আমাদের গল্প লিখেছেন- - TopicsExpress



          

আমাদের গল্প লিখেছেন- নিশাত জাহান ছেলেটার আইডির নাম wretched warewolf আর মেয়েটার নাম ঝরা পাতা। নাম দেখেই বোঝা যায় দুইজন দুই ভূবনের বাসিন্দা।ছেলেটার পছন্দ হার্ড রক,পশ্চাত্য শিল্পি, ব্যান্ড আরো অনেক কিছু যেগুলোর নামই মেয়েটা জানেনা।আর মেয়েটার পছন্দ শরৎচন্দ্র,তারাশঙ্কর,পথের পাঁচালির পাতা বা শান্ত বিকেল। এরা কখোনো একজন আরেক জনের সাথে সামান্য তর্কা তর্কিতে কান্নায় বুক ভাসাবে তা কল্পনাও করা কঠিন! কিন্তু সম্পর্কের চার বছরের মাথায় এসে এমনটাই দেখা যায়। ২০১১ সালের মাঝামাঝি সময়ে ব্যাপারটার শুরু।দুইজনের প্রথম পরিচয় একটা social networking site-এ।ওটার নাম গোপন থাক। তিক্ততা দিয়েই শুরু সম্পর্ক টা।ধীরে ধীরে খুব ভালো বন্ধুত্বে গড়ালো।virtual জগতে দুইজনের আগমন প্রায় সমসাময়িক,দুজনই নতুন এ জগতে।ওদের কাছে এ জগতের সব কিছুই খুব গুরুত্বপূর্ন।সবার সব কথা,কৃত্রিম কষ্ট, দুঃখ বিলাস....সবই গভীরভাবে আঁচড় কাটে ওদের মনে। এসবের কারণেই মেয়েটা সম্পর্কে জড়িয়ে যায় আরেকজনের সাথে।অবশ্যই ভার্চুয়াল সম্পর্কে। বাস্তব জীবনে ওর কাওকে এতটা ভালো লাগেনি! wolf কে জানায় সব।নতুন সম্পর্কের কথা শুনে wolf কোথায় একটু ব্যাথাও পায়,বুঝতে দেয়না।হাসি মুখে শুভাকাঙ্খী হয়ে থাকে।আবার প্রায় একই সময়ে wolf ও আরেক মেয়ের সাথে সম্পর্কের শুরু করে।সেটাও ভার্চুয়ালি।আজব ব্যাপার হচ্ছে, ছেলেটার এ সম্পর্কে ঝরা পাতা খুশি হতে পারেনা! মনে একরাশ রাগ আর অভিমান নিয়ে বন্ধুত্ব টিকতে পারেনা! শুরু হয় দুদিন পর পর ঝগড়া, ত্যাড়ামি,তর্কাতর্কি...অবশেষে আবার গলায় গলায় ভাব।তবে আশার কথা হলো, ঝরা পাতার যাকে ঘিরে এত আনন্দ সে সম্পর্কটাকে খুব একটা গাম্ভীর্যতার সাথে নেয়নি। খুব কম সময় দেয়। কখনো কখনো তো টানা দু-তিন দিন কোনো যোগাযোগ হয়নি এমনও হয়েছে। ওদিকে wolf এরো একই অবস্থা।ওর মডার্ন জিএফ সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে সচেষ্ট নয় মোটেও....দুজনই বুঝতে পারে প্রথম সম্পর্কটা হয়তো আর টিকবে না এরই মধ্যে ওরা পদার্পন করে ফেসবুকে।এখানে যারা নতুন আসে তাদের মধ্যে আমি খুব আলাদা এমন একটা ভাব থাকে। সেটা প্রমান করতেই দেয় উদ্ভট সব নাম।আর এখানেই দুজন নিজেদের নাম রাখে Wretched warewolf আর ঝরা পাতা, মন ভাঙার কারণে ছ্যাঁকা খাওয়া চেহারাযুক্ত নাম। দুজনের এমন পোড়া মনের গন্ধযুক্ত নামের পেছনের কাহিনী এখন পরিষ্কার। সম্পর্ক ভালোভাবে শুরু হবার আগেই শেষ হওয়ায় দুজনের মনের অবস্থা দেবদাসের থেকে কোনো অংশে কম না। আর একই অবস্থার মধ্য দিয়ে আসায় একজন আরেক জনকে খুব ভালো করে বোঝে। প্রয়জনে সান্ত্বনা দেয়, খুনসুটিতে সময় কাটে।বন্ধুত্ব আরো গাঢ় হয়।ধীরে ধীরে পুরানা ক্ষত ঢেকে যায় নতুন ভালোবাসায়। কখন যে এর উৎপত্তি তা দুজনের কেউই বুঝতে পারেনা। সম্পর্কটা ঝুলে আছে এক নাম না জানা জায়গায়। বন্ধুত্বের থেকে অনেক বেশী কিছু কিন্তু ভালোবাসা নাম দিতে বিরাট সংকোচ!কেউ কাওকে মনের কথা বলতে পারেনা,ভয় হয়,যদি শেষে হারিয়ে যায়! কথার প্যাঁচে চেষ্টা চলতে থাকে অপরজনের মন বোঝার। আকারে ইঙ্গিতে থাকে নিজের টুকুও বোঝানোর চেষ্টা! কিভাবে যেনো হুট করেই সম্পর্কটা একটা নাম পেয়ে যায়।ভালবাসা। সত্যিকারের সুন্দর ভালবাসা। নিঃষ্পাপ, কোমল ভালোবাসা।কোনো নোঙরামি নেই, বাদবাকি সবকিছু আছে সেই ভালবাসায়। ওরা ভীষন ভালোবাসে,বন্ধু হয়ে তুই তোকারি করে, ঝগড়াও করে, কেঁদে জামা ভিজিয়ে ফেলে, আবার ভালোবাসে। ওদের সম্পর্কে কখনো রঙের অভাব হয়না।সত্যিকারের ভালবাসা ফিকে হয়না। ১৭ অক্টোবর,২০১১ শুরু হয় ওদের নতুন স্বপ্নের বুনন। সেদিন প্রথম ভালবাসি বলে ফেলে দুজন দুজনকে।সে কি আনন্দ! প্রথম ফোনালাপ হয় ২৯ জানুয়ারী,২০১২ আর ভার্চুয়াল দুনিয়া থেকে বাস্তব জীবনে প্রথম দেখা হয় ২৪ আগস্ট,সন্ধ্যা ৭:৪৫ এ।সেই দেখা হবারও বিরাট গল্প। একজন থাকে দেশের উত্তরাঞ্চলে আরেকজন দক্ষিন! সেই গল্প পরে হবে। তবে ছোট্ট ছেলেটা প্রথম দেখায় মেয়েটাকে অনেক গুলো লাল গোলাপ দিয়েছিলো।মেয়েটার বইয়ের পাতার ফাঁকে ফাঁকে এখনো ওগুলো পাওয়া যাবে। কিন্তু আশ্চর্যের কথা, ভোঁদড়টা ছেলেটা লক্ষী মেয়েটাকে এখোনো হাঁটুগেড়ে বসে হাত ধরে বলেনি,ভালবাস আমায়?? নাটকীয় এই মুহুর্তটার জন্য মেয়েটা অপেক্ষা করে আছে। ভোঁদড়টা বঝেনা! এই নিয়ে মেয়েটার অভিমানের শেষ নেই!! এখনো মাঝে মাঝে এটা নিয়ে ঠোট ফুলায় মেয়েটা ----------------------------- এখন ওরা wretchwd warewolf আর ঝরাপাতা নয়। ওরা এখন রনি আর ঊষা
Posted on: Fri, 23 Jan 2015 13:06:59 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015