ঘটনা ১ : লাঞ্চ খাচ্ছিল - TopicsExpress



          

ঘটনা ১ : লাঞ্চ খাচ্ছিল ওরা। এমন সময় একই ক্লাসের অপর তিনটি মেয়ে তাদের কাছে এসে বসলো। যারা বসে খাচ্ছিল তাদের মধ্যে একজনকে অন্য মেয়ে তিনটি জিজ্ঞেস করলো, “তুমি future এ কোন profession choose করতে চাও?” সে উত্তর দিল, “আমার ইচ্ছা ডাক্তার হবার, বাকি আল্লাহ্‌র ইচ্ছা”। তারা বলল, “তুমি ডাক্তার হলে তো খুব খারাপ ডাক্তার হবে। কারন, তোমার কোন বয় ফ্রেন্ড নাই আর কখনো হবেও না, তোমাকে inspiration দেয়ার কেউ থাকবে না। তাই তুমি পড়তে পড়তে একসময় stressed, frustrated হয়ে যাবে। তাই যদি তোমার কাছে অসুখ হলে চিকিৎসা করতে যাই তুমি ভুল চিকিৎসা করবে”। এই কথা বলে তারা তিনজন বিরাট একটা জোকস করে ফেলেছে ভাব নিয়ে হাসতে শুরু করলো। জবাবে সেই মেয়েটি বলল, “তুমি বোধহয় ঠিক শুনতে পাওনি, আমি বলেছি, আমি ডাক্তার হতে চাই, ভেটেরিয়ান (পশু চিকিৎসক) হতে চাই না। তাই অসুখ হলে আমার কাছে তোমার যাবার তো প্রশ্নই আসে না, so chill off buddy! ঘটনা ২ : জিম ক্লাসের ব্রেকে ওরা বসে আছে। সেই তিনটি মেয়ে তাদের দিকে এগিয়ে এলো। “তোমাদের জন্য না আমাদের খুব মায়া লাগে। এই যে দেখ, আমরা কত Attractive, সব ছেলেরা আমরা হেঁটে গেলে ফিরে ফিরে তাকায়, গার্লফ্রেন্ড বানানোর জন্য পাগল হয়ে থাকে। তোমাদের দিকে তো ফিরেও তাকায় না। তোমাদের যে কি হবে, ভেবে আমাদের খুবই খারাপ লাগে”। ওদেরকে কয়েক মুহূর্ত এনজয় করার সময় দিল ওরা। তারপর ওদের একজন উত্তরে বলল, “আসলে ঠিকই বলেছ। তোমাদের চিন্তা দেখে তো আমাদেরই চিন্তা হচ্ছে। তবে, একটা ব্যপার কি জানো? যখন সুপার মার্কেটে যাই, কিনুক বা না কিনুক, কম দামী জিনিস আর সেলের জিনিস সবাই নেড়েচেড়ে দেখে। কিন্তু সুপার মার্কেটের gold-pearl-diamond সেকশনে গিয়ে কেউ কোন ornament অকারনে নাড়াচাড়া করার সুযোগ পায় না। কারন সেগুলো লক করা থাকে। দামী জিনিসের দিকে সবাই তাকানোর সাহস পায় না, ধরা তো অনেক দুরের কথা”! উপরের এই ঘটনা দুটো আমার মেয়ের ঘটনা। তারা তিন বান্ধবী। একসাথে ক্লাস প্রোজেক্ট, ডিবেট, স্টাডি করে। কারো সাথে পাছে থাকে না, নিজেদের মত থাকে, কখনো কারো ক্ষতি করে না বরং প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে অন্যদের সাহায্যই করে। সব টিচার তাদের পছন্দ করে, ,মাশা’আল্লাহ। কিন্তু তারপরও এই মেয়ে তিনটি আমার মেয়ে আর তার দুই বান্ধবীকে কিছুদিন পর পর এইভাবে বুলিং করে। এই সমস্যা সব দেশেই প্রতিটি স্কুলে কমবেশি হয়। আমার মেয়ে স্কুল থেকে এসে তার সারা দিনের ঘটনা আমার সাথে শেয়ার করে,আলহামদুলিল্লাহ্‌। আমি যতই ব্যস্ত থাকি না কেন, খুব মন দিয়ে প্রতিদিন তার সব কথা শুনি এবং সে নিজেও আমার কাছে পরামর্শ চায়। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তার কি করা উচিত, কেমন করে এদের ‘সোজা’ করা উচিত তার বুদ্ধি নেয়। আমি কখনো তাকে সরাসরি বলি না যে তার কি করা উচিত, বরং আমি বলি “তোমার তো মাশা’আল্লাহ অনেক বুদ্ধি, তুমিই বল তো মা, কি করলে সবচেয়ে ভালো হবে”? আমি তাকে কথার ফাঁকে ফাঁকে অনেক গুলো অপশন বলি কিন্তু কখনোই আমার অপশন তার উপর চাপিয়ে দেই না। আমি চাই সে আমার বুদ্ধিতে নয় বরং নিজ থেকে সমাধান বের করুক। যেন আমার অবর্তমানে সে একেবারে অসহায় না হয়ে যায়। বাচ্চারা ছোট থাকলে তাদেরকে একরকম সময় দিতে হয়, বড় হলে অন্যভাবে সময় দিতে হয়। বাচ্চারা যেন কখনো নিজেদেরকে একা, অসহায় মনে না করে সেটা অভিভাবকদের লক্ষ্য করা দরকার। ছোটবড় যেকোন সমস্যায় তারা যেন প্রথমে আমাদের কাছে আসে। আমরা যেন সবসময় হই তাদের first information source। যে কোন হোঁচট খেয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে তারা প্রথম যেন বাবা-মার কাছে ছুটে আসতে পারে। - Sefat Mahjabeen আপু
Posted on: Sun, 03 Aug 2014 13:59:46 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015