এই উত্তরগুলো আমি - TopicsExpress



          

এই উত্তরগুলো আমি লিখেছিলাম গত ফেব্রুয়ারীতে। সেসময় পোস্টও করেছিলাম। আজ মনে হচ্ছে এগুলো সবার জানা দরকার। তাই আবার পোস্ট করলাম। @Rammya Rahim Choudhury আপনি আপনার "পেঁচা ব্লগ"-এর একটা লিঙ্ক দিয়েছেন এখানে। আমি পড়লাম, আর এর উত্তর দেয়াটা জরুরী মনে করলাম। আপনি যাদেরকে উদ্দেশ্য করে এটি লিখেছেন, তারা এর উত্তর দিলে ভালো হতো। তাদের কেউ যদি এর উত্তর দিতে চায় দেবে, আর যদি আমার উত্তরের সাথে তাদের কোন দ্বিমত থাকে তারা তা-ও আমাকে জানিয়ে দিলে খুশি হবো। আপনি যে লিঙ্কটা শেয়ার করেছেন তা হলো- pechablog/rommo/2730/ -----------------------> আমার উত্তরঃ ======================================>> ভাই, আপনি একই কথা একবার বাংলায়, আরেকবার ইংরেজিতে কেন লিখেছেন বুঝতে পারলাম না। একি আপনি ইংরেজি জানেন সেটি দেখানোর জন্য? নাকি আপনি ফেসবুক ইউজারদেরকে অশিক্ষিত মনে করেন? যাই হোক, আপনি প্রশ্ন করেছেন Jammat-Shibir loyal young activist যারা তাদেরকে। আমি ওদের মধ্যে পড়ি না। আমি ইয়ং-ও নই। কিন্তু একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও ভাই এবং একজন সচেতন মুসলিম হিসাবে আপনার প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়া জরুরী মনে করছি। আমার মনে হয়, ছোট যুবক ছেলেরা আপনার এই প্রশ্নগুলোর যথাযথ উত্তর দিতে পারবে না। তাই, আপনার প্রশ্নগুলো ধরে ধরে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করছি। • আমি তোমার ত্যাগ, একাগ্রতা এবং অদম্য প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু এসব কি পাবার জন্য? তোমার মূল প্রাপ্তিটা কি? - ওরা আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি চায়। আমি যতটূকু জানি, শিবিরের গঠনতন্ত্রে উল্লেখিত রয়েছে তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে, “আল্লাহ্‌র জমিনে আল্লাহ্‌র দ্বীন কায়েমের মাধ্যমে আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি অর্জন করা।“ আল্লাহ্‌র সন্তষ্টিই তাদের মূল প্রাপ্তি। • আমাকে বুঝিয়ে বল তোমার এই সোচ্চার কণ্ঠ আর বলিষ্ঠ হাত কেন আমাদের সাথে যোগ দিতে পারে না যাতে আমরা আমাদের চারপাশের কলুষিত রাজনীতির বিরুদ্ধে একসাথে লড়তে পারি? - - তারাই প্রকৃতপক্ষে কলুষিত রাজনীতির বিরুদ্ধে লড়ছে। কারণ, তারা লড়ছে আল্লাহ্‌র জমিনে আল্লাহ্‌ আইন কায়েম করার লক্ষ্যে। আর আল্লাহ্‌র আইনের চেয়ে সেরা কোন আইন হতেই পারে না। কী বলেন? • আমি তোমার উগ্রবাদিতাকে ঘৃণা করি? কার বিরুদ্ধে তোমার যুদ্ধ? কেন মিছেমিছি ঘোরের ভেতর থেকে মনে কর তুমি জিহাদ করছ? - উগ্রাবাদিতাকে আমরাও ঘৃণা করি। অনৈসলাম ও তাগুতের (আল্লাহ্‌-বিরোধী শক্তি) বিরুদ্ধে তাদের জ্বিহাদ। তারা জেনেবুঝেই আল্লাহ্‌র পথে আল্লাহ্‌র রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রদর্শিত উপায়ে জ্বিহাদ করছে। • তুমি তোমার কথিত এক শয়তান এর মোকাবেলা করতেয় কেন আরেক শয়তানএর বশীভূত হয়েছ? - তারা সকল শয়তানের মোকাবেলায় আল্লাহ্‌র শরিয়তের বশীভূত হয়েছে, আর কারো নয়। সুরা নাস দেখে নেবেন, সেখানে শয়তানের সংজ্ঞা দেয়া আছে (শয়তান সে-ই, যে মানুষের মনে সন্দেহ-শোবা সৃষ্টি করে, যে আসে জ্বিন ও মানবজাতির মধ্য হতে” – আল্‌ ক্কুরআন, সুরা নাস)। • এই ভূমিতে মুসলিমরা কবে নিপীড়িত হয়েছে? পূর্ব বঙ্গ/ পূর্ব পাকিস্তান/ বাংলাদেশ আমল, কখন? - বাংলাদেশ আমলেই বেশি। পাকিস্তান আমলে ইসলাম প্রচার ও প্রাক্টিস-এর জন্য কখনোই নয়। বাংলাদেশে নির্জাতিত হয়েছে বেশি ৭১-৭৫-এ, আর প্রতিবার আওয়ামীলীগ-এর শাসনামলে। বিএনপির শাসনামলেও কোন কোন ক্ষেত্রে ইসলামপন্থীরা নির্যাতিত হয়েছে। আপনি কোন দেশের বাসিন্দা? এসব তো আপনার জানা থাকার কথা। • দয়া করে ভারতের মুসলমানদের কথা পাড়বে না। ওদের দেশের গল্প শুনে আমাদের কাজ নেই। আমাদের দেশে কখন খারাপ ঘটনা ঘটেছে সেটা বল। - আমাদের দেশের কথাই বলছি। আগের বার বর্তমান ক্ষমতাসীন দল যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তারা দেশে কোন ক্কুরআনের তাফসীর মাহ্‌ফিল হতে দেয়নি। এই সেদিনও, শায়খুল হাদীস (বর্তমানে প্রয়াত) আজিজুল হক-এর মত একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় বৃদ্ধ আলেমকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে, মসজিদে ঢুকে পুলিশ মুসল্লিদেরকে লাঠিপেটা করেছে। • তোমার পাপহীন আত্মা আর দেহ দিয়ে কেন ৭১এর খুনিদের রক্ষা করবার ব্রত নিয়ে কলুষিত করছ ? - ৭১-এর কেন, কোন খুনিকেই ইসলামপন্থীরা রক্ষা করার চেষ্টা করে না, করবে না। কারণ তারা ভয় করে আপনাকে নয়, আপনার সরকারকে নয়, তারা ভয় করে এই পৃথিবী ও আখেরাতের একচ্ছত্র মালিক আল্লাহ্‌ তা’আলাকে। যিনি কোন খুনি/তার সমর্থক/তার মদদদাতাকেই রেহাই দেবেন না। • তোমার তো ন্যায় অন্যায় জ্ঞান অনেক প্রখর। তবে কেন তুমি ৭১ এর প্রশ্নে একপেশে চিন্তা কর? - ইসলামপন্থীদের ন্যায়-অন্যায় জ্ঞান তাদের নিজস্ব নয়, তাদের জ্ঞান আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসুল (সাঃ) প্রদত্ত। ৭১-সালে যে যুদ্ধ শুরু হয়, তার আগে জামায়াতে ইসলামি, নেজামে ইসলামি, পিডিপি, ন্যাপ (ভাসানী), ন্যাপ (মুজাফ্‌ফর) – সবাই মিলে শেখ মুজিবের সাথে দেখা করে তাদের রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কথা জানিয়েছিলেন। শেখ মুজিব রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণেই তাঁদের কথার গুরুত্ব দেন নি। বরং সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন। যার কারণে তিনি ২৫শে মার্চ/৭১ সালে রাত ১২-৩০ পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারেন নি। এরপর হঠাৎ করে পাকিস্তানিরা রাতের অন্ধকারে এদেশের উপর আক্রমণ করে বসে। বাকী ইতিহাস সবারই জানা। • তুমি কেন একটা সত্য এড়িয়ে যাও- ৭১এ তোমার দল স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিল। তারা সেই কাজ করতে গিয়ে মানবতাকে চরম অপমান করেছে এবং এখনও সেই পাপের পরিত্রানের জন্য তোমাকে ব্যবহার করছে। - একাত্তরে জামায়াতে ইসলামী শেখ মুজিবের সাথে রাজনৈতিকভাবে একমত হতে পারে নি। এখন যেমন, বিএনপি, জাতীয়পার্টি, বিকল্পধারা, এদের সবার রাজনৈতিক এজেন্ডা আওয়ামী লীগের সাথে মেলে না, তেমনি। রাজনীতিতে এই মতপার্থক্য থাকতেই পারে। কাজেই মতপার্থক্য আর স্বাধীনতার বিরোধীতা এক কথা নয়। একাত্তরে কী হয়েছে এখনকার তরূণেরা তা প্রত্যক্ষ করে নি। কাজেই ৭১-এ অন্যের দোষের কারণে তরুণদেরকে দোষী করা যায় না। • কবে, কোথায় কিভাবে আমরা আমাদের দেশ আর ধর্ম হিন্দুদের কাছে বিক্রি করেছি একটু বুঝিয়ে বল। - চোখ ও মন খোলা রেখে শুনুন, কেঊ কখনো কারো দেশ-জমি বিক্রি করতে পারে না। শুধু মালিকানা হস্তান্তর হয় মাত্র। এ মালিকানা হস্তান্তর অনেকরকম হতে পারে। যেমন, আপনি আপনার জমি বিক্রি করলেন আমার কাছে। আমি বললাম, ঠিক আছে, আপনি আগে থেকেই জমি চাষ করেছেন, এখনো তা-ই করতে থাকুন। তবে এখন থেকে ফসল ফলাবেন যে ফসল আমি চাই, আপনার ইচ্ছামত নয়। আগে আপনি ফসল লাগানোর সময় কাজ শুরু করতেন “বিসমিল্লাহির রাহ্‌মানির রাহীম” বলে, এখন সেটি বলতে পারবেন না, বলবেন –“পরম করূণাময় ইশ্বরের নামে শুরু করছি”। আগে আপনি ফসল কেটে আল্লাহ্‌র নামে শিরনি দিতেন, এখন আপনি মঙ্গল প্রদীপ জ্বালাতে হবে। আগে আপনি মিলাদ দিতেন, এখন ঢোল-করতাল-মন্দিরা বাজাবেন উদ্বাহু নৃত্য করবেন। আগে আপনি মসজিদে গিয়ে ফসল হয়েছে বলে আল্লাহ্‌র দরবারে সেজদা দিতেন, এখন সেখানে গিয়ে বেদী বানাবেন, তাতে ফুল চড়াবেন, প্রদীপ জ্বালাবেন, আনন্দগীত করবেন। আগে পাজামা-পাঞ্জাবী পরতেন, এখন ধুতি-পাঞ্জাবী পরবেন। আগে আপনি আপনার শিশুসন্তানের মুখে আল্লাহ্‌র কালেমা, আরবী হরফ তুলে দিতেন, এখন দেবেন “জয় বাংলা”! বুঝেছেন, ক্রমে ক্রমে কীভাবে আপনি আপনার অস্তিত্বের মূল থেকে সরে এসেছেন? এখন আপনি কাউকে সম্মান করার জন্য বলতেন “আস্‌সালামু আলাইকুম”, আর এখন হাতজোড় করে বলেন, “গুরু ক্যামন আছেন?” বুঝছেন? এ ভৌগলিক গোলামী নয়, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় গোলামী। • তোমার মানুষ মারতে হয় কেন? তোমার কি মনে হয় না তুমি আর সব দলের মতই বাজে কাজ করছ, শুধু আরেকটু হিংস্র ও খারাপ ভাবে কারণ তুমি ধর্মকে ব্যাবহার করছ এবং খুন করছ? - আজ পর্যন্ত কোন প্রমাণ দেখেছেন (আপনি নিজের চোখে দেখেছেন?) ইসলামী তরুণরা কাউকে খুন করেছে? কারো রগ কেটেছে? (যে অপবাদটা ওদের উপরে বেশি দেয়া হয়)। যদি কখনো প্রতিরোধ ও আত্মরক্ষা করতে গিয়ে কেউ মারা গিয়ে থাকে সেটি ভিন্ন কথা। • তুমি যদি ইসলাম ভালোবাসো আর সেটা প্রচার করতে চাও, এর জন্য তোমার রাজনৈতিক দল এর কি দরকার? বিশেষত এমন একটি দেশে যেখানে এই সুন্দর ধর্ম অলি আলেমদের হাত ধরে প্রতিষ্ঠা পাবার পর থেকে কখনই হুমকির মুখে পড়ে নাই। - এটি সংগঠনের আওতায় থেকে ইসলাম প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করতে হবে এটি ক্কুরআন-হাদীসের নির্দেশ বলেই তারা একটি সংগঠনের ব্যানারে সমবেত হয়েছে। আল্লাহ্‌ ক্কুরআন-এ বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে এমন একটি দল থাকতে হবে যারা মানুষ্ককে সৎ কাজের আদেশ দেবে, অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখবে, আর (এই কাজ করতে গিয়ে) তারা শুধু আল্লাহ্‌র উপরই ঈমান রাখবে” (সুরা বাকারা)। হযরত ওমর (রাঃ)-এর একটা দীর্ঘ হাদীস রয়েছে যেটি শুরু হয়েছে, “জামায়াত ছাড়া কোন ইসলাম নেই (লা ইসলামা ইল্লা বিল-জামায়াত)” বলে। তাতে বলা হয়েছে, “কেউ যদি ইসলামী দল থেকে এক বিঘত পরিমাণ দূরে সরে যায়, সে ইসলামের রশি তার গলা থেকে খুলে ফেললো (অর্থাৎ কাফির হয়ে গেলো)।“ বুঝতে পারছেন, কেন একটি দলের মধ্যে থাকা প্রয়োজন? • কেন আমাদের দেশের সব তরুণেরা একসাথে মিলে এমন একটা দেশ গড়তে পারি না, যেটা সাধারণ মানুষের জন্য। একদল লোভী রাজনিতিবিদ, ধর্মব্যাবসায়ী আর স্খলিত ব্যাবসায়ী-বুদ্ধিজিবির জন্য নশ্ত দেশ নয়। - অবশ্যই জরুরী এ কাজটি করা। একটি ইসলামী কল্যানরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য সব যুবকদেরকের ইসলাম প্রতিষ্ঠার কাজে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চেষ্টা চালাতে হবে। একমাত্র ইসলামী রাষ্ট্রই পারে আধুনিক যুগযন্ত্রণার সমাধান দিতে, যে রাষ্ট্র ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সকল মানুষের অন্ন-বস্ত্র-শিক্ষা-চিকিৎসা-বাসস্থানসহ সকল প্রয়োজনের গ্যারান্টি দেবে। যে রাষ্ট্রে কেউ পদ্মাসেতু খেয়ে ফেলবে না, চার হাজার কোটী টাকা লুট করবে না, সে লুটের ভাগ নিয়ে তার সাফাই গাইবে না, যেখানে ইলিয়াস আলী বিশ্বজিৎ কারোই বিনাবিচারে জান দিতে হবে না। • আমদের ধর্ম বিশ্বাস যাই হউক না কেন, আমরা কেন একসাথে সংগবদ্ধ হতে পারি না অন্যায় আর অসৎ এর বীরুদ্ধে? - আসুন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ জীবনবিধান ও মতবাদ ইসলামের ছায়াতলে সমবেত হয়ে ‘হিলফুল ফুজুল’ গড়ে তুলি। • তুমি কেন প্রথম থেকে শুধু একটা বিশ্বাস মাথায় নিয়ে বেড়ে ওঠ যে, তোমার মতাদর্শের বাইরের সবাই হিন্দুদের এজেন্ট বা ভারতের দালাল বা শয়তানের শিস্য? - আল্লাহ্‌র মতবাদের বিরুদ্ধে যে বা যারাই কথা বলবে তারা তো অবশ্যই আল্লাহ্‌-বিরোধী হবে তাই না? আর আল্লাহ্‌-বিরোধী মানেই হলো শয়তানের চ্যালা। এতে যদি কেউ সন্দেহ করে সে কি মুসলিম হতে পারে? আর যে মুসলিম নয় সে তো অমুসলিম, তাই না? • তোমার কি মনে হয় না তুমি যদি বাকি সবার সাথে একসাথে কাজ কর, তখন তোমার ধর্ম চর্চার সৌন্দর্য অন্নদের মাঝে তুমি সহজে আর অকাতরে বিলাতে পাড়বে? - আল্লাহ্‌র কোন নবী, আমাদের শেষ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর অনুসারী সাহাবী আজমাঈনগণ কখনো কোন ব্যাপারে কারো সাথে আপোষ করেন নি। ঠিক সে জন্যেই তারাও অন্য কারো সাথে কাজ করতে পারেনা। অন্যেরা তাদের সাথে আসতে পারে। • অন্যের জীবন নেবার প্রয়োজন কেন হয় তোমার? - কারো জীবন নেয়ার অধিকার বা ক্ষমতা কারো নেই। ওরাও কারো জীবন নেয় না। রবীন্দ্রনাথের ভাষায় বলতে হয়, “তুমি যারে পশ্চাতে ঠেলিছ, সে তোমাকে টানিছে যে নীচে”। • তোমার কি কি কারণে দাঙ্গা বাহিনী বানানো দরকার হয়? - আল্লাহ্‌র নির্দেশ। ইসলামের শত্রুদের মোকাবিলায় মুসলমানদেরকে রক্ষা করা, অন্যায়কারী-জুলুমবাজদেরকে রুখবার জন্য নিজেদেরকে “হিজবুল্লাহ্‌” বা আল্লাহ্‌র সৈনিকে পরিণত করতে হবে। আল্লাহ্‌ বলেছেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ মু’মিনদের কাছে থেকে তাদের জান ও মাল ক্রয় করে নিয়েছেন বেহেশ্‌তের বিনিময়ে, যারা আল্লাহ্‌র রাস্তায় সংগ্রাম করে - মরে ও মারে... (আল্‌-ক্কুরআন)। • আমাদের তো কাশ্মির, গাজা, সিরিয়া, বিলাত বা মার্কিন দেশের মতন ইসলাম নিয়ে কোন বিশাল হুমকি নাই। তাহলে সারাক্ষণ এমন যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব নেবার কারণ কি? - কখন দেখলেন ইসলামপন্থী তরুণেরা সারাক্ষণ যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব নিয়ে থাকে। তারা কখনো কাউকে আগে আঘাত করেছে এমনটি দেখেছেন? ইসলাম নিয়ে হুমকী নেই মানে? ইসলামী শিক্ষা (মাদ্রাসা শিক্ষা) তুলে দেয়ার পাঁয়তারা করছেন, ইসলাম নিয়ে রাজনীতি করতে দেবেন না বলছেন, ক্কুরআনের কথা – ইসলামের কথা রাখলে রাজাকার বলবেন, মৌলবাদী বলবেন, দাঁড়ি-টুপি দেখলেই রাজাকার-যুদ্ধপরাধীর তক্‌মা লাগিয়ে দেবেন, নির্যাতন করবেন, আল্লাহ্‌ ও আল্লাহ্‌র রাসুল (সাঃ)কে নিয়ে ব্যাঙ্গ করবেন – এগুলো কী ইসলামের বিরুদ্ধে হুমকী নয়? • তোমার যদি সত্যই প্রান দেবার আর্জি থাকে তবে তুমি কি মনে কর না নিজের ভাইয়ের প্রাণ না নিয়ে,দেশরক্ষার কাজ করে শত্রু মোকাবেলা করাটা অনেক যৌক্তিক? - কার মোকাবেলা করতে হবে সেটি তো এই তরুণেরা ঠিক করে না। সেটি তো আল্লাহ্‌ পবিত্র ক্কুরআন-এ বলে দিয়েছেন। তারা আল্লাহ্‌ নির্দেশ অনুসরণ করে মাত্র। সেটাই কি যৌক্তিক না? কী বলেন? আল্লাহ্‌ বলেছেন, “যারা আল্লাহ্‌ ও আল্লাহ্‌র রাসুল (সাঃ)-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে তাদেরকে যেখানে যে অবস্থায় পাও মারো, তাদের জয়েন্টে জয়েন্টে মারো” (সুরা তাওবাহ্‌)। • অন্যরা বাংলা সংস্কৃতির চর্চা করলে তোমার আপত্তি কেন? কেউ যদি নিজের সংস্কৃতি চর্চা করে, তাকে তোমার মেরে ফেলতে হবে কেন? - বাংলা সংস্কৃতি চর্চা তো সবাই করে। এখানে তো কারো কোন আপত্তি নেই। বাংলা সংস্কৃতির নামে বেহায়াপনা ও ইসলাম-বিরোধীতা করলে তার বিরোধীতা করতে হবে বৈকি। কী বলেন? আপনি কপালে তিলক পরে, সিঁদুর পরে, ধুতি পরে বাংলা সংস্কৃতিকে হিন্দু সংস্কৃতিতে পরিণত করবেন কেন? আবার মরলে জানাজা আশা করেন কিসের আশায়? • তোমার এসব কাজকে জিহাদ বলবে কি যুক্তিতে? তোমার যদি জিহাদের জন্য রক্তপাতের জন্য ভীষণ তৃষ্ণা থাকে, তবে তুমি এমন কোন দেহসেয় চলে যাও না কেনও যেখানে ইসলাম আজ সত্যি হুমকির মুখে? - জিহাদের সংজ্ঞা তো তরুণেরা ঠিক করে নি। এটি ঠিক করেছেন আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। সে যুক্তিতেই এগুল জ্বিহাদ। এ পৃথিবী পুরোটাই আল্লাহ্‌র রাজ্য, সবদেশই মুসলমানদের। ইসলাম কোন নির্দিষ্ট ভুখণ্ডের জন্য নয়, সারা পৃথিবীর মানুষের জন্য। • তুমি এত অন্ধ কেন? আমাদের ভেতর বিভেদ বাড়াও কেন? আমরা কি পারি না একসাথে লড়তে? এই ভণ্ড ধর্ম ব্যাবসায়ি, ভণ্ড রাজনৈতিক, বিষাক্ত ক্ষমতা যুদ্ধ, অসৎ এর জন্য শাসনযন্ত্র – এসবের শেষ চাইতে পারি না? তোমার কি মনে হয় নাই এই কয় দিনে যে এই দেশে তোমার মতই অনেক অনেক দেশপ্রেমিক তরুণ তৈরি? - আল্‌হামদুলিল্লাহ্‌। তরুণদেরকে দেশপ্রেমের সাথে আল্লাহ্‌ ও রাসুল-প্রেমিকও হতে হবে। আল্লাহ্‌র রাসুল (সাঃ)ই আমাদেরকে শিখিয়েছেন, “দেশকে ভালোবাসা ঈমানের অঙ্গ”। “এক ঘণ্টা দেশের সীমান্ত পাহারা দেয়া সারারাত্রি ইবাদাত করার চেয়ে/শহীদের জানাজায় শরীক হওয়ার চেয়ে উত্তম”। এ তো আমার নবীর (সাঃ) শিক্ষা। আপনি এসব শিক্ষা পান নি? আপনাকেই তো অন্ধ ও অজ্ঞ বলে মনে হচ্ছে। • ধর্মের আড়ালে একজন অসৎ রাজনৈতিক তো বাকি সব অসৎ নেতাগুলোর চাইতেও নিকৃষ্ট। তুমি কেন তার পিছু নেবে? - অবশ্যই। তারা যাদের পেছনে যায়, তাদেরকে এই তরুণেরা কখনো অসৎ হতে দেখে নি। তাঁদের মধ্যে অন্তত দুইজন নেতা বিগত সরকারের আমলে কমপক্ষে তিনটি মন্ত্রণালয় সামাল দিয়েছেন, সে সরকারের অন্যান্য মন্ত্রীদের মত তাঁদের মধ্যে কোন অন্যায়, দুর্নীতির প্রমাণ কি আজ পর্যন্ত পাওয়া গেছে। • তুমি একদিকে হত্যার প্রতিজ্ঞা করছ। আর তোমার চাইতে অনেক অদক্ষ একজন উন্নতির শপথ করছে দেশের জন্য। তুমি যদি সেই কাজটাই করতে, তোমার আর দেশের জন্য সেতা কত ভাল হত, ভেবে দেখ। - আমি কাদের কথা বলছেন? এই তরুণরাই তো গায়, “এই অলি আল্লাহ্‌র বাংলাদেশ, এই শহীদ-গাজীর বাংলাদেশ, রহম করুন আল্লাহ্‌ - রহম করুন আল্লাহ্‌।“ আপনি এদের কাউকে টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ, প্রশ্নপত্র কেলেংকারী, ইত্যাকার কোন অনৈতিক কাজে কখনো জড়িত দেখেছেন কি? দেশের স্বার্থ, অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর কোনো কাজ করতে এদেরকে দেখেছেন কি? • এখনকার সরকার খেদাবার জন্য তুমি গতবারের সরকারের লেজুড়বৃত্তি করছ। ত্তুমি তো নিজেই জানো এরা সবি মুদ্রার এ পিঠ আর ওপিঠ। কিভাবে তুমি একটা অসত্যের জন্য যুদ্ধ কর? - বুদ্ধিমান লোকের কাজ হলো দু’টি মন্দের মধ্য থেকে অপেক্ষাকৃত কম খারাপটিকে বেছে নেয়া। তারা হয়তো সে কাজটিই করছে। ওরা যুদ্ধ করছে আল্লাহ্‌র দ্বীনের জন্য, অন্য কারো জন্যে নয়। • ৭১এর অপকর্মের সাথে তোমার একাত্মতার মানে কি? কেন তুমি দৃপ্ত কণ্ঠে বলতে পার না, তুমি ইসলাম ভালোবাসো কিন্তু কখনই রাজাকার, আল বদর, আল শামস এর ৭১এর নারকীয় কাণ্ডকে সমর্থন করতে পার না, কারণ সে সবের সাথে ইসলাম এর কোন সম্পর্ক নাই। - ১০০% সহমত। এ তরুণ প্রজন্ম ৭১-এর কোন নারকীয় কর্মকাণ্ডের সাথে একমত নয়। তারাও এর বিচার চায়। আপনারা নিরপেক্ষভাবে সে বিচার করুন, প্রতারণা প্রহসনের আশ্রয় নিচ্ছেন কেন? আপনারা সাক্ষী গুম করে ফেলবেন, অনুপস্থিত সাক্ষীর সাক্ষ্যকে এভিডেন্স হিসেবে গ্রহণ করবেন, যেখানে সে সাক্ষি বহাল তবিয়তে বিদ্যমান, এ ধরনের বিচারের নামে প্রহসন তো মেনে নেয়া যায় না। সর্বোপরি, বিচারপতি নিজামুল হক-এর স্কাইপি কেলাংকারীর পর তো এই ট্রাইব্যুনাল যে সরকার নিয়ন্ত্রণ করছে, তাদের নীলনক্‌শা বাস্তবায়ন করার এজেন্ডা হিসাবে ব্যবহার করছে সেটি পরিষ্কার। যদি সত্যিকার বিচার চান, তাহলে আন্তর্জাতিক মানের ট্রাইব্যুনাল গঠন করে পুনরায় বিচার কার্যক্রম শুরু করুন, এ দেশের সবাই তাতে অকুণ্ঠ সমর্থন দেবে। যাচাই করে দেখুন। • এদেশের কোথায় ইসলাম বিপর্যস্ত, মসজিদ নাই বা ধর্ম নাই? - এর উত্তর আগে দেয়া হয়েছে। • তোমার নামাজ আদায় বা কুরান চর্চায়ে কে কবে কোথায়ে বাধা দিয়েছে? - আগেই বলেছি মাদ্রাসা শিক্ষা, তাফসীর মাহ্‌ফিল, ইত্যাদি, ইসলাম বিরোধী আইন প্রণয়ন, ইত্যাদি। • এই দেশে তোমার পর্দা, আব্রু বা হিজাবকে, কোথায়ে, কবে, কে অপমান করেছে বা বাধা দিয়েছে? - এই তো সেদিন ইসলামী ছাত্রী সংস্থার মেয়েগুলোকে বেপর্দা করে আদালতে হাজির করলো পুলিশ। বিএনপির এক নেত্রিকে হাজতে উলঙ্গ করে নির্যাতন করলো পুলিশ। • মুসলিম হবার কারণে এই দেশে কে তোমাকে অপমান করেছে বা তুমি পক্ষপাতিত্তের শিকার হয়েছ? - এই যে আপনি এতগুলো প্রশ্ন করলেন তা তো ওরা ইসলামকে অনুসরণ করে বলেই, কুরআনের কথা বলে বলেই করছেন, তাই না? জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ওদেরকে নিষিদ্ধ করে রেখেছেন, দেশের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসলামপন্থী ছাত্রদের উপর যে নির্যাতন করা হচ্ছে সেসব কি আপনার অজানা?
Posted on: Thu, 25 Jul 2013 06:39:49 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015