চাকরি খুঁজবেন - TopicsExpress



          

চাকরি খুঁজবেন যেভাবে একজন শিক্ষিত মানুষের জীবনে চাকুরি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি মানুষই চায় একটি সনামধন্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে, ক্যারিয়ার গড়তে ও জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত হতে। স্নাতক কিংবা স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করার পরই প্রতিটি বাবা-মা আশা করে থাকেন যে তাদের আদরের সন্তান, যাকে নিয়ে রয়েছে তাদের অসীম আশা, যার মাঝে দেখতে পায় বিপুল সম্ভবনা, সে নিশ্চয়ই একটি ভালো চাকরি পাবে। কিন্তু সত্যি কি শুধু পুঁথিগতবিদ্যা কিংবা ডিগ্রি থাকলেই সোনার হরিণ নামক চাকরি পাওয়া সম্ভব? কিন্তু জীবনকে সুখময় করতে ভালো চাকরির কোনো বিকল্প নেই। আবার বর্তমান যুগে ভালো কোনো চাকরি খুঁজে পাওয়াটা বড়ই দুষ্কর। কারণ বাংলাদেশের চাকরির বাজারে চলছে তীব্র প্রতিযোগিতা। এখানে টিকে থাকতে হলে নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করার পাশাপাশি ওই চাকরি সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। পেশা নির্বাচন: চাকরি খোঁজার ক্ষেত্রে প্রথম শর্ত হলো কোন পেশায় যেতে চাচ্ছেন সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া। কেমন চাকরি চাচ্ছেন অথবা আদৌ চাকরি করবেন কি না সে ব্যাপারে যেন কোনো দ্বিধা না থাকে। যেমন: আপনার ইচ্ছা কোনো টেলিকম কোম্পানিতে চাকরি করা, আপনি সিভি দিয়ে বেড়াচ্ছেন ফার্নিচার অথবা ওষুধ কোম্পানিতে। কেন? কারণ আপনি ভাবছেন যদি ডাক আসে! এরকম ক্ষেত্রে যদি পরে ডাক এসেও যায়, তারপরও কিন্তু পরের ধাপগুলোতে আপনার বাদ পড়ার সম্ভাবনাই বেশি। ধরুন ইন্টারভিউয়ে গেলেন, প্রশ্ন করা হলো কেন ওষুধ কোম্পানিতে কাজ করতে চাইছেন। এর উত্তর কি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারবেন? না, কারণ মনে মনে আপনার ইচ্ছা টেলিকম সেক্টরে কাজ করার। সিভি তৈরি: সিভি তৈরির সময় মনে রাখবেন নিজেকে যত আকর্ষণীয় করতে পারবেন ততই আপনার ডাক পড়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই সিভি যেন-তেন ভাবে তৈরি না করে এর প্রতি যথেষ্ট মনোযোগ দিন। সেই সঙ্গে বর্তমান যুগে নিজের ঢোল নিজে পেটানোতে লজ্জার কিছু নেই (যদি তা বানোয়াট না হয়)। আপনার সিভিটি এমন ভাবে তৈরি করুন, যাতে তা আপনার সম্পর্কে উচ্চধারণা দেয় চাকরিদাতাকে। একই সিভি সব জায়গায় পাঠাবেন না। আপনি সিভি তৈরির জন্য যতবেশি সময় এবং শ্রম দেবেন তত বেশি চাকরি পাবার জন্য নিজেকে যোগ্য করে তুলতে পারবেন। এমনকি অনেক বেশি যোগ্য প্রার্থীর ভিতর থেকেও আপনি নিজেকে অনন্য করে তুলতে পারবেন। কিভাবে একটি চাকরির জন্য উপযুক্ত সিভি তৈরি করতে হয় সেটি জানতে পারলে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য আরো অনেক সুযাগ সামনে চলে আসে। প্রাসঙ্গিক রেফারেন্স: কোনো চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছে সিভি পাঠানোর আগে সেটিতে কমপক্ষে দুই জনের রেফারেন্স দেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওই পদের জন্য বিশ্বাসযোগ্য এবং প্রাসঙ্গিক ব্যক্তির রেফারেন্স দেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। প্রতিটা রেফারেন্সই চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছে আপনাকে ওই পদ এবং দায়িত্বের জন্য যোগ্য বলে বিবেচনা করতে সহায়তা করে। জনসংযোগ: চাকরির খবরের জন্যে স্রেফ পত্রিকার বিজ্ঞাপনের উপর নির্ভর না করে পরিচিতদের মাধ্যমেও খোঁজ নিন। এই খবর নেয়া শুরু করুন পড়াশোনা চলাকালীন থেকেই। সবসময় মনে রাখবেন পরিচিতদের রেফারেন্সে কাজ পাওয়া মানেই ‘মামা-চাচা’র জোর নয়। বরং আজকের বিশ্বে দক্ষ জনসংযোগ হলো অন্যতম গুণ। ইন্টারভিউ: বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটা হলো সর্বশেষ ধাপ। অতএব আগের সবগুলো বাছাইয়ে নির্বাচিত হওয়ার পরও এই ধাপে বাদ পড়ে গেলে আপনার পুরো চেষ্টাটাই মাটি। তাই এ ব্যাপারে সতর্ক হোন। আর এক্ষেত্রে প্রথম প্রয়োজন আপনার আত্মবিশ্বাস। এমনকী ‘জানি না’ বলেও অনেক প্রার্থী বসকে খুশি করতে পারেন কেবলমাত্র আত্মবিশ্বাসী উত্তরের জন্যে। সেই সঙ্গে ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া, পোশাক- আশাকের ব্যাপারে সচেতন হওয়ার মাধ্যমেও ইন্টারভিউয়ে আপনি বসের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারেন। অনুগ্রহ করে শেয়ার করে আপনার প্রিয়জনদের জানার সুযোগ করে দিন। আরও জানতে আমাদের পেজের সাথেই থাকুন। আমাদের পেজ লিঙ্কঃ
Posted on: Thu, 04 Sep 2014 09:16:11 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015