এই পর্যন্ত জীবনে মোট - TopicsExpress



          

এই পর্যন্ত জীবনে মোট তিনবার আমি আমার জিনিসপত্র হারিয়েছি। ☆☆★ প্রথমবার Phoenix Bi-cycle হারিয়ে ছিলাম 2007 সালের ডিসেম্বর মাসে। সময়টা ছিল টেস্ট পরীক্ষার পর পর। আমি আমার স্কুল, কে কে গভঃ ইনস্টিটিউশন এর Science এর শিক্ষক, আক্তারুজ্জামান স্যারের কাছে Physics, Chemistry, Genearl, Higher Mathe এর উপর Model Test দিতে যেতাম। সাইকেলটা 2000 সালে কেনা হয়েছিল। মূলত ছিল আমার বড় ভাইয়ের। Phoenix Brand এর যথেষ্ঠ কদর তখনো ছিল, তার উপর Orginal. আট বছরেও সাইকেলটার রঙ ছিল অক্ষত, নতুন। আর সার্ভিসটা ছিল নতুন সাইকেলের মত। এর কারণ হল- আমরা চার ভাই ই সারাদিন যক্ষের ধনের মত সাইকেলটার যত্ন করতাম। মাঝে অবশ্য কয়েকটা Accident ঘটিয়ে ছিলাম। ফলে প্যাডেল, চেইন আর বেয়ারিং পাল্টাতে হয়েছিল। উত্তরাধিকার সূত্রে সাইকেলটা বড় ভাই থেকে মেজু ভাই, মেজু ভাই থেকে আমার এবং আমার ছোট ভাইয়ের হস্তগত। তবে 2005 থেকে মূলত আমি ই ব্যবহার করতাম। তো স্যারের বাসায় Model Test দিতে ঢুকেছি সকাল 07:15 মিনিটের দিকে। বেরুলাম 10:00 টার দিকে। বেরিয়ে এক্বেবারেই বলদ বনে গেলাম! কেচি গেটের সাথে লং লকটা কেবল ঝুলে আছে। সাইকেলটা নেই!! প্রথমে ভাবলাম কেউ হয়ত দুষ্টুমি করছে। পরক্ষণেই বুঝলাম দুষ্টুমি নয়, কেউ নিজের সম্পদ মনে করে তালা ভেঙ্গে নিয়ে চলে গেছে। অদ্ভুত এক অনুভূতি। অফসোসের শেষ নেই। কত রকম আগডুম-বাগডুম চিন্তা, কোন কিছু হারিয়ে গেলে যেমনটা হয়। যেমনঃ- ভাবলাম- আজ যদি সাইকেলটা না আনতাম তাহলেই চুরি হত না।; বাসায় গিয়ে দেখব সাইকেলটা উঠোনে দাঁড় করানো।, কেউ এসে বলবে- এই নে তোর সাইকেল! ইত্যাদি ইত্যাদি। বাসায় ফিরে বলতেই সেই লেভেল বকা শুনতে হল। আর বড় ভাই উনার সাধের সাইকেল খোয়া যাবার খবর শুনে পারে না যে আমাকে মেরে ফেলে! উল্লেখ্যঃ ঔটাই ছিল আমার পরিবারের প্রথম এবং শেষ সাইকেল। ☆★★ দ্বিতীয়বার আমি আমার মানিব্যাগ হারিয়ে ছিলাম, 2010 সালের জুলাই মাসে। আমি এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্টের ভিত্তিতে শিক্ষা বোর্ড প্রদত্ত্ব জাতীয় শিক্ষাবৃত্তি পেয়েছিলাম, যাকে বোর্ড ট্যালেন্ট স্কলারশীপ বলা হয়। এই টাকাটা দুইবারে দেয়া হয়েছিল। প্রথম কিস্তিতে 2009 সালের মার্চে 15,000৳ এবং দ্বিতীয় কিস্তিতে 10,000৳। 13 জুলাই এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল দেয়া হল। আমি পেয়েছি 3.25 Out of 4.00 (Equvallent to 4.20 out of 5.00). নটর ডেম কলেজে পড়েও A+ না পেয়ে আমার কোন রূপ মন খারাপ হয় নি। কারণ আমি কখনোই ফলাফলে বিশ্বাসী ছিলাম না, নই। আমার বিশ্বাস এবং আস্থা সব সময় বাস্তব জীবনে প্রয়োগী জ্ঞানে। এসএসসির Objective এর 4 মার্ক ব্যতীত জীবনে কখনো কারোটা দেখে লিখি নি। এ কারণে নিজের যোগ্যতায় প্রাপ্ত ফলাফলে আমি সব সময় সন্তুষ্ট, গর্বিত এবং আত্মবিশ্বাসী। কারণ যতটুকু খাতায় লিখেছি তার প্রতিটি বিষয়ে আমি সম্যক জ্ঞান এবং ধারণা রাখি, বাস্তব জীবনে ফলাতে পারি। আমি কখনো কোন বিষয়ে সামান্যতম Confused হয়ে গেলে তার সামান্যতম উত্তর পরীক্ষায় খাতা লিখি নি। অর্থাৎ, কেবল ঐ প্রশ্নের উত্তর করেছি যার সম্যক জ্ঞান তথা Theoritical & Practical Knowledge আছে। যাইহোক, 2010 সালের জুলাইয়ের কোন একদিন কলেজে গেলাম Scholarship এর টাকা তুলতে। যেকোন একটা ঝামেলার কারণে কলেজ থেকে জানানো হল- আজ (ঐদিন) কেবল 100 জনকে টাকা দেয়া হবে। বাকিরা পরের দিন পাবে। একথা জানার পরও প্রায় হাজার খানেক নটরডেমিয়ান কাউন্টার থেকে লাইন ধরে দাড়াল। দুইটা লাইনের একটা মার্টিন হলে আরেকেটা বাস্কেট বল মাঠ হয়ে ম্যাথিউস হাউস পর্যন্ত। লম্বা লাইনের বিতর্ক এড়াতে সবাইকে জনতা ব্যাংকের চেক ধরিয়ে দেয়া হল। প্রায় তিন ঘন্টার অপেক্ষা শেষে 10,000৳ চেক পেলাম। রিসিভড বুকে সাইন করেই এক দৌড়ে আমারবাগের জনতা ব্যাংকের শাখায়। ওখানে ছিল লম্বা লাইন। টাকা তুলতে তুলতে বিকাল 03:00 টা বাজল। তারপরও খুশি। কারণ একটা Symbian Qwerty Pad এর Smart Phone কেনার স্বপ্নে তখন বিভোর। আর Grameen Phone এর Crystal Q100 ছিল ঐ সময়ের ফাটাফাটি Smart Phone গুলোর একটি। আর দাম ছিল 6,300৳। 500৳ এর চকচকে নোটগুলো আমার বাবার এক বন্ধুর কাছ থেকে পাওয়া বিশেষ উপহারের Moneybag টায় রাখলাম। বাবার ঐ বন্ধুটি হলেন খালিদ বিন আল সউদ!!! যিনি Soudi Arabiaর রাজ-পরিবারের একজন, বাদশা আবদুল্লাহ বিন আজিজের চাচাত ভাই। ওনি স্বেচ্ছায় সৌদি রাজ-পরিবারকে অন-ইসলামিক (ইসলামচ্যূত) ঘোষণা দিয়ে ইরানে পাড়ি দেন। বর্তমানে ওনি ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানীদের একজন। কলেজে পড়াকালীন সময়ে NASA (USA) এর Cosmos Magazine এ Almighty, Al-Quran & Science | Interlinked নামে আমার একটি Thesis (প্রবন্ধ) প্রকাশিত হলে Moneybag টি উপহার সরূপ পাঠান। আর Moneybag টার বিশেষত্ব হল পুরোটা উটের চামড়ায় তৈরি এবং বিশেষ সুগন্ধি মিশ্রিত থাকায় সুগন্ধ ছড়াতো। অবশ্য এটার একটা সমস্যা ছিল। সমস্যা হল আকারটা এত বড় ছিল যে পিছনের পকেটে রাখলে 1/4 অংশ বাইরে বেরিয়ে থাকত। যাইহোক, সন্ধ্যার পর আমি, শাহাদাৎ এবং বিল্লাহ মিলে Kings Restaurant এ গেলাম। সব মিলিয়ে 930৳ বিল উঠল। বিল্লাহ ভাই সিনিয়র হওয়াতে ওনিই বিল দিলেন। তবে অনেকগুলো টাকা পেয়ে আমার খরচ করতে খুব ইচ্ছে করছিল। অনেক জোড়াজুড়ি করে ফালুদাল বিল, 228৳ আমি দিলাম। তারপর লম্বা আড্ডা। দশটার দিকে দক্ষিণ বনশ্রীর বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম আরামবাগ থেকে। বিল্লাহ ভাই বারিধারা যাবেন। তাই দুজন এক সাথেই বের হলাম। রাত 11:00 টা নাগাত রামপুরা ব্রীজে। তারপর লেগুনাতে করে ব্লক-কে, শাপলা বিল্ডিং নামলাম। বাসায় ঢুকে লম্বা সময় নিয়ে ফ্রেস হয়ে ভাবলাম টাকাগুলো আপাততঃ ড্রয়ারে রাখি। তারপর যেই না প্যান্টের পিছনের পকেটে হাত দিলাম, আমার শরীরটা ঝাড়া মেরে উঠল। কারণ Moneybag টা নেই। গরু খোঁজা খুঁজেও কিছুই পেলাম না। Moneybag এ ছিলঃ- ■ 9,772৳ + 1,250৳, ■ তিনটা ব্যাংকে সাধারণ ATM Card, ■ নটর ডেম কলেজের Students ID, ■ কলেজের পাঁচটা ক্লাব তথা Notre Dame Writers Club, Notre Dame Science Club, Notre Dame Debating Club, Notre Dame English Club & Notre Dame Outbound International Relation Club এর Membership ID, ■ UNICEF (Bangladesh), ■ Save the Children (Australia), ■ শিশু প্রকাশ-Children Express (UNICEF), ■ Mass-line Media Center, ■ দৈনিক প্রথম আলো, ■ দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন, ■ দৈনিক সময়, ■ The American Center, ■British Council, ■ Children Movie Making Club, ■ Children Television Foundation of Bangladesh থেকে পাওয়া ID Card. ★★★তৃতীয়বার আজ, এবারো Moneybag! দক্ষিণ বনশ্রীর এক শ্রদ্ধেয় বড়ভাই, খালেদ ভাইয়ের উপহারের Moneybag ছিল এটা। একটা সামরিক বাহিনীর একটা বিশেষায়িত Mission এরজন্য এলাকা থেকে উধাও হবার আগে, গত বছরের জুন মাসে শুভ কামনার পাশাপাশি ভ্রাতৃত্ব এবং ভালোবাসার নিদর্শন সরূপ Genuine Leather এর খুব সুন্দর, দামী একটা Moneybag উপহার দেন। যা ঘন্টা পাঁচেক আগে আমার বিশেষভাবে সুরক্ষিত বাড়ি থেকে উধাও! Moneybag এর আশেপাশেই Samsung Galaxy Core সহ চারটা মোবাইল ছিল। ছিল নানারকম দামী জিনিসপত্র। অথচ কেবল Moneybag ব্যতিরেকে সব স্বস্ব অবস্থানে রয়েছে। এই কালো Moneybag টায় ছিলঃ- ■ একটা Master Card®, ■ দুইটা সাধারণ ATM Card, ■ অন্যপ্রকাশ থেকে জানুয়ারী15 তে Issue করা 5,60,000৳ এর একটা চেক, ■ American Embassy থেকে দেয়া একটা Special Pass Card (CIA International Clearance), ■ একাধিক Special Citizen ID & Slip, ■ একটা DNA Sample, ■ একাধিক Micro-Instrument, ■ বেশ কিছু Significant Issue Paper এবং ■ শত খানেক টাকা। Moneybag টা যে ই নিক না কেন, সে কোন সাধারণ মানুষ কিংবা চোর নয়- এটা নিশ্চিত। কারণ সে স্পষ্টতঃ জানে এবং বুঝে যে সাধারণ মূল্যবান জিনিসের চাইতে Moneybag এর আপেক্ষিক গুরুত্ব মাত্রাতিরিক্ত বেশী।।
Posted on: Fri, 26 Dec 2014 17:33:01 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015