আশরাফ ইয়াছিন বর্ণিত - TopicsExpress



          

আশরাফ ইয়াছিন বর্ণিত ওলিউল্লাহ আরমান কর্তৃক প্রকাশিত পোস্ট স্পষ্ট (মিথ্যা) কথন এর জবাবী পোস্ট। ওলিউল্লাহ আরমান। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর প্রচার সম্পাদক। উপরের লিংকের পোস্টটি তিনিই প্রসব করেছেন। যেটাতে এই প্রচার সম্পাদক প্রচার করেছেন মিথ্যারঝুড়ি। যা বর্ণনা করেছেন ইতিহাস বিকৃতকারী, চরম মিথ্যাবাদী, পীর সাহেব চরমোনাই রহ. কে জিনার তোহমৎদানকারী আশরাফ ইয়াছিন। আশরাফ ইয়াছিন হলো যশোর যুব জমিয়তের সদস্য সচিব। যেকোন বিষয়ে, বিশেষ করে চরমোনাই এর ব্যপারে মিথ্যাচার করতে আশরাফ ইয়াছিনের কোনো জুড়ি নেই। ২০০২ সালের ১৫ই আগষ্ট মালিবাগে মসজিদের জন্য প্রাণ দিয়েছিল ইশার ৩জন ছাত্রসহ একজন মুসল্লি। সেই মসজিদ রক্ষার আন্দোলনের একজন গুলিবিদ্ধ সৈনিক ছিলেন এমন দাবী আশরাফ ইয়াছিনের। সেজন্য তাকে সালাম। কিন্তু তার পোস্টটিতে সে বলেছে ঐ আন্দোলনটি মসজিদ রক্ষার আন্দোলন নয় বরং মানুষের ধর্মীয় সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগিয়ে জমি দখলের পায়তারা ছিল। জমি হারানোর আশংকায় ড্রাগন কুদ্দুস, ইআবার হাজি সাত্তার, তৌহিদ মসজিদ অবরুদ্ধ করেছে ,,, প্রচার করে জনগণের সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগায়৷ তারা জমি উদ্ধারের জন্য মসজিদ উদ্ধারের নামে হরকতুল জিহাদ নেতৃবৃন্দের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। এখন কথা হলো মানুষ কি এতোই বোকা ছিল যে এই আন্দোলনটি মসজিদ রক্ষার না- কি জমি উদ্ধারের সেটাও বুঝেনি? যশোর যুব জমিয়তের সদস্য সচিব আশরাফ ইয়াছিনও কি বুঝেতে পারেনি? না-কি তখন মসজিদ রক্ষার আন্দোলন ছিল, আর এখন আইএবির জমি উদ্ধারের পায়তারা হয়েগেছে জমিয়ত গংদের নিকট। আজ পর্যন্ত এদেশীয় কোনো ইসলাম বিদ্ধেষী মিডিয়াও এমন তথ্য দেয়নি। ওলিউল্লাহ আরমানের পোস্টে আরো বলা হয়েছে :- ১৪ই আগষ্ট রাতে আনসার কোয়ার্টার তাকওয়া মসজিদে হুজি নেতা মুফতি আব্দুল হাই, আবু তাহের, আবুল কাসেম, সাইফুল ওরফে টাইগার, আহসানুল্লাহ মসজিদ রক্ষায় উদ্বুদ্ধ করে জিহাদি বক্তব্য রাখেন। তাদের মাঝে বিতরণ করা হয় দেওয়াল ভাংগার হাতুড়ি, হ্যামার,শাবল প্রভৃতি। জিহাদি চেতনায় শাণিত হয়ে মাদরাসায় ফেরে আশেপাশের মাদরাসার হুজি কর্মীরা। তবে কি বামপন্থীদের দাবীই সত্য যে কওমি মাদ্রাসাগুলো জঙ্গি প্রজননের কেন্দ্র? আশপাশের কওমি মাদ্রাসাগুলো কি হুজি কর্মীদের আখড়া ছিল? কওমি মাদ্রাসায়ও কি হাতুড়ি, হ্যামার ও শাবল নিয়ে প্রবেশ করা যায়? ওলিউল্লাহ আরমানের পোস্টে আরো বলেছে:- ১৫ই আগষ্ট বৃহস্পতিবার বাইতুল আজিম মসজিদের সামনে শুরু হয় সমাবেশ৷ কেবলমাত্র মালিবাগ জামিয়া ও চৌধুরি পাড়া মাদরাসার ছাত্ররা এসেছে, আরো মিছিল আসছে বিভিন্ন মসজিদ হতে৷ এমন সময় ড্রাগন গার্মেন্টস এর ছাদ হতে আনসারদের দিকে বোম মারা হয়৷ পাল্টা জবাবে আনসাররা শুরু করে গুলি৷ শুরু হয় প্রাচির ভাংগা৷ একদিকে ঈমানী চেতনায় উদ্দীপ্ত নিরস্ত্র জিহাদি জওয়ান, অন্যদিকে প্রাণ ভয়ে ভীত আনসার বাহিনী। কি হস্যকর তথ্য বলুন তো! একদিন আগেই তো হাতুড়ি, হ্যামার ও শাবল বিতরণ করা হয়েছে, ড্রাগন গার্মেন্টস এর ছাদের উপর থেকে বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে, প্রাচীর ভাঙ্গা হয়েছে মসজিদ রক্ষার আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে। এরপরও না-কি মুসুল্লিরা নিরস্ত্র ছিল আশরাফ ইয়াছিনের বক্তব্যে। আশরাফ ইয়াছিনের বক্তব্য থেকে বুঝা যাচ্ছে যে মুসল্লিদের বোমাবর্ষণ ও প্রাচীর ভাঙ্গার শব্দে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে সরকারের আনসার বাহিনীরা গুলি চালিয়েছিল। সত্যিই কি সেদিন এমন হয়েছিল? যদি এমন হয়েই থাকে তাহলে তো সরকারী বাহিনী নিরপরাধ, যত অপরাধ সবগুলাই মসজিদ রক্ষার আন্দোলনকারীদের। ঐ পোস্টে ইশা ছাত্র আন্দোলন কে ছৌট করতে সেই সময়ের একজন দায়িত্বশীলের নাম উল্লেখ্য করে বলা হয়েছে :- জামেয়া কারিমিয়ার উস্তাদ মাওলানা ইমতিয়াজ ইশা ছাত্র আন্দোলন এর দায়িত্বশীল (পরে সেক্রেটারি হয়েছেন, মংলায় বাড়ি) সহ বেশ কয়েকজন হাসপাতালে এসেছিল দাওয়াত নিয়ে৷ বিনয়ের সাথে তাদের জানিয়ে দিয়েছিলাম, আমার রক্তে জমিয়তী রক্ত। যার পা দাড়িয়ে থেকে অপারেশন করিয়েছে জমিয়তের মহাসচিব, তাকে তো পাগলেও অন্য সংগঠনে যোগ দেওয়ার দাওয়াত দিবে না। তাহলে ইশার একজন কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল কিভাবে দাওয়াত দিতে পারে? ছাত্রদের সংগঠনে যোগদানের জন্য দাওয়াত দেওয়ার নিদৃষ্ট কর্মকৌশল আছে ইশার। এভাবে আহতদের সংগঠনের দাওয়াত দেওয়ার কোনো কর্মকৌশল ইশার নেই। এবং ঐ পোস্টের শেষ অংশে ৪ শহিদের পরিচয় দিতে গিয়ে একজন ছাত্র জমিয়তের, দুজন হুজির এবং একজন মেয়ের বিবাহের টাকা যোগাড়ে ঢাকা এসেছিলেন এমন দাবী আশরাফ ইয়াছিনের। আশরাফ ইয়াছিন যাকে ছাত্র জমিয়তের বলে দাবী করেছে তাকেই ছাত্র মজলিস তাদের কর্মী বলে দাবী করছে। আর ইশা ছাত্র আন্দোলন বলছে, নির্মমভাবে শহীদ হওয়া মালিবাগ মাদ্রাসায় পড়ুয়া ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কর্মী হাফেজ আবুল বাশার,একই সংগঠনের সদস্য চৌধুরীপাড়া মাদ্রাসায় পড়ুয়া হাফেজ রেজাউল করীম ঢালী,হাফেজ ইয়াহইয়া ও একজন মুসল্লী মোঃ জয়নাল আবেদীন। এমনিভাবে প্রায় ৮০% মিথ্যাচারে ভরপুর ছিল আশরাফ ইয়াছিন বর্ণিত ওলিউল্লাহ আরমান কর্তৃক প্রকাশিত পোস্ট স্পষ্ট (মিথ্যা) কথন। যা বাইতুল আজিম শহীদি মসজিদ আন্দোলনের গায়ে কলংকের দাগ এটে দেওয়ার পায়তারা বৈ কিছুই না। জমিয়তের পক্ষ্য থেকে মিথ্যাচার প্রচার করার জন্যই যেন ওলিউল্লাহ আরমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রচার সম্পাদকের। তা না হলে এমন ভিত্তিহীন ও মিথ্যাচারে ভরপুর খবর কেউ প্রচার করে? আর যে ব্যক্তি কোনো প্রমান ছাড়া পীর সাহেব চরমোনাই রহ. কে জিনার তোহমৎ দিতে পারে, সে ব্যক্তি যে চরমোনাইওয়ালাদের নিয়ে ভিত্তিহীন, অযুক্তিক, বানোয়াট তথ্য দিয়ে মিথ্যাচার করবে সেটা তো ৭ বছরের বাচ্চাও বুঝে। কিন্তু ওলিউল্লাহ আরমানের নির্বুদ্ধিতার কারনে সে বুঝতে পারেনি অথবা বুঝেও না বুঝার ভান করে আশরাফ ইয়াছিনের মিথ্যাচার প্রচার করেছে। সেদিন বাইতুল আজিম শহীদি মসজিদ রক্ষার জন্য ঐ মসজিদের সদস্য ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন রমনা থানা সভাপতি হাজি আ:সাত্তার মুন্সির আহবানে শুরু হয় মসজিদ রক্ষার আন্দোলন। এরপর সরকারী বাহিনীর গুলিতে শহিদ হয় আমাদের ৪জন ভাই, আহত হন শতাধিক মুসল্লি। খুনিদের শাস্তির দাবীতে মাঠে নামে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন। দলের আমির সৈয়দ ফজলুল করীম পীর সাহেব চরমোনাই রহ. মাঠে- ময়দানে সভা সমাবেশ করে খুনীদের বিচার চেয়েছেন। সেদিন শহিদদের কোনো আপনজন ছিল না পীর সাহেব চরমোনাই ছাড়া, সেদিন শহিদদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় ছিল না ইশা ছাড়া। আজ যারা শহিদদের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে টানাহেঁচড়া করছে তারা সেদিন ছিল খুনীদের সরকারের সঙ্গে ভাগাভাগি করে ক্ষমতার ভাগিদার। সেদিন শহিদদের নিয়ে টানাটানির সময় ছিল না ওদের, বরং ওল্টো পীর সাহেব চরমোনাই রহ. কে আওয়ামী লীগে দালাল বলেছিল। পীর সাহেব চরমোনাই রহ. কে না- কি সেদিন আওয়ামী লীগ টাকা দিয়ে মাঠে নামিয়েছিল। এরা সেদিনও শহিদদের পক্ষে ছিল না আজও নেই। এরা সেদিনও খুনীদের সরকারের সঙ্গেই ছিল, আজও আছে। আমরা সেদিন মসজিদ রক্ষার ডাক দিয়েছি, জিবন দিয়ে মসজিদ রক্ষা করেছি, শহিদের রক্তের বিচার চেয়েছি আজও চাই। সেদিনও খুনীদের সঙ্গে ছিলাম না আজও নেই। বাইতুল আজিম শহীদি মসজিদ রক্ষার আন্দোলনে ইশা আন্দোলনের চেয়ে সক্রিয় ভূমিকা আর কারো নেই। এই তো দু এক দিন আগেও ইশা ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারুফের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল শহিদ রেজাউল করীম ঢালীর বাবাকে নিয়ে শহিদ ঢালীর কবর জিয়ারত করেছেন। ইশা ছাত্র আন্দোলন সারা দেশে সাংগঠনিক কাজের গতি বাড়াতে ৯টি জোন তৈরি করেছে, যার একটির জোনের নাম দেওয়া হয়েছে শহিদ রেজাউল করীম ঢালী রহ. জোন। ইশার সিলেবাসভূক্ত বই আল্লাহর পথে সংগ্রাম। বইটিও উৎসর্গ করা হয়েছে এই চার শহিদের নামে। দীর্ঘ এক যুগ ধরে শহিদদের লাশের বিচারের বোজা বয়ে চলেছি, তাদের সাংগঠনিক ভাই বলে বুকে টেনে নিয়েছি, নিজেদের কাজের মধ্যেই তাদের নামটাকে জিবীত করার চেষ্টা করছি, এরপরেও যদি শহিদরা ইশার লোক না হয়, তাহলে সুবিধাবাদীদের লোক হবে কি করে? যদি শহিদরা তোদের লোক হয়েই থাকে তাহলে সেদিন (২০০২ সালের ১৫ই আগষ্ট) ছিলি কোথায়? এক যুগ পর শহিদদের কথা মনে পড়লো? না-কি জোটের রাজনীতিতে দেওলিয়া হয়ে পপুলারিটি পাওয়ার জন্য ইতিহাস বিকৃত করে শহিদদের নিয়ে টানাহেঁচড়া শুরু করে দিয়েছিস? =লেখকঃ কিং সামছ্ শিক্ষকঃ কারিমীয়া কেরাতুল কুরআন হাফিজীয়া মাদ্রাসা কমপ্লেক্স।
Posted on: Fri, 22 Aug 2014 12:30:15 +0000

Trending Topics



von

Recently Viewed Topics




© 2015