Read the article to enhance your basic - TopicsExpress



          

Read the article to enhance your basic knowledge বেইজিংয়ের ভূগর্ভস্থ শহর দুই কোটিরও বেশি লোকের বাস চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে। চীনের রাজনীতি, সংস্কৃতি, শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত এ শহরটি। এ শহরের মাটির নিচে রয়েছে আরেকটি শহরের অস্তিত্ব। তবে সেখানে কোনো মানুষ বাস করে না। এমনও নয় যে প্রাচীন কোনো সভ্যতার বাসস্থান ছিল ওই শহরটি। সম্ভাব্য একটি যুদ্ধের আক্রমণ থেকে শহরবাসীকে রক্ষার তাগিদে ১৯৭০ সালে শহরটি নির্মিত হয়। শহরটির নাম ডিক্সিয়া চেং। ডিক্সিয়া চেংকে শহর বলা হলেও এটি মূলত বোমা হামলার প্রভাব থেকে বাঁচার লক্ষ্যে নির্মিত একটি আশ্রয়কেন্দ্র, যা বেশ কিছু সুড়ঙ্গের সমন্বয়ে তৈরি। বেইজিং শহরের নিচে মোট ৮৫ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে ডিক্সিয়া চেংয়ের সুড়ঙ্গগুলো বিস্তৃত। বিভিন্ন স্থানে মাটির ২৬ থেকে ৫৯ ফুট গভীরে সুড়ঙ্গগুলোর অবস্থান। ভূগর্ভস্থ এ শহরটিতে ঢোকার জন্য একটা সময় ৯০টি প্রবেশপথ ছিল। প্রবেশপথগুলোর সব কয়টিই লুকানো ছিল বেইজিংয়ের প্রধান সড়কের বিভিন্ন দোকানপাটের আড়ালে। এটি নির্মাণের পর চীনের তৎকালীন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, বেইজিংয়ের মোট জনসংখ্যার পুরোটারই স্থান সংকুলান হবে সেখানে। ১৯৬৯ সালে সোভিয়েত-চায়নিজ যুদ্ধের উত্তেজনা যখন বেড়েই চলেছিল, তখন পারমাণবিক হামলার আশঙ্কায় ভূগর্ভস্থ এ শহরটি নির্মাণের নির্দেশনা দেন চেয়ারম্যান মাও জে দং। এটি এমনভাবে নির্মাণ করা হয় যে এর ভেতরে থাকা অবস্থায় যেকোনো ধরনের বিমান হামলা থেকে সুরক্ষিত থাকা যাবে এবং এর ভেতর দিয়েই দেশটির নেতারা পাহাড়ে অবস্থিত সেনাঘাঁটিতে নিরাপদে পালিয়ে যেতে পারবেন। বেইজিংয়ের প্রায় ৩০ হাজার বাসিন্দা ভূগর্ভস্থ এ শহরটি নির্মাণে কাজ করে। তবে যে উদ্দেশ্যে এটি নির্মাণ করা হয়েছিল, বেইজিংয়ের বাসিন্দাদের সে উদ্দেশ্যে ভূগর্ভস্থ শহরটিকে কখনোই ব্যবহার করতে হয়নি।
Posted on: Fri, 21 Jun 2013 03:25:11 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015