আদিলুরের গ্রেপ্তার নিয়ে - TopicsExpress



          

আদিলুরের গ্রেপ্তার নিয়ে জয়ের বিবৃতি মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট ২০১৩ মানবাধিকার সংগঠন অধিকার সম্পাদক আদিলুর রহমান খান শুভ্রকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি গতরাতে তার ফেসবুক পেইজে-অধিকার সম্পাদক আদিলুর খান গ্রেপ্তার সম্পর্কিত বিবৃতি-শিরোনামে লিখেছেন মৌলবাদী হেফাজতে ইসলামের দখল থেকে ঢাকার শাপলা চত্বরকে মুক্ত করতে সরকারের যে অভিযান তা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে স্বঘোষিত মানবাধিকার সংস্থা অধিকার। হেফাজতকে তাদের ১৩ দফা দাবি নিয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিতে অনুমতি দেয়া হয়েছিল। নিচের লিংকটি তাদের দাবি সংক্রান্ত বিবিসির প্রতিবেদনের। লক্ষ্য করুন প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, শেখ হাসিনা সরকার চাইছে হেফাজত ইস্যুকে নমনীয়ভাবে এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে। bbc.co.uk/news/world-asia-22424708 তথাপি, হেফাজত সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের দিকে গিয়েছে, যা বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমগুলোতে ভালোভাবেই তুলে ধরা হয়েছে। নিচের এই লিংকটি হলো এসোসিয়েট প্রেস বা এপি এর যাতে তাদের সহিংসতার চিত্র দেখতে পাবেন, লক্ষ্য করুন এদের আগুন থেকে একটি মানুষের দোকানও রক্ষা পায়নি। youtube/watch?v=K_Elvp0eg8 হেফাজত কর্মীরা শাপলা চত্বর দখলে নিয়েছিলো এবং সেখান থেকে সরিয়ে দেয়ার আগ পর্যন্ত অর্থাৎ ৫ই মে রাতে তারা সহিংস বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলো। এই সরিয়ে দেয়ার কার্যক্রম পুরোটি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে সরাসরি দেখানো হয়েছে। এই সেই নিচের ভিডিও লিংক যা একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের ধারণকৃত, যেই চ্যানেলের মালিক বাংলাদেশের এক বিরোধীদলীয় নেতা। লক্ষ্য করুন, পুলিশ প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র ব্যবহার করেছে এবং সেখানে একমাত্র হতাহতের ঘটনাটি শিকার একজন পুলিশ কর্মকর্তা। youtube/watch?v=7wYWbDLe5mY সেই রাতে পুলিশ সদস্যসহ মোট ১১ জন হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। অথচ, হেফাজত এবং বিরোধীদল বিএনপি পুলিশ কর্তৃক ২৫০০ জন হত্যা করা হয়েছে দাবি করে অপপ্রচার চালানো শুরু করেছিলো। যুক্তরাষ্ট্রের জোনস টাউন গণ-আত্মহত্যা এবং হাইতির ভূমিকম্পে নিহতদের ছবিকে হাজার হাজার লোক হত্যার নাম করে হেফাজত এবং বিএনপি ছবি বিতরণ করেছে। এই মিথ্যা প্রচার বিদ্বেষপূর্ণ অভিপ্রায়েরই প্রমাণ। এই অপপ্রচারে অন্যান্য মৌলবাদীদের সহিংসতার দিকে উস্কে দেবার মত যথেষ্ট ঝুকিপূর্ণ উপাদানও বিদ্যমান ছিল। শেষ পর্যন্ত, হিউম্যান রাইটস ওয়াচও একটি বিবৃতি দেয় যে এই সহিংসতার রিপোর্টগুলো অসত্য এবং বাস্তবে হতাহতের সংখ্যা অতি নগন্য। নিচে এই হলো সেই প্রতিবেদনের লিংক। লক্ষ্য করুন রিপোর্টটিতে হতাহতের তালিকা রয়েছে যাতে কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষীও রয়েছেন। hrw.org/news/2013/05/10/bangladesh-independent-body-should-investigate-protest-deaths আবারও বলছি, হেফাজতই সহিংসতা চালাচ্ছিল এবং পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করা হচ্ছিল। কিন্তু, অধিকার একটি প্রতিবেদন ছড়াচ্ছিল যে কমপক্ষে ৬১ জন মানুষকে সরকার হত্যা করেছে। সরকার অধিকারকে তাদের প্রতিবেদনের ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেয়। অধিকার তার জবাব দেয় না। সরকার পুনরায় অধিকারকে চিঠি দিয়ে তাদের দেয়া হতাহতের সংখ্যায় আপত্তির কথা জানায় এবং হতাহতের বিবরণ জানতে চায়, যেমন তাদের নাম, ঠিকানা। অধিকার তা দিতে ব্যর্থ হয়। এই পর্যায়ে, এটা পরিষ্কার যে অধিকারের প্রতিবেদনটি মিথ্যা এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এটি সরকারের বিরুদ্ধে গণহত্যার একটি মিথ্যা অভিযোগ যা অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ। হত্যার মিথ্যা অভিযোগ করা একটি ফৌজদারি অপরাধ। অধিকার সম্পাদক, আদিলুর খান এই সংক্রান্ত একটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
Posted on: Tue, 13 Aug 2013 12:34:57 +0000

Trending Topics




Recently Viewed Topics




© 2015