উত্তম/মন্দ - TopicsExpress



          

উত্তম/মন্দ চরিত্র/ব্যবহার ও আল্টিমেট সফলতা বা ব্যর্থতা রসুলুল্লাহ (সা) বলিয়াছেন, মানব চরিত্রের পূর্ণতা সাধনের জন্য প্রেরিত হয়েছি।(মুয়াত্তা মালিক, হাদিস ১৬৪৩) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কিয়ামতের দিন মু’মিনের জন্য মীযানের পাল্লায় সদ্ব্যবহারের চেয়ে অধিক ভারি আর কিছু হবে না। আল্লাহ তা‘আলা অশ্লীল এবং কটুভাষীকে অবশ্যই ঘৃণা করেন।(সহিহ আত্ তিরমিজি , সদ্ব্যবহার, হাদিস ২০০২) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল কোন আমল দ্বারা মানুষ বেশী জান্নাতে প্রবেশ করবে? তিনি বললেন, আল্লাহর ভীতি ও সদ্বাচারের কারণে। জিজ্ঞাসা করা হল, কোন কাজের দরুন মানুষ বেশী জাহান্নামে যাবে? মুখ ও লজ্জাস্থানের কারণে।(সহিহ আত্ তিরমিজি, সদ্ব্যবহার, হাদিস ২০০৪) নবী (সঃ) অশ্লীল ভাষী ও অসদাচারী ছিলেন না। তিনি বলতেন, তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই সর্বশ্রেষ্ঠ যে নৈতিকতায় সর্বোত্তম।(সহিহ বুখারী, খন্ড ৪, হাদিস ৭৫৯) ইমাম নওবীর ৪০ হাদিস হাদিস ৭ দ্বীন হচ্ছে শুভকামনা। আমরা জিজ্ঞেস করলাম: কার জন্য? তিনি বললেন: আল্লাহ্, তাঁর কিতাবের, তাঁর রাসূলের, মুসলিম নেতাদের এবং সকল মুসলিমের জন্য।[মুসলিম: ৫৫] রাসূলুল্লাহ (সা) স্বভাবগত অশালীন ছিলেন না এবং তিনি ইচ্ছা করেও কাউকে অশালীন কথা বলতেন না। তিনি বলতেনঃ তোমাদের মধ্যে যার সÿাব-চরিত্র ভাল, সেই তোমাদের মধ্যে সব চাইতে উত্তম।(সহিহ বুখারী, খন্ড ৮, অধ্যায় ৭৩, হাদিস ৬১) এবং এরকম অসংখ্য হাদীস রয়েছে যেগুলো ঘাটলে একটা কথাই বেরিয়ে আসে... সৎ চরিত্র/সৎ ব্যবহার =জান্নাত এক নারী প্রচূর ইবাদাহ এবং দান খয়রাত করত কিন্তু ব্যবহারগতভাবে প্রতিবেশিদের কষ্ট দিত...রাসূল সা বলেছেন সে জাহান্নামে যাবে। অন্য নারী কম ইবাদাহ করত(ফরজ ঠিকমত করত কিন্তু নফক কম করত) কিন্তু প্রতিবেশির সাথে উত্তম ব্যবহার করত সে জান্নাতে যাবে বলেছেন রাসূল সা। এভাবে একটা বিড়ালকে না খাইয়ে মেরেছেন সেও জাহান্নামী। তেমনি ইসলামের প্রত্যেকটা ইবাদাহই সৎ চরিত্রের বুনিয়াদ হিসেবে কাজ করে, যার চরিত্র সৎ ভিত্তির উপর নয় তার ইবাদাহ হয় কি হয় না এমনিতে বুঝতে পারবেন। সালাত--- যাবতীয় মন্দ ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে যাকার---পরিশুদ্ধ করে হাজ্জ---বিশ্ব ভার্তৃত্বের বন্ধন ও তাওহীদ রোযা---তাকওয়া এবং সবগুলোতেই চারিত্রিক দিক রয়েছে...অর্থাৎ আল্লাহর সাথে ভালো সম্পর্ক হবে ভালো যখন অন্যদের সাথে ভালো সম্পর্ক ও উত্তম চারিত্রিক দিক ফুটে উঠবে(নিশ্চয় আমি মানব চরিত্রের পূর্ণতা সাধনের জন্য প্রেরিত হয়েছি)। যাইহোক, ফেইসবুকের-আচার ব্যবহবার দেখে অনেক শিখেছি...অন্য মুসলিমদের সাথে আর দ্বিমত করতে যাই না...পাছে গালি আর টিটকারী তো আছে!! এই হল আমাদের ইসলামী আদাবের গালিবাজ মুসলিম সমাজ যেখানে সাহাবারা ছিল উচ্চ আদাবের লোক, ইবনুল মোবারাক র ৩০ বছর আদাব ও ২০ বছর জ্ঞানার্জন শিক্ষা করেছেন। ড. তারিক আল-সুয়াইদান এবং ড. নাকিব আল আত্তাস দু’জনেই একটা চরম সত্য উচ্চারণ করেছেন...বর্তমান বিশ্বে মুসলিমদের বড় অভাবের মধ্য তা হল তারা আদাব জানে না্‌। অন্য কথায় তারা বেয়াদব। এর উদাহরণ আমি ফেইসবুকের মুসলিমদের কাছে অসংখ্যবার পেয়েছি। যেখানে খুদ স্কলারদের মধ্যে বহুমত আছে সেখানেও কারো মতের সাথে ভিন্নতা হলেও যে কতভাবে মিথ্যা, গীবত এবং বুহতানের আশ্রয় নিয়ে ট্যাগ দেওয়া হয় তা হয়ত ফেইসবুকে না আসিলে বুঝতাম না...কোথাও কমেন্ট বা কারো সাথে কথা বলতে গেলে আগে মনে রাখা উচিৎ উত্তম চরিত্র/ব্যবহার=জান্নাত মন্দ ব্যবহার/আচরণ=জাহান্নাম (আমি এখন নরমালি কারো সাথে দ্বিমত করতে যাই না, কারণ যাদের আদতেই ইসলামী আখলাক নেই, তাদের সাথে কথা বলাই উচিৎ নয়...’সালাম’ ই যথেষ্ট।) Btw...Its one of my best lectures of Majed Mahmoud and he also takes classes in Shaykh Hamza Yusufs Zaytuna College....he has some other lectures I always like and has an excellent series on the Mubarak Names of Allah subhanahu wa taala. https://youtube/watch?v=XtgtGE8nxpM
Posted on: Fri, 19 Dec 2014 12:59:38 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015