আসিফ নজরুল এবং অনন্ত; - TopicsExpress



          

আসিফ নজরুল এবং অনন্ত; নিঃস্বার্থ ভালোবাসা। আসিফ নজরুল দিন কয়েক আগে অনন্ত জলিলের ছবি দেখতে গিয়েছেন হলে, ছবি দেখেই তিনি ভক্ত হয়ে উথেছেন অনন্তর, প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে দেখি আজকে বিশাল এক কলাম লিখে ফেলেছেন প্রথম আলো পত্রিকায়। কলাম তিনি লিখতেই পারেন কিন্তু সেই কলাম জুড়ে যখন অকারণে বাড়িয়ে বাড়িয়ে “অনন্তর সস্তা ছবির” প্রশংসা করে তাকে মহৎ রুপ দেয়ার চেষ্টা আর অনন্তর “সেই সস্তা ছবি” নিয়ে তরুন প্রজন্ম হাসা-হাসি করে বলে তাদেরকে ছোট করে করে তাদের সমালোচনা, তখন তরুন প্রজন্মের পক্ষ থেকে তার সেই কলামের জবাব না দিয়ে পারিনা। বাংলা ছবি যখন পতন্মমুক্ষ, হল গুল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে,প্রযোজকরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে বাংলা ছবি থেকে, সেই সময় অনন্ত এগিয়ে আসলেন বাংলা ছবির ছবির ত্রাতা হিসেবে, পরিচয় দিলেন কঠিন এক সাহসের, প্রচুর রিস্ক নিয়ে অনেক টাকা লগ্নি করলেন বাংলা ছবিতে, উদ্যম চালিয়েছেন বাংলা ছবিকে একটা STANDARD পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। অনন্ত জলিলের এই ভুমিকা গুলির জন্য অবশ্য আমরা তার প্রসংসা করি, তাকে ধন্যবাদ দেয় কিন্তু সমালোচনা মুখর হয়ে উঠি যখন দেখি অনন্ত জলিল যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও একাই সব দায়িত্ব নিজের কাধে নিয়ে নিয়েছেন, তিনি হয়ে উঠছেন একাধারে ছবির প্রযোজক, পরিচালক, নায়ক সবি, প্রযুক্তি যদি আরেক টু উন্নত থাকতো তাইলে মনে হয় ছবির নায়িকা এবং ভিলেনের ভুমিকায় ও হয়ত তিনি নিজেই অভিনয় করতেন, ভাগ্যিস সেই প্রযুক্তি তার হাতে ছিলনা। কাক ময়ূরের নাচ নাচতে গেলে যে অবস্থা হয় অনন্ত সাহেবের ও হয়েছে তাই, কাক ময়ূরের নাচ শিখতে গিয়ে ভুলে যায় নিজের হাঁটা আবার পারেনা ময়ূরের মত করে নাচতে, ফলে এরপর তার হাঁটার ধরন হয় কিম্ভুতাক্রিতির কিছু একটা; তাতে না থাকে ময়ূরের স্টাইল না কাকের। সুদ্ধ উচ্চারন বা অভিনয় না শিখেই অভিনয় করতে গিয়ে অনন্ত ও তেমনি হারিয়ে ফেলেছেন তার মৌলিক কথা বলার ধরন। ফলে না সুদ্ধ না আঞ্ছলিক অদ্ভুত এক ভাষায় কথা বলে তিনি যখন হাসির পাত্র করে তুলেছেন নিজেকে সবার কাছে, তার (পম গানা) শুনে সবাই যখন হেসে খুন তখন দেখি সেই হাসি আসিফ সাহেবের গায়ে জ্বালা ধরিয়ে দেয়, তিনি বিশাল এক কলাম লিখে ফেলেন পত্রিকার পাতায়, এক হাত নিয়ে নেন “হাসিতে ফেটে পরা এই তরুন প্রজন্মের” উপর।, তার মতে শহুরে এই তরুনরা নিজের স্রেনি নিয়ে এক ধরনের IDENTITY CRISIS এ ভুগে, অন্তত সেই শ্রেণী উতরে গেছে বলে তাকে ঈর্ষা করে, তাকে ঠাট্টা করে নিজেকে নিজের অবস্থান ভুলিয়ে এক ধরনের আনন্দ পেতে চায়। তাই হবে হয়ত। কিন্তু আমি বলি কি যদি তাই হত তবে এই তরুন প্রজন্ম তো FILM MAKER হুমায়ুন আহমেদ বা ফারুকি অথবা সেলিম সবাইকে নিয়েই হাসি তামাশা করত, এদের অনেকেই আসছেন মদ্ধভিত্ত বা নিম্মমদ্ধভিত্ত পরিবার থেকে এবং তারাও উতরে গেছেন তাদের শ্রেণীকে, কই তাদের নিয়ে তরুন প্রজন্ম হাসি তামাশা করেনা বরং তাদের কাজ দেখে মাঝে মাঝে মুচকি হেসে, শ্রদ্ধায় মাথা নত করে। তিনি দেখি চার নম্বর পেরায় লিখেছেন; অনন্ত কে স্রেফ একজন ENTAINER হিসেবে ই দেখা উচিত, সবাই তো তাই দেখে, তাইত অনন্ত কে নিয়ে এত হাসি তামসা করে। কিন্তু এরপরই তিনি দেখি আবার রজনীকান্তের উদাহরন টেনে বলেছেন, রজনীকান্তের ছবি গুলই “অতি নাটুকে” হওয়া সত্ত্বেও তাকে দক্ষিন ভারতে প্রায় দেবতা তুল্য জ্ঞান করে তাই অনন্তকেও আমাদের তাই করা উচিত। দক্ষিণ ভারতে রজনিকান্তকে দেবতা জ্ঞান করে না কি করে আমি জানিনা কিন্তু পশ্চিম বঙ্গে তো দেখি প্রায়ই তারে নিয়ে হাসি তামসা করে। আর তাছাড়া দক্ষিন ভারত একটা অকাল কুষ্মাণ্ডকে দেবতার আসনে অধিষ্ঠিত করে বলে আমাদেরও তাই করতে ঝবে এমন তো কোন রীতি নেই!! অনন্তের মত অজ্ঞ লোকেরা প্রযুক্তির কল্যাণে “সস্তাদরের ছবি” বানিয়ে বেশ সুন্দর করে উপস্থাপন করে সমাজে মানুষকে হাসি তামাসার সুযোগ করে দেন, আলচনা সমালোচনার ঝর তুলে দেন কিন্তু অত বড় ক্ষতি করেন না,যত বড় ক্ষতি করেন আসিফ নজরুল রা, সেই “সস্তা দরের কাজকে” চটকদার কথা দিয়ে বিজ্ঞতার মোড়কে মুড়িয়ে বেশ একটা মহৎ রুপ দেয়ার চেষ্টা করেন। সর্বশেষ একটা কথা বলি; অনন্ত নাকি বেশ মহৎ হৃদয়ের মানুষ, অন্তত আসিফ নজরুল তাই দেখিয়েছেন তার লেখায়, তার কাছ থেকে কেউ নাকি খালি হাতে ফিরেনা, তাই আশা করি প্রথম আলোর মত বহুল চলতি পত্রিকায় অনন্তর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে আসিফ সাহেব ও খালি হাতে ফিরবেননা, বি এম ডব্লিউ বা মারসিদিঞ্জ বেঞ্জ না পান অন্তত একটা এলিয়ন বা প্রিমিও পাবেন।
Posted on: Sat, 05 Oct 2013 16:22:39 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015