গণতন্ত্র কি - TopicsExpress



          

গণতন্ত্র কি পারবে......???? যুক্তির খাতিরে যদি ধরে নিই যে শরীআ গণতন্ত্রকে মৃদু সম্মতি দেয়, তাহলেই কি আমরা সেই মনজিলে মকসুদে পৌছঁতে পারবো? বিশেষ করে আলজেরিয়া ও মিশরের ঘটনার পর এ বিষয়টি ইসলামপন্থীদের ভাবিয়ে তুলছে! (আজকের আলোচনা ভালোভাবে বুঝার জন্য ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা বলতে Exactly কি বুঝায় শীর্ষক পর্বটিতে চোখ বুলানোর অনুরোধ রইলো। লিংক কমেন্টে) ১. কুফরকে মিটিয়ে দিয়ে তাওহীদ প্রতিষ্ঠার পর ইসলামী রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল নামায কায়েম করা। এবং এ কাজ না করলে হাদীসে শাসকের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরার অনুমতিও আছে। নামায কায়েমের ব্যাপারে রাষ্ট্রের কর্তব্য কি? এ ব্যাপারে ইমাম আবু হানীফার রহঃ মত হল বেনামাযীকে তওবা না করা পর্যন্ত জেলে বন্দী রাখা হবে আর অন্যান্য আলেমদের মত হল তওবার আহ্বান জানানো হবে অন্যথায় তাকে হত্যা করা হবে। এখন ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার সবচেয়ে vital একটি element এ গণতন্ত্র কতটুকু সফল হবে? ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক জরিপে দেখা গেছে দেশের মাত্র ২% মানুষ ৫ ওয়াক্ত নামায নিয়মিত পড়ে। এখন আপনি কি করে আশা করেন যে তারা নামায কায়েমের এ ধরনের বিধানের পক্ষে ভোট দিবে? অর্থাৎ তাদের ভোটে ইসলামী বিধান বাস্তবায়িত হবে এটা একটা আকাশ কুসুম কল্পনা। ইনফ্যাক্ট গণতন্ত্রবাদী কোন একটি ইসলামি দল যদি ভাগ্যক্রমে ক্ষমতায় আসেও, তবুও তারা কখনই নামায কায়েম করবে না। কেননা এতে পরের নির্বাচনে গদি হারানোর ভয় আছে!! (এ বিষয়টা আরো একটু পরিষ্কার করিঃ যদি কোন রাষ্ট্রের শতভাগ মুসলিম নামায পড়ে তবুও আমরা ঐ রাষ্ট্রকে ইসলামী রাষ্ট্র বলবো না যদি বেনামাযীর শাস্তির বিধান না থাকে। কিন্তু যে রাষ্ট্রে বেনামাযীর শাস্তির বিধান আছে, চাই সে রাষ্ট্রের সবাই নামায নাও পড়ুক তাও সেটা ইসলামিক রাষ্ট্র। বস্তুত ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা সম্পর্ক সম্যক আইডিয়া না থাকার কারনেই এই বিভ্রান্তগুলো ছড়াচ্ছে। কেউ কেউ মনে করে তাদের দল ১৫১ টা সিট পেলেই রাষ্ট্র ইসলামী হয়ে যাবে।) ২. ইসলাম নামক মুক্তির বিহঙ্গ আজ জাতীয়তাবাদের লোহার খাঁচায় বন্দী। গণতন্ত্র কি পারবে এ লোহার খাঁচাকে ভেঙে ফেলতে??? ৩. কোন ব্যক্তি দ্বীন ইসলাম থেকে ইহুদী বা খ্রিষ্টান হয়ে গেলে রাষ্ট্রের দায়িত্ব হল তাকে ক্বতল করা। আপনার কি মনে হয় আমেরিকা আপনাকে এত সহজে এই আইন বাস্তবায়ন করতে দিবে?? ৪. ইসলামী রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য হল তা ইহুদি খ্রিষ্টানদের কাছ থেকে জিযিয়া আদায় করবে। যারা কারনে অকারনে মার্কিন দূতাবাসে ধন্যা দেয়, তারা এটা করার সাহস দেখাবে বলে কি আপনার মনে হয়?? কুফফারদের ফর্মুলা ফলো করে তাদের স্বার্থবিরোধী আইনের স্বপ্ন দেখা কি নিছক বিভ্রান্তি নয়?? ৫. ইসলামী রাষ্ট্র ইসলাম বিরোধী সকল বাতিল দলকে নিষিদ্ধ করবে, চাই তারা বামপন্থী হোক, সেক্যুলার হোক, কিংবা জাতীয়তাবাদী হোক। তাদেরকে তওবা করার আহ্বান জানানো হবে, অন্যথায় তাদেরকে মুরতাদ ঘোষণা করে হত্যা করা হবে। শুধু তাই নয় ইসলামে সরকারী দল এবং বিরোধী দল এ পরিভাষাগুলোও পরিত্যাজ্য। বহুদলীয় গণতন্ত্রকে স্বীকার করে নিয়ে এ কাজ করার সুযোগ কোথায়?? জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসে তাদের প্রিয় নাস্তিক বুদ্ধিজীবী কবি সাহিত্যিককে হত্যা করার নৈতিক শক্তি ইসলামি দলটি কই পাবে? অন্যান্য দলসমূহ নিষিদ্ধ করতে গেলে কার্যত গণতন্ত্রকে কবর চাপা দিতে হবে। যে জনগণের কাছ থেকে ভোটভিক্ষার মাধ্যমে দলটি ক্ষমতায় এসেছে তারা এটা মানবে কেন?? আর পশ্চিমারাই আঙুল চুষবে কেন?? ৬. মিশর কিংবা আলজেরিয়ার মত পরিস্থিতি ঠেকানোর জন্য দরকার অস্ত্রশস্ত্র ও প্রশিক্ষণ। গণতন্ত্রবাদীদের এসব পরিস্থিত ট্যাকল দেওয়ার প্রস্তুতি কতটুকু?? আসলে গণতন্ত্র হল পশ্চিমাদের তৈরি করা ফাঁদ। যখন তারা দেখবে একটি ইসলামী দল ক্ষমতায় চলে এসেছে তখন মিথ্যা অভিযোগে তাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হবে এবং তখনও গণতন্ত্র রক্ষার দোহাই দেয়া হবে!! ৭. ১ম পর্বে আমরা দেখেছি পৃথিবীতে ব্যাপক বিস্তৃত একটি খিলাফতের প্রতিশ্রুতি রাসূল সঃ দিয়েছেন। এবং এটা প্রতিটা মাটির ঘর বা তাবু পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। তাদেরকে ইসলাম বা জিযিয়ার আহ্বান জানাবে। কথিত ভোটাভোটির মাধ্যমে পৃথিবীতে এত বড় পরিবর্তন আসবে বলে বিশ্বাস করাটা কি বোকামী নয়? ৮. আমেরিকার র্যান্ড ইন্টস্টিটিউশন মডারেট মুসলিমদের যে চারটি বৈশিষ্ট্য বর্ণণা করেছে এবং যেগুলো তারা আমাদের উপর ইম্পোস করতে চায়, তার দুটি হল- 1. Accepting Democracy as understood in the liberal western traditions (not in islamic perspective) 2. Acceptance of non sectarian source of law. Those who want laws from a particular scriptures are extremist!!! বিস্তারিত ইমাম আনোয়ার আল আওলাকির The Battles of Hearts & Minds লেকচারটা শুনুন। যারা নিয়মিত আমেরিকার কাছে নিজেদের Moderate প্রমাণের জন্য ধন্যা দেয়, কিভাবে তারা আমেরিকার দেওয়া Prescription এ ইসলামী রাস্ট্র প্রতিষ্ঠা করবে?? ৯. প্রতিপক্ষের উপর বিজয়ী হবার সবচেয়ে সহজ কৌশল হল Dividation Rule. মোটাদাগে দেখলে এদেশের অল্পকিছু মানুষ ইসলামপন্থী। অতঃপর বহুদলীয় গণতন্ত্রের ফর্মুলা এই অল্প সংখ্যক ভোট ভাগ হবে এত্ত এত্ত ইসলামী দলের মাঝে। একদলের শাইখুল হাদীস দাড়াবে, অপরদলে দাড়িবিহীন শিক্ষিত তরুণ দাড়াবে। অতঃপর সমর্থকদের মাঝে শুরু হবে নোংরা কাঁদা ছোড়াছোড়ির খেলা, গীবত, অপবাদ, আর পরনিন্দার তুবড়ি ছোড়া। দূর থেকে সেক্যুলার বামপন্থীরা মজা লুটবে। ১০. শেষকথা একটা প্রকৃত ইসলামী রাষ্ট্র বিনা আক্রমণে বিশ্বব্যাপী জিহাদ পরিচালনা করবে দ্বীনকে চূড়ান্তভাবে বিজয়ী করার জন্যে। কাজেই কুফফাররা কখনই নিছক টিপসই দিয়ে এরূপ রাষ্ট্র হতে দিবে না। কখনই না। আর যদি হুদুদই বাস্তবায়ন করা না যায়, তাহলে কিসের ইসলামিক রাষ্ট্র?? কিসের জন্য এত সংগ্রাম, এত আন্দোলন?? Source kaizenseries.wordpress/
Posted on: Sun, 16 Nov 2014 07:02:27 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015