এবোলা ভাইরাসের বিরুদ্ধে - TopicsExpress



          

এবোলা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সংগ্রাম রোগটির আতঙ্ক আসলেই প্যান্ডেমিক হয়ে যাচ্ছে। পশ্চিম আফ্রিকা থেকে শুরু হয়েছিল। উপদ্রুত এলাকায় চিকিৎসা সেবা দিতে এসে গত সপ্তাহে দুজন মার্কিন চিকিৎসক নিজেরাই রোগী হয়ে আটলান্টার এমরয় বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এজন্য সকল চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের এ রোগটি সম্পর্কে জানা জরুরী হয়ে পড়েছে। অতীতেও পশ্চিম আফ্রিকায় এবোলা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হয়েছে; কিন্তু তা হয়েছিল সীমিত আকারে। ২০১৪ সালে এর আক্রমণ ঘটেছে বিশাল এলাকা জুড়ে। সম্প্রতি একজন পর্যটক লাইবেরিয়া থেকে বিমানে চড়ে যাওয়ার পথে অসুস্থ হওয়ার পর নাইজেরিয়ার লাগোসে গিয়ে ৫ দিনের মধ্যে মারা যান। এরপর অনেকেরই টনক নড়ে। কারণ বিমান ভ্রমণ বন্ধ রাখা আজকের দিনে সহজ নয়। তৃতীয় আন্তর্জাতিক জরুরী জনস্বাস্থ্য সমস্যা জারী এরই মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবোলা ভাইরাসজনিত সংক্রমণকে সারা দুনিয়ার জন্যই জরুরী জনস্বাস্থ্য সমস্যা (global public health emergency) হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং আন্তর্জাতিকভাবে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহবান জানিয়েছে। বিগত চার দশকের মধ্যে এটা সবচেয়ে ব্যাপক, ভয়ংকর এবং জটিল সংক্রামক ব্যাধির প্রাদুর্ভাব। এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আর মাত্র দুইবার এমন আন্তর্জাতিক জরুরী জনস্বাস্থ্য সমস্যা জারী করেছিল। মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (CDC) আফ্রিকার কয়েকটি দেশে সকল অপ্রয়োজনীয় বিমান ভ্রমণ বন্ধ রাখার সুপারিশ করেছে। কেন এত আতঙ্ক? অতীতে এবোলার আক্রমণে প্রতি ১০ জনে ৯ জনই মারা গিয়েছে। এবার মৃত্যুর হার কমেছে। গাম্বিয়া, সিয়েরা লিওন এবং লাইবেরিয়ায় ৮ আগস্ট ২০১৪ পর্যন্ত এবোলা আক্রান্ত ১৭৭৯ জনের মধ্যে ৯৬১ জন মৃত্যু বরণ করেছেন। মৃত্যু হার প্রায় ৫৪ %। এবোলার ইতিহাস এবোলা ভাইরাস পরিবারের নাম ফাইলোভিরিডি (Filoviridae) । ১৯৭৬ সালে এদের প্রথম সন্ধান পাওয়া যায়। গনপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোর (স্বাধীনতার পূর্বে এর নাম ছিল জায়ারে) উত্তরাঞ্চলের একটি নদীর নাম এবোলা। এই নদীর অববাহিকায় ৬০ মাইল দক্ষিণে ইয়াম্বুকু নামে একটি ছোট গ্রাম আছে। সেই গ্রামের স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাবালো লোকেলা ১৯৭৬ সালের ২৬ আগস্ট এক আজব রোগে আক্রান্ত হন। লোকেলা এই রোগের কারণে ৮ সেপ্টেম্বর মারা যান। তার মৃতদেহ সৎকারে অংশগ্রহণ করেন তার মা, স্ত্রী এবং বোনসহ আরও কয়েকজন প্রতিবেশী মহিলা। কয়েকদিনের মধ্যেই তারাও সকলে একই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেন। ইয়াম্বুকুর যে হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল তা অচিরেই বন্ধ হয়ে যায়। কারণ ওই হাসপাতালের ১৭ জন চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীর মধ্যে ১১ জনই একই রোগে মারা যায়। একই সময়ে সুদানের একটি এলাকাতেও একই রকম রোগের প্রাদুর্ভাব হয়েছিল। পরবর্তীতে অনেক অনুসন্ধানের পরে রোগটির কারণ নির্ণয় করা সম্ভব হয় এবং এবোলা নদীর নামানুসারে সেই রোগটির নাম দেওয়া হয় “এবোলা ভাইরাসজনিত রক্তক্ষরা ব্যাধি” (Ebola haemorrhagic fever)। এখন এটাকে “এবোলা ভাইরাসজনিত ব্যাধি” (Ebola virus disease) বলা হয়। এ পর্যন্ত এদের ৫ টি সাব-টাইপ পাওয়া গিয়েছে। এগুলো হচ্ছেঃ ১) Bundibugyo ebolavirus, ২) Reston ebolavirus, ৩) Sudan ebolavirus, ৪) Taï Forest ebolavirus এবং ৫) Zaire ebolavirus । এদের মধ্যে ৪ টি সাব-টাইপ মানুষের শরীরে রোগ সৃষ্টি করতে পারে। রেস্টন সাব-টাইপ শুধুমাত্র বানর-শিম্পাঞ্জী দের শরীরে আক্রমণ করে। তবে ফিলিপাইন এবং চীনে এদের উপস্থিতির কথা জানা গিয়েছে। জায়ারে সাব-টাইপ সবচেয়ে ভয়ংকর। ফল খাওয়া বাদুর বা ফ্রুট ব্যাটের গলায় এরা প্রাকৃতিকভাবেই অবস্থান করে। অর্থাৎ ফ্রুট ব্যাট এই ভাইরাসের প্রাকৃতিক আধার এবং বাহক। তবে সজারু, শিম্পাঞ্জী-বানর এবং বন্য অ্যান্টিলোপের শরীরেও এবোলা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। পৃথিবীতে শুধু এবোলা ভাইরাসই রক্তক্ষরা জ্বরের কারণ নয়। আরও অনেক ভাইরাস দিয়ে এমন জ্বর হয়। যেমনঃ আমাদের দেশে এখন অতি পরিচিত ডেঙ্গু জ্বর, মারবার্গ (Marburg) রক্তক্ষরা জ্বর, পীত জ্বর (Yellow fever), লাসা জ্বর (Lassa fever) ইত্যাদি। তবে এদের মধ্যে এবোলার আক্রমণই এখন সবচেয়ে ভয়ংকর। মানুষের শরীরে এবোলা ভাইরাস প্রবেশ করার পর রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেতে ২ থেকে ২১ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। অর্থাৎ এর সুপ্তিকাল সর্বাধিক তিন সপ্তাহ। এটি একটি বিপদের বিষয়। কারণ একজন মানুষের শরীরে এবোলা ভাইরাস ঢোকার পরে ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত তিনি সুস্থ মানুষের মতো বিভিন্ন জায়গায় চলাফেরা করতে পারেন এবং তার সংসর্গে এসে নিজের অজান্তে আরও অসংখ্য মানুষ এর দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে। অবশ্য ভাইরাস শরীরে ঢোকার ১-২ দিনের মধ্যেই আক্রান্ত ব্যক্তি অসুস্থতার লক্ষণ বুঝতে পারেন এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে ৮-৯ দিনের মধ্যেই রোগ প্রকাশিত হয়ে পড়ে। এবোলা ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ কিভাবে বোঝা যাবে? • সহসা অত্যন্ত তীব্র জ্বর হয়; তাপমাত্রা ১০৩ ডিগ্রী থেকে ১০৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠে যেতে পারে। • অতিরিক্ত দুর্বল বোধ হয়; মাংসপেশীতে ব্যথা, গলায় ব্যথা এবং মাথা ব্যথা থাকে • ওপরের লক্ষণ প্রকাশিত হওয়ার ১ থেকে ২ দুইদিন পরে প্রচন্ড বমি এবং ডায়রিয়া হয় • সবচেয়ে খারাপ লক্ষণ হচ্ছে এবোলা ভাইরাস সংক্রমণের ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রক্তের প্লাটিলেট বা অনুচক্রিকার সংখ্যা কমে যায় এবং রোগীর নাক, গলা এবং অন্যান্য স্থান দিয়ে রক্তক্ষরণের প্রবণতা দেখা যায় । অচিরেই ৩ থেকে ৫ দিনের মধ্যে কিডনি বিকল হয়ে যায়। এর সঙ্গে অন্যান্য আরও অঙ্গ (যেমন ফুসফুস, যকৃত ইত্যাদি) বিকল হয়ে যেতে পারে। রক্ত ক্ষরণ এবং পানি শূন্যতার পাশাপাশি রক্তনালীর বিশাল নেটওয়ার্কজুড়ে রক্ত জমে যাওয়ার ফলে এই বিপত্তি ঘটে। এই পরিস্থিতিকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় Disseminated Intravascular Coagulation বা DIC বলা হয়। • যে সকল রোগী দ্রুত খারাপ পরিণতির দিকে যায় তারা সাধারণত ৮ থেকে ৯ দিনের মধ্যে মৃত্যু বরণ করে। আর যারা ২ সপ্তাহ পর্যন্ত এর সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকতে পারে, তারা সাধারণত বেঁচে যায়। এবোলা সংক্রমণ শনাক্ত করা কঠিন কেন? সমস্যা হচ্ছে এবোলা ভাইরাস সংক্রমণের ফলে যে সকল লক্ষণ-উপসর্গ দেখা যায় তার সঙ্গে আমাদের পরিচিত অনেক রোগের মিল রয়েছে। আরও অনেক ভাইরাসজনিত ব্যাধি, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড, কলেরা , এমন কি মেনিনজাইটিসের লক্ষণ-উপসর্গ থেকে এবোলা সংক্রমণকে আলাদাভাবে শনাক্ত করা খুবই দুরুহ। মূলত রোগ শুরু হওয়ার ৩ থেকে ৫ দিন পরে কিংবা আরও পরে শরীরের ভিতরে রক্তক্ষরণ এবং ত্বকে রক্তক্ষরণজনিত ফোসার লক্ষণ প্রকাশ পায়। এর পরে অবশ্য এবোলা নিয়ে আর কোন সন্দেহের অবকাশ থাকে না। কিন্তু ততক্ষণে আসলে অনেক দেরী হয়ে যায়। এবোলা অত্যন্ত ছোঁয়াচে ভাইরাস। কিন্তু এটা হাম কিংবা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো বাতাসে ছড়ায় না , কলেরা- টাইফয়েডের মতো খাবার কিংবা পানির মাধ্যমে ছড়ায় না কিংবা হাঁচি কাশির মাধ্যমে অন্যের শরীরে প্রবেশ করে না। মূলত এই ভাইরাস সরাসরি শরীরের নিঃসরণ যেমন- বমি, মল এবং রক্তের মাধ্যমে ছড়ায়। রোগীর মুখের লালা, ঘাম এবং চোখের পানির মাধ্যমেও ছড়ায়। এ ছাড়া রোগীর নিঃসরণ সুস্থ মানুষের ত্বকের ক্ষত স্থানে লাগলেও ভাইরাস শরীরে ঢুকতে পারে। মনে রাখতে হবে এবোলা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত রোগীর শরীরের নিঃসরণের মাধ্যমেই এটা সুস্থ মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়। এ জন্য এবোলা আক্রান্তদের সেবাদানকারী চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী এবং যত্নকারীরা বেশী এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এবোলার কারণে মৃত রোগীদের দেহ সৎকার করতে গিয়ে পরিবারের নিকটজনেরাও এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। একই ভাবে এবোলা ভাইরাস আক্রান্ত বাদুর কিংবা অন্য প্রাণী মাংস খেয়েও অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন। এবোলা আক্রান্ত রোগীর মুখের লালা, ঘাম এবং চোখের পানির চেয়ে বমি, মল এবং রক্তে ভাইরাসের পরিমাণ বেশী থাকে। অসুস্থতা শুরু হওয়ার ২ মাস পরেও আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে এবোলা ভাইরাস শনাক্ত করা গিয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হওয়ার ৭ সপ্তাহ পরেও বীর্যের সঙ্গে এই ভাইরাস নিঃসৃত হওয়ার প্রমাণ রয়েছে। বাংলাদেশেও কি এবোলার হামলা হবে? সার্বিক বিবেচনায় বাংলাদেশে এবোলা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে আজকের দুনিয়ায় নানা উপলক্ষে মানুষের ভ্রমণের হার বেড়েছে। ব্যবসা এবং কর্ম উপলক্ষে অনেকেই আফ্রিকায় আক্রান্ত দেশ সফর করতে পারেন এবং তাদের মাধ্যমে এই ভাইরাস বাংলাদেশে আসার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আর একবার বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে এবোলা প্রবেশ করলে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কাও অমূলক নয়। তাই যেকোনো পরিস্থিতিতে এবোলা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করাই ভালো। এবোলা ভাইরাস সংক্রমণের চিকিৎসা কি? এখন পর্যন্ত অন্যান্য আরও অনেক ভাইরাসজনিত রোগের মতো এবোলা ভাইরাস সংক্রমণের কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। মূলত রোগীকে সাধারণ লক্ষণ উপসর্গ উপশম করার জন্য চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়; যেমনঃ শিরায় স্যালাইন, রক্ত পরিসঞ্চালন, প্লাটিলেট ট্রান্সফিউসন ইত্যাদি। এবোলা ভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে কি টীকা দেয়া যায়? এবোলার বিরুদ্ধে এখনও কোন কার্যকরী টীকা আবিষ্কৃত হয়নি। তবে এবছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে একটি ভ্যাক্সিন পরীক্ষামূলক ভাবে ব্যবহার করা হবে। এই ভ্যাক্সিনটি মার্কিন জাতীয় অ্যালার্জি এবং সংক্রামক ব্যাধি সংস্থা (NIAID) আবিষ্কার করেছে। বাহক হিসেবে শিম্পাঞ্জীর শরীরে থাকা অ্যাডেনো ভাইরাসের ভিতরে এবোলা ভাইরাসের দুটি জিন ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন এটাকেই ভ্যাক্সিন হিসেবে মানুষের শরীরে দেওয়া হবে। আশা করা হচ্ছে এরফলে ভ্যাক্সিন গ্রহণকারীর শরীরে এরফলে এবোলা ভাইরাসের বিরুদ্ধেও ইমিউনিটি তৈরি হবে। বানর এবং শিম্পাঞ্জীর ক্ষেত্রে এই ভ্যাক্সিনের ট্রায়াল সফল প্রমাণিত হয়েছে। মানুষের ক্ষেত্রে কি হয় তা আমরা হয়তো অচিরেই জানতে পারবো। আর একটি অভিনব চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। কেউ এবোলা ভাইরাস সংক্রমণের পরে বেঁচে গেলে তার রক্তে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। এজন্য এদের রক্ত অথবা রক্তরস সংগ্রহ করে তা অন্য কোন আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করালে উক্ত ব্যক্তির প্রাণ রক্ষা হওয়ার একটি সম্ভাবনা থাকে। আফ্রিকায় আক্রান্ত অনেকের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে। অবশ্য এখনও এর ফলাফল কোন জার্নালে প্রকাশ করা হয়নি। BCX4430 নামে একটি পরীক্ষামূলক ওষুধের কথা এবছর এপ্রিল সংখ্যার ন্যাচার (Nature) পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে। প্রাইমেটদের শরীরে BCX4430 সফল প্রমাণিত হয়েছে। BCX4430 আরএনএ-নির্ভর আরএনএ পলিমারেজ ইনহিবিটর (RNA-dependent RNA polymerase inhibitor) । কিন্তু কোন মানুষের শরীরে এটা এখনও ব্যবহার করা হয়নি। পরিশেষে বলা যায় এবোলা সংক্রমণ প্রতিরোধযোগ্য একটি ব্যাধি। এজন্য আক্রান্ত দেশসহ অন্যান্য সকল দেশের সমন্বিত প্রয়াস জরুরী। এ সম্পর্কে সকলের সচেতনতা খুবই প্রয়োজনীয়। References 1. MacNeil A, Rollin PE (2012) Ebola and Marburg Haemorrhagic Fevers: Neglected Tropical Diseases? PLoS Negl Trop Dis 6(6): e1546. 2. Centres for Disease Control and Prevention. CDC urges all US residents to avoid nonessential travel to Liberia, Guinea, and Sierra Leone because of an unprecedented outbreak of Ebola. wwwnc.cdc.gov/travel/ notices/warning/ebola-liberia Accessed August 10, 2014. 3. Ebola virus. Pathogen safety data sheet - infectious substances. msdsonline/ resources/msds-resources/free- safety-data-sheet-index/ebola- virus.aspxAccessed August 10, 2014. 4. National Institutes of Health. NIAID Ebola vaccine enters human trial. NIH News. nih.gov/news/pr/nov2003/ niaid-18.htm Accessed August 10, 2014. 5. Warren TK, Wells J, Panchal RG, et al. Protection against filovirus diseases by a novel broad- spectrum nucleoside analogue BCX4430. Nature. 2014:508; 402-405.
Posted on: Sun, 10 Aug 2014 20:15:29 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015