এক ভাইয়ের কমেন্টের - TopicsExpress



          

এক ভাইয়ের কমেন্টের জবাবে: ভাই, বিজ্ঞানের কথা বলতে গিয়েই আপনি উত্তেজিত হয়ে পড়েছেন। বিজ্ঞান তো পুরো মানবতার কল্যানের জন্যে। একজন বিজ্ঞানী যখন গবেষনা করেন, তখন কোন narrow mind নিয়ে গবেষণা করেন না।বরং পুরো মানবজাতির কল্যান সামনে থাকে।দেখেন আমি একজন বিজ্ঞানের ছাত্র।বিজ্ঞানের দ্বারা আমি স্বয়ং বেনেফিটেট। একইভাবে কোরআনওয়ালারাও বেনেফিটেট যেহেতু বিজ্ঞান কারও একক সম্পদ নয়। কিভাবে? একটা উদাহরন দিলে বুঝে আসবে। দেখুন, human embryology সম্পর্কে মানুষ জেনেছে বেশিদিন হয় নি।অথচ কোরআনে embryological development এর স্তরগুলো বর্নিত আছে। নুতফা থেকে আলাকাহ, তারপর মুদগাহ, তারপর ইজামাহ ইত্যাদি। আলাকাহ দিয়েই শুরু করি। লিসানুল আরবসহ বিখ্যাত আরবী অভিধানগুলোতে আলাকাহর অর্থ দেয়া আছে রক্তপিণ্ড, জোঁক, ঝুলন্ত বস্তু। যেহেতু মানুষ বেশিকিছু জানত না, তাই আগের অনুবাদ গুলোতে অর্থ করা হয়েছে কেবল রক্তপিণ্ড। কিন্তু যখন আমেরিকান embryologist উইলিয়াম কীথ মোর কোরআনের এই আয়াত সম্পর্কে জানলেন, তখন তিনি নতুন করে embryo নিয়ে গবেষনা করলেন।তিনি আশ্চর্য হয়ে দেখলেন, early embryo কে মাইক্রোস্কোপের নীচে দেখলেন হুবহু দেখতে জোঁকের মতো। আরও দেখলেন, এসময়ে embryo uterus এর মধ্যে ঝুলে থাকে। এর বায়োকেমিক্যাল স্টাডি করে দেখলেন, এ অবস্থায় তা জমাট রক্ত হিসেবে আছে। ওনার এই নতুন গবেষনা দ্বারা আলাকাহর জোঁকের মতো হওয়া, ঝুলন্ত বস্তু হওয়া, জমাট রক্ত হওয়া সবই প্রমান হয়ে গেল। উইলিয়াম কীথ মোর তার নতুন আবিস্কারের উপর নতুন বই লিখলেন the developing human. এবং এতে কোরআনের রেফারেন্স দিয়ে নুতফা, আলাকাহ, মুদগাহ শব্দ গুলোও উল্লেখ করলেন।আপনি the developing human লিখে সার্চ দিলে বইটি সম্পর্কে information পাবেন। উপরের আলোচনা থেকে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন, কিভাবে বিজ্ঞানের নতুন আবিস্কারগুলো কোরআন বুঝতে সাহায্য করছে এবং প্রমানিত হচ্ছে কোরআন স্রষ্টারই বানী।
Posted on: Mon, 11 Aug 2014 01:13:05 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015