আজ গুলিস্তানের গোলাপ শাহ মাজারের মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে গোলাপ শাহ মাজারের পাশেই দাঁড়িয়ে বেকুব মানুষদের কাণ্ড দেখছিলাম। মানুষ নির্বিচারে মাজারের ভিতর টাকা ফেলছে আর দুই হাত তুলে মুনাজাত করছে আবার কেউ কেউ মাজারে সাজদা দিয়ে পড়ে আছে। ঠিক এমন সময় প্যান্ট শার্ট পরা এক হ্যান্ডসাম যুবক মাজারে কিছু টাকা ফেলে দুই হাত তুলে বাবার কাছে কিছু চাইলো। ছেলেটি মাজার থেকে বেড়িয়ে যাচ্ছে ঠিক এমন সময় আমি তার হাতটা টেনে ধরলাম। ছেলেটা একটু ভয় পেয়ে গেলো। জিজ্ঞাস করলাম, আচ্ছা! বাবার কাছে কি চাইলেন?? -চাইছি অনেক কিছুই, বলা যাবেনা। কেন বলা যাবেনা?? -এমনিতেই বলা যাবেনা। আমি আর কথা বাড়ালাম না। চিন্তা করুন কতো বড় বেকুব, মৃত বাবার কাছে চাইতে আসছে অথচ একটু দুরেই মসজিদটা। মসজিদে গিয়ে দুই রাখাত নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে চাইলেই কিন্তু পারে। কিন্তু তা কখনো করবেনা। আচ্ছা একবার চিন্তা করুন তো গোলাপ শাহ নামের এই মৃত ব্যক্তির টাকার কি দরকার?? আর যে ব্যক্তি জীবিত অবস্থায় নিজেই অন্যের মুখাপেক্ষী ছিল সে কিভাবে মৃত অবস্থায় মানুষের মনের আশা বা চাহিদা পূরণ করবে?? টাকা তো দরকার জীবিত মানুষের। মাজারের পাশের রাস্তাতেই অনেক দরিদ্র মানুষ পড়ে আছে যারা হয়তো দশটা টাকার অভাবে এখনো রাতের খাবার খেতে পারেনি কিন্তু তাদের পাশ দিয়ে হেটে যাওয়া মানুষেরা ঠিকই মাজারে মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে শত শত টাকা ছুড়ে ফেলছে। আসলে এই মাজারগুলো হচ্ছে জঘন্য শিরকের আড্ডাখানা এবং এক ধরণের বিশাল ব্যবসা, এর সাথে ঢাকা শহরের অনেক বড় বড় স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা জড়িত, তারা মাজারের টাকার নিয়মিত ভাগ পায়। -আমার মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে হয়, পুলিশ র্যাব দিয়ে টিয়ারশেল মেরে মাজারের মুরিদানদের সরিয়ে তারপর বলডুজার দিয়ে এই মাজারগুলো একেবারে মাটির সাথে মিশিয়ে দেই, বিশাল সংখ্যক অজ্ঞ মানুষদেরকে জঘন্য শিরক এবং প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা করি!!
Posted on: Sun, 29 Sep 2013 17:30:13 +0000
Trending Topics
Recently Viewed Topics
© 2015