অদ্য ১৯/১১/২০১৪ খ্রিঃ তারিখে কুমারখালী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন কুষ্টিয়া ও উপজেলা প্রশাসন কুমারখালীর উদ্যোগে এক সোশ্যাল মিডিয়া আড্ডার আয়োজন করা হয়।বাংলাদেশের ইতিহাসে সরকারী উদ্যোগে উপজেলা পর্যায়ে সর্বপ্রথম আয়োজিত এই সোশ্যাল মিডিয়া আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কুষ্টিয়া,সৈয়দ বেলাল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক ও আই,সি,টি)জনাব মোঃ মুজিব-উল-ফেরদৌস, উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ভাঃ প্রাঃ)জনাব তানজিলুর রহমান, মেয়র কুমারখালী পৌরসভা জনাব শামসুজ্জামান অরুন,অফিসার ইন চার্জ কুমারখালী জনাব লুৎফর রহমান।এছাড়া এ আড্ডায় বিভিন্ন সরকারী কর্মকর্তা, ইউ পি চেয়ারম্যান এবং ফেসবুকের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণে সাড়া প্রদানকারী আনুমানিক ১০০জন ফেসবুক ব্যবহারকারী উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানের শুরুতেই জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনা মতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক ও আই,সি,টি) সোশ্যাল মিডিয়া আড্ডার পটভূমি সকলের সামনে তুলে ধরেন।তিনি বলেন, গত ২৮/১০/২০১৪ খ্রিঃ তারিখে অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সোশ্যাল মিডিয়া আড্ডার ব্যাপক সফলতায় অনুপ্রাণিত হয়ে এর ধারাবাহিকতায় আজ উপজেলা পর্যায়ে এ সোশ্যাল আড্ডার আয়োজন করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে অন্যান্য উপজেলায় পর্যায়ক্রমে এরুপ আড্ডার আয়োজন করা হবে।এ পর্যায়ে কিছুদিন পূর্বে জেলা প্রশাসনের ফেসবুকে কুমারখালী পৌরসভার শতবর্ষী বৃদ্ধা লক্ষ্মী রানীর বয়স্ক ভাতা প্রাপ্তির আকুল আবেদন সংক্রান্ত পোস্ট প্রদানকারী (লিংকঃ https://m.facebook/story.php?story_fbid=860484773982555&id=706882079342826) জনাব মিটুল করিম তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।জেলা প্রশাসক জানান যে, এ বৃদ্ধা সংক্রান্ত হৃদয়স্পর্শী পোষ্টের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে তার বিপরীতে বিধবা ভাতা কার্ড ইস্যু করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সমাজসেবা অফিসার কুমারখালীকে নির্দেশ প্রদান করেন। এ পর্যায়ে জেলা প্রশাসক অনুষ্ঠানে উপস্থিত লক্ষ্মী রানীর হাতে বিধবা ভাতা কার্ড ও একটি কম্বল তুলে দেন। পরবর্তীতে সভায় উপস্থিত বিভিন্ন ইউজারগণ ফেজবুক পেজ বিষয়ে তাদের অভিজ্ঞতা ও সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত করেন।তাদের মন্তব্য ও এর প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের বক্তব্যে নিম্ন বিষয়সমূহ সভায় উঠে আসেঃ ১।জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সকল সরকারী অফিসসমূহে ফেসবুক পেজ চালু করতে হবে এবং এর অগ্রগতি নিয়মিতভাবে মাসিক উন্নয়ন ও সমন্বয় সভায় পর্যালোচনা করতে হবে। ২।উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন সরকারী অফিসের কার্যক্রম সংক্রান্ত কোন অনিয়ম, অভিযোগ বা মতামত ফেসবুক পেজে পোস্ট করতে হবে। গোপনীয় সংবাদ প্রদানের ক্ষেত্রে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকগণ প্রয়োজনে মেসেজ অপশন ব্যবহার করতে পারেন। ৩।বিভিন্ন ইউজারগণ তাদের পরিচিতদের মাঝে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সরকারী দপ্তরসমূহের ফেসবুক পেজের লিঙ্ক/সংবাদ শেয়ার করলে তা ব্যাপক জনগোষ্ঠীর নিকট সমাদৃত হবে। ৪।জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের হেল্প ডেস্কের ন্যায় জেলা ও উপজেলা হাসপাতাল/স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হলে রোগি/সেবা প্রত্যাশী জনগন অধিকতর সুবিধা পাবে। ৫।উপজেলা পর্যায়ে সকল ইউ,পি চেয়ারম্যানগনের সাথে সভা করে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে সরকারী কার্যক্রম সম্পর্কে জনগনের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করার বিষয়ে ব্যাপক প্রচারনার ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। ৬।ইউনিয়ন পর্যায়ে অচিরেই তথ্য ও প্রযুক্তি মেলার আয়োজন করতে হবে। এছাড়া উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ফ্রিল্যান্সিং সংক্রান্ত প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করতে হবে। ৭।জেলা প্রশাসক কুষ্টিয়ার ন্যায় অন্যান্য জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরকেও ফেসবুকে প্রাপ্তও অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাৎক্ষনিক সমাধানের বিষয়ে উদ্যোগী হতে হবে এবং এ দৃষ্টান্ত দেশের অন্যান্য জেলাতেও অনুসরণ করা যেতে পারে।
Posted on: Wed, 19 Nov 2014 14:33:53 +0000
Trending Topics
Recently Viewed Topics
© 2015