আওয়ামীলীগের বিশেস - TopicsExpress



          

আওয়ামীলীগের বিশেস আস্থাভাজন পত্রীকা প্রথম আলো জানাচ্ছে ১।লন্ডনে গার্ল সামিটের আগেই বৈঠক হবে শেখ হাসিনা আর প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন এর মাধ্যে । ২।যার জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ মিনিট। ৩।আলোচনা তে প্রাধান্য পাবে রাজনোইতিক বিসয়। সাদামাটা ভাবে এই রিপোর্ট দেখে ভিন্ন কিছু বোঝার কথা না। কিন্তু যারা আমাদের পত্রিকাগুলির প্রায়গিক ভাসা থেকেই ভেতরের মুল গল্পটা বুঝার ক্ষমতা রাখেন আর কূটনৈতিক চ্যানেল থেকে নূন্যতম খবর পান তারা বলছেন ভিন্ন কথা। প্রথমত সাগতিক ব্রিটিশ সরকার এর বাইরে একমাত্র বাংলাদেশ এর পিএম এই সামিটে উপস্থিত থাকছেন। অর্থাৎ এই সমীটে নীতি নির্ধারনি পর্যায়ের কেও কোন দেশ থেকে অংশ নিচ্ছে না। সেই অর্থে এই সমিট প্রথম শ্রেনীর এবং ফলদায়ী কোন সমিট নয়। সেকন্ডলি শেখ হাসিনা চেয়েছিলেন ১ ঘন্টার একটা সাক্ষাৎকার। সেখানে পিএম ডেভিড ক্যামেরন শেখ হাসিনার জন্য বরাদ্দ করেছেন স্বাভাবিকের চেয়ে অর্ধেক কম সময়। মাত্র ৩০ মিনিট। তৃতিয়ত একজন প্রধান মন্ত্রী যখন বিদেশ সফরে যান তখন তার Counterpart অতিথির সম্মানে বিশেস Dinner বা Lunch এর আমন্ত্রন করেন। যা কূটনৈতিক ভদ্রতার খুব সাধারন আর কমন এ্যালিমেন্ট। আপনি আশ্চর্য হবেন যে এই ক্ষেত্রে ডেভিড ক্যামেরন তার কাউন্টার পার্ট শেখ হাসিনার সম্মানে কোন ভোজ সভা রাখেন নি। শুধু তাই না বাংলাদেশি কূটনীতিক এবং গহর রীজভির চরম তদবিরের পরেও কোন ভোজসভা রাখা হয় নায়। কারন হিসাবে ব্যাস্ততা দেখানো হয়েছে। তবে এই ভোজ সভার বিসয়টাকে আপনারা ফুট নোট হিসাবে রাখতে পারেন। কারন হয়তো দেখা যাবে যে গার্ল সামিটের প্রতিদিনকার ভোজ সবার মধ্য থেকে কোন একটা কে আওয়ামিলিগের পত্রীকা গুলি ব্রিটেণে হাসিনার ভোজ সভা বলে চালিয়ে দিতে চেস্টা করতে পারে। আপনি যদি ডাউনিং স্টিটের সিডিউলের দিকে লক্ষ রাখেন নিশ্চিত হতে পারবেন যে পিএম ডেভিড ক্যামেরন কারো সম্মানে আদেও কোন খাওয়া দাওয়াত আয়োজন করেছে কি না? চার নাম্বার বর্তমানের ফিনান্সিয়াল পলিটিক্স এর যুগে কোন প্রধানমন্ত্রী রাস্ট্রিয় কোশাগারের পয়শা ভেংগে বানিজ্য চুক্তিপত্র করার বিসয় না থাকলে বিদেশে বিলাসী ভ্রমনে যান না। শেখ হাসিনার এর ভ্রমনে কোন বানিজ্য চুক্তি হচ্ছে না, কোন প্রকল্প সাহাজ্য চুক্তিনামা হচ্ছে না। পাচ নাম্বারে বলি : প্রথম আলোর Tuned রিপর্ট অনুযায়ী এই সফরে হাসিনার সাথে আলোচনার জন্য ডেভিড ক্যামেরানের নির্ধারিত বিসয় হচ্ছে রাজনীতি প্রক্রিত সত্য হচ্ছে রাজনোইতিক অচলায়তন গনতন্ত্রে জন্মভূমি ব্রিটেন শেখ হাসিনা কে প্রথমেই যা বলবে তা হচ্ছে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সকলের অংশ গ্রহনের মাধ্যমে গ্রহন যোগ্য নির্বাচন অনুসঠানের কথা, খুন গুম এর কথা, RAB বাতিলের কথা। বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের কথা। শেখ হাসিনা উত্তরে যা বলবেন তা হচ্ছে যে উনারা যুদ্ধাপরাধী দের বিচার করার মাধ্যমে মানবতার প্রতি অবমাননা কারিদের আইনের শাসনের আওতাতে নিয়ে এসেছেন। আর মনে করিয়ে দেবার চেস্টা করবে শেখ সাহেব পাকিস্থান থেকে ফেরার পথে যে প্রথমে লন্ডন এসেছিল সেই কথা। এর সাথে হাসিনা হয়তো মাদাম তুসো মিউজিয়াম কত্রিপক্ষের বিরুদ্ধে ক্যামেরনের কাছে নালিস জানাবেন যে শেখ মুজিবর রহমানের মূর্তি সেখানে না থাকার অভিযোগে। অর্থাত বাংলাদেশের পিএম যা বলবেন তার প্রায় সবটাই হবে অতীত মুখী। আর হাসিনার কাউন্টার পার্ট ডেভিড ক্যামেরন যা আলোচনা করার ইচ্ছা ব্যাক্ত করেছেন তা সবই বর্তমান মুখী। তাহলে তুমিই বল শেখ হাসিনার এই ব্রিটেন সফর ব্রীটিশ দের কাছে আসলে কতো টা গুরুত্তপূর্ন। আর বাংলাদেশের মানুসের জন্য কি ফলাফল বয়ে আনবে? কার্টেসিঃ Wasim Iftekhar
Posted on: Tue, 22 Jul 2014 08:30:21 +0000

Trending Topics



y" style="min-height:30px;">
My Utmost for His Highest from Oswald Chambers for February

Recently Viewed Topics




© 2015