ঘটনা ২০০৪. কলেজের এক বন্ধু খুবই উত্তেজিত হয়ে আমার কাছে আসল। - দোস্ত, নিল খেতের এক দোকানদার তোর ভাবির সাথে বেয়াদবি করছে। - ভাবি? আমার ভাই বিয়ে করল কবে? - আরে তোর ভাই এর বউ না। আমার বউ। - তুই বিয়ে করলি কবে? - ওই, ডার্লিং আরকি। শোন, ফটোকপির দোকানদার ওর লগে হুদাই ঝামেলা করছে। শালারে শিক্ষা দিমু। দে তোর পুরান একটা খাতা দে।একদম বাতিল খাতা। বিশাল মোটা একটা রাফ খাতা দিলাম। ও যেভাবে খাতা হাতে নিল, মনে হচ্ছে একে ৪৭ নিয়ে যাচ্ছে। একটা পুরান খাতা দিয়ে কিভাবে দোকানদারকে ‘সাইজ’ করা হবে সেটা কোন ভাবেই বুঝলাম না। বোঝার জন্য সাথে গেলাম। দোকানে গিয়ে সেই খাতা দিয়ে বলল ফটোকপি করতে। মোট ৩২০ পেজ। স্পাইরাল বাইন্ডিং সহ। আর্জেন্ট করতে হবে। এই জন্য ১০ টাকা বেশি দেয়া হবে। মানে কি? আমার পুরান খাতা ফটোকপি করতে হবে কেন? ও চাইলে তো আমার খাতাটাই নিয়ে যেতে পারে। দোকানদার কাজ শুরু করল। আর ও পাশে দাঁড়িয়ে তাড়া দিতে লাগল। দোকানদার এক পর্যায়ে বিরক্ত হয়ে বলল এক ঘন্টা পরে এসে নিয়ে যেতে। ও বলল ৩০ মিনিট এর মধ্যে আসবে। এর মধ্যে যেন কাজ শেষ হয়। আমার বন্ধু একটু দূরে এসে বিশ্ব জয়ির হাসি দিল, ‘আমি আর জামু না। ৩২০ পেইজ ফটোকপি মাথায় নিয়া বইসা থাকুক। বেয়াদবির শাস্তি!’ moral : ক্যাম্পাসে এখন চরম মারামারি। গায়ে হাত দেয়া ছাড়াও আরো অনেক ভাবেই মারা যায়। ক্যাম্পাসের একশন হিরোরা ইউজ করতে পারে। ----নাম বলবো না।
Posted on: Sun, 10 Nov 2013 09:30:00 +0000
Trending Topics
Recently Viewed Topics
© 2015