আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয়, বাংলাদেশের কোন রাজনীতিবিদ প্রকাশ্যে জনগনের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন? অথবা, কে জেলের ভিতর থেকেও পাচটি আসনে জয়লাভ করেছিলেন? কিংবা, কে জাতিসংঘের পরিবেশ ও জনসংখ্যা বিষয়ক অবদানের জন্য দুইবার পুরুষ্কার পেয়েছিলেন? আপনি হয়তো জানেন। তারপরেও মনে করিয়ে দিচ্ছি। উনি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান। যার আমলে বাংলাদেশে যে পরিমান ভৌতকাঠামোর উন্নয়ন হয়েছে; তা আর কখনো হয়নি। তার নয় বছরের শাসনে রাজনৈতিক সহিংসতায় মানুষ মরেছে ৯৭ জন। যেখানে একানব্বই পরবর্তী পাচ বছরে ছিল প্রায় অর্ধসহস্রাধিকের ও বেশি। যা প্রত্যেক শাসনামলে আরো বেড়েছে বৈ কি! তাকে নিয়ে আমরা সবাই তামাশা বানাচ্ছি। মিথ্যে মানে এরশাদ; পল্টিবাজ মানে এরশাদ; আরো কতো কি! তবে একথা ভূলে যাওয়া উচিত নয় বোধহয়! যে ইতিহাস অস্বীকার করে তাদের দ্বারা উন্নয়ন সম্ভব নয়। এই সময়টাতে এতো লাশ। এতো আগুন। এতো পেট্রোল বোমা কি এরশাদের জন্য? যদি তাই হতো তবে, এরশাদকে দোষ দেওয়া যেতো। কিন্তু তা নয়। যারা মানুষ মারছে আমরা তাদেরকে রেখে অন্য একটি সাধারণ অধ্যায় নিয়ে মেতে উঠেছি। বাংগালী আবারো প্রমাণ করলো আমরা খুবই রসবোধ সম্পন্ন। বুকের রক্ত ফুরিয়ে গেলেও রস ফুরোয় না। আসুন। সচেতন হই। যাকে বিশ্ব বেহায়া বলে গালি দিচ্ছি। যাকে এভাবে দাবার গুটি বানিয়ে নাচানো হয়েছিল এবং হচ্ছে। তার চেয়েও বড় বড় বেহায়া বেঈমান আমাদের নেতা সেজে বসে আছে। সময় এসেছে হুজুগে বাংগালী তকমা মূছে ফেলার। বাংলাদেশ একটাই। ধ্বংস হওয়ার আগে গর্জে উঠুন। সংগ্রহ..
Posted on: Thu, 05 Dec 2013 04:40:32 +0000