আজ যাকে নীয়ে লেখলাম তাঁর - TopicsExpress



          

আজ যাকে নীয়ে লেখলাম তাঁর জীবন কাহিনী বড়....... কী বলব আর..... পড়লেই বুঝতে পাড়বেণ........ । আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার আগেই চারটি বড় ধরনের স্ট্রেস ফ্র্যাকচারের ধাক্কা সামলেছেন, এমন কজন আছেন বিশ্ব ক্রিকেটে? টেস্ট অভিষেকের তিন বছর আগে হতাশায় সব ছেড়েছুড়ে পিকআপ চালাতে শুরু করেছিলেন, এমন আর কেউ হয়তো নেই-ই। মিচেল জনসনের ফেলে আসা দিনের গল্প এমনই অবিশ্বাস্য। কুইন্সল্যান্ডের টাউন্সভিলে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম। পরিবারে খেলার ইতিহাস নেই। ছেলেবেলায় খেলার আনন্দেই খেলতেন। ক্রিকেটটাই বেশি ভালো। তবে নিজে ভালোবাসতেন টেনিস। ১২ বছর বয়সে স্থানীয় ওয়ান্ডারার্স ক্রিকেট ক্লাবে যোগ দিয়েও চলে এসেছিলেন টেনিস খেলোয়াড় হবেন বলে। এক বন্ধু অনেকটা জোর করেই আবার ওয়ান্ডারার্সে নিয়ে যান। স্থানীয় লিগে চার-পাঁচ উইকেট পেতে থাকেন নিয়মিত। টানাটানির সংসারে ক্রিকেট জুতা কেনার কথা ভয়ে বলতেই পারেননি বাবাকে। বাবার একজোড়া গলফের জুতা ছিল, তা পরেই খেলতেন। ১৫ বছর বয়সে এক ম্যাচে ৮ উইকেট নিলেন ১০ রানে! বয়স যখন ১৭, জনসনের জীবন পাল্টে দিল ব্রিসবেনের একটি ক্রিকেট ক্যাম্প। জনসনের মাত্র তিনটি বল দেখেই সেই ক্যাম্পের পরিচালক ডেনিস লিলি ফোন করলেন অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত একাডেমির প্রধান রডনি মার্শকে, ‘জীবনে একবারই দেখা মেলে, এমন সম্ভাবনাময় একজনকে পেয়েছি।’ জনসনের ঠিকানা হলো একাডেমি। মাস দেড়েক পর নিজেকে আবিষ্কার করলেন বিমানে, অস্ট্রেলিয়া অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে যাচ্ছেন ইংল্যান্ড সফরে! বিশতম জন্মদিনের আগের দিন প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক কুইন্সল্যান্ডের হয়ে সফরকারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। প্রথম বলেই মারলেন ছয়, বোলিংয়ে তিন উইকেট। কিন্তু চোট- আঘাত সঙ্গ ছাড়ছিল না কিছুতেই। ২০০৪ সালে চতুর্থবার স্ট্রেস ফ্র্যাকচার ধরা পড়ার পর কুইন্সল্যান্ড চুক্তি বাতিল করে দিল। ক্রিকেট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভগ্নহূদয়ে ফিরে গেলেন টাউন্সভিলে, এক বন্ধুর পিকআপ চালাতে শুরু করলেন। কিছুদিন পর পরিবারের লোকজন ও বন্ধুরা মিলে বুঝিয়ে-সুজিয়ে আবার ফেরালেন প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে। ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের হয়ে পাকিস্তান সফরে মরা উইকেটে গতির ঝড় তুলে ওই বছর ডিসেম্বরেই ঢুকে গেলেন জাতীয় দলে, ওয়ানডে অভিষেকও হলো। স্বপ্নের ব্যাগি গ্রিন মাথায় উঠল ২০০৭ সালের নভেম্বরে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। প্রথম দুই টেস্টে চারটি করে উইকেট, ভারতের বিপক্ষে সিরিজে ১৬ উইকেট নিয়ে পাকা করলেন জায়গা। টেস্ট জগতে বছর খানেক কাটানোর পর বিশ্ব ক্রিকেট দেখল জনসনের সত্যিকারের রূপটা। পার্থে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইনিংসে ৮ আর ম্যাচে ১১ উইকেট, দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরতি সফরেও বোলিংয়ে ঝড়, ব্যাট হাতে অপরাজিত ৯৬, এক ওভারে ২৬ রান নিয়ে অস্ট্রেলীয় রেকর্ড, এরপর সেঞ্চুরি, তিন টেস্টের ব্যবধানে দুবার গ্রায়েম স্মিথের আঙুল ভাঙা, জ্যাক ক্যালিসের থুতনি ফাটানো—প্রতিপক্ ষের জন্য জনসন তখন এক আতঙ্কের নাম। ২০০৯ সালে প্রথম অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে এক পঞ্জিকাবর্ষে ৫০০ রান ও ৫০ উইকেট—অস্ট্রেলি য়া দেখতে পাচ্ছিল সত্যিকার এক অলরাউন্ডারের প্রতিচ্ছবি। ওই বছরই আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটারের স্বীকৃতি স্বপ্নের পালে দিল জোর হাওয়া। এরপর কোথায় নিজেকে আরও ছাড়িয়ে যাবেন, শুরু হলো উল্টো যাত্রা। পতনের শুরুও ২০০৯ অ্যাশেজ থেকে। শুরুর সেই ধারাবাহিকতা গত দুই বছরে আর দেখা যায়নি। সেইবার থেকে বাজে বোলিং পারফরমেন্সের কারণে দল থেকে বাদ পড়লেন | এর পর দলে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করতে পারছিলেন না | তবে নিজের হাতেই যেন পান্ডুলিপি তৈরি করবেন বলে ঠিক করে রেখেছিলেন , আগেরকার বোলারদের মতো জাঁদরেলি গোঁফ রেখে ঝড় তুললেন সদ্য শেষ হওয়া ASHES সিরিজ এ | তার গতির ঝড়ের সামনে পুরো সিরিজ দাড়াতেই পারলনা ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা , অস্ট্রেলিয়া জিতল ৫-০ তে নিজে তুলে নিলেন ৩৭ উইকেট , হলেন ম্যান অফ দা সিরিজ | নিজের পায়ের তলার মাটি ফিরে পেলেন | হয়ে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার আশেজ পুনরুদ্ধারের নায়ক | এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার সেরা বোলারদের কাতারে নাম উঠে গেছে কুইন্সল্যান্ড এর এই গতি দানবের | ম্যাকগ্রার মতো কিংবদন্তি তো আর এমনি এমনি এ বলে দেননি যে সর্বকালের সেরা বোলার হওয়ার যোগ্যতা আছে তার !
Posted on: Tue, 23 Dec 2014 08:55:09 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015