__ দেহের বত্রিশটি অংশ - TopicsExpress



          

__ দেহের বত্রিশটি অংশ ___ https://m.facebook/profile.php?id=983362305024899 https://m.facebook/rishishasan দেহের বত্রিশটি অংশ নিয়ে ভাবনা করতে চাইলে আপনার প্রথমে আনাপান ভাবনায় চতুর্থ ধ্যানে মগ্ন হওয়া উচিত। যখন ধ্যানের আলো উজ্জ্বল ও দীপ্তিমান হয়ে উঠবে, তখন আপনার দেহের বত্রিশটা অংশকে চিহ্নিত করা উচিত, একটা একটা করে। দেহের বত্রিশটি অংশের মধ্যে বিশটি অংশে পৃথিবী ধাতুর প্রাধান্য, আর বারটা অংশে পানি ধাতুর প্রাধান্য। পৃথিবী ধাতুর বিশটি অংশকে পাঁচটি পাঁচটি করে চার ভাগে ভাগ করা উচিত: ১-৫‌ : চুল, লোম, নখ, দাঁত, চামড়া। ৬-১০ : মাংস, পেশীতন্তু, হাড়, হাড়ের মজ্জা, কিডনি। ১১-১৫ : হৃদপিন্ড, যকৃত, ঝিল্লি, পিলে, ফুসফুস। ১৬-২০ : অন্ত্র, আভ্যন্তরীণ ঝিল্লি, হজম না হওয়া খাদ্য, মল, মস্তিষ্ক। বারটি পানি ধাতুর অংশকে ছয়টি ছয়টি করে দুভাগে ভাগ করা উচিত: ১-৬: পিত্ত, কফ, পুঁজ, রক্ত, ঘাম, মেদ। ৭-১২: অশ্রু, চর্বি, থুথু, শ্লেষ্মা, হাড়ের জোড়ায় অবস্থিত তরল পদার্থ, প্রস্রাব। এই অংশগুলোকে উপরোক্ত ক্রমানুসারে দেখুন, তবে একবারে একটা করে। পরিষ্কার আয়নায় নিজের চেহারা যেভাবে দেখেন, দেহের প্রত্যেকটি অংশকে ঠিক সেভাবে দেখার চেষ্টা করুন। এমনটা করার সময় যদি ধ্যানের আলো ম্লান হয়ে আসে, আর দেহের যে অংশটাকে দেখা হচ্ছে, সেটা ঝাপসা হয়, তখন আনাপান ভাবনার চতুর্থ ধ্যানে মগ্ন হওয়া উচিত। যখন আলো আবার উজ্জ্বল ও তীব্র হবে, তখন আবার দেহের অংশগুলো দেখা উচিত। ধ্যানের আলো ম্লান হয়ে এলে এমনই করুন। চর্চা করতে থাকুন যতক্ষণ না চুল থেকে প্রস্রাব, অথবা প্রস্রাব থেকে চুল পর্যন্ত প্রত্যেক অংশকে পরিষ্কারভাবে এবং তীক্ষ্ণ জ্ঞানে দেখতে না পারেন ততক্ষণ পর্যন্ত। যতক্ষণ না আপনি দক্ষ না হন, ততক্ষণ চর্চা করতে থাকুন । এরপর, ধ্যানের আলোর সাহায্যে চোখ বন্ধ অবস্থায়, আপনার পাশের জনকে দেখার চেষ্টা করা উচিত। বিশেষত সবচেয়ে ভালো হয় আপনার সামনে থাকা কোন ব্যক্তিকে দেখলে। সেই ব্যক্তির বত্রিশটি অংশকে দেখুন, তার চুল থেকে প্রস্রাব এবং প্রস্রাব থেকে চুল পর্যন্ত। বত্রিশটি অংশকে ক্রমান্বয়ে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত এবং শেষ থেকে প্রথম পর্যন্ত বহুবার দেখুন। আপনি যখন আভ্যন্তরীণ অংশ, অর্থাৎ আপনার দেহের অংশগুলো এবং সেই সাথে বাইরের অংশ বা অন্য ব্যক্তির দেহের অংশগুলো দেখতে সক্ষম হবেন, তা অনেক বার চর্চা করতে থাকুন। এভাবে দেহের বত্রিশটা অংশকে আভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিকভাবে দেখতে সক্ষম হলে আপনার সমাধিবল বাড়বে। তখন একটু একটু করে আপনার দেখার পরিধিকে বাড়ানো উচিত, ক্রমান্বয়ে কাছ থেকে দূরে। দূরের ব্যক্তিদেরকে দেখতে পান না বলে চিন্তা করবেন না। চতুর্থ ধ্যানের সেই উজ্জ্বল আলোয় আপনি সহজেই দূরের ব্যক্তিদেরকে দেখতে পারবেন; খালি চোখে নয়, জ্ঞানের চোখে (ঞাণচক্খু)। আপনার দেখার পরিধিকে দশদিকে বাড়ানো উচিত: উপরে, নীচে, পূর্বে, পশ্চিমে, উত্তরে, দক্ষিণে, উত্তর পূর্ব কোণে, দক্ষিণ পূর্ব কোণে, উত্তর পশ্চিম কোণে, দক্ষিণ পশ্চিম কোণে। এই দশদিকে যাকেই আপনি দেখতে পাবেন, সে মানুষ হোক, প্রাণী হোক, তার বত্রিশটা অংশকে দেখুন, একবার আভ্যন্তরীণ ও একবার বাহ্যিকভাবে, একেকবারে এক একজন ব্যক্তি বা প্রাণীকে। যেদিকেই তাকান না কেন আর যখনই তাকান না কেন, যখন আপনি আর নারী, পুরুষ, অথবা গরু, মোষ, অথবা অন্য কোন জানোয়ার না দেখে শুধু বত্রিশটা অংশের সমষ্টিকে দেখবেন, কেবল তখনই আপনাকে দেহের বত্রিশটি অংশের ভাবনায় সফল, দক্ষ এবং অভিজ্ঞ হিসেবে বলা যাবে।
Posted on: Tue, 20 Jan 2015 06:14:26 +0000

Trending Topics



iv>

Recently Viewed Topics




© 2015