Pablo Neruda হতাশার গান – পাবলো - TopicsExpress



          

Pablo Neruda হতাশার গান – পাবলো নেরুদা হতাশার গান – পাবলো নেরুদা অনুবাদঃ শিরীষ • রাতের আঁধার থেকে স্মৃতির কুহকে ভেসে যাই নদীর আর্তনাদ মিশে গেছে সমুদ্রের বুকে ভোরের একলা তৃণের মত আমি আর কেউ নেই কিছু নেই মৃত পুষ্পের বরষায় ধ্বংস কূপের গভীরে গভীরে ঢুকে যাই ধ্বংস আর উড্ডয়নে মিশে আছ তুমি তোমার বুকের কিনার থেকে উড়ে উড়ে চলে গেছে গানপাখি দল এই অন্তরালের মত ডুবিয়ে দিয়েছ সব সমুদ্র অথবা সময়ের মত সবকিছু ডুবে গেছে তোমার গভীরে সে এক অন্য প্রহর ছিল রক্তের, চুম্বনের জাদুর প্রহরে যেন জ্বলে ওঠা বাতিঘর তোমাতেই ডুবে গেছে উচ্ছন্নের প্রেম, নাবিকের ভয় শিশিরের শৈশবে আমার আত্মার জাগরণ, তার আলীন উড়াল আহত পাখা – সবকিছু নিমগ্ন করেছ তুমি কষ্ট জড়িয়ে ধরে ইচ্ছে ছুঁয়েছ তুমি বিষণ্নতায় নির্বাক তোমার সুকরুণ বুকে ডুবে গেছে সব যত কামনা আর পৃথিবীর কাজ পিছু ফেলে বানিয়েছি ছায়ার দেয়াল – চলে যাই হায় আমার শরীর, হায় হারানো কিশোরী! শুনে নাও বৃষ্টিপ্রহরের সব গান কাঁচের বয়ামে তুমি অসীম মমতা রেখেছিলে আর অবাক বিস্মরণে চৌচির হয়ে গেছ তুমি সেই মমতার কাঁচ সুদূর দ্বীপের কোন আঁধার নির্জনতায় ডেকে নিয়েছিলে তৃষ্ণা ক্ষুধায় ছিলে ধ্বংসে ব্যথায় ছিলে, তুমি বিস্ময়। কী করে ধারণ করেছিলে বল আত্মার নিগড়ে, আলিঙ্গনে! কতটা অঘোর অথবা ক্ষণস্থায়ী প্রার্থনা ছিলো আমার কতটা দুঃসাধ্য মাতাল, উদ্বিগ্ন লোভাতুর চাওয়া ছিলো তা ! সোহাগশ্মশান, তোমার সমাধিতে এখনও প্রদীপ জ্বলে পুষ্প ফলের শাখা পুড়ে পুড়ে যায় পাখিরা ঠুকরে খায় হায় এই দংশিত মুখ, চুম্বনসিক্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ আগ্রাসী দাঁত, জড়ানো শরীর হায় আশা আর পীড়নের শংখজড়াজড়ি যেইখানে মিশে গেছি, নিঃশেষ হয়েছিতুমি আমি আলো আর জলের মত ছড়িয়ে গিয়েছে মমতারা সব ধীরলয়ে কথা ফোটা ঠোঁটে এই ছিলো আমার নিয়তি ঐ একটাই কাঙ্খিত ভ্রমণ সব চাওয়ারা মিশে গেছে সেইখানে, তোমাতেই নিমজ্জিত হয়েছে সব! হায় ধ্বংসস্তূপের কূপ, সব ডুবেছেতোমাতে কোন্ ব্যথাটা আশা করনি তুমি, ডোবনি কোন্ বেদনায়? কোনো এক নাবিকের মত জাহাজের মাস্তুল থেকে ঢেউ থেকে ঢেউয়ে তুমি ডেকে গেছ, গেয়ে গেছ— তুমি এখনো গানের প্রসূন, স্রোত বেঁধে রাখ ওহ ধ্বংস আমার বেদনা তীব্র কর অন্ধ ডুবুরী, ব্যর্থ শিকারী পথহারা নাবিক – সবাই যে ডুবে গেছে তোমার শরীরে রাত যেই ক্ষণ বেঁধে দিয়েছে সমস্তদিনপঞ্জিকায় চলে যাওয়ার সেই শীতল প্রহর এসে গেছে অবাধ্য ঢেউ সব মিলে গেছে সমুদ্রতীরে শীত নক্ষত্র জেগে ওঠে, রাত্রি পাখিরা চলে যায় রাতভোরের নিঃসঙ্গ জেটির মত আমি আমার তালুতে মুচড়ে ওঠে কম্পিত ছায়া দূর থেকে দূরে, সুদূরে সুদূরে এখন বিদায় হে বন্ধু বিদায়! হাঁটছি – পাবলো নেরুদা অনুবাদ: ইমন জুবায়ের প্রায়শ এমন হয়-নিজেকে মানুষ ভাবলে বমনেচ্ছা হয় হেঁটে যাই দর্জির দোকান আর সিনেমাহলের ভিতর দিয়ে শুকিয়ে ওঠা, জলনিরোধক, পশমী কাপড়ের তৈরি একটি রাজহাঁস নিয়ন্ত্রণ করছে আমার পথ ছাই আর জরায়ূর জলে। নাপিতের দোকানের গন্ধ আমাকে ঠেলে দেয় ঘোড়ার কান্নার ভিতরে আমি কেবল পাথর কি পশমের মতন স্থির শুয়ে থাকতে চাই আর আমি দোকান আর আমি বাগান দেখতেচাই না দেখতে চাই না পন্য, চশমা, লিফট। প্রায়শ এমন হয়- আমার পা ও নখের ওপর ঘেন্না ধরে যায় আর আমার চুল আর আমার ছায়ায় বমনেচ্ছা হয় । প্রায়শ এমন হয়-নিজেকে মানুষ ভাবলে বমনেচ্ছা হয়। এখনও বিষয়টি চমৎকার হতে পারে সুন্দর লিলি ফুল দিয়ে একজন আইনেরকেরানিকে ভয় দেখানো অথবা কানে আঘাত করে সন্ন্যাসিনীকে খুন করা বেশ হয় সবুজ চাকু নিয়ে হেঁটে গেলে রাস্তায় ঠান্ডায় মরার আগে তারস্বরে চিৎকার করলে। অন্ধকারে শিকড় হতে আমি চাইনা অনিশ্চিত, ছড়ানো, ঘুমের সঙ্গে শিউরানো নীচে নেমে যাওয়া, একেবারে পৃথিবীর ভেজা-ভেজা নাড়িভুঁড়িতে ভিতরে নিতে নিতে ভাবা, প্রতিদিন খাওয়া। আমি এত দুঃখযাতনা চাইনা। সমাধি ও শিকড়ের মতো আমি হয়ে যেতেচাই না, ভূতলের নীচে একা, গুদাম ভর্তি মৃতদেহ, অর্ধ-দিগন্ত, ক্ষোভে মরে যাওয়া। এই জন্যই সোমবার, যখন আমায় আসতে দেখে আমার দন্ডিত মুখ, গ্যাসোলিনের মতো জ্বলন্ত, আর আহত চাকার মতো চিৎকার করছে পথে আর রাত্রির অভিমুখে ছেড়ে যায় উষ্ণ রক্তভর্তি ট্রাক । আর আমায় ঠেলছে বিশেষ কোণে, আর্দ্র ঘরে হাসপাতালে- যেখানে হাড় উড়ে যায় জানালায়, ভিনেগারের গন্ধওয়ালা জুতার দোকানে, আর চামড়ায় অতি কুৎসিত দাগ লাগা বিশেষ রাস্তায়। ওখানে বাড়ি দরজায় ঝুলে আছে সালফার-রঙা পাখি, আর কদাকার অন্ত্র -যা আমি ঘৃনা করি, আর, কফিপটে ভুলে ফেলে রাখা কৃত্রিম দাঁত, আয়না লজ্জ্বায় আতঙ্কে কাঁদা উচিত সবখানে ছাতা, সর্পবিষ, আর জন্মের নাড়ি। একা ঘুরছি সমাহিত ভঙ্গিতে, আমার চোখ, আমার জুতা আমার ক্রোধ, সবই ভুলে যাচ্ছি, হাঁটছি, অফিস ভবনের ভিতর দিয়ে অর্থোপেডিক দোকান, এবং চত্তরে লাইন ধরে কাপড় শুকোতেদিয়েছে, অর্ন্তবাস, তোয়ালে আর শার্ট থেকেধীরে ময়লা কান্না ঝরছেপ্রশ্নের বই থেকে ৩ – পাবলো নেরুদা অনুবাদ: সমর গোসাই ..................... বলো আমাকে গোলাপ কি নগ্ন নাকি নগ্নতাই তার পোশাক ? কেন গাছেরা লুকায় মুলে মুলে দীপ্ত প্রভা ? কে শোনে হতাশার বাণী চোরের মত ছুটে চলা অটোমোবাইলের ? এর চেয়ে দু:খের কি কিছু দেখছ এ জগতে বৃষ্টিতে ভিজতে থাকা রেল গাড়িনিঃসঙ্গ মৃত্যু – পাবলো নেরুদা অনুবাদঃ অসিত সরকার নির্জন কবরখানা স্মৃতিস্তম্ভগুলো নিঃশব্দ অস্থিতে পরিপূর্ণ, অন্ধকার সংকীর্ণ গুহার মধ্যে দিয়ে হৃদয় আসে যায়ঃ যেন জন্মলগ্ন এক জাহাজের খোলের মধ্যে আমরা মারা গেলাম যেন হৃদয়ের অতলান্তে আমরা তলিয়ে গেলাম যেন সত্তার আপন অস্তিত্বে আমরা মিশে গেলাম। অজস্র মৃতদেহ ক্লেদাক্ত হিমেল পা, পাঁজরে পাঁজরে জড়ানো মৃত্যু, পবিত্র একটা শব্দের মতো কুকুরবিহীন তীক্ষ্ণ চিতকারের মতো অশ্রু কিংবা বৃষ্টির আর্দ্রতায় ফুলে ওঠা কবরে নানা ঘন্টাধ্বনির মতো। কখনও কখনও, একা, আমি দেখি কফিনগুলো খোলা পালে বিবর্ণ মৃতদের বয়ে নিয়ে চলেছে, মৃত কুন্তলে জড়ানো নারী, দেবদূতের মতো শুভ্র রুটিওয়ালা, বিষণ্ন কেরানীবধূ, কফিনগুলো নেমে গেলো মৃত্যুর খাড়াই নদীতে, মদিরার মতো রক্তবর্ণ গাঢ় নদী, দারুণ খরস্রোতা, মৃত্যুর শব্দে পালগুলো ফুলে উঠছে পালগুলো ফুলে উঠছে মৃত্যুর নিঃশব্দ ধ্বনি প্রতিধ্বনিতে। মৃত্যু এসে পৌঁছালো কলশব্দমুখর নদীবেলায় পা-বিহীন একটা জুতোর মতো, মানুষবিহীন একটা পোশাকের মতো আংটি আর আঙুলবিহীন হাতে কড়া নাড়বে বলে সে এসে পৌঁছালো এসে পৌঁছালো মুখবিহীন জিভবিহীন কন্ঠস্বরবিহীন কন্ঠে চিতকার করবে বলে। কখনও প্রতিধ্বনিত হয় না তার পদপাতের শব্দ। গাছের পাতার মতো তার পোশাকের খস্‌খস্‌ শব্দ। আমি ঠিক জানি না, আমি খুব অল্পই বুঝি, আমি খুব কমই দেখি তবু আমার মনে হয় তার গানের রঙ তরল বেগুনে, যে রঙ মাটির সঙ্গে মিশে যায়, কেননা মৃত্যুর মুখ মৃত্যুর অপলক চোখের দৃষ্টি অবিকল সবুজ, বেগুনে পাতার বিদীর্ণ আর্দ্রতায় উন্মত্ত শীতের রঙ বিষণ্ন ধূসর। অথচ পল্লবের ছদ্মবেশে মৃত্যু পৃথিবীর মধ্য দিয়ে চলে যায় মৃতের খোঁজে মাটি থেকে লাফিয়ে ওঠে, মৃত্যু পল্লবে মুখ ঢাকে, মৃত্যুর জিভ খোঁজে শবদেহ, মৃত্যুর ছুঁচ খোঁজে সুতো। মৃত্যু আমাদের দোলনার আশেপাশে সস্তা মাদুরে, কালো কম্বলে মৃত্যু মাথা গুঁজে থাকে, তারপর সহসা উধাও- বিষণ্ন শব্দে চাদর দুলিয়ে সে চলেযায় আর বিছানাগুলো পাল তুলে ভেসে যায়বন্দরের দিকে যেখানে সম্রাটের মতো সুসজ্জিত পোশাকে অপেক্ষা করে থাকে মৃত্যু।জীবন – পাবলো নেরুদা অনুবাদ: অসিত সরকার মাঝে মাঝে যখন তোমার কথা ভাবি কি যে খারাপ লাগে! যেহেতু তুমি জানো না আমার সঙ্গে রয়েছে অগণন বিজয়ী মানুষের মুখ যা তুমি দেখতে পাও না, আমার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে অগণন পা আর হৃদয়, তাই আমি একা নই একা হিসেবে নিজের কোনো অস্তিত্বই নেই, আমি কেবল রয়েছি যারা আমার সঙ্গে চলেছে তাদের পুরোভাগে, তাই আমি দুর্বল নই কেননা আমি কেবল আমার ছোট্ট জীবনটাকেই বহন করে নিয়ে চলিনি চলেছি সমস্ত মানুষের হৃদয়কে বহন করে এবং এগিয়ে চলেছি দৃঢ় পায়ে কেননা আমার যে হাজারো চোখে, নিমেষে চূর্ণ করে ফেলি ভয়ঙ্কর সবপাথর কেননা আমার যে হাজারো হাত, তাই আমার কন্ঠস্বর প্রতিটা দেশের সমুদ্রতীর থেকেও শোনা যায় কেননা এ কন্ঠস্বর যারা কখনও কথা বলেনি তাদের, যারা কখনও গান গায়নি তাদের, আর আজ যারা গান গাইছে চুম্বনে তারা তোমাকে স্পর্শ করছে।আমার কাছ থেকে দূরে থেকো না – পাবলো নেরুদা আমার কাছ থেকে দূরে থেকো না, দয়া করো একটা দিন অনেক অনেক দীর্ঘ সময়, অনেক দূরে ঘুমে থাকা ট্রেনের আশায় নীরব ইস্টিশানের জন্যে, আমার জন্যে। একদন্ড আমায় ছেড়ে যেয়ো না, কারণ- ভয়ের শীতল স্রোত ঘিরে ফেলে আমায়, অথবা ঘর খোঁজা ধোঁয়া এসে চেপে বসে বুকের উপরে, গলা টিপে ধরে আমার। হারিওনা তুমি ছায়া হয়ে সমুদ্র তীরে; তোমার চোখের পাতায় হারিওনা দূরে। এক মুহূর্ত আমার ছেড়ে থেকোনা প্রিয়, এক মুহুর্তে তুমি খুব দূরে চলে যাবে আমি উদ্ভ্রান্ত ভেবে যাব, তুমি আসবে? নাকি আমি আমৃত্যু রয়ে যাব একা? আলোর জন্তুরা – পাবলো নেরুদা আজ হারিয়ে যাওয়া অরণ্যের গভীরে সে শুনতে পাচ্ছে শত্রুর আওয়াজ, পালাচ্ছে ছুটে অন্যদের থেকে নয়, নিজেরই কাছ থেকে পালাচ্ছে সেইসব সংঘবদ্ধতা জড়িয়ে ছিল আমাদের জীবনের মানে থেকে কারণ শ্ধু একবার,শুধুই একবার একটাই অক্ষর বা নিঃস্তব্ধ খানিকটা বিরতি | অতৃপ্ত ঢেউয়ের শব্দ ঠেলে দেয় সত্যের মুখোমুখি আমায় ব্যাখ্যার কিছু নেই বলারও কিছু নেই, এই সব অরণ্যের দরজাগুলি বন্ধ সব সূর্য পরিক্রমা করে, জাগাতে গাছের পাতা চাঁদ উঠছে সাদা ফলের মতন মানুষ নিচু করছে মাথা ভবিতব্যের কাছে | মাচো পিচুর উচ্চতা থেকে – পাবলো নেরুদা অনুবাদ:ইমন জুবায়ের আমার জন্মের সঙ্গে জেগে ওঠ ভাই আমার গভীর থেকে বাড়িয়ে দাও তোমার মলিনহাত । এইসব পাথরের দৃঢ় শাসন থেকে ফিরবেনা তুমি। পাতালের সময় থেকে উঠবে না জেগে । ফিরে আসবে না তোমার খসখসে কন্ঠস্বর, কোটর থেকে তোমার বিস্ফারিত চোখ দুটি উঠে আসবে না। মৃত্তিকার গভীর থেকে এই আমাকে দ্যাখো, ফসলের মাঠের কর্মি, তাঁতী, মৌন মেষপালক, টোটেমিয় প্রাণির রক্ষক, উচুঁ ঝুঁকিপূর্ন ভারার রাজমিস্ত্রি আন্দেজের কান্নার বরফমানুষ থেঁতলানো আঙুলের স্বর্ণকার কচি ফসলের মাঠে উদ্বিগ্ন চাষা অপচয়ী কাদায় কুমাড় পাত্রে নতুন এই জীবন আনে তোমার প্রাচীন সমাহিত দুঃখ। দেখাও তোমার রক্ত, দেখাও তোমার ক্ষত; আমাকে বল: এখানে আমি নির্যাতিত হয়েছিলাম কারণ, নিম্নমানের রত্নপাথর কিংবা পৃথিবী সময়মতো শষ্য ও রত্নপাথর দিতে পারেনি। আমাকে দেখাও কোন্ পাথরের ওপর তুমি ছটফট করেছ কোন অরণ্যের কাঠে তারা তোমায় করেছে ক্রশবিদ্ধ। পুরনো পাথর ঘষ জ্বালাও প্রাচীন প্রদীপ, আলোকিত কর চাবুক শতাব্দী ধরে তোমার ক্ষতে আঠার মতন লেগে আছে আর আলোকিত কর তোমার রক্তে ভেজা কুঠার । আমি তোমার মৃত মুখের ভাষা দিতে এসেছি। বিশ্বজুড়ে মৃত ঠোঁট একত্রিত হও, গভীর থেকে উঠে এসে এই দীর্ঘ রাত্রি আমার সঙ্গে ঘূর্নায়মান হোক যেন আমি তোমার সঙ্গে নোঙরে বাধা। আর আমাকে সব বল, স্তর থেকে স্তরে বল খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বল, ধাপে ধাপে বল। যে ছোরাটি লুকিয়ে রেখেছ সেটিতে ধার দাও বিদ্ধ কর আমার পাঁজরে, আমার হাতে, সূর্যবিস্ফোরনের ঝঞ্ছার মতো সমাহিত জাগুয়ারের আমাজন এবং আমাকে কাঁদতে দাও, ঘন্টা, দিনও বছর অন্ধ সময়, সৌর শতাব্দী। আর আমায় স্তব্দতা দাও, জল দাও, আশা দাও। সংগ্রাম দাও, লৌহ, আগ্নেয়গিরি। শরীরগুলি আমার শরীরে চুম্বুকের মতন আটকে আমার শিরায় আমার মুখে আসুক দ্রুত কথা বলুক আমার ভাষায় আমার রক্তে ।
Posted on: Wed, 24 Sep 2014 08:42:42 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015