Post : Samiran Bhattacharya নিজের পক্ষে - TopicsExpress



          

Post : Samiran Bhattacharya নিজের পক্ষে চোখে জল ধরে রাখা সম্ভব ছিলনা বলেই শেয়ার করলাম এই মহিলা এম পির বক্তৃতা । দেখুন ইয়াজিদি একজন মহিলা কি বুক ভরা ব্যাথার ভারে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন এসেম্বলীতে অথচ সেখানেই অনেক এম পি একে সুন্নীদের বিজয় বলে আনন্দিত। হলে গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছিল যখন তিনি বলছিলেন লা ইলাহা ইল্লাহ বলে আক্রমন করা হচ্ছে। সাথে সাথেই যারা প্রতিবাদ করছি্লেন তাদের অটল একটা বিশ্বাস আছে - ইসলামের দোষ নেই এবং তাদের দায়িত্ব সর্বাগ্রে যারা ইসলামের নামে অভিযোগ তুলছে তাদের খতম করা। সুজোগ পেলে এই মহিলাকেও হত্যা করবে এই ধর্মান্ধ বিশ্বাসী বর্বরেরা। ইরাকের বর্তমানে তথাকথিত গনতান্ত্রিক সরকারের সদস্যদের আচরন দেখে এটা বলা যায় এই সদস্যরাও আই এস কেই সমর্থন করছেন। পশ্চিমা বিশ্বকে অনুকরন করে ভারত গনতাত্রিক রাষ্ট্র হতে সক্ষম হয়েছে কিন্তু পাকিস্তান পারেনি। বাংলাদেশ পারেনি। ইসলামের সাথে সাঙ্ঘর্ষিক বিধায় সেটা সম্ভব নয়। ইরাকে কোনদিনই গনতন্ত্র আসবেনা-আসতে পারেনা-এবং এই ছোট্ট ভিডিও দেখে সেটা বুঝতে কারোও কষ্ট হবেনা। ইসলামী রাষ্ট্রে প্রধান জিনিশ হচ্ছে ধর্ম। এর পর খুনা খুনি করো,চুরি করো,ডাকাতি করো,ধর্ষন করো, ঘরে হেরেম বানাও কোন আপত্তি ণেই। অর্থাৎ সকল অমানবিক কাজের লাইসেন্স হাতে পেয়ে যাবেন --নো প্রব্লেম। কি হবে সেই ধর্ম দিয়ে যে ধর্মের শিকার হতে হয় এই সভ্যতাকে। যে ধর্ম মানুষকে মানুষ বানাতে পারেনা তার সাম্ন্যতম প্রয়োজন আছে কি? ওদের মেয়েদের নিয়ে বিক্রি করছে আল্লার নাম রসুলের নাম না বলাতে। এক কথা-- ধর্মান্তর নয়ত শিরোচ্ছেদে মৃত্যু। সেক্স স্লেভ বানাচ্ছে ভদ্র শিক্ষিত মেয়েদের ধরে নিয়ে। মেয়েরা এখন আত্মহত্যা করছে ধর্ষনের হাত থেকে বাচতে। কোরানের নির্দেশ মেনে ইহুদী, খৃষ্টান সম্প্রদায় জিজিয়া কর দিয়ে বাস করার অনুমতি পেতে পারে হয়ত কিন্তু অন্য কাউকে সে দেশে প্রান নিয়ে বাচার অধিকার দেয়নি কোরান। ওহে বিশ্বাসীর দল, সতীদাহ কেনো শুরু হয়েছিল এবার নিজ চোখে দেখুন। ইসলাম কি ভাবে প্রচারিত হয়েছিল তা এবার নিজ চোখে দেখুন। এক একটি করে জাতি গোষ্ঠিকে নিশ্চিহ্ন করে এক দানবীয় শক্তি অর্জন করে বিশ্বকে সেই আসুরিক শক্তি সর্বগ্রাসী রূপ নিয়ে গিলতে বসেছে। কোন ধর্ম কোনদিন বিশ্বে শান্তি আনেনি। শান্তি আনতে পারে কেবল মানুষ। গ্রন্থ পড়ে কেউ ভালবাসা শিখেনা। মানুষকে ভালবাসাই আসল ধর্ম তার জন্য কোন গ্রন্থের দরকার পরেনা। হাজার বছর ধরে খুড়ে খুড়ে খাচ্ছে এই ধর্ম মানব সভ্যতাকে। এই শান্তির ধর্মের জন্য দশ কোটি মানুষ এখন পর্যন্ত রক্ত ঢেলে গেছে। হে বিশ্বাসীগণ,শান্তির ধর্ম নয় মানুষ চায় শান্তি। এই ধর্ম নামক বর্বরতার বিরূদ্ধে সকল বর্নের এবং ধর্মের মানুষ সকল বিভেদ ভুলে যে ভাবে পারেন-যেখান থেকে পারেন লড়াই করুন। ভুলে যান কে হিন্দু কে মুসলিম কে খৃস্টান। ধর্ম আমরা কেউ পছন্দ করে নেইনি তাই সরিয়ে রাখুন বই। খোলা চোখে দেখুন কি হচ্ছে। অসুর আক্রমন করেছে মানুষকে। দেখি কত বল ধরে অসুর কুল। ধর্মের নামে এরা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে এক সর্বগ্রাসী সন্ত্রাসী রাজ্য সৃষ্টির বাসনায়। আমেরিকার দোষ যারা দেয় তারা কোথায় ছিলেন যখন এই হত্যা কান্ড চলছিল? গাজা নিয়ে সরব কিন্তু ইয়াজিদিদের ব্যপারে আইএস আই এসকে সমর্থন দেয়ার বেলা লজ্জা লাগেনা সেই সকল বর্নচোরাদের। ইনকিলাব পত্রিকা সেদিন লিখেছে ইসলামের পতাকা এগিয়ে আসছে এবং আসবেই। হিটলার দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ শুরু করেছিল তার সাম্রাজ্যবাদী ফ্যাসিজম দ্বারা এবং সেই আসুরিক পরাশক্তিকে পদানত করেছিল এ গ্রহের মানুষ। এবার যে সাম্রাজ্যবাদ ধর্মের আবরনে ফ্যাসীজমকে ভর করে জগত জয় করতে চাইছে তাকে পদানত করতেই হবে, নইলে এই গ্রহে মানুষ থাকবেনা। এবার তৃতীয় মহাযুদ্ধ। মানুষের সভ্যতাকে মানুষের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে দেয়া হবেনা এটাই হোক আমাদের সকলের একমাত্র লক্ষ্য। আর ধর্মগ্রন্থ নিয়ে কে সেরা সেসব অবান্তর উন্মাদনা দেখতে চাইনা। একমাত্র পরিচয় হবে আমরা মানুষ। হিন্দুত্ববাদ, ইসলাম,জায়নিজম বা বাইবেলিজমকে বিদায় করতেই হবে। আমদেরকে মুল শিকড়ে যেতে হবে। আমরা আত্মবিস্মৃত হয়ে গেছি যে আমরা মানুষ অথচ পশুরাও আজ আমাদের চেয়ে ন্যায়পরায়ন।
Posted on: Wed, 20 Aug 2014 10:51:54 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015