। এই নিস্প্রান বাইসন গুলোকে “aerial view”থেকে দেখতে হবে । এগুলো একেকটাকে একেক অবস্থানে আঁকা হয়ছে । এই ছবিতে কোন অবস্থান, কোন পিছনের জায়গা, কোন নির্ধারিত স্থান নেই। কোথাকার পশু অথবা এদের সম্পর্ক, পলিওলিথিক শিল্পির সাথে আদৌ কোন সম্পর্কযুক্ত ছিল না। বরঞ্চ পৃথক এই বাইসনগুলো হল ছাদের অলংকরন। সম্ভবত এটি ভিবিন্ন সময়ে দেয়ালে চিত্রায়িত হয়েছে এবং এই ছবির অর্থ রহস্যময় হতে পারে। ৩। PECH-MERLE এই গুহার ছবিই বলে দেয় পলিওলিথিক মানুষরা সৃষ্টি করেছিল এবং মনোযোগ সহকারে লক্ষ করেছিল। এই গুহার ছবিতেই প্রথম মানুষের হাতের চিহ্ন দেখা যায়। তখনকার শিল্পীরা কেন ছবির সাথে হাতের চিহ্ন রেখেছিল তা নিয়ে সমালোচকদের মধ্যে নানা মতবেদ আছে। pech merle গুহাটিও প্রান্সে পাওয়া যায় । এখানে যে ছবিটা পাওয়া যায় তার নাম হল “Spotted horses and negative hand imprint” এই ছবিটি ২২০০০ বছর পূর্বের এবং এটি ১১’২” লম্বা । এই ছবিতে দেখা যায় দুটি ঘোড়া দু দিকে । ঘোড়া দুটি অবশ্য একই সময়ে আঁকা নয় কারন একটির উপর আরেকটি আঁকা তাছাড়া পিছনের ঘোরাটির ছাপ দেখা যায়। এছাড়া অনেক গুলো হাতের চিহ্ন রয়েছে। গবেষকরা মনে করেন যে এই হাতের চিহ্নগুলো দলের সদস্যদের অথবা শিল্পীর নিজের। তাছাড়া মনে করা হয় এই হাতের চিহ্ন শিল্পী স্বাক্ষর হিসেবেও ব্যাবহার করতে পারে। কিন্তু পলিওলিথিক চিত্রের অর্থ অজানাই । পস্তর যুগের শিল্পীরা হরিন, বাইসন বা অন্যান্য পশুদের খুব ভাল করেই অবলোকন করত আর অমসৃণ গুহার দেয়ালে খুব দক্ষতার সাথেই এইসব পশুর ছবি আঁকত। ৪। Chauvet Cave Paintings: spectacular artwork ছুবাত গুহার চিত্রগুল অত্তান্ত জমকালো। এবং অনেক বেশী পুরানো। Vallon-Pont-d’Arc, southern France এই গুহার অবস্থান। ছুবাত গুহার চিত্র অনেক বেশী পুরানো । আলতামিরার চেয়েও ১৫০০ বছর পূর্বের। বৈজ্ঞানিক গবেষণা শেষে ফ্রাঞ্চের প্রত্নতাত্ত্বিকরা ঘোষণা করে এপর্যন্ত আবিষ্কৃত গুহা গুলোর মধ্যে এই গুহাটি সবচেয়ে বেশী পুরানো এটি প্রায় ৩০০০০-২৮০০০ খ্রিঃ পুঃ। এই গুহাটি ১৯৯৪ সালের দিকে জনপ্রিয় হয়। গবেষক দলের প্রধান Jean-Marie Chauvet এর নাম অনুসার রাখা হয় ছুবাত গুহা। ছুবাত গুহাতে প্রাপ্ত ছবি হল “Aurochs, horses, and rhinoceroses” এই গুহাতে কিছু ভাস্কর্যও পাওয়া যায়। এই ছবিতে গণ্ডার, ঘোড়া এছাড়া পায়ের ছাপ পাওয়া যায়। এই ছবির সময়কাল নিয়ে অনেক মতবেদ আছে । লাস্ক গুহার সাথে তুলনা করলে দেখা যাবে ছুবাত গুহার চিত্র অনেক বেশী naturalistic । একটার পাশে একটা এবং এখানে twisted perspective ব্যাবহার হয়নি । এখানের ছবিগুলো অনেক বেশী বাস্তব ধর্মী। নীচে ডানদিকে দুটি গণ্ডারকে মুখমুখি করে আঁকা। হয়ত শিল্পী কোন গল্প বুঝাতে চেয়েছে। অন্যান্য গুহার ছবি গুলোর চেয়ে এই গুহার ছবি অনেক বেশী সুন্দর বাস্তব ধর্মী ড্রইং যার ফলে প্রত্নতাত্তিকদের মধ্যে এর সময়কাল নিয়ে বিতর্ক আছে এবং তারা এই গুহার দেওয়ালের মাটি পরিক্ষা নিরিক্ষা করেছে। ৫। Magura Cave Paintings: peeking into the prehistoric world : মাগুরা গুহা “Bulgaria” র উত্তর পশ্চিমে রাজধানী “সঁপিয়া” থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই গুহার ছবি অনন্য। নতুন যুগের সুচনাধার। এটি “Bronze Age”এর শুরুর দিকের গুহা ছবি। এইখানে ছবিতে অনেকগুলো মানুষের শরীর আছে, ভিবিন্ন ধরনের প্রাণী, সূর্য তারা ইত্যাদি। কিছু নৃত্যরত মহিলা, নৃত্তরত পুরুষ রয়েছে , শিকারি মানুষও আছে এছাড়া ব্যাবহার করা জিনিস পত্রের ছবিও আছে। এখানে কিছু ধর্মীয় ব্যাপার দেখা যায় । এবং কিছু সম্ব্রান্ত লকের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। কিছু ছবি আছে যা খুব complex compositions এবং পৃথিবীর বহুমুখী উপায় সম্পর্কে ইঙ্গিত দেয়। বুদ্ধিমত্তা এবং আধ্যাত্মিকতা সম্পর্কেও বুঝা যায় । মাগুরা গুহাচিত্র বলে দেয় এর কাজ ছিল ধর্মীও উপাসনালয়ের মত, অনেক দীর্ঘ সময় ধরে। নবপলিও থেকে লৌহ যুগ পর্যন্ত। ৬।Cosquer Cave Paintings: এই গুহাটি Calanque de Morgiou Marseille, France এর নিকটে Cap Morgiou থেকে খুব বেশী দূরে নয় । Henri Cosquer ১৯৯১ সালে এটি আবিস্কার করেন। এই গুহাটি বাসস্থানের ক্ষেত্রে অন্য গুহা থেকে আলাদা।এখানে ডজন ছবি পাওয়া যায় এখানের ছবিগুলোও অন্য গুলোর থেকে আলাদা । এখানে বাইসন, ঘড়া, সামুদ্রিক প্রাণী জেলি মাছে ইত্যাদি ধারা সজ্জিত। ছবিগুলো ২৭০০০ থকে ১৯০০০ বছরের পুরানো। ৭। Font de Gaume Cave Paintings: Denis Peyrony ১৯০১ সালে গুহাটি আবিস্কার করে। তিনি একজন স্কুল শিক্ষক। এইখানের ছবি গুলো ১৭০০০ বছরের পুরানো ম্যাগদালিয়ান দের সময়ের । পরবর্তীতে আরও অনেকগুলো ছবি আবিষ্কৃত হয়। এই গুহার সবচেয়ে জনপ্রিয় ছবি হল “a frieze of five bison” । ১৯৬৬ সালে গবেষকরা গুহা পরিস্কার করাকালে হঠাৎ এই ছবিটি আবিস্কার করে। “Font de Gaume” গুহার দেয়ালে চিত্রায়িত ছবিগুলো অনেকবেশি বর্ণিল। এই গুহাটি ২০০ টিরও বেশী ছবি আছে । লাস্কো গুহার মত এখানকার ছবিগুলো বর্ণিলের দিকে উধারনযোগ্য অবশ্য এটি জনসাদারনের প্রবেশ নিষেদ। এখানে ৮০ টি বাইসন, ৪০ টি ঘোড়া, ২০ টি হস্তী চিত্র আছে। ৮। APOLLO 11 CAVEঃ ১৯৬৯ এবং ১৯৭২ সালে বিজ্ঞানিরা “এপোলো ১১” নিয়ে কাজ শুরু করে । এটি আফ্রিকার Namibia তে অবস্থিত । এখানে ৭ টি পাথরের ফলক চিত্র পাওয়া যায় । চারটি বা পাঁচটি পশুর ছবিওলা । এই ছবিগুলো ২৩০০০ বছরের পুরানো । একটি ফলকে জেব্রার ছবি ছিল। সব সময়ের সব শিপ্লিদের দুটি প্রশ্ন আসে কাজ শুরুর আগে “ বিষয় কি ?” “কি উপস্তাপন হবে” । পলিওলিথিক সময়েই এই উত্তর পাওয়া যায়। তখনকার বিষয় ছিল বাইসন, হরিন, ঘোড়া, হস্তী ইত্যাদি পশু । হয়ত তাদের প্রয়োজনের কারনে তারা সেগুলই উপস্থাপন করত। এখানে প্রাপ্ত পাথর ফলকে একটি ছবি হল “Animal facing left”। এটি কয়লা দিয়ে আঁকা । এবং এটি সেই জেব্রার ছবি। সার কথা ইতিহাসের পূর্ব যুগে অর্থাৎ পলিওলিথিক সময়ে মানুষ কেন গুহার দেয়ালে এই ছবি গুলো এঁকেছিল এই নিয়ে অনেক মতবাদ ,তবে গ্রহণযোগ্য হল তারা যাদু বিশ্বাসের কারনে এই ছবি এঁকেছিল । ছবি এঁকে শিকার করত গেলে হয়ত খুব সহেজে পশুকে শিকার করা যাবে। ছবিগুলো সাধারণত গুহার গভীরে আঁকা হত, প্রাকৃতিক রং এবং পশুর চর্বি ব্যাবহার করা হত। পরবর্তীতে দেখা যায় ছবির পাশে হাতের চিহ্ন আঁকা হত । হয়ত স্বাক্ষর হিসেবেও ব্যাবহার হত। ফ্রান্সের প্রায় কয়েক কিলোমিটারে ১০০ টিরও বেশী গুহা আবিষ্কৃত হয়। শিল্পচর্চা বা সৌন্দর্যচর্চা মানুষের আবিরভাবের পর থেকেই শুরু যা এই গুহা চিত্র দেখলেই বুঝা যায়। আদিম মানুষের এই শিল্পচর্চা এখনও প্রত্নতাত্ত্বিকদের গবেষণার বিষয়।
Posted on: Tue, 23 Jul 2013 14:36:39 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015