ছয়দিনে আকাশ-ভূমি সৃষ্টি - TopicsExpress



          

ছয়দিনে আকাশ-ভূমি সৃষ্টি করার রহস্য -------------------------------- ছয়দিনে আকাশ-ভূমি সৃষ্টি করার রহস্য (The mystery creating of the sky-land in six day) বিশ্বের বিভিন্ন রূপকসাহিত্য বিশেষ করে পবিত্র কুরান, লালন ও বলনতত্ত্বের মধ্যে ছয়দিনে আকাশ-ভূমি সৃষ্টি করার বর্ণনা-বিবরণ দেখতে পাওয়া যায়। আলোচ্য এ ছয়দিন কী? রূপকসাহিত্যে বর্ণিত দিন কী দিন নাকি প্রহর? নিচে কয়েকটি উদ্ধৃতি তুলে ধরা হলো। আবার কুরানেই লেখা আছে যে, “কাঁই কোন কিছু সৃষ্টি করার ইচ্ছা করলে কেবল বলে হও, সঙ্গে সঙ্গেই হয়ে যায়।” যেমন “إِنَّمَا أَمْرُهُ إِذَا أَرَادَ شَيْئًا أَنْ يَقُولَ لَهُ كُنْ فَيَكُونُ” উচ্চারণঃ “ইন্নামা আমুরু ইজা আরাদা শাইয়া, আইয়া কুলা লাহু কুন ফাইয়াকুন।” অর্থঃ তার আদেশ! যখন তিনি কোন কিছু করতে ইচ্ছে করেন, তখন কেবল বলেন হও, সঙ্গে সঙ্গে তা হয়ে যায়।” His command, when He intends anything, is only to say to it: Be, so it is. (কুরান, সুরা- ইয়াসিন- ৮১)। তবে এবার তো যে কেউ প্রশ্ন করতেই পারে যে, এটি আবার কোন স্রষ্টা? যে স্রষ্টা কোন কিছু সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে হও বললেই হয়ে যায়, তার আবার ছয়দিন ধরে কেবল আকাশ-ভূমি সৃষ্টি করার কারণ কী? কেবল আকাশ-ভূমি সৃষ্টি করতেই যদি ছয়দিন সময় লাগে, তবে বিশ্বের অন্যান্য সৃষ্টিগুলো সুসম্পন্ন করতে কতদিন সময় লাগতে পারে? এ তো দেখি শেষাসীম সময়ের ব্যাপার!! বিষয়টির সঠিক সমাধান করার উদ্দেশ্যে প্রথমে নিচে কয়েকটি উদ্ধৃতি তুলে ধরা হলো। ১. “ছয়টি প্রহরেতে মানবসৃষ্টি সর্ব মতে, আকাশ ভূমি সৃজনের ভেদ জানতে, লালন করে বাসনা।” (পবিত্র লালন- ২০২/৩)। ২. “ছয়দিনে গড়ে আকাশ ভূমি, মনের মত করে তিনি, কোন্ ঘড়িতে দিন গণে, মন চল ঘড়ি সন্ধানে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১১০)। ৩. “ছয়প্রহর সাতদিনের মানি, গড়েছে এ দেহবিজ্ঞানী, চাররঙ ধরে দিনরজনী, করলাম কারের বিবরণ।” (পবিত্র লালন- ৯১/৩)। ৪. “সকাল বিকাল দুই রং ধরে সাদা কালো একমাসে, বলন কয় থাইক সেই তাজা কালো ফলের আশে, চার বাহক ছয়প্রহরে- পাহারা দেয় ৬টি চোরে, ফাঁকি দিয়া তিন চক্ষুকে- বুলবুলিতে খাইয়া যায়।” (বলন তত্ত্বাবলী- ২৪৬)। ৫. “হও বলে এক শব্দ করে, সেই শব্দে জ্যোতি ঝরে, মানবসৃষ্টি ছয়প্রহরে, এরূপ তার বর্ণনা।” (পবিত্র লালন- ২০২/২)। ৬. “إِنَّ رَبَّكُمْ اللَّهُ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ يُدَبِّرُ الْأَمْرَ مَا مِنْ شَفِيعٍ إِلَّا مِنْ بَعْدِ إِذْنِهِ ذَلِكُمْ اللَّهُ رَبُّكُمْ فَاعْبُدُوهُ أَفَلَا تَذَكَّرُونَ”উচ্চারণঃ “ইন্না রাব্বাকুমুল্লাহু আল্লাজি খলাকাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি ফি সিত্তাতি আইয়ামিন। সুম্মাস তাওয়া আলাল আরশি। ইউদাব্বিরুল আমরা মা মিন শাফিইয়ি ইল্লা মিম্বাদি ইজনিহি। জালিকুমুল্লাহু রাব্বুকুম। ফাবুদুহু। আফালা তাজাক্কারুন।” অর্থঃ “সত্যই তোমাদের প্রতিপালক সেই কাঁই, যিনি ছয়দিনে আকাশ ও ভূমি সৃজন করেছেন। অতঃপর সিংহাসনে আরোহণ করেছেন। তার আদেশ ব্যতীত কোন অনুরোধকারীই নাই। ইনিই তোমাদের প্রতিপালক কাঁই। অতএব তোমরা তাঁকেই আর্চনা কর। তোমরা কী উপদেশ গ্রহণ করছ না।” (কুরআন- ইউনুছ- ৩)। Surely, your God is Lord Who created the sky and the earth in six days. Then he ascended the throne. No intercessor except after His Leave. That is Lord, your God so worship Him. Then will you not remember? (Quran, yoûnus- 3). ৭. “وَهُوَ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ وَكَانَ عَرْشُهُ عَلَى الْمَاءِ لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا وَلَئِنْ قُلْتَ إِنَّكُمْ مَبْعُوثُونَ مِنْ بَعْدِ الْمَوْتِ لَيَقُولَنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا إِنْ هَذَا إِلَّا سِحْرٌ مُبِينٌ” “তিনিই যিনি আকাশ ও ভূমি ছয়দিনে সৃষ্টি করেছেন। তখন তার সিংহাসন ছিল জলের ওপর। কার্যত তোমাদের মধ্যে কে অত্যুত্তম এটা পরীক্ষা করার জন্য। যদি তুমি বল যে, “নিশ্চয় তোমরা মৃত্যুর পর পুনরুত্থিত হবে। তবে অবশ্যই বলবে যারা ধর্মদ্রোহী, এটা স্পষ্ট যাদু ভিন্ন কিছুই নহে।” (কুরআন- হুদ-৭)। He it is Who has created the sky and the earth in six days and then His throne was on the water. That He might try you, which of you is the best in deeds. But if you were to say to them: You shall indeed be raised up after death, those who disbelieve would be sure to say, This is nothing but obvious magic. (Quran, hûd- 7). ৮. “الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ الرَّحْمَانُ فَاسْأَلْ بِهِ خَبِيرًا” “যিনি আকাশ ও ভূমি এবং এ উভয়ের মধ্যে যা কিছু আছে তা ছয়দিনের মধ্যে সৃষ্টি করেছেন, তৎপর দয়াল সিংহাসনে আরোহন করেছেন। অতঃপর তুমি তার সম্বন্ধে কোন জ্ঞানীর নিকট প্রশ্ন কর।” (কুরান- ফুরকান- ৫৯)। Who created the sky and the earth and all that is between them in six days. Then he ascended the throne. Then you taxes questions at any wise about his (Quran, furqân- 59). ৯. “اللَّهُ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ مَا لَكُمْ مِنْ دُونِهِ مِن وَلِيٍّ وَلَا شَفِيعٍ أَفَلَا تَتَذَكَّرُونَ” “সেই কাঁই যিনি ছয়দিনের মধ্যে আকাশ ও ভূমি এবং এই উভয়ের মধ্যে যা কিছু আছে সৃজন করেছেন। অতঃপর তিনি সিংহাসনে আরোহণ করেছেন। তিনি ব্যতীত তোমাদের কোন বন্ধু নেই, কোন অনুরোধকারীও নেই। অতঃপর তোমরা কী উপদেশ গ্রহণ করতেছ না?” (কুরআন- সিজদা-৪)। Lord it is He Who has created the sky and the earth and all that is between them in six days. Then he ascended the throne. You have none, besides Him, as a protector or helper or an intercessor. Will you not then remember? (Quran, sajdah-4). ১০. “وَلَقَدْ خَلَقْنَا السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ وَمَا مَسَّنَا مِنْ لُغُوبٍ)” *। “সত্য সত্যই আমরা ছয়দিনে আকাশ ও ভূমি এবং উভয়ের মধ্যে যা কিছু আছে সৃজন করেছি এবং ক্লান্তি আমাদেরকে আশ্রয় করেনি।” (কুরান, ক্বাফ- ৩৮)। And indeed We created the sky and the earth and all between them in six days and nothing of fatigue touched Us. (Quran, Qâf- 38). ১১. “هُوَ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى الْعَرْشِ يَعْلَمُ مَا يَلِجُ فِي الْأَرْضِ وَمَا يَخْرُجُ مِنْهَا وَمَا يَنْزِلُ مِنْ السَّمَاءِ وَمَا يَعْرُجُ فِيهَا وَهُوَ مَعَكُمْ أَيْنَ مَا كُنْتُمْ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ(৪)” “তিনিই যিনি ছয়দিনে আকাশ ও ভূমি সৃজন করেছেন। অতঃপর তিনি সিংহাসনে আরোহন করেছেন। তিনি জ্ঞাত হন যা ভূমিতে উপস্থিত হয় ও যা তথা হতে বের হয় এবং যা আকাশ হতে অবতারিত হয় ও যা উহাতে সমুত্থিত হয়। এবং যেস্থানে তোমরা অবস্থান কর তিনি তোমাদের সাথে থাকেন এবং তোমরা যা-ই কর কাঁই তাদের দ্রষ্টা।”(কুরান- হাদিদ- ৪)। He it is Who created the sky and the earth in six days and then Then he ascended the throne. He knows what goes into the earth and what comes forth from it, what descends from the sky and what ascends thereto. And He is with you wheresoever you may be. And Lord is the All-Seer of what you do. (Quran, hadîd-4). সমাধান (Solution) শাস্ত্রীয় কুরানী পণ্ডিত, বৈখ্যিক ও টৈকিকরা ওপরোক্ত আধ্যাত্মিক বাণির ব্যাখ্যা প্রদান করতে গিয়ে কেউ কেউ বলেছেন, কাঁই শনিবার হতে কাজ আরম্ভ করেছিলেন! এবং বৃহস্পতিবারে কাজ শেষ করেছিলেন!! অতঃপর শুক্রবারে তিনি অবসর গ্রহণ করেছিলেন!!! এবার আমাদের প্রশ্ন হলো তাই যদি হয় তবে ‘বাংলা সাতবার’ আবিষ্কারের বয়স কত? বড় অধিক মাত্র ৬,০০০ বছর। আর সাতবার তো মানুষের আবিষ্কার। মানুষের আবিষ্কৃত সাতাবার দ্বারা কাঁই কী আকাশ ও ভূমি সৃষ্টি করেছেন? প্রযুক্তি ও প্রচার মাধ্যমের উত্তরোত্তর উন্নয়নের ফলে শাস্ত্রীয় পণ্ডিত, বৈখ্যিক ও টৈকিকদের মনগড়া, গুদামপচা, বস্তাপচা, হাস্যকর, অযৌক্তিক, অবৈজ্ঞানিক অপসংস্কৃতি ও অপসংস্কারাদি গবেষণা ও যাচাই-বাছাই করার সময় এসেছে এখন। সমাজের সব বুদ্ধিমানরা এগিয়ে আসুন। আমরা একযোগে মহাপবিত্র শাস্ত্রীয় গ্রন্থাদির প্রকৃতশিক্ষা উদ্ঘাটন করে সমাজে জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দিই। বিশ্ববাসীকে শাস্ত্রীয় সন্ত্রাসবৃত্তি, সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসবৃত্তি, ধর্মবাজি ও ধর্মব্যবসা হতে নিবৃত করতে চেষ্টা করি। সমাধানরূপে বলা যায় রূপকসাহিত্যে কখনো কখনো প্রহরকেউ দিন বলা হয়। আর আমাদের দেহঘড়ি নয় প্রহরে বিবর্তনমান। উল্লেখ্য রূপকসাহিত্যে এক প্রহর সমান সাড়েতিন দিন। এ সূত্র মতে নয় প্রহর সমান সাড়ে একত্রিশ দিন। গাণিতিক সমাধানের ক্ষেত্রে অর্ধদিন গ্রহণযোগ্য নয়। সে জন্য বলা যায় যে, দেহঘড়ির নয় প্রহর সমান ৩১ দিন। আমাদের বাংভারতে দেহঘড়ির একপ্রহর রাত। আর এটি হলো স্রাবণ্য প্রহর। অর্থাৎ দেহতত্ত্ব বা রূপকসাহিত্যে রজস্বলাদের রজকালকে রাত বলা হয়। অবশিষ্ট আট প্রহর তাদের পবিত্রকাল। এ আট প্রহর সমান ২৮ দিন। রজস্বলাদের পবিত্রকালরূপে পরিগণিত এ আঠাশ দিনকে রূপকসাহিত্যে দেহঘড়ির দিন বলা হয়। পবিত্রকালরূপে পরিচিত এ আট প্রহরকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যথা- ১.সৃষ্টিকাল ও ২.অবসরকাল। সৃষ্টিকাল হলো ছয় প্রহর এবং অবসরকাল হলো দুই প্রহর। রজস্বলাদের রজ বিদায়ের পরবর্তী প্রথম দিনকে পবিত্রকালের প্রথমদিন বলা হয়। পবিত্রকালের প্রথমদিন হতে ছয় প্রহর বা ২১ দিন পর্যন্ত জননপথে শুক্র নিক্ষেপ করলে সন্তান সৃষ্টি হয়ে থাকে। তাই এই ছয় প্রহর বা ২১ দিনকে সৃষ্টিকাল বলা হয়। অবশিষ্ট দুই প্রহর বা ৭ দিন জননপথে শুক্র নিক্ষেপ করলেও সন্তান সৃষ্টি হওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না। তাই ঐ দুই প্রহর বা পবিত্রতার ২২ হতে ২৮ পর্যন্ত এ ৭ দিনকে অবসরকাল বলা হয়। আমাদের আলোচ্য ছয়প্রহরকেই রূপকাসাহিত্যে ছয়দিন বলা হয়। এ ছয়দিনে গর্ভের মধ্যে প্রভু মানবসন্তান সৃষ্টি ও প্রতিপালন করেন বলেই রূপকসাহিত্যে ছয়দিনে আকাশ-ভূমি সৃষ্টি করার কথা বলা হয়। আবার ছয়দিনে আকাশ-ভূমি সৃষ্টি করে প্রভুর অবসর গ্রহণ করার কথা বলা হয়। এছাড়া বর্তমানকালে চিচিৎসা বিজ্ঞানের অনেক উন্নতিসাধন হয়েছে। এখন সমস্ত চিকিৎসক একমত যে রজস্বলাদের পবিত্রতার প্রথম দিন হতে ২১ দিন পর্যন্ত জননপথে শুক্র নিক্ষেপ করলে বা অন্য কোন উপায়ে জরায়ুতে শুক্র স্থাপন করলে সন্তান জন্মগ্রহণ করার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু পবিত্রতার ২২ হতে ২৮ দিন পর্যন্ত জননপথে শুক্র নিক্ষেপ করলে বা অন্য কোনভাবে জরায়ুর মধ্যে শুক্র স্থাপন করলেও সন্তান সৃষ্টি হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। নিচে কয়েকটি উদ্ধৃতি তুলে ধরা হলো। ১. “একাকারে হুহুংকার মেরে আপনি সাঁই নিরঞ্জনা, অন্ধকার ধন্ধকার কুয়াকার নৈরাকার, সৃষ্টি করল কিনা। হও বলে এক শব্দ করে, সেই শব্দে জ্যোতি ঝরে, মানব সৃষ্টি ছয় প্রহরে, এরূপ তার বর্ণনা। ছয় প্রহরে মানব সৃষ্টি সর্ব মতে, জানা যায় আত্মতত্ত্ব হতে আকাশ ভূমি সৃজনের ভেদ জানতে লালন করে বাসনা।” (পবিত্র লালন- ২০২)। ২. “ছয়দিনে গড়ে আকাশ ভূমি মনের মত করে তিনি কোন্ ঘড়িতে দিন গণে মন চল ঘড়ি সন্ধানে। সাতাশেতে দিকের কাঁটা ছয়প্রহরে দিনের ভাটা সাড়েতিনে ঘণ্টা কাঁটা বেল বারটা ত্রিবেণে। পঞ্চাশসহস্র বছর ঘুরে তিরিশসহস্র পারাপারে চুরাশিফের পড়িলে কাটে না এক জনমে। শুক্ল-কৃষ্ণপক্ষের বিচার না করিলে যায় না বিমার গণনা সারা নব্বইসহস্রর মিলে না গুরু বিনে। সাতনরক আটস্বর্র্গ জুড়ি চারপ্রধান ষোলপ্রহরী চৌদ্দতলা আঠারপুরী ঘুরাই কাঁটা ছয়জনে। আকাশ-ভূমি জুড়ে ঘড়িটা দুইদিকেতে নয়টি ফুটা মাঝখানেতে একটি খুঁটা বলন কাঁইজি কয় গণে।” (বলন তত্ত্বাবলী- ১১০)। অন্যদিকে বড় আশ্চর্য হবার বিষয় হলো সারাবিশ্বের সর্ব প্রকার শাস্ত্রীয়, সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক পণ্ডিত, বক্তা, বৈখ্যিক, টৈকিক, অভিধানবেত্তা ও অনুবাদকরা রূপকসাহিত্যে বর্ণিত ‘দিন’ পরিভাষাটির দ্বারা কেবল সৌরদিনকেই বুঝেন ও বুঝিয়ে থাকেন। তাই শাস্ত্রীয় ও সাম্প্রদায়িকরা চিরদিনের জন্য আধ্যাত্মিক বা আত্মতত্ত্বের জ্ঞানে চিরান্ধ। এমন প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ উচ্চ মার্গিক আলোচনার মূলশিক্ষাকে সমাজের কাজে লাগানো বা সমাজে ছড়িয়ে দিয়ে জনমানবের উপকার করার পরিবর্তে শাস্ত্রীয় পণ্ডিত, বৈখ্যিক ও টৈকিকরা সমাজে ছড়িয়ে দিয়েছে তাদের অন্তঃসারশূন্য মনগড়া চিন্ত-ক্যান্সার। আর এসব মনগড়া চিন্তা-ক্যান্সার হতেই সমাজে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে, শাস্ত্রীয় সন্ত্রাস, শাস্ত্রীয় সন্তাসবৃত্তি, ধর্মব্যবসা ও ধর্মবাজি। এখন আমাদের ভাবতেও অবাক লাগে যে, শাস্ত্রীয় পণ্ডিত, বৈখ্যিক ও টৈকিকরা নিজেদের জ্ঞানদৈন্যতা ও আধ্যাত্মিক জ্ঞানহীনতার কারণে শাস্ত্রীয় গ্রন্থ-গ্রন্থিকাদির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জনহিতকর বিষয়াদিকে কিভাবে সমাজ ও দেশ ধ্বংসের উপকরণে পরিণত করে ছেড়েছে। আমরা আশা করি পাঠককুল ভেবে দেখবে বিষয়টি। সমাজের সুশীল ও বিবেকবানরা যদি ওপরোক্ত বিষয় একটু গভীরভাবে চিন্তা করে দেখেন। তবেই জানতে পারবেন এর মধ্যে কত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিহিত রয়েছে। নবদম্পতিরা যদি বিষয়টি ভেবে দেখেন তবে তাদের আর জন্ম-নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির প্রয়োজন হবে না। কারণ ঐ ২১ দিন ইন্দ্র সংযমন করবে এবং পরবর্তী ৭ দিন বিনোদন করবে। এর পরও যদি শাস্ত্রীয় ঘাড়তেড়া পণ্ডিত, বৈখ্যিক ও টৈকিকদের সুমতির উদয় না হয় তবে তা হলো তাদের নিয়তি। (সংক্ষিপ্ত সংকলন) তথ্যসূত্র আত্মতত্ত্ব ভেদ (৫ম খণ্ড) লেখকঃ বলন কাঁইজি ------------------------------------------------------------------------------------------ ৪৪/১. পবিত্রতা প্রসঙ্গঃ ‘পবিত্রতা’ (৫ম পর্বের ১ম পর্ব বিশেষ) ৪৪/২. পবিত্রতা প্রসঙ্গঃ ‘পূর্ণিমা’ (৫ম পর্বের ২য় পর্ব বিশেষ) ৪৪/৩. পবিত্রতা প্রসঙ্গঃ ‘দিন’ (৫ম পর্বের ৩য় পর্ব বিশেষ) ৪৪/৪. পবিত্রতা প্রসঙ্গঃ ‘মঙ্গলবার’ (৫ম পর্বের ৪র্থ পর্ব বিশেষ) ৪৪/৫. পবিত্রতা প্রসঙ্গঃ ‘শুক্লপক্ষ’ (৫ম পর্বের ৫ম পর্ব বিশেষ) ------------------------------------------------------------------------------------------ আধ্যাত্মিকবিদ্যা, আত্মতত্ত্ব, আত্মদর্শন, দেহতত্ত্ব, পরম্পরাতত্ত্ব, দিব্যজ্ঞান, স্বরূপদর্শন, নরত্বারোপ ও বলনদর্শন টীকা (Spiritualism, Theology, Apperception/ Introspection, Canonism, Theosophy, Personification/ Anthropomorphism, Self-philosophy, Bolon philosophy and Magnanimous note.)httpv://youtube/watch?v=zDqJh-qGbU4
Posted on: Tue, 02 Dec 2014 13:41:34 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015