জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ - TopicsExpress



          

জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিপর্যায় বাংলাদেশের জন্য একটা ম্যাসেজ!!!! বঙ্গমিত্র বাংলাদেশের পাওয়ার সেক্টর আসতে আসতে ভারত নির্ভর হয়ে যাওয়ায় অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের কি ধরণের বিপর্যায়ের মুখে পরতে যাচ্ছে এটাই তার একটা নমুনা। সেইদিন বেশি দূরে নয় যে দিন ভারতের ইচ্ছায় আমদেরকে উঠবস করতে হবে। অর্থ্যাৎ ভারতের ইচ্ছাই আমাদের দেশের বিদ্যুৎ থাকা না থাকা নির্ভর করবে। ভারতের ইচ্ছা হলে তার বিদ্যুৎ দিবে, ইচ্ছা না হলে বিদ্যুৎ অফ রাখবে। বলবে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ। অতঃপর পুতুল সরকার পেছনের দরজা দিয়ে তাদের সাথে আপোষ মীমাংসা করবে, তাদের অন্যায় আবদার মেনে নিবে এবং এতে যদি তাদের মর্জি হয় তবেই আমরা বিদ্যুৎ পাব। অন্যতায় নয়। দেশ থাকবে অন্ধকারে নিমজ্জিত।। খবরঃ ভারত থেকে আনা লাইন বসে বিদ্যুতে বিপর্যয়।। জাতীয় গ্রিড বসে যাওয়ায় সারা দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়েছে। গোটা দেশ এখন অন্ধকারে। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে এ অবস্থা শুরু হয়েছে। সময় গড়ানোর সঙ্গে তা চরম বিপর্যয়ে রূপ নিয়েছে। চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানসহ জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠানে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘ভারত থেকে ভেড়ামারা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত আসে, সেই লাইনটি ট্রিপ হয়ে যাওয়ার প্রভাবে এ বিপর্যয় হয়। খেয়াল করুণ এইধরনের কাজ কিন্তু ইতোপূর্বে বাংলাদেশে ঘটেনি। এইবারই প্রথম। কারণ এবারই আমরা ভারত থেকে প্রথম বিদ্যুৎ আমদানী করতেছি। এবং বাংলাদেশের যতগুলো বড় বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে তাও কিন্তু ভারতের সাথে যৌথ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে। ভারত কম বিনিয়োগ করেও মালিকানা পাচ্ছে ৫০-৫০। কেন্দ্রে নিয়ন্ত্রণ ভারও নিচ্ছে তারাই। আর আমাদের জাতীয় সঞ্চালন কেন্দ্রটাকেও ভারত মূখী করে ফেলা হয়েছে। অর্থ্যাৎ ভারত মুখী সঞ্চালনে বিপর্যয় মানে পুরো দেশেই বিদ্যুৎ বিপর্যয়। এর মানে হলে আমাদের দেশের পাওয়ার সেক্টরের নিয়ন্ত্রণ ভার আমরা ইচ্ছা করেই সজ্ঞানে ভারতের হাতেই তুলে দিচ্ছি। আর ভবিষ্যতে ভারত এই পাওয়ার সেক্টর দিয়েই আমাদের দেশ, সরকার পুরো নিয়ন্ত্রণ করবে। চিন্তা করছেন একবার??? তাদের কথা মত না চললে কেমন মাসুল দিতে হবে?? শুধু কি পাওয়ার সেক্টর?? আমাদের দেশের খাদ্য ও অন্যান্য দ্রব্যাদি আমদানীর প্রধান দেশও ভারতকে পরিণীত করে ফেলেছি। ভারতের উপরই নির্ভর করছে আমাদের এই সব নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য প্রাপ্তি অপ্রাপ্তি। ভারতেরই উপর নির্ভর করছে দ্রব্যের মূল্য উঠানামা। অর্থ্যাৎ ভারত যদি কোন সরকারের উপর নারাজ হয় তাহলে তারা ইচ্ছা করলেই এই সব দ্রব্য রপ্তানি বন্ধ করেদিয়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমেই দেশের ব্যাপক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। এতে সরকার তার ক্ষমতা রক্ষার্থে নমনীয় হতে বাধ্য হবে, তাদের অনৈতিক দাবিগুলো মেনে নিবে। মনে আছে, বিএনপির শেষ সময় হাসিনা ভারতে গিয়ে বলে আসায় ভারত বাংলাদেশে সেই সময় বিভিন্ন ধরণের খাদ্যদ্রব্য ডাল, মসলা, পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় দেশে এর ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধি হয়েছিল। বিএনপি সরকারকে সেই সময় এর জন্য চরম মূল্যও দিতে হয়েছিল। অথচ, আমরা এই সব বিদ্যুৎ, খাদ্যদ্রব্য ও অন্যান্য দ্রব্যাদি কিন্তু ভারত থেকে মাগনা বা ফ্রিতে নিচ্ছে না। কিনে নিচ্ছি, বরং অনেক ক্ষেত্রে উচ্চমূল্যে নিম্নমানের পন্যই কিনে নিচ্ছি। আমার কথা হচ্ছে টাকা দিয়ে যখন কিনছি তাহলে আমাদের আমদানি এক কেন্দ্রিক কেন??? বহুমূখী হলে ক্ষতি কি?? এমন নয় যে ভারত ছাড়া অন্য দেশ থেকে আনলে আমাদের দাম বেশি দিতে হবে। আমাদের কোম্পানি ব্রাজিল থেকে চিনি ও ভোজ্য তেল আমদানি করে যার মূল্য সব মিলিয়ে ভারত থেকে আমদানিকৃত মূল্য থেকেও অনেক কম। বাংলাদেশে ঔষুধ সেক্টরে অঘোষিত একটা আইন আছে, ঔষুধে কাঁচামাল আমদানি করলে অবশ্যই ভারত থেকে করতে হবে। নইলে অনুমোদন পাওয়া যাবে না। আর এই ক্ষেত্রে সেন্ডিকেটটা নিয়ন্ত্রণ করছে সালমান এফ রহমান, ক্রিকেট বোডের সভাপতি পাপন, মুজিবের কন্যা শেখ রেহানা। এরা ভারতের ব্যবসায়িদের কাছে থেকে মোটা অংকের কমিশন পায়। আর বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের বাধ্য করে তাদের কাছ থেকে চড়া দামে নিম্ন মানের কাঁচামাল কিনতে। ঠিক একই ভাবে ঔষুধের মত বিদ্যুৎসহ অন্যান্য দ্রবাদিও কিছু স্বার্থনেষী মহল কমিশনের বিনিময়ে ভারত নির্ভর করে দিচ্ছে। তারা আসলে টাকার বিনিময়ে দ্রব্য সরবারাহকেই ভারত কেন্দ্রিক করছে না, তারা মূলত বাংলাদেশটাকেই ভারতের নিয়ন্ত্রণে দিয়ে দিচ্ছে। তাই তো আজ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রকাশ্যে বলতে পারল, বাংলাদেশ-ভারত তো অভিন্ন দেশ!!! এর মানে কি??? এটা কি বাংলাদেশের জন্য অশুভ সংকেত নয়??
Posted on: Sun, 02 Nov 2014 08:15:04 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015