আমি বিস্বাস করি যে ভারতের সাথে আমাদের বিদ্যা বুদ্ধি দিয়ে আর কূটনীতি দিয়ে লড়তে হবে, নতজানু পররাষ্ট্রনীতি দিয়ে নয়। ওদের যে সামরিক শক্তি তার সামনে হয়তো আমরা এক সপ্তাহ বা এক মাসের বেশিও টিকবনা। তাই কূটনীতির সাথে সাথে আমাদের নিজেদের সীমান্ত সুরক্ষা করার জন্য আমাদের BGB বা BDR কে পূর্বের গৌরব ফিরিয়ে দিয়ে মনোবল চাঙ্গা করতে হবে। তৎকালীন BDR এর যারা অন্যায় করেছিলো তাদের শাস্তি দিয়ে বাদ-বাকিদের উপযুক্ত প্রশিক্ষন দিয়ে আমাদের সীমান্ত প্রহরা আরো জোরদার করতে হবে। আমরা ভুলে গেলে চলবেনা যে ভারতে যেমন মমতা-মাডাম আছেন তেমনই মোদী-বিজেপিরাও আছে, তারা উভয়ই কোনদিন বাংলাদেশকে সুনজরে দেখবেনা। তাই আমাদেরকে ভারতের কংগ্রেসের আশ্বাসের উপর নিরভর না করে চীনের সাথে বন্ধুত্য বাড়াতে হবে কারণ ভারত ক্ষমতাধারদের ভয় পায় বা সমীহ করে থাকে। বর্তমানের আওয়ামিলীগের সরকারকে মনে হয় ভারত সরকার আর তেমন পাত্তা দিচ্ছে না কারণ ওরা ধরতে পেরেছে যে শেখ হাসিনা আর তার দল আওয়ামিলীগের বিরুদ্ধে বেশীর ভাগ বাংলাদেশী (প্রায় ৮০%) এখন দাড়িয়ে গেছে। তারা এটাও যানে যে, বাংলাদেশিরা বিএনপি কে ভালবেসে এবার ভোট দিবে না, বরং আওয়ামিলীগের গত ৫ বছরের একের পর এক দুর্নীতিসহ বিরাট বিরাট ক্যলেঙ্কারীতে জড়িয়ে আজ লেজেগোবরের দশা। তাই ভারত আজ আওয়ামিলীগের দিকে তাকিয়ে যে বিরোধ মিটিয়ে ফেলবে তা কিন্তু নয়। আমাদের নিজেদের বুদ্ধি দিয়ে আর কূটনীতি খাটিয়ে আমাদের দাবিগুলই আদায় করতে হবে, যেমন তিস্তা পানি বন্টন, ভারাত-বাংলাদেশ সিমান্তের ভুমি সংক্রান্ত চুক্তির নিস্পত্তি সহ আনুমানিক ১১টি অমীমাংসিত বিষয়ের win-win সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। --------M Hafiz Ullah
Posted on: Mon, 09 Sep 2013 14:12:51 +0000
Trending Topics
Recently Viewed Topics
© 2015