Salute & inspiration Shetu Ranjan Biswas আমার - TopicsExpress



          

Salute & inspiration Shetu Ranjan Biswas আমার মাথা নত করে দাও হে প্রভু তোমার চরণ ধুলার তলে সকল অহংকার হে আমার ডুবাও চোখের জলে। MBA শেষ করে ২০১২ সালের ৫ই ডিসেম্বর যখন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে Lecturer হিসেবে যোগদান করি তখন একটা স্যাস্টাস দিয়েছিলাম Started journey towards long cherished dream. বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় খুব স্বপ্ন দেখতাম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার, মা- বাবার বদনখানি উজজ্বল করে দেশ ও দশের সেবা করার। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের Lecturer হয়ে সেই স্বপ্ন আংশিক পূর্ণ হলেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন অামার অপূর্ণ রয়ে গেল। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার জন্য আমি কতটুকু যোগ্য তা আমি নিজে জানি না। এতটুকু বলতে পারি BBA ও MBA তে অামার GPA যতটুকু ভাল SSC ও HSC তে ঠিক ততটুকু বা তারচেয়ে ও খারাপ। আমার মনে হয় আমরা যেকোন স্বপ্নই দেখিনা কেন, আমাদের স্বপ্নগুলো পূরণ হওয়ার জন্য অন্তত দুজনকে একই স্বপ্ন দেখতে হয়। একজন স্বপ্নদ্রষ্টা ও আরেকজন স্বপ্ন পূরণকর্তা (সৃষ্টিকর্তা )। প্রথম জন স্বপ্ন দেখলে সেই স্বপ্ন পূরণ হতে ও পারে আবার নাও হতে পারে। যদি না দ্বিতীয় জন ঠিক একই স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু দ্বিতীয় জন যদি কাউকে নিয়ে কোন স্বপ্ন দেখেন তাহলে সেই স্বপ্ন পূরণ হবেই, এক্ষেত্রে প্রথম জন সেই স্বপ্ন দেখুক বা না দেখুক। তাই অাজ বাংলাদেশ ব্যাংকে সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদান করার পর সৃষ্টিকর্তার উপর একটু অভিমান থাকলে ও রাগ নেই কোন আমার। কারণ অনেক অপূর্ণতা নিয়েই একজন মানুষ পূর্ণ হয়। রাগ করবোই বা আবার কার সাথে। কারণ তিনি তো আমাকে দুহাত ভরে দিয়েছেন যার যোগ্য হয়তো আমি নয়। আর আমরা যেটা চাই সেটা তিনি আমাদেরকে দেন না, তিনি সেটাই দেন যেটা আমাদের দরকার। আজ থেকে ঠিক এক যুগ আগে ও ভাবিনি,যখন ২০০২ সালে বিজ্ঞান বিভাগে SSC পরীক্ষা দিয়ে GPA ৩.৮০ নিয়ে শতবর্ষী ফতেয়াবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বেরোয়, আমি এত দূর পথ পারি দিতে পারব। এমনিতে GPA কম তার উপর Certificate এ student type: Irregular। বুঝতেই পারছেন Irregular মানে দ্বিতীয় বার পরীক্ষা দিয়েছি। অজানা কোন এক কারণে স্কুলের টেস্ট পরীক্ষায় ৬৩৬ নম্বর ( Rank ৪র্থ ) পাওয়া সেতু রঞ্জন বিশ্বাস রসায়নে F Grade. অবাক হচ্ছেন তো । অবাক হওয়ার কিছুই নেয়। আমি নিশ্চিত পুরো কাহিনী পড়লে কিছুক্ষনের জন্য আপনি নির্বাক ও হতে পারেন। খুব ভালো লাগবে যদি আমার জীবনের গল্পটা কাউকে বিন্দুমাত্র অনুপ্রাণিত করে। যাই হোক SSC তে ফেল করে ও কলেজে পড়ার সৌভাগ্য অামার হয়েছিল। কারণ তখন English ছাড়া অন্য কোন বিষয়ে খারাপ করলে কলেজে ভর্তির Provision ছিল। পরে শুধু রসায়ন পরীক্ষা দিয়ে SSC শেষ করলাম। SSC পাশ করার পর ঘর থেকে বললো General line এ পড়ালেখা না করে Technical line এ পড়তে। পরিবারের কথা মত ভর্তি হলাম চট্টগ্রাম পলিটেনিকাল ইনস্টিটিউটে Refrigeration and automobiles বিভাগে। কিন্তু দুই নৌকাতে পা দেওয়ার ফলে যা হওয়ার তাই হলো। SSC র মত HSCতে আবার ফেল।আর কয় বিষয়ে ফেল তা তো আপনাকে বলে বিশ্বাস করানো যাবে না। কারণ বাংলা বাদে আর কোন বিষয়ে পাশ করিনি। কি যে অসহ্য যন্ত্রণা। কি যে বাজে সময় পার করে এসেছি কি করে বুঝায়। জানি না কোন দৈবশক্তি নিয়ে অাবার পরীক্ষা দেওয়ার সাহস করলাম। ভয় ছিল যদি একটা পরীক্ষায় খারাপ করি তাহলে অাবার YEAR ড্রপ। যাই হোক পরম করুণাময়ের অশেষ কৃপায় পাশ করলাম। অার GPA,SSC থেকে ০.৮০ কম,৩.০০। HSC পরীক্ষায় পাশ করার পর বাবার অনুপ্রেরণায় ভারত ভ্রমণের সুযোগ হয়। ৪৫ দিনের সেই সফরে আমি বিহার,বারানসি,অ যোধ্যা, আগ্রা, দিল্লী সহ বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণের সুযোগ হয়েছিল। যাই হোক ভারত সফরের পর খুব কম সময় পেলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নেয়ার। সবকিছু ভুলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নেয়া শুরু করলাম। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া আর কোথাও পরীক্ষা দিতে পারলাম না। কারণ ভর্তি ফরম নেয়ার জন্য যে GPA দরকার তা আমার ছিল না। ক, খ, গ, ঘ এবং ঙ পাঁচটা বিভাগেয় পরীক্ষা দিলাম। কিন্তু আমার মত অভাগা যেদিক সেদিকে সাগরতো দূরের কথা মহাসাগর ও শুকিয়ে যায়। কোন অনুষদেয় চান্স পেলাম না। কি আর করা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে চট্টগ্রাম কলেজে অনার্সে ভর্তি হলাম। বিষয় : সকল জ্ঞানের জনক - দর্শন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার প্রবল আগ্রহ আমাকে ব্যাকুল করে তোলে। সেই সময়ে বাংলালিংকের একটা বিজ্ঞাপন খুব মনে ধরেছিল। বিজ্ঞাপনটা ছিল আজাদ প্রোডাক্টস এর আজাদ সাহেবকে নিয়ে যার মূল থিম ছিল হেরে যাববলেতো স্বপ্ন দেখিনি। আবার শুরু করলাম যাত্রা । এইবার আমার পথের যাত্রাসঙ্গী - জয়রাজ দাশ, দিবাকর ধর, জিয়া উদ্দিন ও শোয়েব। যাদের সবার GPA HSCতে ৩.০০ এর চেয়ে কম। পরে সবাইর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরার সুযোগহয়েছিল। প্রথম দুজন বাংলা বিভাগে আর শেষোক্ত দুজন মার্কেটিং বিভাগে আর আমি ইতিহাসে। পরে বিভাগ পরিবর্তন করে আমি প্রথমে জার্নালিজমে ও পরে অনুষদপরিবর্তন করে অপেক্ষমাণ তালিকার ১৭ তম প্রার্থী হিসেবে এমন এক বিভাগে ভর্তি হলামযে বিভাগ আমার পুরো জীবনটাকেই পাল্টিয়ে দিয়েছে। সে আমার প্রিয় ব্যবস্থাপনা বিভাগ। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার সময় যে দুজন শিক্ষকের সান্নিধ্য না পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন শুধু স্বপ্নই রয়ে যেত তারা হলেন- শ্রদ্ধেয় বাবুলস্যার ও শ্রদ্ধেয় সুকান্ত ভট্টচার্য্য স্যার। যারা আমাকে শিখিয়েছে কিভাবে গগণচুম্বী স্বপ্নদেখতে হয়। সেই ২০০৬ সাল থেকে আজ পর্যন্ত যা ঘটেছে সবই অামার কল্পনাকেও হার মানায়। অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি হতে দেরি হলে ও ক্লাস শুরু হতে দেরি হয় নি। প্রথম যেদিন ক্লাস করতে যাই তার এক সপ্তাহ পর তফাজ্জল স্যারের Management টিউটোরিয়াল। টিউটোরিয়ালে আমার মার্কস ছিল ৭.৫। কেউ কেউ অবশ্য দশে ১০ ও পেয়েছিল। এর মাস পাঁচেক পর মিড টার্ম পরীক্ষা। আমি আমার মত পড়তে শুরু করি। সাথে পেয়েছিলাম ১৯ ব্যাচের সূজন বন্ধুদের। বিশেষ করে First Movers গ্রুপের অসাধারণ ১১জন বন্ধু ও পরবর্তীতে ৪জন অনন্য বান্ধবী। যারা আমাকে অদ্যবধি প্রেরণা যুগিয়ে যায়। মিডটার্ম পরীক্ষার যেদিন ফলাফল প্রকাশিত হল সেদিন ঘটল আমার জীবনের মোড় ঘুড়িয়ে দেয়া ঘটনা। নিজেকে তো বটেই সবাইকে অবাক করে আমার রেজাল্ট। GPA ৪.০০এ ৪.০০। অর্থাৎ সব বিষয়ে A +। নিজে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না পরে আবার পিন্টু ভাইকে দিয়ে চেক করে নিয়েছিলাম। আমার রেজাল্ট শুনে ড. সেলিনা ম্যাডাম বলেছিলেন এটাতো কিন্টার গার্টেন এর বাচ্চাদের মত রেজাল্ট। কিন্তু আমার অত্যন্ত প্রিয় শিক্ষকদের একজন, ড. আওরঙ্গজেব স্যার, বলেছিলেন সবে তো এক টার্ম এখনো অনেক ইনিংস ( সেমিস্টার) বাকি। দেখ সামনে কি হয়। সেই উপদেশ আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাকি সময়টুকু চলার পথে পাথেয় হয়ে দাঁড়ায়। এরপর ১ম বর্ষে ৩.৯৭। ২য়, ৩য় ও ৪র্থ বর্ষে আমার GPA যথাক্রমে ৩.৯৮,৩.৯৫ ও ৩.৯৫। সব মিলিয়ে ৩.৯৬ CGPA নিয়ে BBA শেষ করলাম। আর MBA তে আমার GPA ছিল৩.৯৮। যতটুকু জানি অদ্যবধি ব্যবস্থাপনা বিভাগে BBA ও MBA তে এটিই সর্বোচ্চ রেজাল্ট। যা সত্যিই আমার কাছে অকল্পনীয়, অভাবনীয় ও অবিশ্বাস্য ছিল। ভাবতেই অবাক হয়ে যায় যে ছেলে GPA ৫.০০ গ্রেড এ ৩.৮৮ উপরে পাইনি BBA ও MBAতে সেই ছেলের GPA ৪.০০ গ্রেডে ৩.৯৬ ও ৩.৯৮। আমার রেজাল্ট দেখে একবার ৪র্থ বর্ষের ভাইভাতে তো পরীক্ষা কমিটির প্রধান ( বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শ্রদ্ধেয় আনোয়ারুল আজিম আরিফ স্যার ) আমাকে বলেছিলেন Its miracle. এটা কি করে সম্ভব!!! আর ভাল রেজাল্টের সুবাদে এই পর্যন্ত ৩টি বৃত্তি পেয়েছি। অবশেষে বলব ব্যর্থতা জিন্দাবাদ। আর তাই এই ব্যর্থ ছেলেকে সফল করার যাদের অসামান্য অবদান, (সৃষ্টিকর্তা, আমার পরিবার, সকল শিক্ষক, আমার আত্মীয়, সকল বড় ও ছোট ভাই, আমার সকল বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ী) সবাইকে জানায় অশেষ শ্রদ্ধা, ভালবাসা, কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ। সেতু রঞ্জন বিশ্বাস সহকারী পরিচালক বাংলাদেশ ব্যাংক।
Posted on: Sat, 13 Sep 2014 17:56:50 +0000

Trending Topics



anss3.appspot manhattan loan
Anita Goodesign Embroidery Designs Cd Quilt Feathers REDEEM YOUR
Should we clap during an Āratī? Singing the Āratī should be

Recently Viewed Topics




© 2015