আজকের গল্পঃ রাজকন্যা।। - TopicsExpress



          

আজকের গল্পঃ রাজকন্যা।। লেখাঃ মারিয়া সুলতানা। মফস্বল শহরের একটা কলেজ। কলেজ এ ভর্তি হবার প্রথম দিন । রিয়া আর ওর ফ্রেন্ড মৌ আসে admission নিতে। মৌ এর কাজিন হচ্ছে শুভ। শুভ-ও এই কলেজেই admit হবে। অফিস রুমে ঢোকার আগে রিয়া মৌ কে বলল, -কি রে তোর কাজিন এর ও না এখানে admission নেবার কথা......তো কই সে? -এতক্ষনে তো এসে পরার কথা। কোথায় যে আছে ছেলেটা......কে জানে!! এর ই মধ্যে শুভ চলে আসে। পেছন থেকে মৌ কে ডাকে। মৌ শুভর দিকে চলে যায়। রিয়া তখন ও শুভর মুখটা দেখতে পায়নি ভিড়ের মধ্যে। মউ কে কিছুক্ষন পরে রিয়া ডাক দেয় ওর দিকে, কাগজপত্র সব জমা দিতে হবে......দেরি হয়ে যাচ্ছে। ওই মুহুরতেই রিয়া কে প্রথম লক্ষ্য করে শুভ। মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে থাকে ওর দিকে......কিন্তু রিয়া তখনও শুভ কে দেখেইনি!! ফর্ম জমা দেওয়াতেই ব্যস্ত সে......!! নবীণ বরণের দিন রিয়া আর শুভ কে আলাপ করিয়ে দেয় মৌ। ওরা কয়েকজন এর সাথে পরিচিত ও হয়। কথা বলার এক পর্যায়ে হঠাত ই রিয়া শুভর হাত ধরে অডিটোরিয়াম থেকে বাইরের দিকে টানতে থাকে আর বলতে থাকে, “চলোনা বাইরে কোথাও যাই। এখানে কিছু উটকো লোকজন চলে এসেছে। আমার এখানে আর একদম ভালো লাগছে না”। ওর এই আচরণে কিছুতা বিব্রত বোধ করে শুভ। বাইরে বেরিয়ে আসার পর রিয়া ধপ করে শুভর হাতটা ছেড়ে দিয়ে বলে, -sorry, plz কিছু মনে কোরোনা। আসলে ওখানে একটা অসভ্য ছেলে ছিল [রিয়া কে ওখানে একটা ছেলে অনেকক্ষণ যাবত এ ফলো করছিলো] ভীষন জালাচ্ছে কিছুদিন যাবত। তাই এমনটা করলাম যাতে ও ভাবে যে তুমি আমার.........[বলেই থেমে যায় রিয়া] -বয়ফ্রেণ্ড......?? রিয়া মুচকি হাসে। শুভ বলে, -but তুমি একটু আগে যেটা করলে তাতে শুধু ঐ ছেলেই না বাকিরাও ভাববে যে আমি তোমার......[বলেই মাথা চুলকায় শুভ] -ভাবুক না......ক্ষতি কি!! আমাকে কেউ আর disturb করবে না। but তুমি কিন্তু ভুলেও ওসব ভাবতে যেওনা। ফ্রেন্ড?? [বলেই হাতটা বারিয়ে দেয় শুভর দিকে। শুভ ও ওর হাত টা পরম বন্ধুর মতই নিজের হাতে লুফে নেয়। বন্ধুত্তের দিন গুলো খুব ভালই কাটতে থাকে ওদের। আরো কিছু ফ্রেন্ড ও অ্যাড হয় ওদের সাথে। মোটামুটি ১টা গ্রুপ হয়ে যায় ওদের। লাইব্রেরি তে গিয়ে একসাথে গ্রুপ স্টাডি করা, শপিং এ গেলে তাও একসাথে, একসাথে আড্ডা দেওয়া বা দূরে কোথাও একটা ঘুরতে চলে যাওয়া এগুলো হয়ে ওঠে ওদের ডেইলি রুটিন। আর সবার অন্তরালে শুভ আর রিয়ার একে অপরের প্রতি ভালো লাগার শুরু! কলেজে যাবার সময় রিয়া কে পিক-আপ করা আবার কলেজ শেষে ওকে ড্রপ করে দিয়ে যাওয়া এসব ছিল শুভর ডেইলি রুটিন, রিয়ার মা ও খুব ভাল জানে শুভ কে। এভাবে বেশ ভালভাবেই কেটে যাচ্ছিলো ওদের লাইফ টা। রিয়া যেমন বুঝতে পারত যে শুভ ওকে পছন্দ করে কিন্তু নিজের ভাল লাগার বিষয়টা ও কখনো বুঝতে দিত না শুভ কে। আর শুভ...... শুভ জানত যে ও রিয়াকেই ভালবেসে ফেলেছে কিন্তু ওর ধারণা রিয়া তো ওকে বন্ধুই ভাবে অন্য কিছু না। তাই শুভ ও নিজের মনের কথাটা রিয়া কে জানানোর সাহস করেনি, পাছে ফ্রেন্ডশিপটা নষ্ট হয়ে যায় এই ভয়ে। শুভ তাই ভেবে রেখেছিলো রিয়া ওর সম্পর্কে কি ভাবে সে বিষয়ে আগে কনফার্ম হয়ে তারপর ওর অনুভুতির কথা রিয়া কে যানাবে। আর রিয়াও মনে মনে অপেক্ষা করছিলো যে কবে শুভ নিজে থেকে ওকে প্রপোজ করবে। একদিন সকালে......রিয়া আর সব ফ্রেন্ডরা মিলে ক্যাম্পাসে বসে আড্ডা দিচ্ছিলো। এমন সময় রিয়ার কাজিন রনি ওকে ফোন করে। ফোন করে ওকে জানায় যে রনি ওর এক ফ্রেন্ডকে নিয়ে রিয়ার কলেজে ঘুরতে আসছে। রনি ঢাকাতেই একটা প্রাইভেট ভার্সিটিতে এল এল এল বি পড়ছে। রিয়া ওর বান্ধবীদের জন্যে ঝালমুরি কিনে ফিরছিলো। হঠাত ই বেখেয়ালে একটা ছেলের সাথে ধাক্কা খায় ও। সাথে সাথে হাত থেকে ঝালমুড়ির সব গুলো ঠোঙ্গা পরে যায় ওর হাত থেকে। ছেলেট পেছন ঘুরে ওকে বলে, -সরি -ইটস ওকে। অ্যান্ড আই অ্যাম সরি। অ্যাকচুয়ালি ভুলটা আমার ই। আমি ই বেখেয়েলিভাবি হাটছিলাম। আর তাই আপনাকে দেখতে পাইনি বলে ধাক্কা লেগে গিয়েছে। এর ই মধ্যে ছেলেটার পেছন থেকে উঁকি দেয় আরেকটা ছেলে। ছেলেটা আর কেউ নয়......রিয়ার কাজিন রনি। রিয়া কে দেখে রনি গাল ভরা একটা হাসি দিয়ে বলে ওঠে, -আরে রিয়া,তুই!! ধাক্কা খাবার আর মানুষ পেলি না! ওহ, আলাপ করিয়ে দেই......ও হলো সজল, আমার ফ্রেন্ড, বুয়েটে পড়ছে । আর সজল, এ হলো............ রনির কথাটা শেষ না হতেই ওর মুখের কথাটা কেড়ে নিল সজল, -রিয়া......তোর কাজিন......এমনিতে খুব দুরন্ত......তবে মাঝে মাঝে একটু উদাস হয়ে যায়। রনি সজলের কথা শুনে বলে, “আগে থেকে চিনতি নাকি ওকে......এত কিছু তুই কি করে জানলি......!!” রনি বলে, “ কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের প্রথম দেখাতেই বলে দেওয়া যায় যে তারা কোন catagoryর!!” বলেই রিয়ার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসে......রিয়া লজ্জা পায়। রিয়া ওর বান্ধবীদের সাথে সজল আর রনির আলাপ করিয়ে দেয়। ওরা যখন করিডোরে দারিয়ে কথা বলছিল তখন করিডোরের আরেকপাশে শুভ ও ওর ফ্রেন্ডরা দাড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছিলো। সজল ও আরো সবাই একটা বিষয় খেয়াল করল যে রিয়ার ওপর থেকে সজল এর নজর যেনো সরছেই না। অপলক দৃষ্টিতে ও শুধু তাকিয়েই রয়েছে রিয়ার দিকে। আর রিয়া সেটা দেখেও না দেখার ভান করছে। শুভ বিষয়টা কে কোনোমতেই মেনে নিতে পারছিলো না। কে এই ছেলে......কোথার থেকেই বা এসেছে আর কেনো ই বা এভাবে তাকিয়ে আছে রিয়ার দিকে। অবশেষে বিরক্ত হয়ে শুভ ওর ফ্রেন্ড রবি কে রিয়াদের ওখানে পাঠালো ছেলেটা কে সেটা জানার জন্য। রবি রিয়াকে একপাশে ডেকে নিয়ে কথা বলে আর জেনে নেয় সজলের সম্পর্কে । শুভ ওইদিন রিয়ার ওপরে কেন জানি খুব রেগে যায় আর কথাও বলেনা ওর সাথে। এমনকি রিয়া কে ওইদিন ড্রপ করতে যায়না শুভ। রিয়া বুঝতে পারেনা ওর রাগের কারণটা। ওটা যে আসলে শুভর অভিমান ছিল তাও রিয়া বোঝেনা। এদিকে ওইদিন রাতেই সজল ফোন করে রিয়া কে। হাল্কা কিছু কথাবার্তা হয় দুজনার। রিয়া যখন জানতে চায় যে সজল রিয়ার কন্টাক্ট নাম্বার কোথায় পেল সজল ওকে বলে যে, “যাকে ভালো লেগে যায় তার সম্পর্কে খোঁজ নেওয়াটা কন ব্যাপারনা”। রিয়া বিষয়টা বুঝতে পেরেও এড়িয়ে যায়। পরদিন ও শুভ একই কাজ করে......avoid করে চলে রিয়াকে......কারণ রিয়ার ওপরে অভিমানটা যে ওর রয়েই গেছে! রিয়াও আর সেধে সেধে কথা বলতে যায়না শুভর সাথে। এদিকে রিয়া কলেজে ওর বান্ধবিদের সাথে শেয়ার করে সজল এর ওকে ফোন করার বিষয়টা। সবাই ওকে বলে আমরা তো প্রথমেই বুঝতে পেরেছিলাম যে এমন একটা কিছু ঘটবে। কাল ঐ ছেলেটা যেভাবে তোর দিকে তাকিয়ে ছিল তাতে তো নির্ঘাত বোঝা যায় যে ছেলেটা তর প্রেম এ হাবুডুবু খাচ্ছে! দেখিস খুব শিঘ্রই ছেলেটা তোকে প্রপোজ করবে। রিয়া ওদের কথা কানে তোলে না। পরদিন কলেজে যাবার পর রিয়া ভাবে আজ ও শুভর সাথে কথা বলে নেবে। আর কেন ও রিয়ার সাথে কথা বলছে না জেনে নেবে সে কারণটাও। কিন্তু ক্যাম্পাসে কোথাও খুঁজে পায়না শুভকে। পরে মৌ এর কাছে জানতে পারে যে ও বন্ধুদের সাথে কক্সবাজার ঘুরতে গিয়েছে। ভীষণ অভিমান হয় তখন রিয়ার...... “শুভ একটাবার আমাকে জানিয়ে যেতে পারল না”! রিয়া বিষয়টা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলো না। ও মনে মনে ঠিক করে ফেললো যে যতদিন পর্যন্ত না শুভ নিজে থেকে ওর সাথে কন্টাক্ট করছে ও শুভর সাথে কোনোরকম কন্টাক্ট করবে না। ঘটনাচক্রে ঐদিনই রিয়া জানতে পারে যে ওদেরই আরেক ফ্রেন্ড......রিতুও মনে মনে পছন্দ করে শুভকে। রিতু বিষয়টা শুধুমাত্র রিয়াকেই বলে আর এই ব্যাপারে রিয়ার হেল্প চায়। কারণ একমাত্র রিয়ার কথাই শুভ কখোনো ফেলতে পারেনা। রিয়া ওকে বলে যে, -শুভ কি তোকে পছন্দ করে? -জানিনা। বাট যেহেতু ওর কোনো গার্লফ্রেন্ড নেই। সো......আমি যদি ওকে প্রপোজ করি তবে আমাকে না করার তো কোনো কারণ দেখছি না। -তবুও......ওর নিজস্ব একটা পছন্দ-অপছন্দের ব্যাপার থাকতেই পারে। -ওটা কোনো ব্যাপার না। তুই ওকে বললে ও তোর কথা ফেলবে না......আমি জানি। আর তারপরে বাকিটা আমি ম্যানেজ করে নেব। রিতুর পীড়াপীড়িতে রিয়া রিতুর হয়ে শুভ কে প্রপোজ করতে রাজি হয়ে যায়। এদিকে সজল continiously রিয়ার সাথে কন্টাক্ট রাখে। সপ্তাহ খানিক পরে শুভ কক্সবাজার থেকে ফিরলে রিয়া নিজে থেকেই গিয়ে শুভর সাথে কথা বলে। এবং রিতুর হয়ে ওকে প্রপোজ করে। শুভ প্রপোজের কথা শুনে প্রথমে ভেবেছিল যে রিয়া ওকে ওর মনের কথা বলতে এসেছে। কিন্তু যখন ও শোনে যে রিয়া আসলে রিতুর হয়ে ওকে প্রপোজ করতে এসেছে তখন ও খুব রেগে যায় আর রাগ করে ওখান থেকে চলে যায়। এবং পরবর্তীতে যখন ও ফ্রেন্ডদের কাছ থেকে এটা শোনে যে সজল এর সাথে রিয়ার যোগাযোগ আছে তখন ও খুব ইনসিকিউর ফিল করে......আর রিয়া কে পাবার জন্যে এবং ওকে ঈর্ষান্বিত করে নিজের কাছে আনার জন্যে...... সর্বোপরি ওর প্রতি রিয়ার ফিলিংস টা জানার জন্যে শুভ একটা প্লান করে। ও প্লান করে রিতুর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কটাকে আরেকটু ঝালিয়ে নেবার!! পরদিন থেকেই শুভ প্লান মাফিক রিতু কে একটু বেশি এ priority দিতে শুরু করে, ওর সাথে বেশি টাইম স্পেন্ড করে, রিয়ার সামনে বলতে শুরু করে ওদের ফোনে আড্ডা দেবার গল্প......এককথায় রিয়াকে টোটালি এড়িয়ে চলতে থাকে শুভ। তবে রিয়া যখন লাইব্রেরি তে পড়তে থাকে তখন শুভ ও হয়ত রিতু কে নিয়ে রিয়ার opposit সাইডের কোনো একটা সিটে গিয়ে বসবে আর বইএর আড়ালে মুখ লুকিয়ে রিয়া কে দেখবে আর রিয়া হঠাত করে ওকে দেখে ফেললে রিতুর সাথে গল্প করা শুরু করবে, অথবা রিয়া যদি ফোনে কার সাথে কথা বলে তাহলে ওর আশেপাশে গিয়ে ঘুরাফেরা করা শুরু করবে দেখার জন্যে যে ও কার সাথে ফোনে কথা বলে আর রিয়া যদি ওকে দেখে ফেলে তবে এমনভাবে নেবে যে ও নিজেও কাউকে ফোনে ট্রাই করছিলো। তবে শুভ হয়ত স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি যে এর ফলাফলটা এতটা উল্টো হতে পারে। শুভর কাছ থেকে পাওয়া কষ্ট ভোলার জন্যে রিয়া সজল এর সাথে বেশি টাইম স্পেন্ড করতে থাকে। ফলে শুভ রিয়া কে ঠিক যতটা কাছে পেতে চেয়েছিলো রিয়া ওর থেকে ঠিক ততটাই দূরে যেতে থাকে। সজল একটা সময় রিয়া কে অফিশিয়ালি প্রপোজ করে। রিয়া তখনও ওর জীবনে এই নতুন মানুষটির আগমণ পুরোপুরিভাবে মেনে নিতে পারেনি। তাই রিয়া সজল এর কাছে একটু সময় চায় ভেবে নেবার জন্যে। সজলও এতে আপত্তি করেনা। রিয়া ওর ফ্রেন্ডদের সাথে আলাপ করে সজলের বাপারে......সবাই ওকে হ্যাঁ বলে দিতে বলে। রিয়া এবার ওর ডিসিশনটা মোটামুটি ভাবে ঠিক করে ফেলে!! এর ই মধ্যে চলে আসে শুভর বার্থডে। রিয়া ওকে একটা খুব সুন্দর ফটোফ্রেম আর একটা কার্ড গিফট করে। কার্ডটা রিয়ার নিজের হাতে বানানো। কার্ডটার শেষ পৃষ্ঠায় ও লিখে দেয়, “রাজপুত্র, তুমি আমার স্বপ্নে যখন ছিলে......ভালই তো ছিলে , তবে কেনো ধরা দিলে আমার কায়ার ছায়া হয়ে...... এভাবে মরীচিকার মত মুহূর্তেই মিলিয়ে যাবে বলে.........??????????” লেখাটা শেষ করে শেষ পৃষ্ঠাটার ওপরে আরো একটি কাগজ দিয়ে দুইপাশে আঠা লাগিয়ে দেয় রিয়া। যাতে কেউ শেষ পৃষ্ঠার লেখাটা ততোক্ষণ পর্যন্ত দেখতে না পায় যতক্ষণ না পৃষ্ঠাটা কেও মাঝ বরারর চিঁড়ে ফেলবে। পরদিন হঠাত ই সজল ফোন করে রিয়াকে। রিয়া তখন ক্লাস শেষ করে বের হচ্ছিলো। ফোনটা রিসিভ করতেই সজল বলে, -ক্লাস করে বের হলে বুঝি? -হুম। আপনার আজ ক্লাস ছিলনা? -ছিল তো। বাট একটা মেয়ের কারণে তো আমার নাওয়া-খাওয়া, ক্লাস সব মাথায় উঠেছে। আমি মেয়েটার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছি আর সে আমার বিষয়টা আমলেই নিচ্ছে না!! রিয়া মুচকি হাসে। তারপর বলে, -ও আচ্ছা,তাই না? -হুম। জানোতো, পাগল করে দিচ্ছে মেয়েটা আমাকে। এই যে ধরো......এখন......ভীষণ দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে মেয়েটাকে। কি করি বলোতো? -মেয়েটা কে দেখতে চলে যান। -সত্যি বলছো!!! যাবো......?? -হুম -আচ্ছা। কিন্তু আমি যদি এখন মেয়েটার সামনে যাই তাহলে কি মেয়েটা আমাকে তার মনের কথাটা বলবে?? -তার আমি কি জানি...!! বলতে না বলতেই সজল হঠাত ই সামনে চলে আসে রিয়ার। রিয়া হতচকিত হয়ে যায়!! সজল কে এভাবে হঠাত করে দেখে ও কিছুক্ষণ স্তম্ভিত হয়ে দাড়িয়ে থেকে তারপর সাথে সাথেই ওখান থেকে দৌড়ে পালায়!! পুরো ক্যাম্পাসেই রিয়া যেখানেই যায় সেখানেই দেখে যে সজল হাজির। পুরোটা সময় জুড়েই ওরা যেন লুকোচুরি খেলে। রিয়া শুধু পালিয়ে বেড়ায় আর সজল ওকে খুঁজে খুঁজেই অস্থির। বিকেলে সজল ফোন করে রিয়াকে। বলে যে, শুধুমাত্র ওকে একটিবার দেখবে বলেই কাল রাতে ও ফরিদপুরে এসেছে। আর রিয়া ওর সাথে আজ দেখা না করায় ও সত্যি খুব কষ্ট পেয়েছে। সজল এর কথা শুনে সত্যি ভীষণ মায়া হয় রিয়ার ওর প্রতি। সজলকে ও বলে যে, কাল ও সজলের সাথে মিট করবে। পরদিন ওরা মিট করে। সজল তখন রিয়াকে আবার প্রপোজ করে আর রিয়াও এবার ওকে হ্যাঁ বলে। রিয়া আর সজলের ব্যাপারটা রিয়ার ফ্রেন্ড সার্কেলের সবাই জানতে পারে......জানতে পারে শুভও। শুভ কিছু বলেনা......শুধু রিয়াকে বলে -congratz!! কিছুদিনের মধ্যেই ওদের H.S.C. exam শুরু হয়ে যায়। যে যার মত এক্সামের প্রিপারেশন নিয়ে বিজি হয়ে পরে। রিয়া বরাবর ই ভাল ছাত্রী। পরীক্ষা নিয়ে চিন্তাটা তাই তার একটু বেশি ই। তাই কোনো ফ্রেন্ড এর সাথেই যোগাযোগ আর আগের মত রইলো না। এক্সাম নিয়ে রিয়া এতটাই সিরিয়াস হয়ে গেলো যে সে জানতেই পারলো না যে তার শুভ এক্সামে এটেন্ড করছে না!! H.S.C. এক্সাম দিয়েই রিয়া ঢাকায় চলে যায় ভার্সিটি অ্যাডমিশন টেস্ট এর জন্যে কোচিং করতে। ঢাকায় যাবার আগে অবশ্য রিয়া শুভ কে ফোন করে ওর খোঁজ নেয়। শুভ রিয়া কে জানায় যে ও ভালো আছে। শুভ কোথায় অ্যাডমিট হবার প্লান করছে একথা জিজ্ঞেস করতেই শুভ বিষয়টাকে এড়িয়ে যায়। এরপর কেটে যায় ৫ মাস............ (চলবে)
Posted on: Wed, 22 Oct 2014 07:26:44 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015