আল্লাহু পবিত্র কুরআনে - TopicsExpress



          

আল্লাহু পবিত্র কুরআনে বলেন, وما ارسلنك إلا رحمة للعالمين হে রাসূল! নিশ্চই আমি আপনাকে জগতসমুহের রহমত করেই প্রেরণ করেছি। (সূরা আম্বিয়া, আয়াত: ১০৭) আবার তিনিই বলেন, قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَ بِرَحْمَتِهِ فَبِذَالِكَ فَلْيَفْرَحُوْا هُوَا خَىْرٌ مِمَّا ىَجْمَعُوْنَ হে রাসুল! আপনি বলুন আল্লাহর দয়া ও রহমতকে কেন্দ্র করে তারা যেন আনন্দ(ঈদ) করে এবং এটা হবে তাদের অর্জিত সকল কর্মফলের(ধনসম্পদের) চেয়েও শ্রেষ্ট। (সুরা ঈউনূছ,আয়াত: ৫৮) রাসুল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার জন্মদিন বলে প্রতি সোমবার রোযা রাখতেন। [সহীহ মুসলিম শরীফ ২য় খন্ড, ৮১৯ পৃষ্ঠা, বায়হাকী: আহসানুল কুবরা, ৪র্থ খন্ড ২৮৬ পৃঃ, মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল ৫ম খন্ড ২৯৭ পৃ:, মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক ৪র্থ খন্ড ২৯৬পৃ:, হিলিয়াতুল আউলিয়া ৯ম খন্ড ৫২ পৃ:,মেশকাত শরীফ, পৃষ্ঠা নং-১৭৯; মুসলিম শরীফ, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা নং-৩৬৮ ] অনেক আগে মক্কা শরীফ থেকে প্রকাশিত কিতাব আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম এ আছে, সর্বশ্রেষ্ট সাহবী ও ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর (রা:)বলেন- مَنْ اَنْفَقَ دِرْهَمًا عَلَى قِرا ةَ مَوْ لِدِ النَّبىُ مَلَى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَنَرَفِيْقِى فىِ الجَنّةِ “যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষ্যে এক দিরহাম খরচ করবে সে জান্নাতে আমার সঙ্গী হবে”। [আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং-৭] দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর ফারুক রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন - مَنْ عَظَّمَ مَوْلِدِ النَّبِىُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَدْ اَخْيَا الاسْالاَمُ “যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে সম্মান করলো, সে অবশ্যই ইসলামকে জীবিত করলো”। [আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং-৭] তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান বিন আফফান (রাঃ) বলেন - مَنْ اَنْفَقَ دِرْهَمًا عَلَى قرأة مَوْلِدِ النَّبِىُ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمْ فَكَا نَّمَا ثَهِيد غَزُوَةِ بَدَر رَوحُنَيْنُ “যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাঠ করার জন্য এক দিরহাম খরচ করল- সে যেন নবীজীর সাথে বদর ও হুনাইন জিহাদে শরীক হলো”। [আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং-৮] চুতর্থ খলিফা হযরত আলি মুরতাদ্বার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন- مَنْ عَظَّمَ مَوْ لِدِ النَّبِى صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ وَكَانَ سَبَبَا لِقرا ته لا يَحْرُمُ مِنَ الدُّنْيَا اِلا َّبِالاِ يْمَانِ وَيَدْخُلُ الجَنَّهَ بِغَيْرِ حِسَاب “যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে সম্মান করবে এবং উদ্যোক্তা হবে সে ঈমানের সাথে মৃত্যুবরণ করবে এবং বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে”। [আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং-৮] এ কিতাবে মিলাদুন্নবীর ফজিলত বর্ণনা করেছেন, হজরত হাসান বসরী , ইমাম শাফেয়ী, হজরত মারুফ কারখী, ছিররি ছাকাতী, জুনায়েদ বাগদাদী, ইমাম ফকরুদ্দিন রাযী, জালাল উদ্দিন সুয়ুতি,...... হযরত আবু দারদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। একদা তিনি হুযুর করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাথে হযরত আমের আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-এর ঘরে গিয়েছিলেন। তখন হযরত আমের আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তার সন্তানদের ও তার স্বগোত্রীয় লোকদের সাথে নিয়ে হুযুর করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জন্ম বৃত্তান্ত আলোচনা করছিলেন এবং বলছিলেন- “এ দিনটি, এ দিনটি” তখন হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন- (হে আমের আনসারী !) নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা তোমার জন্য রহমতের দরজা সমূহ খুলে দিয়েছেন। আর ফিরিশতাগণ তোমার জন্য মাগফেরাত কামনা করছে। তাছাড়া যারা তোমার মত আমার জন্ম বৃত্তান্ত বর্ণনা করবে (মীলাদ মাহফিল করবে) তারা তোমার মতোই নাজাত লাভ করবে। [আত্তানভীর ফী মাওলিদিল বাশীরিন্নাযীর(৬০৪ হিজরি) তথ্যসূত্র হাকিকতে মীলাদ, পৃষ্ঠা নং-২৫, আদ দুররুল মোনাযযম] বুখারী শরীফের ব্যাখাকার বিশ্ববিখ্যাত মোহাদ্দিস আল্লামা কুস্তোলানী রহমাতুল্লাহে আলাইহি (মৃত্যুঃ ৯২৩ হিজরী) বলেন- “যে ব্যক্তি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর শুভাগমনের মোবারক মাসের রাতসমূহকে ঈদ হিসেবে গ্রহণ করে, আল্লাহ তার উপরে রহমত বর্ষণ করেন। আর উক্ত রাত্রকে ঈদ হিসেবে উদযাপন করবে এ জন্য যে, যাদের অন্তরে নবী বিদ্বেষী রোগ রয়েছে। তাদের ঐ রোগ যেন আরো শক্ত আকার ধারণ করে এবং যন্ত্রণায় অন্তর জ্বলে পুড়ে যায়”। [শরহে জুরকানী আলাল মাওয়াহেব, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা নং- ২৬২] হযরত ওরওয়া ইবনে যোবাইয়ের রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, সুয়াইবাহ আবু লাহাবের দাসী ছিলেন। আবু লাহাব হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বেলাদতের সুসংবাদে দেওয়ার কারণে (আনন্দিত হয়ে) সুয়াইবাহকে আযাদ করে দিয়েছিলো। অতঃপর সুয়াইবাহ হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে দুধ পান করিয়েছিলেন। এরপর যখন আবু লাহাব মৃত্যুবরণ করল, তকন (এক বছর পর) তার ঘনিষ্টদের কেউ [হযরত আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু] তাকে স্বপ্নে শোচনীয় অবস্থায় দেখে তার উদ্দেশ্যে বলেন, “তোমার অবস্থা কেমন?” আবু লাহাব তদুত্তরে বললো, “তোমাদের নিকট থেকে আসার পর আমি কোন প্রকার শান্তি পাইনি, কেবল আমি যে (আল্লাহর হাবীবের জন্ম সংবাদ বা মীলাদ শরীফের খুশিতেঅ্আদয়াইবাহকে (তর্জনী ও মধ্যমা দুটি আঙ্গুলের ইশারায়) আযাদ করেছিলাম, ঐ কারণে (প্রতি সোমবার আঙ্গুল দু’টির মধ্যে কিছু পানি জমে থাকে) আমি ওই পানি চুষে থাকি ও প্রতি সোমবার আযাবকে হাল্কা বোধ করে থাকি”। [বুখারী শরীফ : ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা নং-৭৬৪] বোখারী শরীফে উক্ত পৃষ্ঠায়ই শেষের দিকে এ হাদীসের পাদটিকায় বর্ণিত আছে : “সুয়াইবাহ আবু লাহাবকে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জন্মের সুসংবাদ দেওয়ার কারণে আবু লাহাব তাকে আযাদ করে দিয়েছিলো। অতঃপর এ আযাদ করাটা (পরকালে) আবু লাহাবের উপকারে এসেছে। এ কাজ তার উপকারে আসার অর্থ হলো- তার এ কর্ম হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বরকতে অবশিষ্ট ছিল। অন্যান্য কাজের ন্যায় বিনষ্ট হয়ে যায়নি”। সকল দেওবন্দী মাওলানা কাসিম নানুতবী, রশিদ আহমদ গাংগুলি, আশরাফ আলী থানভী সাহেবের পীর হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজির মক্কী (রঃ) বলেন The blessed Mawlid is practised by all of the people of the Haramain (Makkah & Madina), this is a sufficient proof for us. How can the rememberance of the Messenger [Hazrat Risalat Panah] Allah bless him and give him peace be censured?! However the excesses of people which they have invented should be avoided. As for the standing (qiyam) I do not say anything, yes, I experience a state in the standing (qiyam). [Shamaim Imdadiyyah, p.47] যারা হিংসা পরায়ণ হয়ে ঈদ-ই মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিরোধিতা করবে তাদের খেদমতে বলি- ☞ ইবলিশ শয়তান ৪টি সময় খুব বেশি কেঁদেছে বা আফসোস/হা-হুতাশ করেছে। أن إبليس رن أربع رنات حين لعن وحين أهبط وحين ولد رسول الله صلى الله عليه وسلم وحين أنزلت الفاتحة ১. আল্লাহ যখন তাকে অভিশপ্ত হিসেবে ঘোষণা দিলেন, ২. যখন তাকে বেহেস্ত থেকে বিতাড়িত করা হল, ৩. নূর নবীজীর ﷺُ দুনিয়াতে আগমনের সময় এবং ৪. সূরা ফাতিহা নাযিল হবার সময় [সূত্রঃ ইবন কাসির, আল আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা - ১৬৬] ☞ বুখারী শরীফের ব্যাখাকার বিশ্ববিখ্যাত মোহাদ্দিস আল্লামা কুস্তোলানী রহমাতুল্লাহে আলাইহি (মৃত্যুঃ ৯২৩ হিজরী) বলেন- “যে ব্যক্তি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর শুভাগমনের মোবারক মাসের রাতসমূহকে ঈদ হিসেবে গ্রহণ করে, আল্লাহ তার উপরে রহমত বর্ষণ করেন। আর উক্ত রাত্রকে ঈদ হিসেবে উদযাপন করবে এ জন্য যে, যাদের অন্তরে নবী বিদ্বেষী রোগ রয়েছে। তাদের ঐ রোগ যেন আরো শক্ত আকার ধারণ করে এবং যন্ত্রণায় অন্তর জ্বলে পুড়ে যায়”। [শরহে জুরকানী আলাল মাওয়াহেব, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা নং- ২৬২] জিকরে মিলাদুন্নবী কারতে রাহোঙ্গা উমরভর, জ্বলতে রাহো নজদীও, জ্বলনা তোমহারা কাম হ্যায়! ----আলা হযরত(রাহ) বিস্তারিত দেখুনঃ https://facebook/media/set/?set=a.592530797438982.154890.499783076713755&type=1
Posted on: Sat, 03 Jan 2015 18:41:32 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015