আমার রাজনীতির হাতেখড়ি -মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। বিশ্বাস না করার কিছু নেই! আওয়ামী লীগই আমাকে সাধারণের খোলস ছেড়ে রাজনীতি নিয়ে ভাববার জন্যে সামনে সুযোগ উন্মুক্ত করে দিয়েছে। একটা কথা ছিল না -"প্রশ্ন :আপনি আদব শিখেছেন কার কাছ থেকে ? উত্তর :বেয়াদবের কাছ থেকে"-অনেকটা সেরকম। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অপরাজনীতির প্র্যাক্টিসটাই আমাকে রাজনীতি নিয়ে ভাবতে, বলতে বাধ্য করেছে।এরকম অস্হিতিশীল পরিস্থিতিতেও যারা নিরপেক্ষ থাকতে চান,দুঃখিত হয়ে বলছি যে,তাদেরকে আমার কাছে "হিপোক্রেট"ই মনে হয়। ভূমিকা শেষ। এবার প্রসঙ্গ - 1.জাতিসংঘ অধিবেশনে ইকোসক চেম্বারে শিক্ষা বিষয়ক ইভেন্টে মালালার বক্তৃতার সূত্র ধরে শেখ হাসিনা বলেন -"মালালার কন্ঠেইই ধ্বনিত হলো আমার বক্তব্য।মালালাই আমাদের কন্ঠস্বর "- আমি আসলেই বুঝিনি মালালা কি কারণে আমাদের কন্ঠস্বর হতে যাবে!!!! তাকে শুনেছি রিমোট একটা এরিয়া থেকে ভাড়া করা হয়েছে, যেখানে নাকি মেয়েদের স্কুলে যাওয়া বারণের মত। আমাদের দেশে তো তা নয়। আল্লাহর রহমতে আমাদের দেশে সরকারী বা রাজনৈতিক ব্যর্থতার কারণ ছাড়া সাধারণত মেয়েরা পড়াশোনা করে।এবং যারা পড়াশোনার গুরুত্ব বোঝেনা তাদের সচেতন করার প্রক্রিয়াটি আমাদের দেশে বিনাবাধায় চালু আছে। আরেকটা কথা আছে, মালালার ভাষণের ব্যপারটা ও আমার কাছে অদ্ভুত!আঠারোর নিচে শিশুর কোন জ্ঞানী(!)বক্তৃতা বা মতামত এত গুরুত্ব নিয়ে এডভার্টাইজিং করার পর সেটা নিয়ে আবেগী হওয়া যায়, কিন্তু মাথায় তুলে অস্হির হবার কোন কারণ আমি অন্তত দেখিনা। ওহো,জেনেছি মালালাও নাকি মাননীয় শেখ হাসিনাকে তার অনুপ্রেরণা বলে উল্লেখ করেছে। -করারই কথা।কারণ, দুজনই জঙ্গিবাদের ধুয়ো তুলে লাভবান হয়েছে, হচ্ছে, হবার আশা রাখে।!(নিজের পায়ে কুড়াল মেরে হলেও) 2.মাননীয় শেখ হাসিনা একটি ভালো কথা বলেছেন -বিশ্বনেতৃত্বের প্রতি তিনি আহ্বান জানান - "আর অস্ত্র অস্ত্র খেলা নয়।এবার আসুন আমরা শিক্ষার ওপর জোর দিই। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করি।" আমি আবারো আশ্চর্য্য হয়ে গেলাম! বাংলাদেশের পুলিশদের রাজনৈতিক সংগঠনে পরিণত করার একটা ঘৃণ্য ব্যবস্থা সম্পন্ন করে নির্বিচারে গুলি করে মানুষ মারার অভ্যাস যে সরকার চালু করেছে -তাদের প্রধানের মুখে একথা শুধুই প্রহসন না রীতিমতো অপরাধ মনে হয়েছে আমার কাছে। ক্ষমা করবেন। তাছাড়া ছাত্রলীগের মত সন্ত্রাসী রাজনৈতিক সংগঠন আর আছে বলে আমার মনে হয়নি। অন্য যেকোনো দলের চেয়ে এরা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর।সঙ্গে জঙ্গিবাদ দমনের পৈতৃক বাড়াবাড়ি কাল্পনিক লাইসেন্স আওয়ামী লীগ রেখেছে নিজেদের উগ্রতাকে বৈধতা দিতে। প্রধানমন্ত্রী এদেরকে তো কখনো এরকম ভালো কথা বোঝাননি বা নির্দেশ দেননি!!! তবে অনেস্টলি - "দর্শনধারী শিক্ষা" নয়, তাঁর অন্তত সত্যিই জোর দেয়া উচিত "সুশিক্ষা"র আর "স্বশিক্ষা"র ওপর। যেকোন উদ্যোগের শুরুটাও শুনেছি নিজের ঘর থেকেই হওয়া উচিত। সেটিও বিবেচ্য। অভিবাদন রইলো!
Posted on: Thu, 26 Sep 2013 19:02:30 +0000
Trending Topics
Recently Viewed Topics
© 2015