Parents and Guardian are highly recommended to read the article. - TopicsExpress



          

Parents and Guardian are highly recommended to read the article. It will just take you 5mis or so but could bring blessing of more than that and Allah knows the best, who would be benefited from this post. JajakAllahuKhayeer বন্ধু আমাদের জীবনে চলার পথে একটি খুবই গুরুত্বপুর্ণ একটি বিষয়। জীবনের ভালো মন্দ সকল কাজেই বন্ধুর প্রভাব অনস্বিকার্য। একজন ভালো বন্ধু যেমন জীবনযুদ্ধে সফলতা অর্জনের অনেক বড় ভুমিকা রাখতে পারে, ঠিক তেমনি খারাপ বন্ধু পারে তাকে ধ্বংসের অতল গহ্বরে ঠেলে দিতে। বন্ধু যে শুধু বড়দেরই প্রয়োজন তা নয়, বরং শিশুকাল থেকেই মানুষের বন্ধু প্রয়োজন। তাই মা-বাবাকে হতে হবে সন্তানের সবচেয়ে ভালো বন্ধু। যদি সন্তান বাবা মায়ের কাছ থেকে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ না পায়, তবে তাদের প্রতি সন্তানের কোনো শ্রদ্ধাবোধ ও ভালোবাসা সৃষ্টি হয় না, বরং সৃষ্টি হয় একধরনের আতঙ্ক। আর এ আতঙ্ক থেকে তৈরি হয় হীনমন্যতা ও আত্মকেন্দ্রিকতা। যে আতঙ্কের কারণে একসময় তাদের গালাগালি-মার সবকিছু মুখ বুজে সয়ে যেতো, বয়স বাড়ার সাথে সাথে তা দূর হয়ে যায়। তখন পিতামাতার প্রতি তৈরি হয় বিরূপ মনোভাব। সে তখন বাইরের জগত থেকে বন্ধু খুঁজে বের করে। বাবা-মায়ের কাছে কথা গোপন করে। মা-বাবার চেয়ে বন্ধুদেরকে সে তার বেশি শুভাকাঙ্ক্ষী মনে করে। আবার বাবা-মা ফ্রেন্ডলি হওয়া সত্ত্বেও সেকুলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহপাঠীদের অসৎ সঙ্গের কারণে অনেক সময় ছেলে-মেয়ে বিগড়ে যেতে পারে। সাধারণত সব শিশুই একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত পরিবারকেন্দ্রিক থাকে; তখন পারিবারিক নিয়ম-শৃঙ্খলা, বাধা-বন্ধনকে লঙ্ঘন করার মানসিকতা তার থাকে না। কিন্তু একটা বয়সে এসে তাঁর মধ্যে বাঁধভাঙ্গা স্বাধীনতার স্বর্গীয় স্বাদ আস্বাদনের ভয়ঙ্কর এক অদম্য স্পৃহা জেগে ওঠে। এ পর্যায়ে এসে পারিবারিক নিয়ম শৃঙ্খলা কিংবা বাবা মায়ের শাসন কোনোটাই তার আর ভালো লাগে না। ভালো-মন্দের তেমন কিছু না বোঝা সত্ত্বেও সে মনে করে বাবা-মায়ের চেয়ে সে-ই অনেক ভালো বোঝে। আর সাথে যদি কলিযুগের সেকুলার স্কুলের ইয়াপ্পি ইয়াপ্পি বন্ধু-বান্ধব এসে জোটে তাহলে তো আর কথাই নেই। এ সন্তান থেকে ভালো কিছু আশা করাই দুরাশা। বাবা-মা যতই ইসলামপন্থী হন না কেন একঝাঁক অতিচালাক, ইঁচড়ে পাকা ছেলে-মেয়েদের মধ্য থেকে একটি বাচ্চার পক্ষে স্বাভাবিক ফিতরাতের উপর টিকে থাকা সত্যি কঠিন। তারপর যদি হয় কমবাইন্ড স্কুল তাহলে তো ‘সোনায় সোহাগা’। আমি একটা স্কুলে কিছু দিনের জন্য ভলেনটিয়ার টিচার হিসেবে কাজ করেছিলাম। একটা বিষয় দেখে চরম অবাক হয়েছিলাম তখন। নার্সারির ছেলেদেরও সমবয়সী মেয়েদের ব্যাপারে ইন্টারেস্ট থাকে! ডিশ কালচারের এ এক ‘মহান অবদান’! সমতা, বৈষম্য ইত্যাদি নানা ধুঁয়া তুলে অনেক ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ছেলে মেয়ে একত্রে বসা বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়েছে। অধঃপতনের নানা এককে তাদের র‍্যাংক যে কোন লেভেলে পৌছেছে তা আজকাল কারোই অজানা নয়। তারপরও কীভাবে যে, বাবা-মায়েরা ছেলে-মেয়েদের কমবাইন্ড স্কুলে দিয়ে স্বস্তিতে থাকতে পারেন, তা সত্যিই বিস্ময়কর! এটাকে আমার কাছে রীতিমত এক নির্মম দুঃসাহসিকতা মনে হয়। আমার এক কাজিন এবার ক্লাস এইটে উঠেছে। ফ্যামিলি থেকে চায় সে যেন ইসলামী বিধিনিষেধ মেনে চলা ফেরা করে। বাসা থেকে সবসময়ই তাকে এই বুঝ দেওয়া হয়। কিন্তু সে তথাকথিত স্বাধীনতার ভাইরাসে আক্রান্ত, ‘পরাধীনতার’ শিকলে সে আর বন্দী থাকতে চায় না। সে জিদ ধরেছে হাতে বড় নখ রাখবে। আন্টি বুঝানো থেকে শুরু করে গালা-গালি মার-ধর সবই করেছে। যে মেয়ে মাত্র তিন বছর আগে মাকে বাঘের মতো ভয় করত এখন সে তাকে মোটেই পাত্তা দেয় না, তার প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করে, এমন কি দুর্ব্যবহার পর্যন্ত করে। আমি হাদীসের কথা অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়েও তাকে বাগে আনতে পারিনি। দেখি তার চোখে-মুখে চরম বিরক্তির ছাপ। আন্টি আড়ালে নিয়ে আমাকে বললেন, ফ্রেন্ডদের দেখাদেখি এসব অধঃপতন হচ্ছে। এরপর আমি নিজের বাল্যকালের দুরন্তপনার নানা গল্প বলে সিচুয়েশনটা একটু ভালো করতে পেরেছিলাম। তারপর মিষ্টি করে নসিহত করেছি। দেখলাম, ক্রমেই বিরক্তির ছাপ দূর হয়ে মুখে হাসি ফুটেছে। সে বলেছে নখ কেটে ফেলবে। কিন্তু এভাবে কতদিন সামলানো যাবে। সত্যি বলতে কি, সব দোষ আমি মেয়েটাকে দিই না। আন্টিকে অনেকদিন বলেছি কম্বাইন্ড ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল বাদ দিতে। কিন্তু তিনি আমার কথা শুনেননি। আজ এ অবস্থা তো তার নিজের হাতের কামাই। খারাপ পরিবেশে বেড়ে উঠলে খারাপ হবে এটাই তো স্বাভাবিক। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: ‘সৎ সঙ্গী এবং অসৎ সঙ্গীর উদাহরণ হচ্ছে আতরওয়ালা ও কামারের মতো। আতরওয়ালা হয়তো তোমাকে আতর উপহার দেবে অথবা তুমি তার থেকে নিজেই কিনবে; অন্তত তার থেকে তুমি আতরের সুবাস পাবে। অন্যদিকে কামারের অগ্নিস্ফুলিঙ্গে হয়তো তোমার কাপড় পুড়ে যাবে অথবা সেখান থেকে তুমি দুর্গন্ধ পাবে।’ (সহীহ বুখারী) তাই প্রত্যেক বাবা-মায়ের উচিত ঘরে সন্তানদের জন্য সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করা, তাদের জন্য এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা যেখানে তারা আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে। নিজের সকল দায়িত্ব পালন করে তারপর তাদের হিদায়াতের জন্য আল্লাহর নিকট নিয়মিত দু‘আ করতে হবে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে বোঝার তাওফিক দান করুন। আমীন!!!
Posted on: Sun, 14 Jul 2013 05:51:57 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015