ক্লোনিং ঃ মানব ক্লোনিং - TopicsExpress



          

ক্লোনিং ঃ মানব ক্লোনিং বলতে বুঝায় একটি মানুষের হুবুহু জ়েনেটিক প্রতিকৃতি তৈরী করা।কৃত্তিম উপায়ে মানুষ তৈরী বুঝাতে ক্লোনিং শব্দটি ব্যবহৃত হয়। ক্লোনিং শব্দটি এসেছে একটি গ্রীক শব্দ “trunk branch” থেকে যার অর্থ গাছের একটি শাখা থেকে আরেকটি শাখা তৈরী করা। মানব ক্লোনিং সাধারনত দুই প্রকারের- • থেরাপিউটিক ক্লোনিং (therapeutic cloning) • রিপ্রোডাকটিভ ক্লোনিং (reproductive cloning) থেরাপিউটিক ক্লোনিং বলতে বুঝায় একজন পুর্নবয়স্ক মানুষের কোষ থেকে অনুরুপ কোষ তৈরী এবং তা ঔষধশিল্প এবং গবেষনার কাজে ব্যবহার করা। অন্যদিকে রিপ্রোডাক্টিভ ক্লোনিং বলতে কৃত্তিম মানুষ তৈরী করা বুঝায়, যা এখনো পর্যন্ত সফল হয়নি এবং বিভিন্ন দেশে এর প্রাকটিস নিষিদ্ধ। এছাড়াও আরো এক প্রকারের ক্লোনিং সম্পর্কে জানা যায়, যার নাম রিপ্লেসমেন্ট ক্লোনিং, এর মাধ্যমে একটি রোগাক্রান্ত বা নষ্ট অঙ্গকে ক্লোনিং প্রকৃয়ায় তৈরী অন্য একটি অঙ্গ দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়। ১৯৯৬ সালে রোজলিন ইনস্টিটিউট, স্কটল্যান্ডের গবেষক, ডঃ আয়ান উইলমুট, তার ২৭৩ তম চেষ্টায় একটি ভেড়ার একটি দেহকোষের (স্তনবৃন্ত বা বাঁট থেকে সংগৃহীত) কেন্দ্রকে অন্যধরনের ভেড়ার কেন্দ্রবিযুক্ত ডিম্বাণুতে প্রতিস্থাপিত করেন ও তা হতে প্রথম ধরনের সম্পূ্র্ণ ভেড়া ডলিকে তৈরি করে জীব ক্লোনিং এর সফল সুচনা করেন। এর মাধ্যমে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিরাট বিপ্লবের সূচনা হবে বলে অনেকে আশা করছে। যদিও মানব ক্লোনিং অধিকাংশ দেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ১২ ই ডিসেম্বর ২০০১ সালে জাতিসংঘ প্রথম রিপ্রোডাক্টিভ ক্লোনিং এর বিরুদ্ধে আইন পাশে করে।২০০৬ সালের ডিসেম্বর এ অস্ট্রেলিয়ায় মানব ক্লোনিং নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়,যদিও দেশটিতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে থেরাপিউটিক ক্লোনিং কে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ১৯৯৮, ২০০১, ২০০৪, এবং ২০০৭ সালে united states house of representative রা ভোট দিয়ে তাদের দেশে সকল প্রকার ক্লোনিং কে নিষিদ্ধ ঘোষনা করেন। ক্লোনিং কিভাবে করা হয়ঃ রিপ্রোডাক্টিভ ক্লোনিং প্রকৃয়ায় তৈরীকৃত প্রানীর DNA হুবুহু তার মাতৃ প্রানীর DNA’র মতই হবে। আর এর জন্য ডিম্বানুর DNA বহনকারি নিউক্লিয়াসকে অন্য একটি প্রানীর DNA দ্বারা প্রতিস্থাপন করতে হবে।তারপর এই ডিম্বানুটিকে কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়ে একটি পরিপুর্ন দেহকোষে পরিণত হওয়ার জন্য গবেষনাগারে রেখে দেয়া হয়, অথবা এটিকে কোন নারীর জরায়ুতেও প্রতিস্থাপন করা যেতে পারে। থেরাপিউটিক ক্লোনিং সাধারনত বিভিন্ন স্টেম সেল তৈরী করতে ব্যবহৃত হয়।এই স্টেম সেলগুলো পরবর্তিতে শরীরের যে কোন কোষের মধ্যেই বৃদ্ধি্লাভ করতে পারে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন এই স্টেম সেল দিয়ে বিভিন্ন ধরণের রোগ যেমন হার্ট ডীজিজ, আলঝেইমার ডিজিজ কে চিকিতসা করা সম্ভব।
Posted on: Wed, 07 Jan 2015 07:28:13 +0000

Recently Viewed Topics




© 2015