আওয়ার অব কোড: কি ও কেনো? - TopicsExpress



          

আওয়ার অব কোড: কি ও কেনো? Everybody should learn how to code প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী পালিত হয় কম্পিউটার বিজ্ঞান শিক্ষা সপ্তাহ বা Computer Science Education Week. আর পুরো সপ্তাহ জুড়ে বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষকে কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে উৎসাহিত করতে আয়োজন করা হয় ১ ঘন্টা ব্যাপী একটি অনুষ্ঠান আওয়ার অব কোড। এই উদ্যোগটি ২০১৩ সালে প্রথম সূচনা করেন ইরানি বংশোদ্ভুত দুই ভাই হাদি ও আলি পারতোভি। অচিরেই এই উদ্যোগকে জনপ্রিয় করতে এগিয়ে এসেছে মাইক্রোসফট, ফেসবুক সহ বিশ্বের বড় বড় সব টেক জায়ান্ট। তাদের বক্তব্য শুধু একটাই, আপনার বয়স ৪ হোক অথবা ১০৪ হোক, আপনার পক্ষেও প্রোগ্রামিং শেখা সম্ভব। সেই সাথে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বড় বড় সব গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীদের জন্য তারা তৈরী করেছে দিয়েছে অসংখ্য চমৎকার গেম, যা খেলতে খেলতে আপনার কাছে কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারনা গুলো শুধু বুঝিয়ে দেবে নয়, বরং আপনার মধ্যে প্রোগ্রামিং শিখে সৃজনশীল কিছু তৈরী করার স্পৃহা জাগ্রত করে দেবে। ২০১৩ সালের আওয়ার অব কোড এর মোট ৫ দিনের অনুষ্ঠানে অংশ নেয় বিশ্বব্যাপী ১ কোটি ৫০ লক্ষ শিক্ষার্থী। https://youtube/watch?v=rH7AjDMz_dc আওয়ার অব কোড এর মজার ব্যাপারটা হচ্ছে, যে এটা যে আপনাকে কোন প্রাতিষ্ঠানিক পরিবেশে আয়োজন করতে হবে এমন নয়। আপনি আপনার বেডরুমে বসেও নিজে নিজে আওয়ার অব কোডের গেমগুলো খেলতে পারেন। আপনি আওয়ার অব কোড করতে পারেন আপনার পরিবারের সদস্যদের সাথে, বন্ধুদের সাথে, ভাই-বোনদের সাথে, বাসায় বসে অথবা খোলা মাঠে বসেও। মজাদার পাজল জাতীয় গেমগুলো খেলে নিজের চিন্তাশীলতা আর সৃজনশীলতা ঝালাই করে নেওয়ার সাথে সাথে শিখে নিতে পারেন কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের মৌলিক ধারনা গুলো। এই ছোট ছোট ব্রেইন টুইস্টার গুলো আপনাকে বুঝিয়ে দেবে কম্পিউটার কোনো জাদুর বাক্স নয়। এটি অন্যান্য আর দশ যন্ত্রের মতই একটা যন্ত্র, যা আপনার নির্দেশেই কাজ করে এবং আপনার নির্দেশের বাইরে আর কিছুই করে না। গত বছরের মত এই বছরও বেশ ঘটা করে পালিত হচ্ছে আওয়ার অব কোড। ৮ই ডিসেম্বর ২০১৪ থেকে ১৪ই ডিসেম্বর ২০১৪ পর্যন্ত বিশ্বের ১৮০ টিরও বেশী দেশে ৭৫,০০০ এরও বেশী স্থানে একযোগে পালিত হচ্ছে আওয়ার অব কোড। আপনি যদি একজন শিক্ষক হন, আপনিও আপনার প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজন করতে পারেন এক ঘন্টার এই আয়োজন। কিভাবে এই অনুষ্ঠানটি উদযাপন করতে হবে জানতে শুরুতেই দেখে নিন এই ইউটিউব ভিডিও টি। https://youtube/watch?v=tQeSke4hIds কিভাবে আয়োজন করবো? In fifteen years well be teaching programming just like reading and writing... and wondering why we we didnt do it sooner. - Mark Zukerberg ভেন্যু — ছোট বা বড় যেকোন ভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যেতে পারে। স্কুল, কলেজ, পলিটেকনিক, বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন রকম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাসরুমে বসে এই অনুষ্ঠান করা যেতে পারে। এছাড়া জেলা বা শহর বা গ্রাম পর্যায়ে বিভিন্ন বয়স ও ব্যাকগ্রাউন্ডের কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের আগ্রহীদের জন্য কোনো অডিটোরিয়ামে সবার জন্য উন্মুক্ত অনুষ্ঠান করা যেতে পারে। পছন্দসই ভেন্যু পেয়ে গেলে অনুমতি নিন যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট এই ফরম্যাটের একটি চিঠি পাঠানো যেতে পারে (goo.gl/rmmByp) প্রয়োজনীয় পরিবর্তন, পরিমার্জন করে। অনুষ্ঠান শুরু করুন আওয়ার অব কোডের অনুপ্রেরণা মূলক কিছু ভিডিও দিয়ে। নিচে বেশ কিছু ভিডিও লিঙ্ক দেওয়া আছে যা শিক্ষার্থীদের দেখানো যেতে পারে। https://youtube/watch?v=rH7AjDMz_dc https://youtube/watch?v=FC5FbmsH4fw https://youtube/watch?v=nKIu9yen5nc https://youtube/watch?v=qYZF6oIZtfc https://youtube/watch?v=6XvmhE1J9PY https://youtube/watch?v=dU1xS07N-FA হ্যান্ডবিল ও লিফলেট — আপনি চাইলে লিফলেট বা হ্যান্ডবিল প্রিন্ট করে সবার হাতে হাতে দিয়ে দিতে পারেন, যাতে করে যারা অংশ নিতে পারেনি তারাও এই ইভেন্ট সম্বন্ধে জানতে পারে। এখানে কিছু স্যাম্পল হ্যান্ডবিল দেওয়া আছে। আপনি চাইলে এগুলো ব্যবহার করতে পারেন অথবা নিজেও কোন হ্যান্ডআউট ডিজাইন করতে পারেন। hourofcode/resources/hoc-one-pager.pdf hourofcode/files/schools-handout.pdf পোস্টার — এছাড়া চাইলে কিছু পোস্টার ও প্রিন্ট করা যেতে পারে। নিচে বিভিন্ন স্বনামধন্য ব্যাক্তিদের উৎসাহব্যঞ্জক বানী সম্বলিত পোস্টারের নমুনা দেওয়া আছে। আপনি এগুলোও ব্যবহার করতে পারেন অথবা নিজেও কোন পোস্টার তৈরী করে নিতে পারেন। hourofcode/resources/mark-zuckerberg-poster.pdf hourofcode/resources/marissa-mayer-poster.pdf hourofcode/resources/chris-bosh-poster.pdf hourofcode/resources/susan-wojcicki-poster.pdf hourofcode/resources/barack-obama-poster.pdf hourofcode/resources/ashton-kutcher-poster.pdf প্রচার প্রচারনা — প্রচার প্রচারনার জন্য এই ছবি ও ব্যনার গুলো ব্যবহার করতে পারেন। আপনার ফেসবুক প্রোফাইল, ইভেন্ট পেইজ ও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে এই ছবিগুলো ব্যবহার করুন কাভার ফটো হিসেবে। ছবি আওয়ার অভ কোড ব্যানার hourofcode/images/banner1.jpg hourofcode/images/banner3.jpg hourofcode/images/banner5.jpg hourofcode/images/social-1.jpg hourofcode/images/social-2.jpg hourofcode/images/social-3.jpg hourofcode/images/mark.jpg hourofcode/images/susan.jpg hourofcode/images/chris.jpg hourofcode/images/marissa.jpg hourofcode/images/ashton.jpg hourofcode/images/barack.jpg মিডিয়া কাভারেজ — অনুষ্ঠানের খবরগুলো পৌছে দিন বিভিন্ন মিডিয়া নেটওয়ার্কে (কেবল টিভি, স্থানীয় সংবাদপত্র)। অভিভাবকদের কাছে বার্তাটি পৌছে দিন। স্থানীয় গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তিদের আহ্বান জানান আপনার আয়োজনে অংশ নিতে। রেজিস্ট্রেশন — আওয়ার অব কোডের ওয়েবসাইটে (hourofcode/us) গিয়ে আপনার ইভেন্টটি রেজিস্টার করতে ভুলবেন না! কি কি এক্টিভিটি করা যেতে পারে: Dont just play on your phone. program it. - Barack Obama অনুষ্ঠান শুরু করুন উপরে উল্লেখিত ভিডিও গুলো দিয়ে। এরপরে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রোগ্রামিংয়ের গুরুত্ব নিয়ে কিছু বক্তব্য দিন। চেষ্টা করুন কিছু গঠনমূলক তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করতে যা আপামর জনসাধারনকে প্রোগ্রামিংয়ে আগ্রহী করে তুলবে। সম্ভব হলে স্থানীয় ব্যক্তিত্ব যারা ইন্ডাস্ট্রিতে কর্মরত রয়েছেন এবং প্রোগ্রামিংয়ের সাথে সম্পর্কিত কাজ করছেন তাদেরকে দাওয়াত দিন এবং তাদের আহ্বান জানান শিক্ষার্থীদের কাছে তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য। ব্যাখ্যা করুন কম্পিউটার বিজ্ঞান কি? ও এর প্রয়োজনীয়তা কি? উচ্চ শিক্ষা ও গবেষনার বিভিন্ন সেক্টরে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে ব্যবহার কতটুকু? এই লিঙ্কের (code.org/learn) টিউটোরিয়াল গুলো প্রদর্শন করুন এবং শিক্ষর্থীদের সাথে একসাথে বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করুন। যদি সবার জন্য কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের ব্যবস্থা থাকে তবে তাদেরকে এই লিঙ্কটি (code.org/learn) দিয়ে গেমগুলো খেলতে আহ্বান জানান। যদি তেমন ব্যবস্থা না থাকে তবে একটি কম্পিউটার ব্যবহার করুন ও প্রজেক্টরের মাধ্যমে সেটা শিক্ষার্থীদের দেখান। শিক্ষার্থীদের সতস্ফুর্ত অংশগ্রহন নিশ্চিত করুন। তাদের ফিডব্যাক থেকে বোঝার চেষ্টা করুন তারা এটি করে আনন্দ পাচ্ছে কিনা। প্রয়োজনবোধে তারা যেই গেমটি খেলতে চায় সেটিই খেলুন। শিক্ষার্থীদের ইমেইল ঠিকানা সংগ্রহ করুন ও তাদের জন্য সার্টিফিকেট ডাউনলোড করে তাদেরকে ইমেইল করে দিন। এই লিঙ্ক (https://code.org/certificates) ব্যবহার করে সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে পারবেন। আাওয়ার অব কোডের ওয়েবসাইটে আপনার ইভেন্টটি রেজিস্ট্রেশন করতে ভুলবেন না। সেইসাথে ইভেন্টে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইটগুলো আপনাদের অনুভুতি শেয়ার করুন। একটি অনুষ্ঠানের শিডিউল কেমন হতে পারে? Every student in every school should have the opportunity to learn computer science. 10:00-10:05 am — উৎসাহ ব্যঞ্জক ভিডিও দিয়ে শুরু করুন। 10:05-11:15 am — প্রধান অথিতির বক্তব্য (হেডমাস্টার, প্রিন্সিপাল, আাইসিটি শিক্ষক, জেলা প্রশাসক যে কেউ হতে পারেন)। 11:15-11:17 am — আবার একটি উৎসাহ ব্যঞ্জক ভিডিও দেখান। 11:17-11:30 am — বিশেষ বক্তার বক্তব্য (অভিজ্ঞতা, কম্পিউটার বিজ্ঞান কি?, দৈনন্দিন জীবনে এর প্রয়োজনীয়তা কি? কেন সবার প্রোগ্রামিং জানা উচিত?) 11:30-11:40 am — শিক্ষার্থীদের সাথে ইন্টারএকটিভ ইভেন্ট। এখানে বিভিন্ন গেম খেলা যেতে পারে। 11:40-12:00 pm — শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন ও উত্তরের একটি সেশন। এখানে তাদের বিভিন্ন জিজ্ঞাসার উত্তর দেওয়া হবে। ভালো প্রশ্নের জন্য তাদেরকে পুরস্কার দেবার ব্যবস্থা করুন। 12:00-12:05 pm — সমাপনী বক্তব্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করুন। আরো কি কি বিষয় মাথায় রাখতে হবে? Computer Science belongs in every public school, right next to biology, chemistry or algebra. - Ashton Kutcher নিয়ম শৃঙ্খলা বজায় রাখার ব্যবস্থা করুন। সম্ভব হলে কিছু স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করুন যারা। তারা এই বিষয় গুলো দেখাশুনা করবে। ভিডিওগুলো অনুষ্ঠানের আগেই ডাউনলোড করে নিন, যাতে করে অনুষ্ঠানের দিন ইন্টারনেট ব্যন্ডউইডথ সংক্রান্ত কোনো কারনে ভিডিও প্রদর্শন বাধাগ্রস্থ না হয়। ব্যাকআপ ইন্টারনেটের ব্যবস্থা রাখুন। কমপক্ষে একটি কম্পিউটার ও প্রজেক্টরের ব্যবস্থা করুন। যথেষ্ট বড় কক্ষ হলে আলাদা সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবস্থা রাখুন। ইভেন্ট কাভার করার জন্য অন্তত একজন নিজস্ব ফটোগ্রাফার রাখুন। ইভেন্টের দৈর্ঘ্য ৩ ঘন্টার বেশী হলে হালকা নাস্তার ব্যবস্থা করুন। আশা করা যায়, এই গাইডলাইন গুলো অনুসরন করলে আপনি সফলভাবে একটি আওয়ার অব কোড ইভেন্ট পরিচালনা করতে পারবেন। মনে রাখবেন, এই ইভেন্টের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সকলকে প্রোগ্রামিং শিখতে আগ্রহী করা ও প্রোগ্রামিংয়ের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে সবাইকে সচেতন করা। তাই সর্বোতভাবে চেষ্টা করুন যত বেশী সংখ্যক মানুষের কাছে যেন এই কথাগুলো পৌছে দেওয়া যায়। যারা অংশ নিতে পারলো না বা যাদের স্থান সংকুলান করা গেলো না, তারাও যেনো এই ইভেন্টের মূল উদ্দেশ্যগুলো জানতে পারে। তাই সোশ্যাল মিডিয়া ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে আলোড়ন সৃষ্টি করুন। অনুষ্ঠান তো শেষ, এরপর কি করবো? পৃথিবীর কোনো মানুষই মেধাবী হয়ে জন্ম নেয় না। জ্ঞান আর চর্চার সমন্বয়েই মেধার জন্ম হয়। শিক্ষার্থীরা তো প্রোগ্রামিংয়ে আগ্রহী করা হলো, এখন তারা কি করবে? তারা কিভাবে প্রোগ্রামিং চর্চা অব্যাহত রাখবে? ** যে সকল শিক্ষার্থী সপ্তম শ্রেণী বা তার নিচের শ্রেণীতে অধ্যয়ন রত তাদের কে Scratch নামক সফটওয়্যারটির সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পারেন (scratch.mit.edu/)। তাতে করে তারা ওই সফটওয়্যার ব্যবহার করে প্রোগ্রামিং চর্চা অব্যাহত রাখতে পারে। এছাড়া তাদের কে অনুপ্রাণিত করুন যেন তারা পাজল, সুডোকু ও বিভিন্ন ব্রেইন টুইস্টার জাতীয় সমস্যা সমাধান করে নিজেদের চিন্তাশক্তির চর্চা অব্যাহত রাখে। ** যে সকল শিক্ষার্থী অষ্টম শ্রেণী বা তা উর্ধ্বে অধ্যয়নরত তাদেরকে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং সংক্রান্ত কোনো বই পড়ার পরামর্শ দিন। এক্ষেত্রে তামিম শাহরিয়ার সুবিন রচিত অন্যরকম প্রকাশনীর কম্পিউটার প্রোগ্রামিং প্রথম খন্ড বইটি রেফার করতে পারেন (goo.gl/Cm1bb3)। বইটি নতুন শিক্ষার্থীদর কথা মাথায় রেখে সহজবোধ্য ভাবে লেখা হয়েছে। সেইসাথে দ্বিমিক কম্পিউটিং পরিচালিত কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের অনলাইন কোর্স প্রোগ্রামিংয়ে হাতে খড়ি কোর্সে অংশগ্রহনের পরামর্শ দিতে পারেন (goo.gl/YEC1tu)। এই কোর্সটিতে ৪৬ টি বাংলা লেকচারের মাধ্যমে কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের বিভিন্ন টপিক সহজবোধ্য উপায়ে আলোচনা করা হয়েছে। সবার জন্য শুভকামনা। কারো কোন জিজ্ঞাসা থাকলে মন্তব্য সেকশনে উল্লেখ করার অনুূরোধ রইল। আমি চেষ্টা করবো যত দ্রুত সম্ভব উত্তর দেওয়ার। ধন্যবাদ।
Posted on: Thu, 11 Dec 2014 18:21:54 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015