from The right story & BNP Online Activist - TopicsExpress



          

from The right story & BNP Online Activist একতরফা নির্বাচন প্রতিহত করবো, করবো, করবো, ___অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা টাইমসকে আন্দালিব। আওয়ামী লীগ একতরফা নির্বাচন করার পরিকল্পনা করে থাকলে তা কখনোই সফল হবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে একতরফা নির্বাচন প্রতিহত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ। ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ‘নির্দলীয় সরকারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার বিরোধীদলকে এক- এগারোর ভয় দেখাচ্ছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই এক-এগারোর ভয় আমাদের দেখিয়ে লাভ নেই। গত পাঁচ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, সাংসদরা লাগামহীন দুর্নীতি করেছেন। যদি এক-এগারোর মতো কোনো পরিস্থিতি আবার আসেও সেজন্য ১৮ দলের কোনো ভয় নেই। ভুক্তভোগী হলে আওয়ামী লীগকেই হতে হবে।’ ঢাকাটাইমস: বিরোধী দলের আন্দোলনের মধ্যেও নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করে দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ১৮ দলের কী করার আছে? আন্দালিব রহমান পার্থ: আমরা আগেও বলেছি এই নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পেছনে সরকারের হাত রয়েছে। ১৮ দল এই তফসিল স্থগিতের জন্য আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তাই কেউ চাইলেই এক তরফা নির্বাচন করতে পারবে না। একতরফা নির্বাচন প্রতিহত করবো ,করবো করবো। ঢাকাটাইমস: নির্বাচন হয়ে গেলে এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠবে না বলে দাবি করছে সরকার... আন্দালিব রহমান পার্থ: এটা একান্তই সরকারের দাবি। বাস্তবে কী হবে সেটাই দেখার বিষয়। ইতিপূর্বে যারাই এক তরফা নির্বাচনের পথে হেঁটেছে তারাই হোঁচট খেয়েছে। জোর করে কেউ কখনো ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। আওয়ামী লীগ সরকার যদি মনে করে পাতানো নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করবে তাহলে বলতে হবে তারা দিবাস্বপ্ন দেখছে। কারণ, যে নির্বাচন তারা করতে যাচ্ছে জনগণ তা হতে দেবে না। তাছাড়া নির্বাচন যদি হয়, সেক্ষেত্রে তা গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য কী পরিমাণ ভোটার ভোট দিল সেটা দেখতে হবে। আন্তর্জাতিক মহল থেকেও সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের তাগিদ দেয়া হচ্ছে। সেখানে বিরোধীজোটকে রেখে নির্বাচনের কথা তো ভাবাই যায় না। ঢাকাটাইমস: রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলোও সংলাপের ব্যাপারে বারবার বলে আসছিল। সেখানে দুদলই একে অন্যকে দোষ দিয়ে সংলাপ থেকে বিরত থেকেছে। এটাকে কীভাবে দেখছেন? আন্দালিব রহমান পার্থ: বিরোধী দলের পক্ষ থেকে চিঠি দেয়ার পরও সমঝোতার কোন উদ্যোগ নেয়নি সরকার। দুই নেত্রীর ফোনালাপের পর স্পষ্ট হয়েছে যে, সরকার আর কোন সমঝোতা চায় না। বিএনপির শীর্ষনেতাদেরকে আবারও রিমান্ডে নিয়ে প্রমাণ করেছে তারা সমঝোতা চায় না। পাঁচ বছরে গুম, হত্যা, মামলা-হামলা দিয়ে যে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে তাতে কোনভাবেই আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করে না জনগণ। আমরা যদি বুঝতাম, তারা একটা সুন্দর নির্বাচন দেবে তাহলে, বাইরে থেকে লোক এনে তত্ত্বাবধায়ক বানিয়ে নির্বাচন করার দরকার ছিল না। আমাদেরকে সেই বিশ্বাস করাতে পারেনি আওয়ামী লীগ। আমাদের উপর যেভাবে স্টিম রোলার চালিয়েছে তাতে কোনভাবেই তাদের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া যায় না। আগে লাঠির আঘাত আসত, এখন বুলেটের আঘাত আসে। আগে কিছুটা রাজনৈতিক সদাচারণ ছিল। এখন ফ্যাসিস্ট আচরণ শুরু হয়েছে। তারপরও রাস্তায় নামছে মানুষ। সুতরাং, আন্দোলনই এখন আমাদের কর্মসূচি। ঢাকাটাইমস:বিরোধীজোট দাবি আদায়ের নামে হরতাল-অবরোধ করছে। এতে বহু প্রাণহানি ঘটছে। এটাই কি দাবি আদায়ে সঠিক পথ? আন্দালিব রহমান পার্থ:আন্দোলন ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই। এর আগে আওয়ামী লীগও বিরোধীদলে থাকতে আন্দোলন করেছে। টানা ২২ দিন অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে। এটা ঠিক হরতালে সহিংসতা হচ্ছে। কোন রাজনীতিবিদ এর দায় এড়াতে পারেন না। সবাইকেই এর জন্য জনগণের কাছে দায়ী থাকতে হবে। তবে ভোটাধিকার মানুষের বেসিক ফান্ডামেন্টাল রাইট। এই ভোটাধিকারের জন্য বৃহত্তর স্বার্থেই কঠিন কর্মসূচি দিতে হচ্ছে। আমরা জনগণের ভোটের অধিকারের জন্য ফাইট করছি। এ কারণেই হামলা, মামলা আর নেতাদের বাড়িতে তল্লাশী শুরু হয়েছে। আন্দোলনের পাশাপাশি আমরা কীভাবে আগামী বাংলাদেশ গড়ে তুলবো তা স্পষ্ট করছি। ঢাকাটাইমস: নির্বাচন নিয়ে কূটনৈতিক পর্যায়ে তৎপরতা অনেকের নজর কাড়ছে। বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন? আন্দালিব রহমান পার্থ: আপনি ঠিকই বলেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রের অতিতৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর আগেও বিভিন্ন সময় বিশ্বের প্রভাবশালী রাষ্ট্র বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে কথা বলেছে। এটা নতুন কিছু নয়। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের কথা না বললেই নয়। ওই দুটি রাষ্ট্রকে বুঝতে হবে যে,কোন রাজনৈতিক দল নয়, বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে হবে। জনগণের পালস্ বুঝতে হবে। মানুষ এখন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। কোন দেশের বিরুদ্ধে দাঁড়াতেও বাংলাদেশের মানুষের সময় লাগবে না। ঢাকাটাইমস: আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না এলে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে বলা হচ্ছে... আন্দালিব রহমান পার্থ: আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না এলে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার যে কথা বলা হচ্ছে তা শুধুই নির্বাচনে জয়ের কৌশল। কারণ, আমরা কখনোই বলিনি যে আমরা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি। বরং আওয়ামী লীগই উন্নয়নকে পাশ কাটিয়ে জাতিকে বিভক্ত করার রাজনীতি করে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ বিপক্ষ নিয়ে অর্থহীন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। বাক স্বাধীনতার সুযোগ নিয়ে তারা ইসলামের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়েছে। ইসলাম বিদ্বেষীদেরকে জাতীয় বীর বানিয়েছে। আওয়ামী লীগের পরাজয় এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। আওয়ামী লীগ বেআইনীভাবে পরের সংসদের হাত পা বেঁধে দেয়ার ব্যবস্থা করেছে সংবিধানে। মনে রাখতে হবে, সংবিধান মানুষের জন্য। আর সুপ্রিম কোর্ট হচ্ছে সংবিধানের গার্ডিয়ান। সুতরাং, জনগণের ইচ্ছার ভিত্তিতেই এই সংবিধান পুনঃসংশোধিত হবে। ঢাকাটাইমস:আওয়ামী লীগ ইতিমধ্যে প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে। অথচ বিরোধীজোট এখনও এসব নিয়ে ভাবছে না। সেক্ষেত্রে শেষ মুহূর্তে নির্বাচনে গেলে তড়িঘড়ি করে সব প্রস্তুতি নেয়া কি সম্ভব হবে? আন্দালিব রহমান পার্থ: নির্বাচনের চিন্তা আমাদেরও আছে। এই নির্বাচনের জন্যই আমরা আন্দোলন করছি। আমরা বলছি নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে। প্রধানমন্ত্রী যদি তার পদ থেকে সড়ে দাঁড়ান তবে আমরা নির্বাচনের বিষয়ে চিন্তা করবো। আর নির্বাচনের প্রস্তুতি এতটা কঠিন হবে না। নির্বাচন কমিশনও তফসিল পেছানোর একটা ইঙ্গিত দিয়েছে। সরকারের সামনে এখনও সময় আছে। তারা যদি জনগণের মঙ্গল চায় তবে আমাদের দাবি মেনে নেবে। আমরা তো একা আন্দোলন করছি না, সাধারণ মানুষও আমাদের সঙ্গে আছে। আপনি গত কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাকিয়ে দেখেন সাধারণ মানুষ আজ রাস্তায় নেমে এসেছে। মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। মানুষ পরিবর্তন চায়। মানুষ শান্তি চায়। ঢাকাটাইমস: সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আন্দালিব রহমান পার্থ: আপনাকেও ধন্যবাদ। #abc
Posted on: Mon, 02 Dec 2013 01:30:50 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015