now copy... আমাদের দেশে ২ পদের সন্ত্রাস আছে! ১. যারা মানুষদের সামনা সামনি খুনের ভয় দেখিয়ে সব লুট পাট করে নেয়। ২. মেডিকেলের ডক্টর! কিন্তু আমার কাছে কি মনে হয় জানেন? ২ নাম্বারটাই বেশি ভয়নক!! আমার নিজ চোখে ঘটনা ঘটা। আজ ভার্সিটির ক্যাম্পাসে গিয়েছিলাম বহুদিন পর.... অনেক ব্যস্ততা থাকার কারণে এখন আর শাহবাগ এলাকায় যাওয়া হয়না,,,আজ অনেক বেশি যেতে মনে চাইল,গেলাম। যাই হোক,, স্যারের সাথে দেখা করলাম,ফেরেন্ডদে র সাথে কিছুক্ষন গল্পসল্প করে প্রায় ৪ ঘন্টা পার.... অতঃপর বাসায় ফিরার টার্গেট নিচ্ছি বাসা থেকে আম্মু ফোন দিচ্ছল এতো দেরি কেন,কোথায় গেলি এটা সেটা। কোন একটা ভুংচুং দিয়ে আম্মুকে বুঝিয়ে কোন এক প্রয়োজনে সোজা ঢাকা মেডিকেল গেলাম এক বন্ধুর কাছে। সে আবার ঢাকা মেডিকেলের Student. যাই হোক,ওর সাথে কথা শেষ করে বাসার পথে ফিরছিলাম, তখন নিচে গিয়ে (যেখানে অসুস্থ রুগিদের রুম) তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম আর কি যেন ভাবছিলাম, হঠাৎ চোখে পরে এক মর্মাহত মহিলা,কেনো যেন ব্যাথায় ছট পট করছে, সম্ভবত গ্রাম থেকে এসেছে বুঝাই যাচ্ছে। তার পাশের ২ জন মহিলা বসে খুব কাদছিল। চিন্তা করলাম কাছে গিয়ে জিজ্ঞাস করবো কি হয়েছে? কিংবা তারা কেন বসে আছে? ডক্টরের চিকিৎসা কেন নিচ্ছেনা?? কাছে গিয়ে তাদের ২ জনের ভিতর একজনকে জিজ্ঞাস করলাম। উত্তরে বুঝে নিলাম তাদের কথা ডক্টর গুরুত্ত দেননি.....লাঞ্চের সময়, তাই লাঞ্চ করে এসে দেখবে। তারপর জিজ্ঞাস করলাম মেডিকেলেতো আরো ডক্টর রয়েছে,গিয়েছেন? উত্তরে বুঝলাম তাদের সাথে একজন পুরুষ এসেছে (মহিলার হাজবেন্ড) ডক্টরদের অনুরোধ করছে,কিন্ত একই বাহনা। অসুস্থ মহিলাটির দিকে তাকিয়ে চোখে পানি জমে যায় এই বুঝি শ্বাস বেরিয়ে আসবে আসবে!! আমি নিজে দ্রুত গেলাম ডক্টরের রুমে,গিয়ে দেখি কি সুন্দর ভাবে ২ জন মহিলা ডক্টরের সাথে হাসি তামাশা করছে,অথচ ওই খানে ওই লোকটি দারিয়ে কাদছে তাদের স্ত্রির জন্য,তার কথার গুরুত্তই দিচ্ছে না। বুঝতে পারলাম এখানে আমার অনুরোধেরো গুরুত্ত থাকবে না। আমার বন্ধু কে ফোন দিলাম যার সাথে একটু আগে কথা বলে বের হয়েছি, সাথে সাথে আসলো,অতঃপর ওর অনুরোধে ডক্টর বের হয়েছে মহিলাটিকে দেখতে.... গিয়ে দেখতে পেলাম মহিলাটি আর নেই.... এই ছিল আমাদের দেশের ডক্টর, এইই ছিল তাদের সেবা মানুষের! এই ছিল তাদের লাঞ্চ যেখানে গিয়ে দেখে ২ জন সুন্দরি মহিলার সাথে আলাপে মগ্ন!! অথচ ওই খানে তার বড় বোনের মত কেউ একজন মারা যাচ্ছে,তার খবর ছিলনা। শুধু এসে একটু চেকাপ করে দেখলো যে মারা গেছে, আস্তে করে sorry বলে চলে গেল। এই ছিল তাদের জনগনের সেবা!! অথচ ওই মুহুরতে যিনি মারা গেছেন,তার পরিবারের অবস্থা,চোখের পানির বন্যা ভেসে যাচ্ছিল,তা কি কেউ বুঝতে পেরেছে? শুধু আশে পাশের মানুষ পিঠের উপর হালকা আচল করে সান্তনা দিয়ে চলে যাচ্ছে। আরে,,, এমন সান্তনা সবাই দিতে পারে। আর ডাক্তার সাহেবরা ২-৩ জন এসে একটু sad মুড করে চলে যায়. এখন sad মুড করলেও কি? না করলেও কি? লাঞ্চের সময় পাওয়া যাবে,কিন্তু এই মুরিব্বি মহিলাটির জীবন কি আর ফিরে আসবে?
Posted on: Wed, 24 Dec 2014 10:45:32 +0000
Trending Topics
Recently Viewed Topics
© 2015