একটি লজ্জাজনক বিদেশ - TopicsExpress



          

একটি লজ্জাজনক বিদেশ ভ্রমন আর নারীত্বের বিকিকিনি। অপমানিত হয়েছি চরমভাবে। আশাহত হয়েছি একজন নারী প্রধানমন্ত্রীর স্বজাতির প্রতি অমানবিকতায়। দুবাই তথা মধ্যপ্রাচ্যে নারী শ্রমিক পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে বলছি। কিছুদিন পূর্বে আমি একটি গল্প লিখেছিলাম, প্রেমের গল্প। জবা মেয়েটি ছিলো মধ্যপ্রাচ্যে যেতে চেয়ে দালালের খপ্পরে পরে যাওয়া একজন ভিক্টিম। একজন পাড়াতো খালা থাকেন সেই দালাল চরিত্রে, যে মেয়েটিকে সৌদি আরব নিয়ে যাবার প্রলোভন দেখায়। কিন্তু ঘটনা চক্রে মহুয়া নাম্নী এক নারী তাঁকে উদ্ধার করে সেই অমানবিক জীবন যাপন করা থেকে। সেগুলো কথা এখানে হয়ত প্রাসংগিক নয়, আবার একেবারেই অপ্রাসংগিক নয়। একারণে, যে আমরা সবাই জানি মধ্যপ্রাচ্যে নারী শ্রমিকেরা কি করেন। কিভাবে তাঁদের ব্যাবহার করা হয়। এখানে সেখানে পড়ে টড়ে নয়। একেবারে প্রত্যক্ষ দর্শীর কাছ থেকে শোনা। তাঁদের জীবন যাপন ভাষায় মুদ্রনযোগ্য যোগ্য নয়। প্রাপ্তমনষ্করা ভালোই জানেন। আজ পত্রপত্রিকায় এসেছে আমাদের প্রধানমন্ত্রী চুক্তি করেছেন। আমি চুক্তি বলবো না। বলবো, সমঝোতা সাক্ষর করে এসেছেন, দুবাই প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে এক হাজার নারী কর্মী নেবে। নারী শ্রমিক কথাটিকে গৃহপরিচারিকা হিসেবে কিংবা আরোও অন্যকিছু হিসেবে বললে ভুল হবেনা মোটেও। আর এটিকে সরকারী মিডিয়া ফলাও করে প্রচার করছেন অগ্রগতি হিসেবে! ওদের দোষ দিয়ে কি হবে? দালালে দালাল চিনেছে। আসুন দেখা যাক অগ্রগতির গতিময়তা। বহু বছর ধরে এসব গৃহ কর্মী আসত মূলত ফিলিপাইন থেকে। ফিলিপিনো নারীরা সবচেয়ে সস্তায় নিজেদের বিকোয় তা পৃথিবীবাসি জানেন। ফিলিপিনের রাস্তায় রাস্তায় নারীরা বিদেশী পর্যটকদের কাছে নিজেকে বেচতে গিয়ে তাঁদের মত করে ইংরেজীতে ক্যানভাসিং করে, বাই মি ওয়ান ডলার। অর্থাৎ, আমাকে মাত্র এক ডলারের বিনিময়ে পেতে পারো। কথাগুলো অপ্রীতিকর শোনাচ্ছে আমি জানি, কিন্তু আমাকে বলতেই হবে। ওদের সরকারের সবচেয়ে বড় আয়ের উৎস পর্যটক। আর ধনী দেশের এই পর্যটকেরা মুলত সেখানে যায়ই সস্তায় নারীর সংগ পেতে। বিব্রতকর সব কথা লিখতে হল বাধ্য হয়ে। ক্ষমা করবেন। অথচ সেই ফিলিপাইন সরকার এখন আর নারী কর্মী পাঠাচ্ছে না আমিরাত কিংবা দুবাইতে কারণ, এসব নারী কর্মীদের জীবন এতটাই দূর্বিষহ হয় ওখানে! পাঠক, বুঝে নিন কিরকম ভয়াবহতার মুখে পড়তে হয় সেইসব নারীদের! আমার ভাবতেও কষ্ট হচ্ছে। সেই ফিলিপাইন থেকে না পাওয়ায় এখন তারা নারী কর্মী নিতে চাইছে বাংলাদেশ থেকে। এর আগে কিছু নারী কর্মী বাংলাদেশ থেকে দুবাই গিয়েছে। তাদের অনেকের জীবনে কি দূর্বিষহ অবস্থা তৈরি হয়েছে, সেটি মুদ্রনযোগ্য নয়। অনেক ডকুমেন্টরী আমি দেখেছি ওসবের ওপর। সুতরাং এই নারী কর্মী পাঠানোর উদ্যোগ সফল হওয়ার সম্ভাবনা দূরের কথা, আমাদের সবাই মিলে একে প্রতিরোধ করতে হবে। অর্থনইতিক সফলতা নেই তা জানি, মাথা ঘামচ্ছিনা। আমার দায়বদ্ধতা একজন নারী হিসেবে। কিভাবে আমাদের বোনদের বেঁচে এলেন তিনি ঐ নরকপুরীতে? কেন প্রধানমন্ত্রী? কেন? This is pest and copy From Elora Zaman.All my fb friends share to all over Bangladesh.
Posted on: Tue, 28 Oct 2014 08:52:24 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015