Post-editorial written by Mujahidul Islam Selim which was - TopicsExpress



          

Post-editorial written by Mujahidul Islam Selim which was published in the 28th. July issue of Daily Ittefaq. : অস্ত্রমুক্ত করতে হবে ইসরাইলকে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম গত ২১ দিন ধরে ইসরাইল ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। গাজা ভূখণ্ডের প্রায় সব মানুষই মুসলমান। অধিবাসীদের ৮০ শতাংশ হলো ইসরাইল অধিকৃত অঞ্চল থেকে বিতাড়িত উদ্বাস্তু। অন্যদিকে ইসরাইল হলো দখলকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে স্থাপিত একটি ইহুদি রাষ্ট্র। এটি একটি জায়নবাদী রাষ্ট্র। তার মতবাদ হচ্ছে, ইহুদিরা হলো ঈশ্বরের বাছাইকৃত জনগোষ্ঠী এবং ফিলিস্তিন ভূখণ্ড হলো তাদের জন্য ঈশ্বর কর্তৃক নির্ধারণ করে দেয়া আবাসস্থল। একথা পরিষ্কার যে, এই মতবাদ হলো বর্ণবাদী, প্রতিক্রিয়াশীল, সাম্প্রদায়িক ও ফ্যাসিস্ট চরিত্রের। ইসরাইলের বেশিরভাগ মানুষ হলো ইহুদি এবং সেসব ইহুদির প্রায় সবাই হলো গত ৬০ বছর ধরে সেখানে নতুন করে বসতি স্থাপনকারী বহিরাগত। একদিকে রাষ্ট্রবিহীন জাতি (ফিলিস্তিন)। অন্যদিকে জাতিবিহীন রাষ্ট্র (ইসরাইল)। গাজায় ইসরাইলের কয়েক বছর পর পর ঘটতে থাকা আক্রমণকে অনেকে মুসলমান ও ইহুদিদের মধ্যকার সংঘাত ও যুদ্ধ বলে আখ্যায়িত করার চেষ্টা করে থাকেন। কিন্তু এই এক কথায় বিষয়টিকে শেষ করা যায় না। মুসলমান-ইহুদী সংঘাতের চেয়ে এক্ষেত্রে যে কথাটি অধিকতর সত্য তা হচ্ছে, এটি হলো স্পষ্টভাবে সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যের বিরুদ্ধে জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের দ্বন্দ্বজনিত সংঘাত। আজ বাদে কাল ঈদ। খুশির পয়গাম নিয়ে ঈদ আসছে বাংলাদেশ, গাজা ভূখণ্ডে, সারা দুনিয়ায়! মাসব্যাপী সিয়াম সাধন শেষে বিশ্বের মুসলমানরা ঈদের আনন্দে অবগাহন করবে, সব মানুষকে ভ্রাতৃত্ববোধে বুকে জড়িয়ে ধরবে—খুশির ঈদে এমনটি হওয়াই প্রত্যাশিত। কিন্তু ঈদের দিন বিশ্ব মানবের জন্য কোথায় সেই আনন্দের সম্ভাবনা? বিশ্ব মানবের কথা না হয় বাদ দিলাম, মুসলিম জাহানের জন্যই বা কোথায় সেই আনন্দে অবগাহনের সুযোগ? বিশ্বে ইসলাম ধর্মাবলম্বী যতো মানুষ আছে তাদের ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠই অনাহার, অর্ধাহার, অপুষ্টি, অশিক্ষা, কুশিক্ষা, কুসংস্কারের শিকার। সেই ক্ষুধাতুর মানুষের জন্য ঈদ কোথায়? যাকাতের কাপড় নিতে গিয়ে ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু, ডাস্টবিন ঘেঁটে বাসি দামি খাবারের কিছু খুঁটে এনে মুখে দেয়াটাই তাদের ঈদের আনন্দ। হররোজের নিরানন্দ জীবনের দুঃখ-বেদনার মাঝে একটু কম দুঃখ-বেদনায় কাটাতে পারাটাই হলো তাদের আনন্দের প্রকৃত স্বরূপ। তবুও ঈদতো ঈদই! ফুল ফুটুক না ফুটুক, আজ বসন্ত! কিন্তু বিশ্বের সব মুসলমানের জন্য সেটুকু কম দুঃখ-বেদনার সুযোগও এবারের ঈদে নেই। গাজা ভূখণ্ডের মুসলমানরা গত ২১ দিন ধরে বোমার আঘাতে মরছে, হাসপাতালে কাতরাচ্ছে, আশ্রয়ের জন্য পাগলের মতো এদিক-ওদিক ছুটে বেড়াচ্ছে। ইতোমধ্যে এক হাজারের বেশি মানুষ শহীদ হয়েছে। শিশু, বৃদ্ধ, নারী কেউ বাদ যাচ্ছে না। ঈদের আনন্দক্ষণেও তাদের সামনে ইসরাইলী হানাদারদের মৃত্যু পরোয়ানা! এ বর্বরতা নিছক মুসলমানদের বিরুদ্ধে ইহুদি নাসারাদের ক্রুসেড নয়, তা মানবতার বিরুদ্ধে দানবশক্তির নারকীয় অভিযান। শুধু গাজা ভূখণ্ডেই নয়, গোটা ফিলিস্তিন জুড়ে এবং সিরিয়া-ইরাক-লিবিয়া-আফগানিস্তানের মুসলমানদেরকেও এবার ঈদ করতে হচ্ছে ভয়ার্ত যুদ্ধ ময়দানের মৃত্যুদূতের নিরন্তর হাতছানির মাঝে। এসব জায়গায় প্রায় সব অধিবাসীই ইসলাম ধর্মাবলম্বী। তারা আজ বোমার আঘাতে মরছে, আহত হচ্ছে, তাদের ঘর-বাড়ি ধ্বংস হচ্ছে, উদ্বাস্তু হয়ে আশ্রয়ের সন্ধানে তাদেরকে পথে পথে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে। এসব এলাকার লক্ষ-কোটি মানুষের জন্য এবার ঈদ আসছে দুঃসহ যন্ত্রণা ও ভয়ার্ত আশংকাকে সঙ্গী করে। এজন্য দায়ী কি ইহুদী নাসারাদের ষড়যন্ত্র? নাকি সেজন্য দায়ী জাতীয় মুক্তির বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদের ভূ-রাজনৈতিক আধিপত্যবাদী অভিপ্রায়? সিরিয়া-ইরাক-লিবিয়া-আফগানিস্তানে এক মুসলমান হত্যা করছে আরেক মুসলমানকে। এ যেন মুসলমান-মুসলমানে যুদ্ধ! শিয়া-সুন্নী সম্প্রদায়ের মধ্যে সৃষ্টি করা হয়েছে ভ্রাতৃঘাতী যুদ্ধ। গোত্রগত ও নানাবিধ মতপার্থক্য ও বিভাজনকে উস্কে দিয়ে একপক্ষকে আরেক পক্ষের বিরুদ্ধে ভয়াবহ যুদ্ধাভিযানে নামিয়ে দেয়া হয়েছে। আইএসআইএস তথা ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক এ্যান্ড সিরিয়া (লাবান)-এর জল্লাদ বাহিনী সিরিয়া ও ইরাকের উত্তরাঞ্চলের জনপদগুলোকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে চলেছে। সিরিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহকে মদদ দেয়ার জন্য এই বাহিনীকে সৃষ্টি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব। এদিকে সিরিয়াতে অব্যাহত রয়েছে রাজনৈতিক-গৃহযুদ্ধ। মুসলমানদের মধ্যে গোষ্ঠীগত বিরোধকে পুঁজি করে রাজনৈতিক টার্গেটকে এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। এসবই করছে সাম্রাজ্যবাদ, বিশেষত মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও তার তাঁবেদার সৌদি আরবের শাসকচক্র। ইরাককে শিয়া, সুন্নী, কুর্দী—এই তিন ভাগে ভাগ করার পুরনো সাম্রাজ্যবাদী নীল-নক্শার বাস্তবায়ন প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে আসা হয়েছে। লিবিয়ায় গাদ্দাফিকে হত্যা করে এবং সে দেশে সৈন্য পাঠিয়ে পরিস্থিতিকে চরম হানাহানি ও রক্তক্ষয়ের ধারায় নিপতিত করা হয়েছে। আফগানিস্তান এখনো আমেরিকার দখলে। সেখানে নির্বাচন নিয়ে রাজনীতির চক্রান্ত চালানো হচ্ছে। সাথে সাথে অনিয়ন্ত্রিতভাবে অব্যাহত আছে তালেবানদের বিদ্রোহী অভিযান, আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ইত্যাদি। পাকিস্তানও এই অগ্নিকুণ্ডের বাইরে থাকতে পারছে না। আফ্রিকার অনেক মুসলমান অধ্যুষিত এলাকাতে মুসলমান-খ্রীস্টান সংঘাত, আল-কায়েদার শাখা-প্রশাখার বিভিন্ন অপারেশন ইত্যাদি সেসব জনপদের মুসলমানদের জীবনকে লণ্ডভণ্ড করে দিচ্ছে। বিশ্বে বেশিরভাগ মুসলমান আজ দারিদ্র্যের অভিশাপে দিন কাটাচ্ছে। তাছাড়া তাদের একটি বড় অংশ মৃত্যু, রক্তপাত, ধ্বংসের ভয়ানক আতঙ্কের মাঝে রয়েছে। এসব নিয়েই এবার গোটা বিশ্বের মুসলমানদের আনন্দ-উত্সবের দিন ঈদ সমাগত। কিন্তু তাদের এরূপ দুর্ভোগ ও দুর্যোগ মুসলমান হওয়ার জন্য ঘটেনি। ঘটেছে সাম্রাজ্যবাদের শিকার হওয়ার কারণে। ঘটেছে জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদের আঘাত ও ষড়যন্ত্রের কারণে। এমনিতে মনে হতে পারে যে, বিশ্বের মুসলমানদের এহেন দুর্গতি সর্বাংশে তাদেরই সৃষ্ট ও তাদেরই কর্মফল। কিন্তু তা মোটেও নয়। গাজা ভূখণ্ডের হামলাকারী হলো ইসরাইল। কিন্তু ইসরাইলকে অর্থ-অস্ত্র-কূটনৈতিক সমর্থন দিয়ে পরিচালনা করছে সাম্রাজ্যবাদ, বিশেষত মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ। মধ্যপ্রাচ্যের সর্বত্র যে রক্তপাত ও অরাজকতা সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে, তার সৃষ্টিকর্তা হলো সাম্রাজ্যবাদ। ঔপনিবেশিক আমল থেকেই ইঙ্গ-ফরাসি-জার্মান-মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী শক্তি উপনিবেশগুলোকে, তথা গোটা বিশ্বকে, তাদের নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ভাগ করো, শাসন করো নীতি প্রয়োগ করে এসেছে। উপনিবেশগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রেখে তারা সেখানকার সহায়-সম্পদ অবাধে লুটে নিয়েছে। তাদের শোষণের প্রয়োজনে ও নিজেদের মধ্যে লুটপাটের ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্ব সমাধানের স্বার্থে তারা ইচ্ছেমতো রাষ্ট্র গঠন, রাষ্ট্র বিলুপ্তি, সীমান্ত রেখা অঙ্কন ইত্যাদি করেছে। এভাবে তারা ঘরে ঘরে বিবাদ সৃষ্টি করে রেখেছে। ঔপনিবেশিক যুগের সমাপ্তি ঘটলেও, সাম্রাজ্যবাদের অবসান ঘটেনি। অর্থনৈতিক তথা নয়া-ঔপনিবেশিক কায়দায় সে তার শোষণ ও আধিপত্য কায়েম রেখেছে। সেজন্য সে সুকৌশলে এসব প্রাক্তন উপনিবেশ তথা তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক ও আঞ্চলিক বিবাদ জিইয়ে রেখেছে। এসব বিবাদ জিইয়ে রাখা ও উস্কে দেয়ার মাধ্যমে সাম্রাজ্যবাদ নানাভাবে তার স্বার্থ আদায় করে নিচ্ছে। প্রথমত, ভাগ করো, শাসন করো নীতি প্রয়োগ করে সে তৃতীয় বিশ্বের এসব দেশের জন্য অর্থনৈতিক স্বাধীনতাসহ পরিপূর্ণ জাতীয় মুক্তি অর্জনের পথে অন্তরায় সৃষ্টি করতে সক্ষম হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, এসব দেশকে বিবাদে লিপ্ত রেখে সেগুলোকে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল ও সে সব দেশকে তার ওপর অর্থনৈতিকভাবে আরো নির্ভরশীল করে তুলতে সক্ষম হচ্ছে। তৃতীয়ত, এসব বিবাদের সুযোগে এই দেশগুলোতে সে তার অস্ত্র ব্যবসা বাড়িয়ে দিয়ে নিয়ন্ত্রণহীন হারে দেদার মুনাফা কামানোর সুযোগ করে নিচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যে সাম্রাজ্যবাদের বিশেষ স্বার্থ হলো এই এলাকার বিশাল তেলসম্পদ। তাই, তেল পাওয়ার সম্ভাবনা আবিষ্কৃত হওয়ার প্রেক্ষাপটে সে এই এলাকায় তার একটি নিজস্ব ঘাঁটি স্থাপনের ছক আঁটে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নানা মিথ্যাচার ও বেআইনী ছল-চাতুরীর আশ্রয় নিয়ে, ফিলিস্তিনকে প্রতিশ্রুত স্বাধীনতা দেয়ার বদলে সাম্রাজ্যবাদের মদদে সেখানকার ভূখণ্ডের একাংশ নিয়ে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। সাম্রাজ্যবাদ এটিকে এখন তার স্থায়ী ঘাঁটিতে পরিণত করেছে। সর্বাধুনিক অস্ত্রপাতি ও গোলা-বারুদে, চৌকস গোয়েন্দা সংগঠনে, দুর্ধর্ষ সব গোপন ঘাতক বাহিনীতে সজ্জিত করে ইসরাইল এক অপরাজেয় সেনাশক্তি সৃষ্টি করেছে। তার হাতে যে আণবিক অস্ত্রের মজুত আছে, সে কথাও কারো অজানা নয়। এভাবে ইসরাইলকে পরিণত করা হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে সাম্রাজ্যবাদের ভাড়াটিয়া ঘাতক বাহিনীতে। বানানো হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে সাম্রাজ্যবাদী কোম্পানিগুলোর তেল-স্বার্থের পাহারাদার। তাই সন্দেহের কোন অবকাশ নেই যে—মধ্যপ্রাচ্য ও মানব সভ্যতার শান্তিময় অস্তিত্বের জন্য সশস্ত্র ইসরাইলই হলো বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড় বিপদ। ইসরাইল সৃষ্টির সময় তার আয়তন নির্ধারিত হয়েছিল ৫ হাজার বর্গমাইল। কিন্তু সে ক্রমাগতভাবে ফিলিস্তিন ভূখণ্ড দখল করে চলেছে। ১৯৫৫ সালে ইসরাইলের আয়তন বেড়ে হয় ৮ হাজার বর্গমাইল। ১৯৬৭ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩০ হাজার বর্গমাইলে। ইসরাইল কর্তৃক এই দখলদারিত্ব ও সম্প্রসারণের বেআইনী অভিযান এখনো অব্যাহত আছে। একথা বুঝতে কোন অসুবিধা হয় না যে, ইসরাইলের স্ট্র্যাটেজিক লক্ষ্য হলো, ক্রমান্বয়ে সমগ্র ফিলিস্তিন এলাকাকে প্রত্যক্ষভাবে ইসরাইল রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত করা অথবা তার নিয়ন্ত্রণাধীন সেটেলমেন্টে পরিণত করা। এই লক্ষ্য ধরে অগ্রসর হওয়ার অর্থই হলো, ফিলিস্তিন ভূখণ্ড দখল বা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়ার জন্য কিছুদিন পর পর আগ্রাসী যুদ্ধে লিপ্ত হওয়া। এভাবে ইসরাইলের প্রক্সি-যুদ্ধের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী উত্তেজনা বজায় রাখতে পারাটাই মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের স্বার্থ ও ইচ্ছা। কারণ, তা মধ্যপ্রাচ্যের তেল সম্পদের ওপর তার নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার পথ সহজ করে দেয়। এসব থেকে স্পষ্ট যে, ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংঘাতের আসল চরিত্রটি মুসলমান-ইহুদি বিবাদ নয়। তা হলো জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের সাথে সাম্রাজ্যবাদের দ্বন্দ্বেরই প্রকাশ মাত্র। ফিলিস্তিনীরা মুসলিম আবাসভূমির জন্য সংগ্রাম করছে না। তারা ফিলিস্তিনীদের জন্য একটি সেক্যুলার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংগ্রাম করছে। যে ফিলিস্তিন হবে মুসলমান, ইহুদি, খৃষ্টান—সব ধর্মের ও বর্ণের ফিলিস্তিনীদের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। ইসরাইল ফিলিস্তিনীদের জমি দখল করে রেখেছে। ফিলিস্তিনীরা তাদের স্বাধীন আবাসভূমির অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে আছে। আগ্রাসী দখলদার শক্তির বিরুদ্ধে জাতীয় মুক্তির জন্য সংগ্রাম করা ও সেই সংগ্রামের জন্য অস্ত্র হাতে নেয়া আন্তর্জাতিক আইনে শুদ্ধ এবং নৈতিকভাবে শুধু গ্রহণযোগ্যই নয়, একটি কর্তব্যও বটে। অথচ ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নাতানিয়াহু বলেছেন যে, গাজা ভূখণ্ডকে অস্ত্রমুক্ত (demilitarise) করাই হলো তার সর্বশেষ গাজা অভিযানের লক্ষ্য। ইসরাইলী ঔদ্ধত্যের যেন কোন সীমা নেই! আন্তর্জাতিক আইন ও ন্যায়নীতি দাবি করে যে, গাজার স্বাধীনতাকামী মুক্তিযোদ্ধাদের নয় বরঞ্চ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা হরণকারী ইসরাইলকে অস্ত্রমুক্ত (demilitarise) করা প্রয়োজন। এই দাবিতে বিশ্ব জনমতে সোচ্চার হওয়া এখন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। ঈদ সামনে রেখে আর কোন কাজকে এর চেয়ে বড় কর্তব্য বলে মনে হচ্ছে না। লেখক :সভাপতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) E-mail : selimcpb@yahoo
Posted on: Sun, 27 Jul 2014 17:05:49 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015