এবছর টাকি মাছের পোনার - TopicsExpress



          

এবছর টাকি মাছের পোনার মতো ঝাঁকে ঝাঁকে এ+ পাওয়ার ফলে যে অঘটনটা হয়েছে সেটা হলো কিছু কিছু শিক্ষার্থী পাবলিক ভার্সিটিতে চান্স পাওয়াকে গার্লফ্রেন্ডের হাতের মোয়া ভেবে বসে আছে ... কলেজে ২০% উপস্থিতি নিয়ে এ+ পাওয়া এক ছোটভাইকে যখন বলতে শুনি “ঢাকা ভার্সিটিতে আমাকে ভর্তি না করালে আমি পড়বো না” তখন মনটা চায় এক চামচ পানি নিয়া ডুইব্বা মইরা যাই ... এদের মনমানসিকতাটা এডমিশন টেস্ট এর আগে এরকম থাকে: পাবলিক ভার্সিটি তো বস, দেশের মাথা… বাংলাদেশের সেরা মেধাবীরা পাবলিক ভার্সিটিতে পড়ে বা পরেছেন… পাবলিক ভার্সিটিতে চান্স পাওয়া মানে রাজকীয় পরিবেশে হলে থাকা, বাসের ব্যবস্থা, হাইলি কোয়ালিফাইড টিচার্স আর স্বল্প খরচে উচ্চতর শিক্ষার এক বিশাল সুযোগ… আরো কত কী ... আবার ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্টের পরপরই এদের এই কথাবার্তা পুরো ১৮০ ডিগ্রি পাল্টে যায়… পাবলিক ভার্সিটিতে পইড়া আসলে শান্তি নাই ... র‍্যাগিং এর অত্যাচার, সেশনজটের ভয় আর এসিবিহীন ক্লাসরুম ... তেল-চর্বির শরীরের ফার্মের মুরগীদের পক্ষে এগুলো তো কষ্টই বটে ... ছোটভাই/বোনেরা, আগে ৩টা ৪টা পাবলিক ভার্সিটিতে চান্স পাও, then go for comparison or criticism… জবিতে এবার এক একটা সিটের জন্য লড়াই করছে ৮২জন, ঢাবিতে ৪২ জন... সুতরাং “আমি একাই ১০০” ভাব নিলে পরে কান্নাকাটিই করা লাগে বটে... তোমাদের মতো খুব অল্পসংখ্যক কিছু শিক্ষার্থী ভর্তিযুদ্ধ শেষে খালি হাতে বাড়ি ফেরো যারা বাসায় ফিরে ভাবো “আমার মেধা মূল্যায়ন করার মতো ক্ষমতা এই ভার্সিটির নেই...” লাইফের প্রথম ছ্যাকাটা খেয়ে তোমাদের মাথায় ‘গিট্টু’ লেগে যায় এরপর তোমরাই সব পাবলিক ভার্সিটিগুলার গুষ্টি উদ্ধার কর... দুইদিন পরে বাপের বস্তাভরা টাকা পাড়ার মোড়ের কোন একটা ভার্সিটিতে ঢেলে দিয়ে এসে গলায় একটা আইডি কার্ড ঝুলিয়ে নিয়ে বলো “আমি অমুক পাবলিক ভার্সিটিতে চান্স পেয়েও ভর্তি হইনি ” LOL ... এডমিশন টেস্ট দিতে গিয়ে কত কিছুই না দেখলাম, শুনলাম, জানলাম... চবির শাটল ট্রেনে বড়ভাইদের গান, জাবির MH হলে রাজার হালে ৭দিন থাকা, ঢাবির সি ইউনিটে তিন তিনবার পরীক্ষা দেয়া, কুমিল্লা ভার্সিটিতে ভর্তি হতে যেয়ে টের পাওয়া যে এডমিট কার্ড ঢাকায় ফেলে এসেছি ... রাজশাহী যেয়ে আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলার চেষ্টা করা আর হোটেল ম্যানেজারের ‘বিশেষ’ ইঙ্গিতে চোখ টিপুনি , রাজশাহী থেকে ফেরার পথে রাতের ট্রেইনে সব applicantরা একসাথে গান আর আড্ডা, কেউ কারো নাম পর্যন্ত জানি না...আর কোনদিন দেখাও হবে না... এমন একই পথের কত পথিকের সাথে কতই না আড্ডা আর আলোচনা ... আহা কত স্মৃতি ... কাল থেকে তো মাত্র শুরু, ঢাবি আর জবির এ ইউনিটের এক্সামের মধ্য দিয়ে... এরকম অনেকগুলো ঘটনা আসবে তোমাদের সামনে এই কয়টা সপ্তাহে যেগুলো সারা জীবনই মনে গেঁথে থাকবে... সবশেষে ভর্তিযুদ্ধের জন্য যারা শুরু থেকেই কঠোর পরিশ্রম করে আসছো তাদের শুভকামনা জানিয়ে কলম বন্ধ করি ... You’ll have to pull many different strings at the same time to smash your opponents on the ground to prove that you’re worthy of being someone … InshAllah You will make it ! Best of Luck ......#Admin .....Arthohin pavel..... BBA studies
Posted on: Thu, 04 Sep 2014 17:27:21 +0000

Recently Viewed Topics




© 2015